ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সরকারি ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে একটি বিতর্কিত প্রকল্পের বিশদ তথ্য প্রকাশ করার জন্য একদিন সময় দিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলোতে বেনামে অনুদান দিতে পারত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) আরও বেশি সময় চাইলেও আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রকল্পটির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সে সঙ্গে, আগামী শুক্রবারের মধ্যে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকল্পটির বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে। আদালত গত মাসে বেনামি নির্বাচনী তহবিল বাতিল করে প্রকল্পটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল।
ভারতে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কয়েক দিন আগে আসা রায়টিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ অনুমিতভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বিজেপি।
নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি চালু করেছিল। তারা বলেছিল যে, এই প্রকল্প রাজনৈতিক তহবিল গঠনের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করে তুলবে। কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন যে, আর মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ না হয়ে আরও অস্বচ্ছ হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দাতারা এসবিআইর শাখাগুলোতে ১ হাজার থেকে ১ কোটি রুপির নির্দিষ্ট মূল্যের বন্ডগুলো কিনে তা নগদ অর্থ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, এ ধরনের আর কোনো বন্ড যেন ইস্যু করা না হয় এবং যারা বন্ডগুলো কিনেছিল তাদের বিশদ তথ্যও সরবরাহ করতে হবে। সে সঙ্গে, ৬ মার্চের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা খালাস করা বন্ডগুলোর তথ্যও দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
তবে এই সময়সীমা শেষ হওয়ার দুদিন আগে, ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করে এসবিআই। তারা যুক্তি দিয়ে বলেছিল যে, কোন রাজনৈতিক দলে কে অনুদান দিয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য তথ্য মেলানো একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
আজ সোমবার এসবিআইয়ের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সে সঙ্গে বলেছে যে, মঙ্গলবারের মধ্যে ‘ব্যবসা বন্ধ করে’ এসবিআই যদি তথ্যগুলো প্রকাশ না করে এবং সময়সীমা মেনে না চলে তবে ব্যাংকটির এই কর্মকাণ্ডকে আদালতের নির্দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা হিসেবে দেখা হতে পারে।
এসবিআই বলছে, তাদের কাছে দাতাদের বিবরণ রয়েছে। সে সঙ্গে, কোন দল কখন কী পরিমাণ বন্ড থেকে নগদ অর্থ বের করেছে সেসবের তথ্যও আছে, কিন্তু সেগুলো সংরক্ষিত আছে পৃথক ডেটাবেইজে। আদালত এসবিআইকে সে সব তথ্য দিতে বলেছে যেগুলো ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, সেই তথ্যগুলো প্রকাশ এবং সেসব থেকে কে কোন রাজনৈতিক দলকে কত অনুদান দিয়েছে তা বুঝতে পারা সম্ভব নাও হতে পারে।
নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের সমালোচকেরা এটিকে ‘গণতন্ত্রের বিকৃতি’ বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তবে সরকার এরপরও প্রকল্পটির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছিল যে, রাজনৈতিক দলগুলোতে নগদ অনুদান বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছিল প্রকল্পটি। কারণ, ভারতের বেশির ভাগ নির্বাচনে ব্যক্তিগত অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশটির সরকারি ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে একটি বিতর্কিত প্রকল্পের বিশদ তথ্য প্রকাশ করার জন্য একদিন সময় দিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ব্যক্তি এবং সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলোতে বেনামে অনুদান দিতে পারত। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই) আরও বেশি সময় চাইলেও আগামীকাল মঙ্গলবারের মধ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে প্রকল্পটির বিভিন্ন তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। সে সঙ্গে, আগামী শুক্রবারের মধ্যে ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকল্পটির বিস্তারিত প্রকাশ করতে হবে। আদালত গত মাসে বেনামি নির্বাচনী তহবিল বাতিল করে প্রকল্পটিকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে আখ্যা দিয়েছিল।
