আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নির্বাচনী প্রচারণায় একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। কিন্তু মামদানি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর যখন ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তখন যা ঘটল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত—বৈঠকটি পরিণত হলো এক বিরল আন্তরিকতা ও প্রশংসার উৎসবে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক বিষয়টিকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করছেন। তবে একটি বিষয় সবার নজরে এসেছে। আর তা হলো, কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুরের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সদ্য নির্বাচিত নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক চেতনার উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা।
সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
থারুর লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে ঠিক এভাবেই কাজ করা উচিত। নির্বাচনে নিজের অবস্থান নিয়ে আবেগের সঙ্গে লড়ো, বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়ো না। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে এবং জনগণ তাদের মত জানালে, দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে শিখতে হবে। আমি চাই ভারতেও এমনটা হোক। আমি নিজে সেই দিকেই এগোচ্ছি।’
থারুরের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, এক রিপোর্টার মামদানিকে জিজ্ঞেস করছেন—তিনি কি এখনো ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ মনে করেন? মামদানি উত্তর দেওয়ার আগেই ট্রাম্প হেসে বলেন, তাঁকে ফ্যাসিস্ট বলা হলে তাঁর আপত্তি নেই।
আসলেই আমাদের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এমন হওয়া উচিত। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দলের হতে পারেন। কিন্তু দেশ একটা, আর এই দেশের স্বার্থে দল-মত ভুলে শুধু মানুষের জন্য কাজ করাই মহানুভবতা। ট্রাম্প-মামদানির সাক্ষাৎ মূলত এ বার্তাই দিচ্ছে।
বৈঠকের সময় সাংবাদিকেরা বারবার দুই নেতার মধ্যকার মতপার্থক্য ও অতীতের কটু মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করলেও, তাঁরা বারবারই সংঘাত এড়িয়ে যান এবং সাধারণ ঐক্যের জায়গাগুলো তুলে ধরেন। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখ থেকে একের পর এক প্রশংসা বাক্য বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (মামদানি) আসলে কিছু কনজারভেটিভকে অবাক করতে যাচ্ছেন। তাঁর কিছু ধারণা, সত্যিই আমার ধারণার মতোই। আমি যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি বিষয়ে আমরা একমত। আমি মনে করি, এই মেয়র এমন কিছু করতে পারেন—যা সত্যিই দুর্দান্ত হবে।’
সাংবাদিকেরা সিটির ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, মামদানির ক্ষতি নয়, তাঁকে সাহায্য করার কথাই ভাবছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিক থেকে প্রশংসা বেশি এলেও, মামদানি কৌশলে ট্রাম্পকে নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা না করে, বারবার তাঁর নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা—জীবনযাত্রার ব্যয় ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থাতে ফিরে যান।
এমনকি, এক সাংবাদিক যখন মামদানিকে ইসরায়েল-গাজা প্রসঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী মন্তব্য (যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে গণহত্যার সহযোগী বলা) নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি তা স্বীকার করেও দ্রুত আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে সাশ্রয়ী ব্যবস্থার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিকে নিয়ে আসেন।
অভ্যন্তরীণ ও কূটনৈতিক নীতিতে মামদানি ট্রাম্পকে সমর্থন না করলেও, তিনি প্রেসিডেন্টকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে বলেন, ‘আমি বলতে পারি, জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর আপনার মনোযোগের কারণে অনেক নিউইয়র্কবাসী সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। আমি সেই সাশ্রয়ী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
বৈঠকে শুধু প্রশংসাই নয়, মনে হচ্ছিল যেন ট্রাম্প তাঁর নতুন ‘সঙ্গী’র ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। মামদানি অতীতে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বা ‘স্বৈরশাসক’ বললেও, ট্রাম্প তাতে গুরুত্ব দেননি।
এদিকে, শশী থারুরের মন্তব্যকে এবার প্রশংসা করেছে বিজেপি। তবে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষও করেছে। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, থারুর তাঁর ‘জটিল’ পোস্টের মাধ্যমে কংগ্রেস নেতাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন—গান্ধী পরিবারের চেয়ে দেশের স্বার্থকে আগে রাখতে হবে।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ড. থারুর আবারও কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে জাতীয় স্বার্থ পারিবারিক স্বার্থের ওপরে হওয়া উচিত। নির্বাচন হেরে গিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ করার বদলে গণতান্ত্রিক আচরণ করা শিখতে হবে।’
তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস নির্বাচন হেরে গেলেই অভিযোগ তোলে, আর থারুর দলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকেও জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।
তিনি প্রশ্ন তুললেন—রাহুল গান্ধী কি এই বার্তা বুঝবেন? আর আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, থারুরের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ‘আরও একটি ফতোয়া’ জারি হতে পারে।
পুনাওয়ালা বলেন, ‘এটা আসলে কংগ্রেসের দেশে এক বার্তা—জরুরি অবস্থার মানসিকতা থেকে বের হয়ে একটি পরিণত বিরোধী দলের মতো আচরণ করা উচিত। কিন্তু রাহুল গান্ধী কি বার্তাটি বুঝবেন? বরং ড. থারুরের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি ফতোয়া জারি হতে পারে।’
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। তিনি অতীতে বিজেপি নেতা এল কে আদবানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসা করায় দলের ভেতর থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
দুই দিন আগে তিনি রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদির দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেসের এক নেতা প্রশ্ন তোলেন—‘শশী থারুরের কাছে যদি মোদি এতই ভালো, তবে তিনি কংগ্রেসে আছেন কেন?’
সম্প্রতি থারুর ভারতে বংশপরম্পরার রাজনীতি নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি মেধাতন্ত্র বা যোগ্য নেতা হওয়ার পথে বাধা হিসেবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের উল্লেখ করেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বাক্যবাণ ছুড়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জোহরান মামদানি। কিন্তু মামদানি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর যখন ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন তখন যা ঘটল, তা ছিল একেবারেই অপ্রত্যাশিত—বৈঠকটি পরিণত হলো এক বিরল আন্তরিকতা ও প্রশংসার উৎসবে।
এ নিয়ে ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বিশ্লেষক বিষয়টিকে বিভিন্নভাবে বর্ণনা করছেন। তবে একটি বিষয় সবার নজরে এসেছে। আর তা হলো, কংগ্রেস সংসদ সদস্য শশী থারুরের মন্তব্য। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সদ্য নির্বাচিত নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি হোয়াইট হাউসে সাক্ষাৎ করে গণতান্ত্রিক চেতনার উদাহরণ স্থাপন করেছেন।
থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা।
সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
থারুর লিখেছেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে ঠিক এভাবেই কাজ করা উচিত। নির্বাচনে নিজের অবস্থান নিয়ে আবেগের সঙ্গে লড়ো, বিন্দুমাত্র ছাড় দিয়ো না। কিন্তু নির্বাচন শেষ হলে এবং জনগণ তাদের মত জানালে, দেশের স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে শিখতে হবে। আমি চাই ভারতেও এমনটা হোক। আমি নিজে সেই দিকেই এগোচ্ছি।’
থারুরের শেয়ার করা ভিডিওতে দেখা যায়, এক রিপোর্টার মামদানিকে জিজ্ঞেস করছেন—তিনি কি এখনো ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ মনে করেন? মামদানি উত্তর দেওয়ার আগেই ট্রাম্প হেসে বলেন, তাঁকে ফ্যাসিস্ট বলা হলে তাঁর আপত্তি নেই।
আসলেই আমাদের গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে এমন হওয়া উচিত। দেশের স্বার্থে, দেশের মানুষের জন্য রাজনৈতিক নেতাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। তাঁরা ভিন্ন ভিন্ন দলের হতে পারেন। কিন্তু দেশ একটা, আর এই দেশের স্বার্থে দল-মত ভুলে শুধু মানুষের জন্য কাজ করাই মহানুভবতা। ট্রাম্প-মামদানির সাক্ষাৎ মূলত এ বার্তাই দিচ্ছে।
বৈঠকের সময় সাংবাদিকেরা বারবার দুই নেতার মধ্যকার মতপার্থক্য ও অতীতের কটু মন্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করলেও, তাঁরা বারবারই সংঘাত এড়িয়ে যান এবং সাধারণ ঐক্যের জায়গাগুলো তুলে ধরেন। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মুখ থেকে একের পর এক প্রশংসা বাক্য বেরিয়ে আসে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তিনি (মামদানি) আসলে কিছু কনজারভেটিভকে অবাক করতে যাচ্ছেন। তাঁর কিছু ধারণা, সত্যিই আমার ধারণার মতোই। আমি যা ভেবেছিলাম, তার চেয়ে অনেক বেশি বিষয়ে আমরা একমত। আমি মনে করি, এই মেয়র এমন কিছু করতে পারেন—যা সত্যিই দুর্দান্ত হবে।’
সাংবাদিকেরা সিটির ফেডারেল তহবিল বন্ধের হুমকি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, মামদানির ক্ষতি নয়, তাঁকে সাহায্য করার কথাই ভাবছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দিক থেকে প্রশংসা বেশি এলেও, মামদানি কৌশলে ট্রাম্পকে নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করা থেকে বিরত থাকেন। তিনি ট্রাম্পের সঙ্গে মতবিরোধ নিয়ে আলোচনা না করে, বারবার তাঁর নির্বাচনী অ্যাজেন্ডা—জীবনযাত্রার ব্যয় ও সাশ্রয়ী ব্যবস্থাতে ফিরে যান।
এমনকি, এক সাংবাদিক যখন মামদানিকে ইসরায়েল-গাজা প্রসঙ্গে তাঁর পূর্ববর্তী মন্তব্য (যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে গণহত্যার সহযোগী বলা) নিয়ে প্রশ্ন করেন, তখন তিনি তা স্বীকার করেও দ্রুত আলোচনার মোড় ঘুরিয়ে সাশ্রয়ী ব্যবস্থার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি দিকে নিয়ে আসেন।
অভ্যন্তরীণ ও কূটনৈতিক নীতিতে মামদানি ট্রাম্পকে সমর্থন না করলেও, তিনি প্রেসিডেন্টকে খানিকটা স্বস্তি দিয়ে বলেন, ‘আমি বলতে পারি, জীবনযাত্রার ব্যয়ের ওপর আপনার মনোযোগের কারণে অনেক নিউইয়র্কবাসী সাম্প্রতিক নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ভোট দিয়েছেন। আমি সেই সাশ্রয়ী অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’
বৈঠকে শুধু প্রশংসাই নয়, মনে হচ্ছিল যেন ট্রাম্প তাঁর নতুন ‘সঙ্গী’র ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। মামদানি অতীতে ট্রাম্পকে ‘ফ্যাসিস্ট’ বা ‘স্বৈরশাসক’ বললেও, ট্রাম্প তাতে গুরুত্ব দেননি।
এদিকে, শশী থারুরের মন্তব্যকে এবার প্রশংসা করেছে বিজেপি। তবে কংগ্রেসকে উদ্দেশ্য করে কটাক্ষও করেছে। দলের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, থারুর তাঁর ‘জটিল’ পোস্টের মাধ্যমে কংগ্রেস নেতাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন—গান্ধী পরিবারের চেয়ে দেশের স্বার্থকে আগে রাখতে হবে।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘ড. থারুর আবারও কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন যে জাতীয় স্বার্থ পারিবারিক স্বার্থের ওপরে হওয়া উচিত। নির্বাচন হেরে গিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ করার বদলে গণতান্ত্রিক আচরণ করা শিখতে হবে।’
তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস নির্বাচন হেরে গেলেই অভিযোগ তোলে, আর থারুর দলকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন যে নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোকেও জাতীয় স্বার্থে একসঙ্গে কাজ করতে হয়।
তিনি প্রশ্ন তুললেন—রাহুল গান্ধী কি এই বার্তা বুঝবেন? আর আশঙ্কা প্রকাশ করলেন, থারুরের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ‘আরও একটি ফতোয়া’ জারি হতে পারে।
পুনাওয়ালা বলেন, ‘এটা আসলে কংগ্রেসের দেশে এক বার্তা—জরুরি অবস্থার মানসিকতা থেকে বের হয়ে একটি পরিণত বিরোধী দলের মতো আচরণ করা উচিত। কিন্তু রাহুল গান্ধী কি বার্তাটি বুঝবেন? বরং ড. থারুরের বিরুদ্ধে নতুন আরেকটি ফতোয়া জারি হতে পারে।’
কয়েক মাস ধরে কংগ্রেসের ভেতরে মতবিরোধের অন্যতম কণ্ঠ হয়ে উঠেছেন শশী থারুর। তিনি অতীতে বিজেপি নেতা এল কে আদবানি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রশংসা করায় দলের ভেতর থেকেও সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
দুই দিন আগে তিনি রামনাথ গোয়েঙ্কা লেকচারে মোদির দেওয়া ভাষণের প্রশংসা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কংগ্রেসের এক নেতা প্রশ্ন তোলেন—‘শশী থারুরের কাছে যদি মোদি এতই ভালো, তবে তিনি কংগ্রেসে আছেন কেন?’
সম্প্রতি থারুর ভারতে বংশপরম্পরার রাজনীতি নিয়ে একটি নিবন্ধ লেখেন। সেখানে তিনি মেধাতন্ত্র বা যোগ্য নেতা হওয়ার পথে বাধা হিসেবে গান্ধী-নেহরু পরিবারের উল্লেখ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান
১ ঘণ্টা আগে
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
রয়টার্স এই নতুন অভিযানের সুনির্দিষ্ট সময় বা পরিধি নিশ্চিত করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সেটিও জানা যায়নি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পর থেকে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মাদুরোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে গোপন অভিযানই সম্ভবত শুরু হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শনিবার এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে পরিকল্পনায় ‘কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হচ্ছে না’ বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক ঢোকা ঠেকাতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার শক্তির প্রতিটি উপাদান ব্যবহার করতে প্রস্তুত।’
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলাকে মাদুরোর নেতৃত্বে ওই সব অবৈধ মাদক সরবরাহে জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছে। মাদুরো অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিবেচনাধীন বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে হটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প তাঁকে উৎখাত করতে চান এবং ভেনেজুয়েলার জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে। ৬৩তম জন্মদিনের আগের রাতে শনিবার মাদুরো কারাকাসের প্রধান থিয়েটারে তাঁর জীবনভিত্তিক একটি টেলিভিশন সিরিজের প্রিমিয়ারে হাজির হন।
ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক মাস ধরে সামরিক প্রস্তুতি চলছে। আর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সিআইএর গোপন অভিযানও অনুমোদন দিয়েছেন। শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা নিয়ে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি’র সতর্কতা জারি করে প্রধান এয়ারলাইনসগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে উড়তে নির্দেশ দেয়।
এফএএ সতর্কতার পর শনিবার তিনটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ভেনেজুয়েলা থেকে ছাড়ার নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ‘কার্টেল দে লস সোয়ালেস’কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক প্রবাহে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে এসেছে যে মাদুরো নিজেই এই কার্টেল পরিচালনা করেন, যা তিনি অস্বীকার করেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ গত সপ্তাহে বলেছেন, সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ব্যাপক নতুন বিকল্প তৈরি হবে।’ ট্রাম্প বলেছেন, এই তকমা যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর সম্পদ ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সুযোগ দেবে। তবে কূটনৈতিক সমাধানের আশায় আলোচনায় বসার বিষয়েও তিনি আগ্রহ দেখিয়েছেন। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারাকাস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কথোপকথন চলছে। এসব আলোচনার ফলে অভিযানের সময় বা পরিধি বদলাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার জেরাল্ড আর ফোর্ড ১৬ নভেম্বর ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছেছে স্ট্রাইক গ্রুপ নিয়ে। সেখানে ইতিমধ্যে সাতটির বেশি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ বিমান মোতায়েন রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানেই মনোযোগ দিয়েছে, যদিও মোতায়েন করা সামরিক শক্তি তার প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অনেক বেশি। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ২১টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব হামলাকে বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে নিন্দা জানিয়েছে। কয়েকটি মার্কিন মিত্রদেশও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কা করছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য ঘোষিত পুরস্কার দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলার বাহিনীর তুলনায় বিশাল। প্রশিক্ষণের অভাব, কম বেতন আর নষ্ট হয়ে যাওয়া সরঞ্জামের কারণে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী বহুদিন ধরেই দুর্বল। কয়েকটি ইউনিটের কমান্ডারদের খাবারের স্বল্পতার কারণে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এই বাস্তবতা মাদুরো সরকারকে সম্ভাব্য মার্কিন আগ্রাসনের মুখে বিকল্প কৌশল ভাবতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে গেরিলা যুদ্ধধারা অবলম্বনের কথাও রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এটিকে ‘দীর্ঘায়িত প্রতিরোধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনায় ছোট ছোট সামরিক ইউনিটকে ২৮০টির বেশি স্থানে ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযানসহ নানা গেরিলা কৌশল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যা রয়টার্স আগের রিপোর্টে পরিকল্পনা নথি ও সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল।

যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
রয়টার্স এই নতুন অভিযানের সুনির্দিষ্ট সময় বা পরিধি নিশ্চিত করতে পারেনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শেষ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কি না, সেটিও জানা যায়নি। ক্যারিবীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর পর থেকে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে জল্পনা আরও বেড়েছে।
দুই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, মাদুরোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের প্রথম ধাপ হিসেবে গোপন অভিযানই সম্ভবত শুরু হবে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। শনিবার এক জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে পরিকল্পনায় ‘কোনো কিছুই বাদ দেওয়া হচ্ছে না’ বলে ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে মাদক ঢোকা ঠেকাতে এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকার শক্তির প্রতিটি উপাদান ব্যবহার করতে প্রস্তুত।’
ট্রাম্প প্রশাসন দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলাকে মাদুরোর নেতৃত্বে ওই সব অবৈধ মাদক সরবরাহে জড়িত বলে অভিযোগ করে আসছে, যা যুক্তরাষ্ট্রে বহু মানুষের প্রাণ নিয়েছে। মাদুরো অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। রয়টার্সকে দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানান, বিবেচনাধীন বিকল্পগুলোর মধ্যে মাদুরোকে হটানোর পরিকল্পনাও রয়েছে।
২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরো অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প তাঁকে উৎখাত করতে চান এবং ভেনেজুয়েলার জনগণ ও সামরিক বাহিনী এমন প্রচেষ্টা প্রতিহত করবে। ৬৩তম জন্মদিনের আগের রাতে শনিবার মাদুরো কারাকাসের প্রধান থিয়েটারে তাঁর জীবনভিত্তিক একটি টেলিভিশন সিরিজের প্রিমিয়ারে হাজির হন।
ক্যারিবীয় সাগরে কয়েক মাস ধরে সামরিক প্রস্তুতি চলছে। আর ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় সিআইএর গোপন অভিযানও অনুমোদন দিয়েছেন। শুক্রবার মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) ভেনেজুয়েলার আকাশসীমা নিয়ে ‘সম্ভাব্য বিপজ্জনক পরিস্থিতি’র সতর্কতা জারি করে প্রধান এয়ারলাইনসগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে উড়তে নির্দেশ দেয়।
এফএএ সতর্কতার পর শনিবার তিনটি আন্তর্জাতিক এয়ারলাইনস ভেনেজুয়েলা থেকে ছাড়ার নির্ধারিত ফ্লাইট বাতিল করেছে। মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, যুক্তরাষ্ট্র সোমবার ‘কার্টেল দে লস সোয়ালেস’কে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ মাদক প্রবাহে জড়িত। ট্রাম্প প্রশাসন দাবি করে এসেছে যে মাদুরো নিজেই এই কার্টেল পরিচালনা করেন, যা তিনি অস্বীকার করেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ গত সপ্তাহে বলেছেন, সন্ত্রাসী হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হলে ‘যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ব্যাপক নতুন বিকল্প তৈরি হবে।’ ট্রাম্প বলেছেন, এই তকমা যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলায় মাদুরোর সম্পদ ও অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালানোর সুযোগ দেবে। তবে কূটনৈতিক সমাধানের আশায় আলোচনায় বসার বিষয়েও তিনি আগ্রহ দেখিয়েছেন। দুই মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কারাকাস ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কথোপকথন চলছে। এসব আলোচনার ফলে অভিযানের সময় বা পরিধি বদলাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ার জেরাল্ড আর ফোর্ড ১৬ নভেম্বর ক্যারিবীয় সাগরে পৌঁছেছে স্ট্রাইক গ্রুপ নিয়ে। সেখানে ইতিমধ্যে সাতটির বেশি যুদ্ধজাহাজ, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন ও এফ-৩৫ বিমান মোতায়েন রয়েছে।
এখন পর্যন্ত ওই অঞ্চলে মার্কিন বাহিনী মাদকবিরোধী অভিযানেই মনোযোগ দিয়েছে, যদিও মোতায়েন করা সামরিক শক্তি তার প্রয়োজনীয়তার তুলনায় অনেক বেশি। সেপ্টেম্বর থেকে ক্যারিবীয় ও প্রশান্ত মহাসাগরে অন্তত ২১টি সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌকায় হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, এতে অন্তত ৮৩ জন নিহত হয়েছে।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো এসব হামলাকে বেআইনি বিচারবহির্ভূত হত্যা বলে নিন্দা জানিয়েছে। কয়েকটি মার্কিন মিত্রদেশও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের আশঙ্কা করছে। গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র মাদুরোর গ্রেপ্তারে সহায়তার জন্য ঘোষিত পুরস্কার দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৫ কোটি ডলার করেছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ভেনেজুয়েলার বাহিনীর তুলনায় বিশাল। প্রশিক্ষণের অভাব, কম বেতন আর নষ্ট হয়ে যাওয়া সরঞ্জামের কারণে ভেনেজুয়েলার সেনাবাহিনী বহুদিন ধরেই দুর্বল। কয়েকটি ইউনিটের কমান্ডারদের খাবারের স্বল্পতার কারণে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদকদের সঙ্গে দর-কষাকষি করতে হয়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।
এই বাস্তবতা মাদুরো সরকারকে সম্ভাব্য মার্কিন আগ্রাসনের মুখে বিকল্প কৌশল ভাবতে বাধ্য করেছে। এর মধ্যে গেরিলা যুদ্ধধারা অবলম্বনের কথাও রয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে এটিকে ‘দীর্ঘায়িত প্রতিরোধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই পরিকল্পনায় ছোট ছোট সামরিক ইউনিটকে ২৮০টির বেশি স্থানে ছড়িয়ে দিয়ে ধ্বংসাত্মক অভিযানসহ নানা গেরিলা কৌশল ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, যা রয়টার্স আগের রিপোর্টে পরিকল্পনা নথি ও সূত্রের বরাতে জানিয়েছিল।

থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা। সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
১২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান
১ ঘণ্টা আগে
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শনিবারের এসব হামলায় ২৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৮৭ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম হামলাটি হয় গাজা সিটির উত্তরে একটি গাড়ির ওপর। এরপরই মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে আরও হামলা হয়েছে।
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামি মুহান্না। হামলাটি নগরীর রিমাল এলাকায় ঘটে। দেইর আল-বালাহে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় এক নারীসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা খলিল আবু হাতাব বলেন, হামলার পর এক ভয়ানক বিস্ফোরণ অনুভব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বাইরে তাকাতেই দেখি পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমি কান চেপে ধরে তাঁবুর অন্যদের দৌড়াতে বললাম।’
খলিল আবু হাতাব, ‘পরে আবার তাকিয়ে দেখি, আমার প্রতিবেশীর বাড়ির ওপরের তলা নেই। এই যুদ্ধবিরতি ভীষণ নড়বড়ে। এমন জীবনে টিকে থাকা যায় না। কোথাও নিরাপদ নয়।’
নুসেইরাতে যে হামলা হয়েছে, সেটিও একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। সাক্ষী আনাস আল-সালুল জানান, তিনি নিজ বাড়িতে বসে ছিলেন। হঠাৎ পাশের বাড়িতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালে আসলাম। অনেক আহত আর নিহত ছিল। রাস্তাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ।’
গাজা সরকারি জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯৭ বার লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক।
দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এসব ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত লঙ্ঘন আমরা কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে যুক্ত মানবিক প্রটোকলের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শনিবার এক দিনেই ২৭টি লঙ্ঘনের ঘটনায় ২৪ জন শহীদ হয়েছেন এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর এসব আক্রমণ শুরু হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এর জবাবে ইসরায়েল পাঁচজন শীর্ষ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।’
নিহত যোদ্ধাদের বিষয়ে হামাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ভিত্তিহীন অজুহাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। তারা মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, ইসরায়েল গাজার ভেতরে হলুদ রেখার পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে। এভাবে তারা চুক্তিতে নির্ধারিত সীমারেখা বদলাচ্ছে। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী জানায়, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাই এবং এসব লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধে চাপ প্রয়োগের দাবি জানাই। আমরা আরও দাবি করি, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন যেন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (ইসরায়েলকে) তার দায়বদ্ধতা বাস্তবায়নে বাধ্য করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি দুর্বল করার এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।’
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক কুদস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘ইসরায়েল চুক্তি এড়িয়ে যেতে এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে ফিরে যেতে অজুহাত গড়ছে। অথচ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারাই।’

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
গাজা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শনিবারের এসব হামলায় ২৪ জন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আরও ৮৭ জন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্রথম হামলাটি হয় গাজা সিটির উত্তরে একটি গাড়ির ওপর। এরপরই মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরে আরও হামলা হয়েছে।
গাজা সিটিতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত ১১ জন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন আল-শিফা হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রামি মুহান্না। হামলাটি নগরীর রিমাল এলাকায় ঘটে। দেইর আল-বালাহে একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় এক নারীসহ অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা খলিল আবু হাতাব বলেন, হামলার পর এক ভয়ানক বিস্ফোরণ অনুভব করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘বাইরে তাকাতেই দেখি পুরো এলাকা ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। চোখে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। আমি কান চেপে ধরে তাঁবুর অন্যদের দৌড়াতে বললাম।’
খলিল আবু হাতাব, ‘পরে আবার তাকিয়ে দেখি, আমার প্রতিবেশীর বাড়ির ওপরের তলা নেই। এই যুদ্ধবিরতি ভীষণ নড়বড়ে। এমন জীবনে টিকে থাকা যায় না। কোথাও নিরাপদ নয়।’
নুসেইরাতে যে হামলা হয়েছে, সেটিও একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানে। সাক্ষী আনাস আল-সালুল জানান, তিনি নিজ বাড়িতে বসে ছিলেন। হঠাৎ পাশের বাড়িতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আছড়ে পড়ে। তাঁর ভাষায়, ‘আমরা আহতদের নিয়ে হাসপাতালে আসলাম। অনেক আহত আর নিহত ছিল। রাস্তাজুড়ে ধ্বংসাবশেষ।’
গাজা সরকারি জনসংযোগ দপ্তর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতি ইসরায়েল এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৯৭ বার লঙ্ঘন করেছে। এসব হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪২ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিশু, নারী ও বয়স্ক।
দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর এসব ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগত লঙ্ঘন আমরা কঠোর ভাষায় নিন্দা জানাই। এসব কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তির সঙ্গে যুক্ত মানবিক প্রটোকলের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শনিবার এক দিনেই ২৭টি লঙ্ঘনের ঘটনায় ২৪ জন শহীদ হয়েছেন এবং ৮৭ জন আহত হয়েছেন।’
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দপ্তর জানিয়েছে, ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হামাস যোদ্ধা ইসরায়েলি সেনাদের ওপর হামলা চালানোর পর এসব আক্রমণ শুরু হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘এর জবাবে ইসরায়েল পাঁচজন শীর্ষ হামাস যোদ্ধাকে হত্যা করেছে।’
নিহত যোদ্ধাদের বিষয়ে হামাস তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল ভিত্তিহীন অজুহাতে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করছে। তারা মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতারকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
তাদের আরও অভিযোগ, ইসরায়েল গাজার ভেতরে হলুদ রেখার পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়েছে, যেখানে ইসরায়েলি সেনারা অবস্থান করছে। এভাবে তারা চুক্তিতে নির্ধারিত সীমারেখা বদলাচ্ছে। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী জানায়, ‘আমরা মধ্যস্থতাকারীদের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাই এবং এসব লঙ্ঘন অবিলম্বে বন্ধে চাপ প্রয়োগের দাবি জানাই। আমরা আরও দাবি করি, যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন যেন তাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে, (ইসরায়েলকে) তার দায়বদ্ধতা বাস্তবায়নে বাধ্য করে এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি দুর্বল করার এই অপচেষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়।’
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক কুদস নিউজ নেটওয়ার্ককে বলেন, ‘ইসরায়েল চুক্তি এড়িয়ে যেতে এবং ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে ফিরে যেতে অজুহাত গড়ছে। অথচ প্রতিদিন নিয়মিতভাবে এই চুক্তি লঙ্ঘন করছে তারাই।’

থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা। সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
১২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
১১ ঘণ্টা আগে
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্দো পাইরেস বলেন, ‘১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন শিশু আহত হয়েছে।’
তিনি জানান, এর মানে হলো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এবং হত্যাকাণ্ড থামানোর চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুজন শিশু নিহত হয়েছে।
পাইরেস আরও বলেন, প্রতিটি সংখ্যার আড়ালে এমন একটি শিশু রয়েছে, যার জীবন সহিংসভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুনরাবৃত্তি করেন, এগুলো নিছক পরিসংখ্যান নয়।
ইউনিসেফ কর্মীরা গাজায় যা দেখছেন, তাঁর বর্ণনা দিয়ে পাইরেস বলেন, সেখানে অঙ্গহানি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে শিশুরা, অনেকে এতিম হয়ে গেছে এবং জলমগ্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে কাঁপছে।
তিনি বলেন, ‘আমি গত আগস্টে যখন সেখানে ছিলাম, তখন নিজেই এটি দেখেছি। তাদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই এবং বিশ্ব তাদের এই দুর্ভোগ দেখে নিশ্চুপ থাকতে পারে না।’
সম্প্রতি গাজায় ইউনিসেফ তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা কর্মীরা স্বীকার করেছেন, তাদের প্রচেষ্টা এখনো অপ্রতুল।
আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী কয়েক লক্ষ বাস্তুচ্যুত শিশুর জন্য আসন্ন শীতকালীন পরিস্থিতি এবং তা থেকে সৃষ্ট সম্মিলিত ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন পাইরেস। তিনি বলেন, সামনে বিপদ আরও অনেক বেশি।
পাইরেস জানান, শিশুদের গরম কাপড়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে এবং দূষিত জল ডায়রিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসাবশেষের ওপর দিয়ে শিশুরা এখনো খালি পায়ে হাঁটছে।’
তিনি বিশ্বকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় বহু শিশু সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও বহু শিশুকে এখনো সেই মূল্য দিতে হচ্ছে। বিশ্ব তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যুদ্ধ থামবে এবং আমরা তাদের রক্ষা করব। কিন্তু সেই অনুযায়ী কোনো কাজই হচ্ছে না। গাজার শিশুদের অপেক্ষায় আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ইউনিসেফের মুখপাত্র রিকার্দো পাইরেস বলেন, ‘১১ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৬৭ জন শিশু নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েক ডজন শিশু আহত হয়েছে।’
তিনি জানান, এর মানে হলো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এবং হত্যাকাণ্ড থামানোর চুক্তি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন গড়ে প্রায় দুজন শিশু নিহত হয়েছে।
পাইরেস আরও বলেন, প্রতিটি সংখ্যার আড়ালে এমন একটি শিশু রয়েছে, যার জীবন সহিংসভাবে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি পুনরাবৃত্তি করেন, এগুলো নিছক পরিসংখ্যান নয়।
ইউনিসেফ কর্মীরা গাজায় যা দেখছেন, তাঁর বর্ণনা দিয়ে পাইরেস বলেন, সেখানে অঙ্গহানি নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ঘুমাচ্ছে শিশুরা, অনেকে এতিম হয়ে গেছে এবং জলমগ্ন অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে ভয়ে কাঁপছে।
তিনি বলেন, ‘আমি গত আগস্টে যখন সেখানে ছিলাম, তখন নিজেই এটি দেখেছি। তাদের জন্য কোনো নিরাপদ স্থান নেই এবং বিশ্ব তাদের এই দুর্ভোগ দেখে নিশ্চুপ থাকতে পারে না।’
সম্প্রতি গাজায় ইউনিসেফ তাদের কার্যক্রম বাড়িয়েছে। কিন্তু সেখানে কাজ করা কর্মীরা স্বীকার করেছেন, তাদের প্রচেষ্টা এখনো অপ্রতুল।
আশ্রয়কেন্দ্রে বসবাসকারী কয়েক লক্ষ বাস্তুচ্যুত শিশুর জন্য আসন্ন শীতকালীন পরিস্থিতি এবং তা থেকে সৃষ্ট সম্মিলিত ঝুঁকি নিয়ে সতর্ক করেন পাইরেস। তিনি বলেন, সামনে বিপদ আরও অনেক বেশি।
পাইরেস জানান, শিশুদের গরম কাপড়ের ব্যবস্থা নেই। ফলে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ বাড়ছে এবং দূষিত জল ডায়রিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘ধ্বংসাবশেষের ওপর দিয়ে শিশুরা এখনো খালি পায়ে হাঁটছে।’
তিনি বিশ্বকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধের সময় বহু শিশু সর্বোচ্চ মূল্য দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির মধ্যেও বহু শিশুকে এখনো সেই মূল্য দিতে হচ্ছে। বিশ্ব তাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে যুদ্ধ থামবে এবং আমরা তাদের রক্ষা করব। কিন্তু সেই অনুযায়ী কোনো কাজই হচ্ছে না। গাজার শিশুদের অপেক্ষায় আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’

থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা। সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
১২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান
১ ঘণ্টা আগে
ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক....
১৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এতে করে বলসারানোর কয়েক মাসের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ কার্যত শেষ হলেও স্থান হলো কারাগারে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরাইসের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বলসোনারোর বাড়ির সামনে সমর্থকদের জড়ো হওয়া পুলিশ পাহারা ব্যাহত করতে পারে—এ কারণেই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোরাইস বলেন, ‘দণ্ডিত ব্যক্তির সমর্থকদের অবৈধ সমাবেশ যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, তা গৃহবন্দিত্বসহ অন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং তাঁর সম্ভাব্য পলায়নের সুযোগ তৈরি করতে পারে।’
বিচারপতি তাঁর সিদ্ধান্তে উল্লেখ করেন, বলসোনারো আগে ব্রাসিলিয়ায় আর্জেন্টাইন দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার কথাও বিবেচনা করেছিলেন। বলসোনারোর এক ছেলে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ইতিমধ্যে ব্রাজিল ছেড়ে পালিয়েছেন। এসব দিক বিবেচনা করে তাঁকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডানপন্থী সাবেক এ নেতা ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয়ের পর অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করার দায়ে অভিযুক্ত হন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
বিচারকদের মতে, ২০২৩ সালে লুলার দায়িত্ব গ্রহণ ঠেকাতে বলসোনারোই ছিল ষড়যন্ত্রের প্রধান নেতা ও সুবিধাভোগী। তবে এই মামলায় চূড়ান্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনো জারি হয়নি। কারণ, বলসোনারোর আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
আরেকটি মামলায়—যেখানে অভিযোগ ছিল যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে নিজের বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার গতি থামানোর চেষ্টা করেছেন। এই অভিযোগে বলসোনারো ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী ছিলেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলসোনারোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এই মামলাকে ‘উইচ হান্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন বিচারপতি মোরাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর পাশাপাশি ব্রাজিলের বেশি কিছু পণ্যের ওপর আমদানিশুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
গৃহবন্দিত্বের সময় বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন, তবে রাজনৈতিক মিত্রদের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। তাঁর ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো আজ শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রাসিলিয়ায় তাঁর বাবার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি অনলাইন ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই। আসুন, আমাদের সঙ্গে লড়াই করুন। আপনাদের শক্তি দিয়ে আমরা লড়াই করব এবং ব্রাজিলকে রক্ষা করব।’

ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারোকে ফেডারেল পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বলসোনারোর আইনজীবী সেলসো ভিলার্দি আটক হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তিনি কোনো কারণ উল্লেখ করেননি। ফেডারেল পুলিশের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে ব্রাসিলিয়ায় বোলসোনারোর শারীরিক পরীক্ষাসহ হেফাজতে নেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
এতে করে বলসারানোর কয়েক মাসের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ কার্যত শেষ হলেও স্থান হলো কারাগারে। এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর অভ্যুত্থানের পরিকল্পনায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বলসোনারোকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেন।
বিচারপতি আলেক্সান্দ্রে দে মোরাইসের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বলসোনারোর বাড়ির সামনে সমর্থকদের জড়ো হওয়া পুলিশ পাহারা ব্যাহত করতে পারে—এ কারণেই আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মোরাইস বলেন, ‘দণ্ডিত ব্যক্তির সমর্থকদের অবৈধ সমাবেশ যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে, তা গৃহবন্দিত্বসহ অন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থাকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে এবং তাঁর সম্ভাব্য পলায়নের সুযোগ তৈরি করতে পারে।’
বিচারপতি তাঁর সিদ্ধান্তে উল্লেখ করেন, বলসোনারো আগে ব্রাসিলিয়ায় আর্জেন্টাইন দূতাবাসে আশ্রয় নেওয়ার কথাও বিবেচনা করেছিলেন। বলসোনারোর এক ছেলে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধু ইতিমধ্যে ব্রাজিল ছেড়ে পালিয়েছেন। এসব দিক বিবেচনা করে তাঁকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ডানপন্থী সাবেক এ নেতা ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বামপন্থী লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজয়ের পর অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা করার দায়ে অভিযুক্ত হন। এরপর গত সেপ্টেম্বরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে ২৭ বছর তিন মাসের কারাদণ্ড দেন।
বিচারকদের মতে, ২০২৩ সালে লুলার দায়িত্ব গ্রহণ ঠেকাতে বলসোনারোই ছিল ষড়যন্ত্রের প্রধান নেতা ও সুবিধাভোগী। তবে এই মামলায় চূড়ান্ত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এখনো জারি হয়নি। কারণ, বলসোনারোর আপিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি।
আরেকটি মামলায়—যেখানে অভিযোগ ছিল যে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চেয়ে নিজের বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলার গতি থামানোর চেষ্টা করেছেন। এই অভিযোগে বলসোনারো ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে গৃহবন্দী ছিলেন।
ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলসোনারোর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এই মামলাকে ‘উইচ হান্ট’ বলে মন্তব্য করেছেন। ট্রাম্প প্রশাসন বিচারপতি মোরাইসের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর পাশাপাশি ব্রাজিলের বেশি কিছু পণ্যের ওপর আমদানিশুল্ক ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়েছে।
গৃহবন্দিত্বের সময় বলসোনারো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার থেকে নিষিদ্ধ ছিলেন, তবে রাজনৈতিক মিত্রদের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। তাঁর ছেলে সিনেটর ফ্লাভিও বলসোনারো আজ শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ব্রাসিলিয়ায় তাঁর বাবার অ্যাপার্টমেন্টের সামনে সমর্থকদের জড়ো হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একটি অনলাইন ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘আমি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাই। আসুন, আমাদের সঙ্গে লড়াই করুন। আপনাদের শক্তি দিয়ে আমরা লড়াই করব এবং ব্রাজিলকে রক্ষা করব।’

থারুর মনে করেন, ‘নির্বাচনের পর সহযোগিতা করতে শেখা’—এটাই ছিল ট্রাম্প-মামদানির বৈঠক থেকে তাঁর নেওয়া মূল বার্তা। সম্প্রতি যাঁর মতামত নিজ দলের ভেতরেই অস্বস্তি তৈরি করেছে, সেই থারুর এক্সে দুই মার্কিন নেতার ভিডিও শেয়ার করে বলেন, তিনি ভারতেও এমন সহযোগিতা দেখতে চান।
১২ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্র শিগগির ভেনেজুয়েলায় নতুন ধাপের অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমনটি জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চার মার্কিন কর্মকর্তা। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন এই উদ্যোগ নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজাজুড়ে একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ হামলায় অন্তত ২৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় ছয় সপ্তাহের পুরোনো যুদ্ধবিরতির এটাই সর্বশেষ লঙ্ঘন। ক্রমাগত এসব হামলার পরিপ্রেক্ষিতে হামাস যুক্তরাষ্ট্রকে হস্তক্ষেপের আহ্বান
১ ঘণ্টা আগে
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও গাজায় গড়ে প্রতিদিন দুজন শিশু নিহত হচ্ছে। আজ শুক্রবার এ তথ্য দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)। সংস্থাটি বলছে, হত্যাকাণ্ড বন্ধের উদ্দেশ্যে চুক্তি হলেও গাজায় সহিংসতা থামেনি।
১১ ঘণ্টা আগে