আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এ নিয়ে বিস্তর এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিমদের দান করা কোটি কোটি টাকার ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক সম্পত্তির মালিকানা এবং ব্যবস্থাপনার বিধানে পরিবর্তনে একটি বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। এই সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং হাজার হাজার একর জমি। এগুলো ‘ওয়াক্ফ’ নামে পরিচিত এবং পরিচালনা করে ওয়াক্ফ বোর্ড।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যমান ওয়াক্ফ আইনে ৪০টির বেশি সংশোধনী এনে একটি নতুন বিল পেশ করা হয়। পরে তা পর্যালোচনার জন্য সংসদের যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংসদের উভয় কক্ষে সেই কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেদন থেকে তাদের ভিন্নমতাবলম্বী মন্তব্য বা ‘ডিসেন্ট নোট’ মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে প্রতিবাদ থামাতে পারেনি বিজেপি সরকারকে। বিলটি লোকসভায় পাস হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষেও পাস হয়ে গেছে। বিলটির আইনে পরিণত হতে এখন শুধু রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এক দস্তখতের অপেক্ষা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বলছে, ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে এবং মুসলিম সমাজেরই দাবি অনুযায়ী সংস্কার আনতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু একাধিক মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বলছে, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকারে হস্তক্ষেপের একটি নতুন কৌশলমাত্র।
ওয়াক্ফ কী
ইসলামি সিলসিলায় ওয়াক্ফ হলো ধর্মীয় বা সমাজকল্যাণমূলক দান; যা মুসলিমরা জনগণের কল্যাণে করেন। একবার কোনো সম্পত্তি ওয়াক্ফ হিসেবে নির্ধারিত হলে তা বিক্রি করা যায় না, কিংবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারও করা যায় না। এর মানে—ওয়াক্ফ সম্পত্তি আসলে আল্লাহর নামে উৎসর্গীকৃত।
এই সম্পত্তিগুলোর একটা বড় অংশ মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক সম্পত্তি রয়েছে, যা ফাঁকা পড়ে আছে কিংবা দখল হয়ে গেছে।
ভারতে ওয়াক্ফ প্রথার ইতিহাস বহু পুরোনো। ১২ শতকে দিল্লি সালতানাত আমলে মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলিম শাসকদের হাত ধরেই এই প্রথার সূচনা হয়। বর্তমানে ওয়াক্ফ সম্পত্তি ‘ওয়াক্ফ আইন, ১৯৯৫’-এর আওতায় পরিচালিত হয়। এই আইনে রাজ্যভিত্তিক ওয়াক্ফ বোর্ড গঠনের বিধান রয়েছে, যেখানে সরকার মনোনীত ব্যক্তি, মুসলিম জনপ্রতিনিধি, বার কাউন্সিল সদস্য, ইসলামি চিন্তাবিদ এবং ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াক্ফ বোর্ডগুলো ভারতের অন্যতম বৃহৎ ভূমির মালিক। দেশজুড়ে কমপক্ষে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৫১টি ওয়াক্ফ সম্পত্তি রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার একর। এসবের মোট মূল্য ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন রুপি, যা প্রায় ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন পাউন্ড।
ওয়াক্ফ আইন সংস্কার কি জরুরি
ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডে দুর্নীতি যে রয়েছে, তা অস্বীকার করছেন না মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরাও। অনেক সময় ওয়াক্ফ বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি দখলদারদের সঙ্গে আঁতাত করে ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, ওয়াক্ফ সম্পত্তির একটি বড় অংশই দখল করে রেখেছে ব্যক্তি, বেসরকারি সংস্থা এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও; যার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
২০০৬ সালে ভারতের মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নের জন্য তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনেও ওয়াক্ফ সংস্কারের সুপারিশ ছিল।
