Ajker Patrika

পাকিস্তানে হামলার ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসা কুড়ালেন ২ নারী কর্মকর্তা

অনলাইন ডেস্ক
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। ছবি: পিটিআই
কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ও উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। ছবি: পিটিআই

কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার জবাবে পাকিস্তান ও পাকিস্তান–নিয়ন্ত্রিত আজাদ কাশ্মীরে একযোগে বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালিয়েছে ভারত। এই হামলার ব্রিফিংয়ে নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন দুই নারী কর্মকর্তা।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে চালানো এই অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন সিন্দুর’। এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’ রাখার পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ও আবেগঘন প্রতীকী তাৎপর্য। হিন্দু বিবাহিত নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর ব্যবহার করেন। এটি তাঁদের বৈবাহিক জীবনের প্রতীক। পেহেলগামে সেই নৃশংস হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যাঁদের অনেকে ছিলেন স্বামী ও পিতা।

তাই এই অভিযানের নাম ‘সিন্দুর’ রাখা হয়েছে, যেন এর মাধ্যমে প্রত্যেক শহীদের স্ত্রীর নিঃশব্দ আর্তনাদকে শ্রদ্ধা জানানো যায়। ব্রিফিংয়ের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নারী কর্মকর্তাদের বাছাই করার বিষয়টিও হয়েছে প্রশংসিত।

আজ বুধবার সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযানের তথ্য শেয়ার করা হয়। পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির নেতৃত্বে সামরিক বাহিনীর অভিযানের এসব তথ্য গণমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন দুজন নারী কর্মকর্তা—উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশি।

বিক্রম মিশ্রির পর এই অভিযান নিয়ে কথা বলেন কর্নেল সোফিয়া কুরেশি। তিনি বলেন, বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য ও পাকিস্তানের থাকা সীমান্ত-সংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীদের লক্ষ্যবস্তু করে এই অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, অভিযানে মোট নয়টি সন্ত্রাসী আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছে।

এরপর উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং বলেন, এই অভিযানে ভারত যথেষ্ট সংযম প্রদর্শন করেছে। তবে পরিস্থিতি খারাপ হলে ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তানের যেকোনো আক্রমণের জবাব দিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ও কর্নেল সোফিয়া কুরেশির পরিচয়

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং ভারতীয় বিমানবাহিনীর (আইএএফ) একজন বিশিষ্ট হেলিকপ্টার পাইলট। স্কুলে পড়াকালেই তিনি এয়ার ফোর্সে যোগ দেন। তিনি প্রথমে ন্যাশনাল ক্যাডেট কর্পস (এনসিসি), এরপর ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।

উইং কমান্ডার ব্যোমিকা ২০১৯ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফ্লাইং ব্রাঞ্চে স্থায়ীভাবে কমিশনপ্রাপ্ত হন। তিনি জম্মু ও কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্বের মতো উচ্চ গিড়িখাত বা পাহাড়ি এলাকাসহ ভারতের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কিছু স্থানে ‘চেতক’ ও ‘চিতা’র মতো বড় বড় হেলিকপ্টার চালিয়েছেন। তিনি বেশ কিছু উদ্ধার অভিযানেও অংশ নেন।

অন্যদিকে কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্পস অব সিগনালের একজন সজ্জিত কর্মকর্তা। ৩৫ বছরের সোফিয়া সেনাবাহিনীর একাধিক যুগান্তকারী সাফল্যের সঙ্গে যুক্ত। ২০১৬ সালে তিনি প্রথম খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন। ওই বছর ১৮টি দেশের সামনে ভারতের সামরিক মহড়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সোফিয়া। প্রথম মহিলা হিসেবে এই কৃতিত্ব তিনি অর্জন করেন। সে সময়ে সোফিয়া ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল।

এর আগে ২০০৬ সালে কঙ্গোয় শান্তিরক্ষা অভিযানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোফিয়া। তাঁর পরিবারেও সেনাবাহিনীর ইতিহাস রয়েছে। তাঁর দাদা ভারতীয় সেনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেনার পরিবারেই তাঁর বিয়ে হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

অপারেশন সিন্দুর ঘিরে আলোচিত কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি

ভাগনের বিয়েতে ১ কেজি সোনা, ৪ বস্তা টাকা, ২১০ বিঘা জমি, পেট্রলপাম্প উপহার দিল মাড়োয়ারি পরিবার

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের এমডির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে কর্মীরা

আস্থায় বাজিমাত ইসলামী ব্যাংক

চট্টগ্রামে র‍্যাব কর্মকর্তার লাশ: মাকে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে কলহে আত্মহত্যা বলে দাবি ভাইয়ের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত