আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
দেশের সর্বশেষ ক্যানসার রেজিস্ট্রির একটি সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে। সমীক্ষাটিতে দেখা গেছে, নতুন ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি নারী, অথচ ক্যানসারে মৃতদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যাই বেশি।
বিশ্বের গড় পরিস্থিতি থেকে ভারত এখানে ব্যতিক্রমী। ওয়ার্ল্ড ক্যানসার রিসার্চ ফান্ডের তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে বিশ্বে প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে প্রায় ১৯৭ জন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর মধ্যে পুরুষের হার ছিল বেশি। যেখানে প্রতি এক লাখ পুরুষের মধ্যে ২১২ জন ক্যানসার আক্রান্ত, সেখানে ১ লাখ নারীর মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৮৬।
ওই বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ২ কোটি মানুষের ক্যানসার ধরা পড়ে। যার মধ্যে পুরুষ প্রায় এক কোটি তিন লাখ এবং নারী প্রায় ৯৭ লাখ। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য ঝুঁকি নারী ও পুরুষদের মধ্যে প্রায় সমান।
ভারতে নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় স্তন, জরায়ু এবং ডিম্বাশয়ের ক্যানসার। নারী ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ৪০ শতাংশ স্তন এবং জরায়ুর ক্যানসারে আক্রান্ত।
জরায়ুমুখ ক্যানসারের প্রধান কারণ হিসেবে মানব প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিভি)-এর মতো সংক্রমণকে দায়ী করা হলেও স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যানসার সাধারণত হরমোন-সম্পর্কিত কারণে বাড়ে। হরমোনজনিত এই ক্যানসার বাড়ার পেছনে জীবনযাত্রার পরিবর্তনও জড়িত। যার মধ্যে রয়েছে—বেশি বয়সে গর্ভধারণ, কম স্তন্যপান করানো, স্থূলতা এবং অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন।
অন্যদিকে, পুরুষদের মধ্যে মুখগহ্বর, ফুসফুস ও প্রোস্টেট ক্যানসারই বেশি দেখা যায়। পুরুষদের প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের ৪০ শতাংশ হয় তামাক সেবনের কারণে, যার মধ্যে মুখগহ্বর ও ফুসফুস ক্যানসার সবচেয়ে বেশি।
এ কারণে প্রশ্ন উঠছে ভারতে এমনটা কেন ঘটছে? এর কারণ কি নারীদের ক্যানসার আগে ধরা পড়া? না কি পুরুষদের যে ধরনের ক্যানসার হয় সেগুলো প্রকৃতিগতভাবে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে? নাকি ধূমপান ও তামাক চিবানোর মতো অভ্যাস তাদের মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে? নাকি পুরুষ ও নারীর মধ্যে চিকিৎসা-সুবিধা, সচেতনতা ও সেবাপ্রাপ্তির পার্থক্যেও কি উত্তর লুকিয়ে আছে?
বলা হচ্ছে, সচেতনতামূলক প্রচার এবং উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার কারণে নারীদের সাধারণত যে ক্যানসারগুলো দেখা যায়, সেগুলো প্রায়শই আগে শনাক্ত করা যায়।
ক্যানসার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদানের সংস্পর্শে আসা থেকে শুরু করে রোগ শনাক্ত হওয়া পর্যন্ত সময়ের ব্যবধান বেশি হওয়ায়, এই ধরনের ক্যানসার চিকিৎসায় ভালো করা সম্ভব হয়।
এ কারণে, নারীদের মধ্যে ক্যানসারে মৃত্যুহারও তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে পুরুষদের অবস্থা তুলনামূলক খারাপ। তাদের ক্যানসারগুলো সাধারণত জীবনযাত্রার সঙ্গে সম্পর্কিত। পুরুষদের তামাক সেবন ও মদ্যপানের কারণে ফুসফুস ও মুখের ক্যানসার হয়। এ ধরনের ক্যানসার অনেক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং চিকিৎসায় ভালো হওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
আর পুরুষেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বা দ্রুত চিকিৎসা নিতে চিকিৎসকের কাছে যেতে তেমন আগ্রহী হয় না। যার ফলে ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা নারীদের তুলনায় কম হলেও পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুহার এবং জটিলতা বেশি।
এ প্রসঙ্গে ক্যানসার বিশেষজ্ঞ এবং নন-প্রফিট সংস্থা সেন্টার ফর হেলথ ইনোভেশন অ্যান্ড পলিসি (সিএইচআইপি) ফাউন্ডেশনের প্রধান রবি মেহরোত্রা বলেন, ‘নারীস্বাস্থ্য এখন জনস্বাস্থ্য প্রচারণার বড় একটি অগ্রাধিকার হয়ে উঠেছে, যা একদিকে সুফল বয়ে আনলেও অন্যদিকে পুরুষদের ক্ষেত্রে ঘাটতি তৈরি করছে। বেশি সচেতনতা ও নিয়মিত স্ক্রিনিংয়ের কারণে নারীদের ক্যানসার আগেভাগেই শনাক্ত হয়। কিন্তু পুরুষদের ক্ষেত্রে আলোচনা সচরাচর তামাক ও মুখগহ্বর ক্যানসারের বাইরে যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীরা প্রজনন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কোনো না কোনো সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান। কিন্তু অনেক পুরুষই আছেন, যারা হয়তো জীবনে কখনো চিকিৎসকের কাছে যাননি।’
সংখ্যাগুলো খতিয়ে দেখলে ক্যানসারের আসল চিত্র স্পষ্ট হয়। ভারতে এ রোগের মাত্রা অঞ্চলভেদে অসমভাবে ছড়িয়ে রয়েছে, তেমনি ভিন্ন ভিন্ন ক্যানসারেও পার্থক্য স্পষ্ট।
দেশজুড়ে ৪৩টি রেজিস্ট্রির তথ্য বলছে, ভারতে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১১ জনের জীবদ্দশায় কোনো না কোনো সময়ে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। শুধু ২০২৪ সালেই দেশে আনুমানিক ১৫ লাখ ৬০ হাজার নতুন ক্যানসার শনাক্ত এবং ৮ লাখ ৭৪ হাজার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।
দুর্গম ও পাহাড়ি উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের ক্যানসারের হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত। মিজোরামের আইজল জেলায় ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি জাতীয় গড়ের চেয়ে দ্বিগুণ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এর বেশিরভাগই জীবনযাত্রার কারণে ঘটে।
আসামের কাছাড় ক্যানসার হাসপাতাল এবং গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান আর. রবি কান্নান বলেন, ‘উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বেশিরভাগ ক্যানসারের মূল কারণ জীবনযাত্রার ধরন। এ এলাকার মানুষ প্রচুর তামাক সেবন করে। যা দেশের অন্য যেকোনো অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশি।’
ড. কান্নান আরও বলেন, ‘আসামের বরাক ভ্যালিতে মূলত পান-গুটখা চিবানো প্রচলিত, আর এর ২৫ কিলোমিটার দূরের মিজোরামে সিগারেট বা ধূমপান বেশি। আর মদ্যপান, সুপারি খাওয়া তো আছেই। আবার অঞ্চলভেদে মাংস রান্নার ধরনও শরীরে প্রভাব ফেলে। খাদ্যাভ্যাস ও রান্নার ধরনই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। এখানে কোনো বিশেষ ক্যানসার-সৃষ্টিকারী জিন নেই। বংশগত ক্যানসারের হারও ভারতের অন্য অংশগুলোর চেয়ে এখানে বেশি নয়।’
তবে ক্যানসারের এই প্রবণতা শুধু উত্তর-পূর্বেই সীমাবদ্ধ নয়। ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর পুরুষদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যানসারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে, আর দক্ষিণের হায়দরাবাদ স্তন ক্যানসারে এগিয়ে আছে। বয়সজনিত পার্থক্য বিবেচনা করার পরেও, রাজধানী দিল্লির পুরুষদের মধ্যে সব ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার অন্যান্য অঞ্চলের পুরুষদের তুলনায় বেশি।
মুখের ক্যানসারের ক্ষেত্রে দেশের ১৪টি জনসংখ্যাভিত্তিক রেজিস্ট্রি পুরুষদের মধ্যে এবং চারটি নারীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধির তথ্য জানিয়েছে।
ভারতের এই ঝুঁকির চিত্র আসলে বৃহত্তর এক বাস্তবতারই প্রতিফলন। ক্যানসার একইসঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সর্বজনীন আবার সবচেয়ে বৈষম্যমূলক রোগ। ভারতের রাজ্যভেদে যে বৈষম্য দেখা যায়, তা বৈশ্বিক বিভাজনের প্রতিচ্ছবি। যে বৈষম্য ভৌগোলিক অবস্থান, আয় এবং চিকিৎসার সুযোগের কারণে সৃষ্ট।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, ধনী দেশগুলোতে প্রতি ১২ জন নারীর মধ্যে একজন জীবদ্দশায় স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তবে তাদের মধ্যে মাত্র ৭১ জনে একজন এ রোগে মারা যান।
অন্যদিকে দরিদ্র দেশগুলোতে চিত্র সম্পূর্ণ উল্টো। প্রতি ২৭ জন নারীর মধ্যে একজন ক্যানসার শনাক্ত করার সুযোগ পান, কিন্তু মৃত্যুহার দাঁড়ায় প্রতি ৪৮ জনে একজনের।