সাচার কমিটি দেখায়, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ওয়াক্ফ বোর্ডের রাজস্ব ছিল খুবই কম। কমিটি হিসাব করে জানায়, যদি জমিগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার কোটি রুপি আয় করা সম্ভব। অথচ বর্তমানে বার্ষিক আয় মাত্র ২০০ কোটি রুপির আশপাশে।
কমিটি আরও উল্লেখ করে, ওয়াক্ফ-এর রক্ষণাবেক্ষণকারী রাষ্ট্র নিজেই অনেক ক্ষেত্রে এই জমি দখল করে রেখেছে। তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শত শত ‘অবৈধ দখলের’ উদাহরণও তালিকাভুক্ত করেছিল।
সরকারি তথ্য বলছে, বর্তমানে অন্তত ৫৮ হাজার ৮৮৯টি ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল হয়ে রয়েছে এবং ১৩ হাজারের বেশি সম্পত্তি আদালতে মামলার অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ৪ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
সরকার বলছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো এই সমস্যাগুলোর সমাধান করবে এবং সাচার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেই সহায়তা করবে। সংসদবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, বর্তমানে মুসলিম সমাজের একটি অভিজাত শ্রেণি ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে। সংস্কারের মাধ্যমে এর ভারসাম্য আনা জরুরি।
তাহলে বিতর্ক কোথায়
তবু প্রস্তাবিত এই পরিবর্তনগুলো ঘিরে মুসলিম সমাজে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি হলো মালিকানাসংক্রান্ত বিধান পরিবর্তন। এর ফলে ঐতিহাসিক মসজিদ, দরগাহ ও কবরস্থানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। কারণ, এই সম্পত্তিগুলোর বড় অংশ বহু প্রজন্ম ধরে ব্যবহার হচ্ছে, কিন্তু এদের বেশির ভাগেরই কোনো লিখিত দলিল নেই। অনেক ক্ষেত্রেই মৌখিকভাবে কিংবা প্রমাণ ছাড়া দান করা হয়েছে শত শত বছর আগে।
১৯৫৪ সালের ওয়াক্ফ আইনে এ ধরনের সম্পত্তিকে ‘ব্যবহারভিত্তিক ওয়াক্ফ’ বা দখলিস্বত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত নতুন আইনে এই ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বিপুলসংখ্যক ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় সম্পত্তির আইনি স্বীকৃতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
‘শিখওয়ায়ে হিন্দ: দ্য পলিটিক্যাল ফিউচার অব ইন্ডিয়ান মুসলিমস’ বইয়ের লেখক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, এই ধরনের প্রাচীন ধর্মীয় সম্পত্তির মালিকানা খুঁজে বের করা অত্যন্ত জটিল। কারণ, মোগল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ এবং বর্তমানে যে প্রশাসনিক কাঠামো এসেছে, তাঁর সঙ্গে বারবার পরিবর্তন হয়েছে দস্তাবেজ ও ব্যবস্থাপনার ধরন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তির ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত ট্র্যাক করা সম্ভব। কিন্তু জনগোষ্ঠীর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় যেহেতু ধারাবাহিকতা থাকে না, তাই সেগুলোর ইতিহাস খুঁজে বের করা কঠিন।’
আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সংশোধিত আইনে ওয়াক্ফ বোর্ডের গঠনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে বোর্ডে অমুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বোর্ডে সব ধর্মের মানুষ রাখা বাধ্যতামূলক করার আইনি পদক্ষেপ সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে—যদি তা প্রক্রিয়াকে আরও ধর্মনিরপেক্ষ করে তোলে। তবে অধ্যাপক মুজিবুর মনে করেন, বর্তমানে যেভাবে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা হচ্ছে, তা সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতির সুবিধায় করা হচ্ছে।
তাঁর ভাষায়, এখানে শুধু রাষ্ট্রের মাধ্যমে মুসলমানদের সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং হিন্দু সমাজের মাধ্যমে মুসলিম সমাজের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চোখে পড়ছে।
যেসব পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংশোধনী হলো, ওয়াক্ফ বোর্ডের সব সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের (ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর) কাছে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা। এরপর জেলা প্রশাসক সরকারকে সুপারিশ করবেন, ওয়াক্ফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী সম্পত্তিটি আদৌ ওয়াক্ফ কি না।
