অগার মেশিনের ব্লেড ভেঙে যাওয়ায় ভারতের উত্তরাখণ্ডে ধসে পড়া টানেলে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারে বিকল্প উপায় ভাবতে হচ্ছে। আজ রোববার টানেল থেকে মেশিনটি বের করে শ্রমিকদের দিয়ে মাটি খননের কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রমিকদের কবে নাগাদ উদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্রিসমাস বা বড়দিনের আগেই তাদের উদ্ধার সম্পন্ন করা হবে।
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্ম খাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধসের পর পেরিয়ে গেছে ১৪ দিন।
গত শুক্রবার সারা দিনই উদ্ধার কাজ বন্ধ ছিল। এরপর শনিবার জানা যায় সামগ্রিক পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স গণমাধ্যমকে জানান অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার খবর। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের গায়ে আবার ভেঙে গেছে অগার। তাই করণীয় নিয়ে ফের ভাবতে হচ্ছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ৪১ জন শ্রমিকই নিরাপদে ফিরে আসবে।’ কত দিন সময় লাগবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ডিক্স বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি যে, ক্রিসমাসের আগেই সবাই বাড়ি ফিরবে।’
ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন। তিনি বলেছেন, উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে ১০ / ১২ মিটার দূরে থাকতে অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ায় দুটি বিকল্প নিয়ে এখন ভাবছেন কর্মকর্তারা। একটি হচ্ছে- ধ্বংসস্তূপের সেই ১০ / ১২ মিটার দূরত্ব মেশিনের বদলে শ্রমিকদের দিয়ে খনন করানো। অন্য উপায়টি হচ্ছে- মাটির ওপর থেকে নিচে ৮৬ মিটার পর্যন্ত খনন করা।
প্রথম উপায়ে কাজ করতে গেলে টানেলে প্রবেশ করতে হবে উদ্ধারকারীদের। সেখানে এখনো ভারী যন্ত্র আটকে থাকায় কাজটা সহজ হবে না। বদ্ধ পরিবেশে একজন উদ্ধারকারী গিয়ে টানা খুব কম সময়ই কাজ করতে পারবেন। এরপর তিনি বের হলে প্রবেশ করবেন আরেকজন। এভাবে সময়ও অনেক বেশি লাগবে বলে জানান হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় পন্থায় কম সময় লাগবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে সে ক্ষেত্রেও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। গত শনিবারই ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে টানেলের কাছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে আগামী এক-দেড়দিনের মধ্যেই শুরু হবে সুড়ঙ্গের খনন কাজ।
উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামিও অনুরূপ ইঙ্গিত দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গতকাল শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। মনোবলও তুঙ্গে। তাঁরা খাবার পাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধামি আরও বলেন, অগার মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মেশিন আটকে থাকা অগার মেশিনকে বের করে আনতে পারবে। অগারকে বের করা না গেলে টানেল খননের বাকি কাজ শেষ করা যাবে না।
অগার মেশিনের ব্লেড ভেঙে যাওয়ায় ভারতের উত্তরাখণ্ডে ধসে পড়া টানেলে আটকা শ্রমিকদের উদ্ধারে বিকল্প উপায় ভাবতে হচ্ছে। আজ রোববার টানেল থেকে মেশিনটি বের করে শ্রমিকদের দিয়ে মাটি খননের কাজ শুরু করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শ্রমিকদের কবে নাগাদ উদ্ধার করা যাবে তা নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ক্রিসমাস বা বড়দিনের আগেই তাদের উদ্ধার সম্পন্ন করা হবে।
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্ম খাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধসের পর পেরিয়ে গেছে ১৪ দিন।