আন্তর্জাতিক ক্যানসার গবেষণা সংস্থা (আইএআরসি)-এর ক্যানসার সার্ভেইলেন্স শাখার ডেপুটি প্রধান ইসাবেল সোরজোমাতারাম বলেন, ‘ম্ন মানব উন্নয়ন সূচক (এইচডিআই) সম্পন্ন দেশগুলোতে নারীদের স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা উচ্চ এইচডিআই দেশগুলোর নারীদের তুলনায় ৫০ শতাংশ কম। কিন্তু দেরিতে রোগ নির্ণয় এবং মানসম্মত চিকিৎসার অপ্রতুলতার কারণে এই রোগে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি।
এর বাইরেও রয়েছে নানা বৈষম্য। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির মতে, যুক্তরাষ্ট্রে নেটিভ আমেরিকানদের ক্যানসারে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। কিডনি, লিভার পাকস্থলী এবং জরায়ু ক্যানসারে তাদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি। একইভাবে প্রোস্টেট, পাকস্থলি এবং জরায়ু ক্যানসারে কৃষ্ণাঙ্গদের মৃত্যুহার শ্বেতাঙ্গদের তুলনায় দ্বিগুণ।
ভারতে ক্যানসারের বোঝা কেবল বাড়ছেই না, বরং এটি আরও জটিল হয়ে উঠছে। রেজিস্ট্রি থেকে পাওয়া তথ্য এক পরিবর্তনশীল সমাজের প্রতিফলন দেখাচ্ছে যেখানে দীর্ঘায়ু, জীবনযাত্রা এবং পরিবেশ স্বাস্থ্যের ঝুঁকিগুলোকে নতুনভাবে রূপ দিচ্ছে।
তবুও এই পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে অনেক প্রশ্নই অমীমাংসিত থেকে যাচ্ছে, যা সুনির্দিষ্ট প্রতিরোধ ব্যবস্থা, দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও জীবনযাত্রার মতো অভ্যাস পরিবর্তনের জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৩৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের প্রাথমিক ঘোষণা আসে। তবে আজ ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র শশ বেদ্রোসিয়ান অনলাইন ব্রিফিংয়ে বৈঠকের প্রধান আলোচ্যসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প গাজার যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন। এ ছাড়া যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী (আইএসএফ) মোতায়েনের বিষয়টি নিয়েও কথা হবে।
গতকাল রোববার নেতানিয়াহু বলেছিলেন, বৈঠকের মূল লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের শাসনের অবসান করা এবং হামাস যেন যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় দেওয়া ‘প্রতিশ্রুতি’ (নিরস্ত্রীকরণ) পূরণ করে, তা নিশ্চিত করা। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ ‘আরও কঠিন’ হবে।
যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে প্রধানত ইসরায়েলি বন্দী ও ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনিদের বিনিময় এবং গাজার কিছু অংশ থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে যুদ্ধপরবর্তী গাজা প্রশাসন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা, যা একটি অত্যন্ত জটিল ও বহুলাংশে অমীমাংসিত বিষয়। এই ধাপে নেতৃত্ব, ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণের অধিকার এবং আইএসএফ বাহিনীর ভূমিকা নির্ধারণ করা বাকি রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর থেকে মার্কিন মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। তবে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি বাহিনী ৫৯০ বারের বেশি এই যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে জানা গেছে। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় অন্তত ৩৬০ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এর ফলে মৃতের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এদিকে, বৈঠকটি এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সিরিয়ার নতুন সরকারের সঙ্গে ইসরায়েলকে একটি নতুন নিরাপত্তা চুক্তি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। গত সপ্তাহে তিনি সামাজিক মাধ্যমে ইসরায়েলকে সিরিয়ার সঙ্গে ‘শক্তিশালী ও ফলপ্রসূ সংলাপের’ আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে সিরিয়ায় ইসরায়েলের বারবার অনুপ্রবেশ এবং বিমান হামলা সেই আলোচনাকে বহুলাংশে ব্যাহত করেছে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন। সোমবার জুরি বোর্ডের সদস্যরা তাঁকে দোষী ঘোষণা করলে আদালতে উপস্থিত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন।