সমালোচকদের মতে, এই প্রক্রিয়ায় ওয়াক্ফ বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব হবে। লোকসভার মুসলিম সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগ করেছেন, এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলিমদের জমির অধিকার কেড়ে নেওয়া।
বর্তমানে প্রচলিত আইনে রাজ্য সরকারকে একজন সার্ভে কমিশনার নিয়োগ দিতে হয়, যিনি রাজ্যে অবস্থিত ওয়াক্ফ সম্পত্তিগুলো চিহ্নিত করেন এবং একটি তালিকা তৈরি করেন। এরপর এই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয় এবং সরকার থেকে একটি আইনি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদি এক বছরের মধ্যে কেউ এটি চ্যালেঞ্জ না করে, তাহলে সম্পত্তিটি চূড়ান্তভাবে ওয়াক্ফ হিসেবে স্বীকৃত হয়।
কিন্তু প্রস্তাবিত আইন পরিবর্তনের ফলে বহু ওয়াক্ফ সম্পত্তির অবস্থান ও মালিকানা পুনরায় প্রমাণ করতে হতে পারে। ওয়াইসি বলেন, অনেকে অবৈধভাবে ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। এখন তাদের সুযোগ তৈরি হবে এই দাবি তোলার যে, সম্পত্তিটি আসলে তাদের।
মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, এই প্রক্রিয়ায় বহু ঐতিহাসিক দরগাহ ও মসজিদ হুমকির মুখে পড়বে। তাদের মতে, সংস্কার দরকার, তবে তা করতে হবে সমাজের অনুভূতি ও স্বার্থকে সম্মান জানিয়ে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রোগের বিশ্লেষণ হয়তো সঠিক, কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি ভুল।

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
এ নিয়ে বিস্তর এক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলিমদের দান করা কোটি কোটি টাকার ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণমূলক সম্পত্তির মালিকানা এবং ব্যবস্থাপনার বিধানে পরিবর্তনে একটি বিল পাস করেছে বিজেপি সরকার। এই সম্পত্তিগুলোর মধ্যে রয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, আশ্রয়কেন্দ্র এবং হাজার হাজার একর জমি। এগুলো ‘ওয়াক্ফ’ নামে পরিচিত এবং পরিচালনা করে ওয়াক্ফ বোর্ড।
চলতি বছরের আগস্টে বিদ্যমান ওয়াক্ফ আইনে ৪০টির বেশি সংশোধনী এনে একটি নতুন বিল পেশ করা হয়। পরে তা পর্যালোচনার জন্য সংসদের যৌথ কমিটির কাছে পাঠানো হয়। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সংসদের উভয় কক্ষে সেই কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হলে বিরোধী দলগুলো তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেদন থেকে তাদের ভিন্নমতাবলম্বী মন্তব্য বা ‘ডিসেন্ট নোট’ মুছে ফেলা হয়েছে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
তবে প্রতিবাদ থামাতে পারেনি বিজেপি সরকারকে। বিলটি লোকসভায় পাস হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদের উচ্চকক্ষেও পাস হয়ে গেছে। বিলটির আইনে পরিণত হতে এখন শুধু রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর এক দস্তখতের অপেক্ষা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বলছে, ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘদিনের দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দূর করতে এবং মুসলিম সমাজেরই দাবি অনুযায়ী সংস্কার আনতেই এই উদ্যোগ। কিন্তু একাধিক মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী রাজনৈতিক দল বলছে, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের অধিকারে হস্তক্ষেপের একটি নতুন কৌশলমাত্র।
ওয়াক্ফ কী
ইসলামি সিলসিলায় ওয়াক্ফ হলো ধর্মীয় বা সমাজকল্যাণমূলক দান; যা মুসলিমরা জনগণের কল্যাণে করেন। একবার কোনো সম্পত্তি ওয়াক্ফ হিসেবে নির্ধারিত হলে তা বিক্রি করা যায় না, কিংবা অন্য কোনো কাজে ব্যবহারও করা যায় না। এর মানে—ওয়াক্ফ সম্পত্তি আসলে আল্লাহর নামে উৎসর্গীকৃত।
এই সম্পত্তিগুলোর একটা বড় অংশ মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আবার অনেক সম্পত্তি রয়েছে, যা ফাঁকা পড়ে আছে কিংবা দখল হয়ে গেছে।
ভারতে ওয়াক্ফ প্রথার ইতিহাস বহু পুরোনো। ১২ শতকে দিল্লি সালতানাত আমলে মধ্য এশিয়া থেকে আগত মুসলিম শাসকদের হাত ধরেই এই প্রথার সূচনা হয়। বর্তমানে ওয়াক্ফ সম্পত্তি ‘ওয়াক্ফ আইন, ১৯৯৫’-এর আওতায় পরিচালিত হয়। এই আইনে রাজ্যভিত্তিক ওয়াক্ফ বোর্ড গঠনের বিধান রয়েছে, যেখানে সরকার মনোনীত ব্যক্তি, মুসলিম জনপ্রতিনিধি, বার কাউন্সিল সদস্য, ইসলামি চিন্তাবিদ এবং ওয়াক্ফ সম্পত্তির ব্যবস্থাপকদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ওয়াক্ফ বোর্ডগুলো ভারতের অন্যতম বৃহৎ ভূমির মালিক। দেশজুড়ে কমপক্ষে ৮ লাখ ৭২ হাজার ৩৫১টি ওয়াক্ফ সম্পত্তি রয়েছে, যার পরিমাণ প্রায় ৯ লাখ ৪০ হাজার একর। এসবের মোট মূল্য ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন রুপি, যা প্রায় ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ১১ দশমিক ২৬ বিলিয়ন পাউন্ড।
ওয়াক্ফ আইন সংস্কার কি জরুরি
ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডে দুর্নীতি যে রয়েছে, তা অস্বীকার করছেন না মুসলিম সমাজের প্রতিনিধিরাও। অনেক সময় ওয়াক্ফ বোর্ডের সদস্যদের বিরুদ্ধে জমি দখলদারদের সঙ্গে আঁতাত করে ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। তবে সমালোচকেরা বলছেন, ওয়াক্ফ সম্পত্তির একটি বড় অংশই দখল করে রেখেছে ব্যক্তি, বেসরকারি সংস্থা এমনকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও; যার দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
২০০৬ সালে ভারতের মুসলিমদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা মূল্যায়নের জন্য তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচারের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেছিল। ওই কমিটির প্রতিবেদনেও ওয়াক্ফ সংস্কারের সুপারিশ ছিল।
সাচার কমিটি দেখায়, বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ওয়াক্ফ বোর্ডের রাজস্ব ছিল খুবই কম। কমিটি হিসাব করে জানায়, যদি জমিগুলো কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়, তাহলে প্রতিবছর প্রায় ১২ হাজার কোটি রুপি আয় করা সম্ভব। অথচ বর্তমানে বার্ষিক আয় মাত্র ২০০ কোটি রুপির আশপাশে।
কমিটি আরও উল্লেখ করে, ওয়াক্ফ-এর রক্ষণাবেক্ষণকারী রাষ্ট্র নিজেই অনেক ক্ষেত্রে এই জমি দখল করে রেখেছে। তারা বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক শত শত ‘অবৈধ দখলের’ উদাহরণও তালিকাভুক্ত করেছিল।
সরকারি তথ্য বলছে, বর্তমানে অন্তত ৫৮ হাজার ৮৮৯টি ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল হয়ে রয়েছে এবং ১৩ হাজারের বেশি সম্পত্তি আদালতে মামলার অন্তর্ভুক্ত। এ ছাড়া ৪ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি সম্পত্তির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই।
সরকার বলছে, প্রস্তাবিত সংশোধনীগুলো এই সমস্যাগুলোর সমাধান করবে এবং সাচার কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নেই সহায়তা করবে। সংসদবিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, বর্তমানে মুসলিম সমাজের একটি অভিজাত শ্রেণি ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ন্ত্রণ করে। সংস্কারের মাধ্যমে এর ভারসাম্য আনা জরুরি।
তাহলে বিতর্ক কোথায়
তবু প্রস্তাবিত এই পরিবর্তনগুলো ঘিরে মুসলিম সমাজে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সবচেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর একটি হলো মালিকানাসংক্রান্ত বিধান পরিবর্তন। এর ফলে ঐতিহাসিক মসজিদ, দরগাহ ও কবরস্থানের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। কারণ, এই সম্পত্তিগুলোর বড় অংশ বহু প্রজন্ম ধরে ব্যবহার হচ্ছে, কিন্তু এদের বেশির ভাগেরই কোনো লিখিত দলিল নেই। অনেক ক্ষেত্রেই মৌখিকভাবে কিংবা প্রমাণ ছাড়া দান করা হয়েছে শত শত বছর আগে।
১৯৫৪ সালের ওয়াক্ফ আইনে এ ধরনের সম্পত্তিকে ‘ব্যবহারভিত্তিক ওয়াক্ফ’ বা দখলিস্বত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সংশোধিত নতুন আইনে এই ধারা বাদ দেওয়া হয়েছে। এতে বিপুলসংখ্যক ঐতিহ্যবাহী ধর্মীয় সম্পত্তির আইনি স্বীকৃতি ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