গত শুক্রবার সারা দিনই উদ্ধার কাজ বন্ধ ছিল। এরপর শনিবার জানা যায় সামগ্রিক পরিস্থিতি। আন্তর্জাতিক টানেল বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স গণমাধ্যমকে জানান অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার খবর। তিনি বলেন, ‘পাহাড়ের গায়ে আবার ভেঙে গেছে অগার। তাই করণীয় নিয়ে ফের ভাবতে হচ্ছে। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী যে, ৪১ জন শ্রমিকই নিরাপদে ফিরে আসবে।’ কত দিন সময় লাগবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ডিক্স বলেন, ‘আমি সব সময়ই বলে এসেছি যে, ক্রিসমাসের আগেই সবাই বাড়ি ফিরবে।’
ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দিয়েছেন ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন। তিনি বলেছেন, উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হতে অনেক সময় লাগতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের থেকে ১০ / ১২ মিটার দূরে থাকতে অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ায় দুটি বিকল্প নিয়ে এখন ভাবছেন কর্মকর্তারা। একটি হচ্ছে- ধ্বংসস্তূপের সেই ১০ / ১২ মিটার দূরত্ব মেশিনের বদলে শ্রমিকদের দিয়ে খনন করানো। অন্য উপায়টি হচ্ছে- মাটির ওপর থেকে নিচে ৮৬ মিটার পর্যন্ত খনন করা।
প্রথম উপায়ে কাজ করতে গেলে টানেলে প্রবেশ করতে হবে উদ্ধারকারীদের। সেখানে এখনো ভারী যন্ত্র আটকে থাকায় কাজটা সহজ হবে না। বদ্ধ পরিবেশে একজন উদ্ধারকারী গিয়ে টানা খুব কম সময়ই কাজ করতে পারবেন। এরপর তিনি বের হলে প্রবেশ করবেন আরেকজন। এভাবে সময়ও অনেক বেশি লাগবে বলে জানান হয়েছে।
অন্যদিকে, দ্বিতীয় পন্থায় কম সময় লাগবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তবে সে ক্ষেত্রেও কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। গত শনিবারই ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে আসা হয়েছে টানেলের কাছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) সৈয়দ আতা হাসনাইন জানিয়েছেন, এই পদ্ধতিতে আগামী এক-দেড়দিনের মধ্যেই শুরু হবে সুড়ঙ্গের খনন কাজ।
উত্তরখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কার সিং ধামিও অনুরূপ ইঙ্গিত দিয়েছেন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, গতকাল শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকে সুস্থ আছেন। মনোবলও তুঙ্গে। তাঁরা খাবার পাচ্ছেন। উদ্ধারকাজ যাতে নির্বিঘ্নে হতে পারে, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
ধামি আরও বলেন, অগার মেশিন অকার্যকর হয়ে পড়ায় হায়দরাবাদ থেকে একটি প্লাজমা কাটার নিয়ে আসা হচ্ছে। সেই মেশিন আটকে থাকা অগার মেশিনকে বের করে আনতে পারবে। অগারকে বের করা না গেলে টানেল খননের বাকি কাজ শেষ করা যাবে না।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর জম্মু-কাশ্মীরের জনসাধারণের মধ্যে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। কাশ্মীরের শ্রীনগরে গতকাল রোববার বাজারঘাটে সাধারণ মানুষের আনাগোনা দেখা গেছে। তবে এখনো সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারত। কোনো আঘাত এলে তা মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দেশটির সেনা
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেওয়ার পর, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সতর্ক মনোভাব দেখিয়েছেন। রোববার জেলেনস্কি জানান, ইউক্রেন আলোচনার জন্য প্রস্তুত শুধুমাত্র যদি রাশিয়া আগেই যুদ্ধবিরতির জন্য সম্মত হয়।
৫ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তান চলমান সামরিক উত্তেজনার মধ্যে ভারতের ঠিক কী পরিমাণ সম্পদের ক্ষতি হয়েছে—এ প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর এক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে ঠিক কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এ বিষয়ে তিনি কোনো বিস্তারিত তথ্য জানাতে রাজি হননি।
৫ ঘণ্টা আগেসমুদ্রে টানা ৫৫ দিন ভেসে থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন পাঁচ জেলে। স্থানীয় সময় শনিবার তাঁদের ইকুয়েডরের গ্যালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের এক বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। একটি টুনা ধরার নৌকা ওই পাঁচজনকে উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছে ইকুয়েডর নৌবাহিনী।
৮ ঘণ্টা আগে