বিবিসি জানিয়েছে, টোইয়া কর্ডিঙ্গলিকে অন্তত ২৬ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। সেদিন বিকেলে তিনি তাঁর কুকুর নিয়ে সমুদ্র সৈকতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন। পরদিন সমুদ্রসৈকতের বালিয়াড়িতে অর্ধেক ঢেকে থাকা অবস্থায় মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেন তাঁর বাবা। কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্নস ও পোর্ট ডগলাস—এই দুই জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের মাঝখানে অবস্থিত ওই সৈকতটি।
মামলার শুনানিতে আদালত জানান, কর্ডিঙ্গলিকে বারবার ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তাঁর দেহ অগভীর বালুকাময় গর্তে ফেলে রাখা হয়—যেখানে তার বেঁচে থাকার কোনো আশাই ছিল না।
অভিযুক্ত রাজবিন্দর সেই সময়টিতে কুইন্সল্যান্ডের ইনিসফেইল এলাকায় বসবাস করতেন, যা হত্যার স্থান থেকে প্রায় দুই ঘণ্টার দূরত্বে। তদন্ত শুরু হওয়ার পরপরই পুলিশের সন্দেহ তাঁর ওপর গিয়ে পড়ে। তবে সেই সময়ই তিনি হঠাৎ অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। ফেলে রেখে যান তাঁর স্ত্রী, তিন সন্তান এবং বাবা-মাকে।
চার বছর ভারতে লুকিয়ে থাকার পর অবশেষে তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত মার্চে এই মামলাটির প্রথম বিচার প্রক্রিয়া জুরি বোর্ডের অমতজনিত কারণে স্থগিত হয়েছিল। দ্বিতীয় দফার বিচার শেষে এবার তাঁকে দোষী ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসিকিউটররা মত দিয়েছেন, রাজবিন্দরের হঠাৎ দেশত্যাগই তাঁর অপরাধবোধের প্রমাণ। ফরেনসিক প্রমাণও তাঁকেই দোষী সাব্যস্ত করে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা একটি কাঠির ওপর পাওয়া ডিএনএ নমুনা অন্য কারও নয়, বরং রাজবিন্দরের হওয়ার সম্ভাবনা ছিল ৩.৮ বিলিয়ন গুণ বেশি। এ ছাড়া কর্ডিঙ্গলির মোবাইল ফোনের গতিবিধি এবং সিংয়ের গাড়ির অবস্থান হত্যাকাণ্ডের সময়ের সঙ্গে মিলে যায়।
টোইয়া কর্ডিঙ্গলি স্থানীয় স্বাস্থ্য পণ্যের দোকানে কাজ করতেন এবং পশু উদ্ধারকারী সংগঠনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর কুইন্সল্যান্ড জুড়ে ব্যাপক শোক দেখা দেয়।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাজবিন্দর সিংকে আগামী মঙ্গলবার সাজা ঘোষণার জন্য আবার আদালতে হাজির করা হবে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৩৬ মিনিট আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।
ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেখানে চলমান প্রতিবাদ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে জয়সওয়াল এই মন্তব্য করেন।
ইমরান খানের বর্তমান অবস্থা ও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁকে নিয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরীর মন্তব্য, নানান আলোচনার জন্ম দিয়েছে। চলমান পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিককাঠামো দুর্বল হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বলেন, ভারত সেখানকার সব ঘটনার ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন।
জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের প্রতিটি ঘটনার ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখি। আপনি জানতে চেয়েছেন, পাকিস্তানের গণতন্ত্র দুর্বল হচ্ছে কি না। আসলে গণতন্ত্র আর পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই ভালো।’
পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল আফগান বেসামরিক নাগরিকদের হতাহতের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে সংঘর্ষের খবর আমরা দেখেছি। এতে বহু আফগান বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। আমরা নিরপরাধ আফগান জনগণের ওপর এই ধরনের হামলার নিন্দা জানাই।’ ভারত আফগানিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে তাদের সীমান্তে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। উভয় পক্ষের কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নিশ্চিত করেন, এতে অন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ হিসেবে আখ্যা দেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