‘শিখওয়ায়ে হিন্দ: দ্য পলিটিক্যাল ফিউচার অব ইন্ডিয়ান মুসলিমস’ বইয়ের লেখক অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, এই ধরনের প্রাচীন ধর্মীয় সম্পত্তির মালিকানা খুঁজে বের করা অত্যন্ত জটিল। কারণ, মোগল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ এবং বর্তমানে যে প্রশাসনিক কাঠামো এসেছে, তাঁর সঙ্গে বারবার পরিবর্তন হয়েছে দস্তাবেজ ও ব্যবস্থাপনার ধরন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আরও বলেন বলেন, ‘ব্যক্তিগত সম্পত্তির ইতিহাস কয়েক প্রজন্ম পর্যন্ত ট্র্যাক করা সম্ভব। কিন্তু জনগোষ্ঠীর সম্পত্তির ব্যবস্থাপনায় যেহেতু ধারাবাহিকতা থাকে না, তাই সেগুলোর ইতিহাস খুঁজে বের করা কঠিন।’
আরেকটি উদ্বেগজনক বিষয় হলো, সংশোধিত আইনে ওয়াক্ফ বোর্ডের গঠনে পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে বোর্ডে অমুসলিম সদস্য অন্তর্ভুক্তি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
কেউ কেউ বলছেন, সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে বোর্ডে সব ধর্মের মানুষ রাখা বাধ্যতামূলক করার আইনি পদক্ষেপ সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে—যদি তা প্রক্রিয়াকে আরও ধর্মনিরপেক্ষ করে তোলে। তবে অধ্যাপক মুজিবুর মনে করেন, বর্তমানে যেভাবে এটি বাস্তবায়নের চেষ্টা হচ্ছে, তা সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতির সুবিধায় করা হচ্ছে।
তাঁর ভাষায়, এখানে শুধু রাষ্ট্রের মাধ্যমে মুসলমানদের সম্পত্তির ওপর নিয়ন্ত্রণ নয়, বরং হিন্দু সমাজের মাধ্যমে মুসলিম সমাজের জীবনযাত্রার ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চোখে পড়ছে।
যেসব পরিবর্তন প্রস্তাব করা হয়েছে
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংশোধনী হলো, ওয়াক্ফ বোর্ডের সব সম্পত্তি সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসকের (ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর) কাছে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক করা। এরপর জেলা প্রশাসক সরকারকে সুপারিশ করবেন, ওয়াক্ফ বোর্ডের দাবি অনুযায়ী সম্পত্তিটি আদৌ ওয়াক্ফ কি না।
সমালোচকদের মতে, এই প্রক্রিয়ায় ওয়াক্ফ বোর্ডের ক্ষমতা খর্ব হবে। লোকসভার মুসলিম সদস্য আসাদউদ্দিন ওয়াইসি অভিযোগ করেছেন, এই পরিবর্তনের মূল উদ্দেশ্য হলো মুসলিমদের জমির অধিকার কেড়ে নেওয়া।
বর্তমানে প্রচলিত আইনে রাজ্য সরকারকে একজন সার্ভে কমিশনার নিয়োগ দিতে হয়, যিনি রাজ্যে অবস্থিত ওয়াক্ফ সম্পত্তিগুলো চিহ্নিত করেন এবং একটি তালিকা তৈরি করেন। এরপর এই তালিকা রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হয় এবং সরকার থেকে একটি আইনি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। যদি এক বছরের মধ্যে কেউ এটি চ্যালেঞ্জ না করে, তাহলে সম্পত্তিটি চূড়ান্তভাবে ওয়াক্ফ হিসেবে স্বীকৃত হয়।
কিন্তু প্রস্তাবিত আইন পরিবর্তনের ফলে বহু ওয়াক্ফ সম্পত্তির অবস্থান ও মালিকানা পুনরায় প্রমাণ করতে হতে পারে। ওয়াইসি বলেন, অনেকে অবৈধভাবে ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। এখন তাদের সুযোগ তৈরি হবে এই দাবি তোলার যে, সম্পত্তিটি আসলে তাদের।
মুসলিম সংগঠনগুলো বলছে, এই প্রক্রিয়ায় বহু ঐতিহাসিক দরগাহ ও মসজিদ হুমকির মুখে পড়বে। তাদের মতে, সংস্কার দরকার, তবে তা করতে হবে সমাজের অনুভূতি ও স্বার্থকে সম্মান জানিয়ে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রোগের বিশ্লেষণ হয়তো সঠিক, কিন্তু চিকিৎসা পদ্ধতি ভুল।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৫ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৪ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

ভারতে ওয়াক্ফ আইন সংশোধন বিল পাস হওয়ায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। মোদি সরকার বলছে, এই সংস্কার দুর্নীতি রোধ ও কার্যকর ব্যবস্থাপনার জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু মুসলিম সংগঠন ও বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ, এর আড়ালে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার খর্ব এবং ঐতিহাসিক সম্পত্তির দখল নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
০৫ এপ্রিল ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৪ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৪ ঘণ্টা আগে