ভারতীয় লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি কংগ্রেস নেতা হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ তাঁর। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার ষড়যন্ত্র চলছে, একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এরা সেই লোক যারা “হিন্দু সন্ত্রাস” শব্দটি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল। তাদের সহযোগীরা হিন্দু ধর্মকে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের সঙ্গে তুলনা করেছে। এই দেশ তাদের কখনই ক্ষমা করবে না। একটি সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তারা এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করাকে ফ্যাশনেবল করে তুলেছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি হলো— হিন্দু ঐতিহ্যের অবমাননা, অপমান এবং উপহাস।’
এরপর রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ করেন, ‘এটি আপনার সংস্কৃতি, এটি আপনার চরিত্র, এটি আপনার চিন্তাভাবনা, এটি আপনার বিদ্বেষ। এগুলো এই দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে তৎপরতা। এই দেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী এগুলো মনে রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের পুরো বক্তৃতার সময় বিরোধীরা টেবিল থাড়পিয়ে প্রতিবাদ জানান।
গতকাল সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে প্রথম বক্তৃতায় রাহুল গান্ধী ভগবান শিবসহ বিভিন্ন দেবতা এবং অন্যান্য ধর্মের ভাববাদীদের ছবি নিয়ে হাজির হন। সেগুলোকে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিজেপি এবং দলীয় আদর্শের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে ব্যবহার করেন। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ের রাজনীতি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাহুল।
বিশেষ করে রাহুলের একটি মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীকে চাপে ফেলেছে। ‘পুরো হিন্দু সমাজকে হিংসাত্মক বলা একটি গুরুতর বিষয়’, মোদির এমন মন্তব্যকে কংগ্রেস বিজেপির তথ্য বিকৃতির একটি উদাহারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের শক্ত জবাব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। যদিও পরে সেটি সরকারি রেকর্ড থেকে মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার ওম বিড়লা। রাহুল গান্ধী এরও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা বলেছেন। সেগুলো রেকর্ডে রাখা হলো কিনা তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার লোকসভায় বলেন, ‘গতকাল যা ঘটেছে তা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’ হিন্দুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের (হিন্দুদের) যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে। এটাকে শিশুসুলভ কাজ বলে অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের (বিরোধীদের) বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের মিথ্যাচার মানুষের বিবেককে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের দেব–দেবীর প্রতি এই অবমাননা এদেশের ১৪০ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে, প্রতিটি রূপই ঈশ্বরের প্রকাশ। ব্যক্তিগত লাভের জন্য ঈশ্বরের কোনো রূপ নেই। আমাদের দেব-দেবীর অবমাননা এদেশের ১৪০ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। রূপ নিয়ে উপহাসকে দেশ ক্ষমা করতে পারে না। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক লাভের জন্য ঈশ্বরকে নিয়ে গতকালের দৃশ্য দেখে এখন হিন্দু সমাজকে ভাবতে হবে, ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন কিনা।’
ভারতীয় লোকসভায় বিরোধী দলীয় নেতা রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এমনকি কংগ্রেস নেতা হিন্দুদের লক্ষ্য করে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ তাঁর। মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজ, হিন্দুদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলার ষড়যন্ত্র চলছে, একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র পাকানো হচ্ছে।’
নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এরা সেই লোক যারা “হিন্দু সন্ত্রাস” শব্দটি প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল। তাদের সহযোগীরা হিন্দু ধর্মকে ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ার মতো রোগের সঙ্গে তুলনা করেছে। এই দেশ তাদের কখনই ক্ষমা করবে না। একটি সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে তারা এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গি ধারণ করাকে ফ্যাশনেবল করে তুলেছে। সেই দৃষ্টিভঙ্গি হলো— হিন্দু ঐতিহ্যের অবমাননা, অপমান এবং উপহাস।’
এরপর রাহুল গান্ধীকে লক্ষ্য করে প্রধানমন্ত্রী মোদি যোগ করেন, ‘এটি আপনার সংস্কৃতি, এটি আপনার চরিত্র, এটি আপনার চিন্তাভাবনা, এটি আপনার বিদ্বেষ। এগুলো এই দেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে তৎপরতা। এই দেশ শতাব্দীর পর শতাব্দী এগুলো মনে রাখবে।’
প্রধানমন্ত্রীর মঙ্গলবারের পুরো বক্তৃতার সময় বিরোধীরা টেবিল থাড়পিয়ে প্রতিবাদ জানান।
গতকাল সোমবার বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সংসদে প্রথম বক্তৃতায় রাহুল গান্ধী ভগবান শিবসহ বিভিন্ন দেবতা এবং অন্যান্য ধর্মের ভাববাদীদের ছবি নিয়ে হাজির হন। সেগুলোকে প্রধানমন্ত্রী মোদি, বিজেপি এবং দলীয় আদর্শের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণে ব্যবহার করেন। বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (আরএসএস) এবং নেতাদের বিরুদ্ধে ভয়ের রাজনীতি ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন রাহুল।
বিশেষ করে রাহুলের একটি মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীকে চাপে ফেলেছে। ‘পুরো হিন্দু সমাজকে হিংসাত্মক বলা একটি গুরুতর বিষয়’, মোদির এমন মন্তব্যকে কংগ্রেস বিজেপির তথ্য বিকৃতির একটি উদাহারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীর এমন মন্তব্যের শক্ত জবাব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। যদিও পরে সেটি সরকারি রেকর্ড থেকে মুছে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন স্পিকার ওম বিড়লা। রাহুল গান্ধী এরও প্রতিবাদ করেছেন। তিনি বলেছেন, তিনি যা বলতে চেয়েছিলেন তা বলেছেন। সেগুলো রেকর্ডে রাখা হলো কিনা তাতে তাঁর কিছু আসে যায় না!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার লোকসভায় বলেন, ‘গতকাল যা ঘটেছে তা গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত।’ হিন্দুদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের (হিন্দুদের) যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে। এটাকে শিশুসুলভ কাজ বলে অবহেলা করা উচিত নয়। তাদের (বিরোধীদের) বিদ্বেষপূর্ণ উদ্দেশ্য রয়েছে। তাদের মিথ্যাচার মানুষের বিবেককে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীদের দেব–দেবীর প্রতি এই অবমাননা এদেশের ১৪০ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয়েছে, প্রতিটি রূপই ঈশ্বরের প্রকাশ। ব্যক্তিগত লাভের জন্য ঈশ্বরের কোনো রূপ নেই। আমাদের দেব-দেবীর অবমাননা এদেশের ১৪০ কোটি মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। রূপ নিয়ে উপহাসকে দেশ ক্ষমা করতে পারে না। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক লাভের জন্য ঈশ্বরকে নিয়ে গতকালের দৃশ্য দেখে এখন হিন্দু সমাজকে ভাবতে হবে, ঈশ্বর পরীক্ষা নিচ্ছেন কিনা।’
ডব্লিউএফপি জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশের পর তাদের ২৫টি ত্রাণের গাড়ি ঘিরে ফেলে ‘ক্ষুধার্ত গাজাবাসী’। এরপরেই সেখানে গুলি ছোড়া হয়। ডব্লিউএফপির বিবৃতিতে বলা হয়, সহায়তা চাওয়া বেসামরিকদের ওপর হামলা সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।
৭ ঘণ্টা আগেনেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ৭৫ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী গত রাতে অসুস্থতা বোধ করেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তিনি অন্ত্রের প্রদাহ এবং পানিশূন্যতায় ভুগছেন। এর জন্য তাঁকে শিরায় ফ্লুইড দেওয়া হচ্ছে।
৭ ঘণ্টা আগেপানির গাড়ি আসার শব্দ শুনলে প্রতিদিন ৪২ বছর বয়সী রাহিলা বালতি আর কনটেইনার নিয়ে ছুটে যান রাস্তায়। কারণ, দেরি করলে কিছুই জুটবে না। তিনি বলেন, ‘পানি পাওয়ার কোনো জায়গা নেই। এটা এখন আমাদের জীবন-মরণের প্রশ্ন।’
৭ ঘণ্টা আগেভারতের শীর্ষস্থানীয় ক্রিপটোকারেন্সি এক্সচেঞ্জ কয়েন-ডিসিএক্স একটি বড়সড় সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি প্রায় ৪৪ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থ ৫৩৩ কোটি টাকার বেশি।
৮ ঘণ্টা আগে