ভারতে সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার কয়েক দিন আগে আসা রায়টিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) জন্য একটি ধাক্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ অনুমিতভাবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে বিজেপি।
নরেন্দ্র মোদির সরকার ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পটি চালু করেছিল। তারা বলেছিল যে, এই প্রকল্প রাজনৈতিক তহবিল গঠনের প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ করে তুলবে। কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন যে, আর মাধ্যমে প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ না হয়ে আরও অস্বচ্ছ হয়েছে।
এই প্রকল্পের আওতায় দাতারা এসবিআইর শাখাগুলোতে ১ হাজার থেকে ১ কোটি রুপির নির্দিষ্ট মূল্যের বন্ডগুলো কিনে তা নগদ অর্থ করার জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে পারে।
গত ফেব্রুয়ারিতে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট এসবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল যে, এ ধরনের আর কোনো বন্ড যেন ইস্যু করা না হয় এবং যারা বন্ডগুলো কিনেছিল তাদের বিশদ তথ্যও সরবরাহ করতে হবে। সে সঙ্গে, ৬ মার্চের মধ্যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের দ্বারা খালাস করা বন্ডগুলোর তথ্যও দিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে।
তবে এই সময়সীমা শেষ হওয়ার দুদিন আগে, ৩০ জুন পর্যন্ত সময় চেয়ে একটি পিটিশন দাখিল করে এসবিআই। তারা যুক্তি দিয়ে বলেছিল যে, কোন রাজনৈতিক দলে কে অনুদান দিয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য তথ্য মেলানো একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
আজ সোমবার এসবিআইয়ের আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সে সঙ্গে বলেছে যে, মঙ্গলবারের মধ্যে ‘ব্যবসা বন্ধ করে’ এসবিআই যদি তথ্যগুলো প্রকাশ না করে এবং সময়সীমা মেনে না চলে তবে ব্যাংকটির এই কর্মকাণ্ডকে আদালতের নির্দেশকে ইচ্ছাকৃতভাবে অমান্য করা হিসেবে দেখা হতে পারে।
এসবিআই বলছে, তাদের কাছে দাতাদের বিবরণ রয়েছে। সে সঙ্গে, কোন দল কখন কী পরিমাণ বন্ড থেকে নগদ অর্থ বের করেছে সেসবের তথ্যও আছে, কিন্তু সেগুলো সংরক্ষিত আছে পৃথক ডেটাবেইজে। আদালত এসবিআইকে সে সব তথ্য দিতে বলেছে যেগুলো ইতিমধ্যেই তাদের কাছে রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, সেই তথ্যগুলো প্রকাশ এবং সেসব থেকে কে কোন রাজনৈতিক দলকে কত অনুদান দিয়েছে তা বুঝতে পারা সম্ভব নাও হতে পারে।
নির্বাচনী বন্ড প্রকল্পের সমালোচকেরা এটিকে ‘গণতন্ত্রের বিকৃতি’ বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিল। তবে সরকার এরপরও প্রকল্পটির পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছিল যে, রাজনৈতিক দলগুলোতে নগদ অনুদান বাদ দেওয়ার লক্ষ্যেই চালু করা হয়েছিল প্রকল্পটি। কারণ, ভারতের বেশির ভাগ নির্বাচনে ব্যক্তিগত অনুদানের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হয়।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, তেহরান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চালানো এক হামলায় তারা ইরানের দুটি এফ-১৪ যুদ্ধবিমান সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফের মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইফি ডেফরিন এ তথ্য জানান।
৯ মিনিট আগেইসরায়েলে সবচেয়ে তীব্র ও বড় হামলার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইরান। তারা বলেছে, এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে যেসব হামলা চালানো হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় এটি হবে সবচেয়ে বড় ও তীব্র। সোমবার (১৬ জুন) দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
৩১ মিনিট আগেইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা নূর নিউজ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলের একটি এফ-৩৫ স্টেলথ যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তাবরিজের কাছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, তারা এমন কোনো ঘটনার খবর জানে না। আইডিএফ-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে...
৪০ মিনিট আগেসিএনএনের ওল্ফ ব্লিটজারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হারজোগ বলেন, ‘আমি যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী, আমরা এখন পর্যন্ত যা দেখিয়েছি, তা আরও নাটকীয়ভাবে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব এবং এর ফলে ইরানেও পরিস্থিতির গতি পরিবর্তন হতে পারে।’
১ ঘণ্টা আগে