এর আগে কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন তাঁর তিন বোন। এরপরই পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কারাগারে মারা গেছেন—সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৩৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়।
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।
‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।
নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

জাপানের উত্তর উপকূলে আঘাত হেনেছে ৭.৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৪৫ মিনিটে হোক্কাইডো অঞ্চলের উপকূল থেকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) প্রাথমিক তথ্যে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল সমুদ্রের ৩২ মাইল গভীরে, ৪১° উত্তর অক্ষাংশ ও ১৪২.৩° পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কাছাকাছি।
‘জাপান টাইমস’ সহ জাপানের অন্যান্য সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পরপরই উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, সুনামির কারণে সমুদ্রতটে ঢেউয়ের উচ্চতা সর্বোচ্চ ১ মিটার পর্যন্ত উঠতে পারে। তবে প্রাথমিক পূর্বাভাসে ৩ মিটার উচ্চতার ঢেউয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছিল।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। একইভাবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা কাছাকাছি থাকা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।
এর আগে গত ৯ নভেম্বর উত্তর জাপানে আরও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। সেই সময় উপকূলীয় এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। ৬.৯ মাত্রার সেই ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটে ইওয়াতে উপকূলে আঘাত হানে এবং প্রায় ২০ কিলোমিটার গভীর থেকে এর উৎপত্তি হয়। ওই ঘটনার পর বেশ কয়েকটি পরাঘাতও অনুভূত হয়েছিল।
নভেম্বরের ওই ভূমিকম্পে ওফুনাতো, মিয়াকো, কামাইশি, ওমিনাতো ও কুজিসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ২০ সেন্টিমিটার উচ্চতার ক্ষুদ্র সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়েছিল। সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছিল প্রায় তিন ঘণ্টা পর। তবে বিশেষজ্ঞরা আগেই জানান, ওই অঞ্চলে পরবর্তী এক সপ্তাহ পর্যন্ত শক্তিশালী পরাঘাত অনুভূত হতে পারে।
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’-এ অবস্থিত হওয়ায় ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। প্রায়ই দেশটিতে ছোট-বড় ভূমিকম্প অনুভূত হয় এবং বড় ধরনের কম্পনের ক্ষেত্রে সেখানে প্রায় সময়ই সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়।
সর্বশেষ ভূমিকম্পের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণকে সতর্ক থাকতে, প্রয়োজন হলে উঁচু স্থানে সরে যেতে এবং সরকারি ঘোষণার প্রতি নজর রাখার অনুরোধ জানিয়েছে।

ভারতে নারী ও পুরুষের ক্যানসার আক্রান্ত ও মৃত্যুহারে দেখা যাচ্ছে অদ্ভুত এক বৈপরীত্য। দেশটিতে নারীরা বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়াদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা বেশি।
১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমন্ত্রণে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ২৯ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসছেন। আজ সোমবার ইসরায়েলি সরকারের একজন মুখপাত্র বৈঠকের তারিখটি নিশ্চিত করেছেন।
৩৬ মিনিট আগে
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে আলোচিত একটি হত্যা মামলায় সাবেক পুরুষ নার্স রাজবিন্দর সিংকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ৪১ বছর বয়সী এই ব্যক্তি ২০১৮ সালে টোইয়া কর্ডিঙ্গলি নামে ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন।
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল আজ সোমবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং পাকিস্তান একসঙ্গে যায় না।’ প্রতিবেশী দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা, বিশেষ করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান...
১ ঘণ্টা আগে