ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোয় ২০১২ সালে মার্কিন সংস্থা ইউএসএআইডির ২১ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অর্থায়ন ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।’ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিতর্কটি যদিও পুরোনো; কিন্তু আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন ব্যবসায়ী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা দিয়েছে, তারা মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যয় পর্যালোচনা করছে। ডিওজিইর দাবি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিং’-এর জন্য ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ছিল ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। ডিওজিইর এ তথ্য প্রকাশের পরই ভারতের পুরোনো বিতর্কটি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি দু-দলই এটিকে ‘ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে বিজেপি দাবি করেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার ‘বিদেশি শক্তিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশাধিকার সহজ করে দিয়েছিল।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি নিশ্চিতভাবেই ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। কিন্তু এতে লাভবান হয়েছে কে? অন্তত ক্ষমতাসীন দল (বিজেপি) তো নয়! এই উদ্যোগ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি সংগঠনের সিস্টেম্যাটিক অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত।’
অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা পাল্টা জবাবে বলেন, ২০১২ সালে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তখন কংগ্রেস সরকারে ছিল। তাহলে কি সরকার নিজের নির্বাচনী সম্ভাবনা নষ্ট করতে এ তথাকথিত ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’ চেয়েছিল?
এদিকে, বিজেপির আরেক নেতা নলিন কোহলি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কোনো মার্কিন সংস্থা কেন ভারতের নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজে ২১ মিলিয়ন ডলার দিতে চাইবে? এটি কি ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নয়?’
২০১০-১২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এসওয়াই কুরাইশী বিজেপির দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল আন্তর্জাতিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ফাউন্ডেশনের (আইএফইএস) সঙ্গে, যা আগেও ছিল এবং এখনো আছে। এগুলো মূলত নির্বাচন-পূর্ব প্রশিক্ষণের জন্য করা হয়। এর সঙ্গে কোনো অনুদানের সংযোগ নেই। এ অর্থায়নের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত।’
ইলন মাস্কের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ এসব তথ্য প্রকাশ করার পর সরকারি ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘আমরা কেন ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করব? তারা কী অন্য কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করেছিল?’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ডিওজিই মাত্র এক মাসে ৫৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে। আমরা সরকারকে ছোট করে অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে চাই।’
এদিকে ডিওজিই আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোয় ২০১২ সালে মার্কিন সংস্থা ইউএসএআইডির ২১ মিলিয়ন ডলারের অর্থায়ন নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই অর্থায়ন ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি হস্তক্ষেপে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।’ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো তদন্ত করছে বলেও জানানো হয়েছে।
বিতর্কটি যদিও পুরোনো; কিন্তু আবারও নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি মার্কিন ব্যবসায়ী ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই) ঘোষণা দিয়েছে, তারা মার্কিন সরকারের বিভিন্ন সংস্থার ব্যয় পর্যালোচনা করছে। ডিওজিইর দাবি, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ‘কনসোর্টিয়াম ফর ইলেকশনস অ্যান্ড পলিটিক্যাল প্রসেস স্ট্রেনদেনিং’-এর জন্য ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হয়েছে। যার মধ্যে ২১ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ ছিল ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। ডিওজিইর এ তথ্য প্রকাশের পরই ভারতের পুরোনো বিতর্কটি নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।
এদিকে এ বিষয়টি নিয়ে ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধী দল কংগ্রেস এবং ক্ষমতাসীন বিজেপি দু-দলই এটিকে ‘ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তবে বিজেপি দাবি করেছে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার ‘বিদেশি শক্তিকে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশাধিকার সহজ করে দিয়েছিল।
বিজেপি নেতা অমিত মালব্য কংগ্রেসের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘এটি নিশ্চিতভাবেই ভারতের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিদেশি হস্তক্ষেপ। কিন্তু এতে লাভবান হয়েছে কে? অন্তত ক্ষমতাসীন দল (বিজেপি) তো নয়! এই উদ্যোগ ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিদেশি সংগঠনের সিস্টেম্যাটিক অনুপ্রবেশের সঙ্গে যুক্ত।’
অন্যদিকে কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা পাল্টা জবাবে বলেন, ২০১২ সালে এই অনুদান দেওয়া হয়েছিল, তখন কংগ্রেস সরকারে ছিল। তাহলে কি সরকার নিজের নির্বাচনী সম্ভাবনা নষ্ট করতে এ তথাকথিত ‘বহিরাগত হস্তক্ষেপ’ চেয়েছিল?
এদিকে, বিজেপির আরেক নেতা নলিন কোহলি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘কোনো মার্কিন সংস্থা কেন ভারতের নির্বাচন-সংক্রান্ত কাজে ২১ মিলিয়ন ডলার দিতে চাইবে? এটি কি ভারতের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ নয়?’
২০১০-১২ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এসওয়াই কুরাইশী বিজেপির দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছিল আন্তর্জাতিক নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ফাউন্ডেশনের (আইএফইএস) সঙ্গে, যা আগেও ছিল এবং এখনো আছে। এগুলো মূলত নির্বাচন-পূর্ব প্রশিক্ষণের জন্য করা হয়। এর সঙ্গে কোনো অনুদানের সংযোগ নেই। এ অর্থায়নের দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিদ্বেষপ্রসূত।’
ইলন মাস্কের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বা সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ এসব তথ্য প্রকাশ করার পর সরকারি ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি প্রশ্ন করেছেন, ‘আমরা কেন ভারতে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করব? তারা কী অন্য কাউকে নির্বাচিত করার চেষ্টা করেছিল?’
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘ডিওজিই মাত্র এক মাসে ৫৫ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করেছে। আমরা সরকারকে ছোট করে অর্থনীতিকে দ্রুত এগিয়ে নিতে চাই।’
এদিকে ডিওজিই আরও জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করতে ২৯ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, গত বছর বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। এরপর নোবেলবিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
ইংল্যান্ডের এসেক্সের হ্যাভারিং-অ্যাট-বাওয়ার গ্রামে কয়েক সপ্তাহ ধরে একটি বাজপাখির ত্রাসে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে একটি প্রাইমারি স্কুল। ইতিমধ্যে স্কুলটির মাঠে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগেআজ থেকে ছয় মাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ার জনগণ তাঁদের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সক ইয়ল-এর সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টাকে প্রতিহত করেছিল। নির্বাচনের মাধ্যমে এবার জনগণ ইউন সক ইয়লের দলকে শাস্তি দিল এবং বিরোধী দলকে আবার ক্ষমতায় আনল।
৪ ঘণ্টা আগেনেদারল্যান্ডসের একটি জাদুঘরে প্রদর্শিত হচ্ছে একটি বিরল উনিশ শতকের কনডম। এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো, এতে খোদাই করা রয়েছে তিনজন ধর্মযাজকের সঙ্গে একজন নানের সঙ্গম মুহূর্তের নগ্ন ছবি।
৫ ঘণ্টা আগেক্রিমিয়ার কের্চ সেতুতে আবারও সাহসী হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। দেশটির নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) জানিয়েছে, কয়েক মাসের গোপন পরিকল্পনার পর এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার ভোর ৪টা ৪৪ মিনিটে পানির নিচে স্থাপন করা বিস্ফোরক দিয়ে সেতুটির কাঠামোগত স্তম্ভ ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগে