Ajker Patrika

সাভারকরকে স্বাধীনতা সংগ্রামী দাবি বিজেপির, বিতর্ক তুঙ্গে

কলকাতা প্রতিনিধি
সাভারকরকে স্বাধীনতা সংগ্রামী দাবি বিজেপির, বিতর্ক তুঙ্গে

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে কার অবদান কী তা নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে। গতকাল সোমবার দেশটির ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে বিনায়ক দামোদর সাভারকরের নামও উচ্চারণ করেন ব্রিটিশ বিরোধী লড়াইয়ের জন্য। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী পাল্টা হুমকি দেন, ইতিহাস বিকৃত করার চেষ্টা বরদাশত করবে না দল।

ভারতের স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার কংগ্রেসের নেতা জয়রাম রমেশ অভিযোগ করে বলেছেন, ‘সাভারকর ইংরেজদের হয়ে কাজ করেছেন, তাঁর সঙ্গে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের তুলনা টানা অনুচিত। তবে বিজেপি হিন্দুত্ববাদী নেতা সাভারকরের হয়ে প্রচারে ব্যস্ত।’ এবং বিজেপির এমন প্রচারকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। রাজ্য সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করতে বাধ্য হয়েছে।

টিপু সুলতানের পরিবর্তে সাভারকরের পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানকার শিবমোঙ্গায় হিন্দুত্ববাদীরা টিপু সুলতানের বদলে সাভারকরের পোস্টার লাগাতে গেলে প্রতিবাদ একপর্যায়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়। পরে সেই সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে রাজ্যের অন্যান্য অঞ্চলেও।

কর্ণাটক পুলিশের ডিজিপি অলোক কুমার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি সামাল দিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া, দেশের স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্ণাটক সরকার টিপু সুলতান ও দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর পরিবর্তে সাভারকারের ছবি প্রকাশ করা নিয়ে রাজনৈতিক উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে কর্ণাটক। তবে সংকট কেবল কর্ণাটকেই সীমাবদ্ধ নেই, সাভারকর বনাম নেহরু লড়াই এখন দেশজুড়ে।

কংগ্রেস সাভারকরকে ইংরেজদের দালাল বলে চিহ্নিত করলেও বিজেপির কাছে তিন মহান স্বাধীনতা সংগ্রামী। এরই মধ্যে তৃণমূলের প্রচারিত স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিতে নেহরুর নাম না থাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক সমালোচনা। সব মিলিয়ে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতেও আসল স্বাধীনতা সংগ্রামী কারা তা নিয়েও বিতর্ক এড়াতে পারেনি ভারত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ভারতে মন্দিরে পদদলিত হয়ে নারী ও শিশুসহ ১০ জনের মৃত্যু

ভারতের মন্দিরে পদদলনের ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলামে কাসিবুগগা ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। আরও অনেকে আহত হয়েছেন বলে ভারতের সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।

একাদশী উপলক্ষে মন্দিরটিতে তীর্থযাত্রীদের ভিড় ছিল। আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে কাসিবুগগা সাব-ডিভিশন ইনচার্জ ডিএসপি লক্ষ্মণ রাও জানান।

কর্তৃপক্ষের বরাতে জানা যায়, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পবিত্র দিন একাদশী উপলক্ষে মন্দিরে হাজার হাজার ভক্ত সমবেত হয়েছিলেন। এই দিনে উপবাস করে ভগবান বিষ্ণুকে প্রার্থনা ও পূজা অর্পণ করেন তারা।

পুলিশ জানায়ে, ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় মন্দির প্রাঙ্গণের কাছে এ পদদলনের ঘটনা ঘটে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘একসঙ্গে অনেক ভক্ত এগোতে থাকলে ভিড়ের চাপে পড়ে অনেকে লুটিয়ে পড়েন।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, শতাধিক নারী পূজার থালা হাতে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে ভিড়ের মধ্যে একে অপরের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কা করছেন এবং নিজেদের বাঁচাতে হুড়োহুড়ি করে শুরু করে দিয়েছেন। এরপর এই বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে এবং পদদলনের ঘটনা ঘটে।

পরে মন্দিরের প্রাঙ্গণে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু। শোক জানিয়ে এ ঘটনাকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।

নাইডু বলেন, ‘শ্রীকাকুলাম জেলার কাশিবাগ্গাতে ভেঙ্কটেশ্বর মন্দিরে পদদলিত হওয়ার ঘটনাটি গভীর আঘাত দিয়েছে। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ভক্তদের মৃত্যু অত্যন্ত হৃদয়বিদারক। আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতদের দ্রুত ও সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করতে আমি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি।’

স্থানীয় কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদেরও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ত্রাণ কার্যক্রম তদারকি করার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

মন্ত্রী নারা লোকেশও এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে বলেন, তিনি ‘গভীরভাবে স্তম্ভিত’।

লোকেশ বলেন, ‘এই একাদশীর দিনে আমাদের গভীর শোক গ্রাস করেছে। যারা প্রাণ হারিয়েছেন, আমি তাদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই। পদদলিত হয়ে যারা আহত হয়েছেন, সরকার তাদের উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছে।’

নারা লোকেশ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে কথা বলে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দুর্বল শাসনব্যবস্থার কারণেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নেপালে সরকার পরিবর্তন: অজিত দোভাল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৩: ৩৫
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। ছবি: সংগৃহীত
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। ছবি: সংগৃহীত

শাসনব্যবস্থার দুর্বলতা এবং জনগণের অসন্তোষের কারণেই প্রতিবেশী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের মতো কয়েকটি দেশে শাসক পরিবর্তন হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল।

গতকাল শুক্রবার ‘রাষ্ট্রীয় একতা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সুশাসনের অপরিহার্যতা নিয়ে আলোচনায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

অজিত দোভাল জোর দিয়ে বলেন, জাতি গঠন এবং দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে শাসনের ভূমিকা কেন্দ্রীয়। সুশাসনই একমাত্র পথ, যার মাধ্যমে একটি দেশ তার জাতীয় লক্ষ্য অর্জন করতে পারে এবং সেই সঙ্গে সাধারণ জনগণের ক্রমবর্ধমান আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে সক্ষম হয়।

দোভাল স্পষ্ট করে বলেন, ‘একটি জাতির ক্ষমতা তার শাসনের ওপর নির্ভর করে। সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে তার কার্য সম্পাদন করে এবং জাতি গঠনের এই গুরুত্বপূর্ণ কাজে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিরা হলেন তাঁরাই, যারা এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৈরি করেন, শক্তিশালী করেন ও যত্ন নেন।’

অজিত দোভাল সুশাসনের ক্ষেত্রে উদ্ভূত নতুন চ্যালেঞ্জগুলোর বিশ্লেষণ তুলে ধরে জানান, সাধারণ মানুষকে সন্তুষ্ট রাখা এখন রাষ্ট্রের জন্য সবচেয়ে জরুরি হয়ে উঠেছে। তাঁর মতে, ‘সাধারণ মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী, তাদের রাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রত্যাশা অনেক বেশি, এবং তাই রাষ্ট্র এই মানুষকে সন্তুষ্ট রাখার জন্য বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।’

দুর্বল শাসনব্যবস্থা কী ধরনের মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে, সে বিষয়ে সতর্ক করে দোভাল সরাসরি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি বাদ দিয়ে শাসন পরিবর্তনের বিপদ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘দুর্বল শাসন যেকোনো শাসন পরিবর্তনের সম্ভাব্য কারণ হতে পারে।’

এই প্রসঙ্গে তিনি প্রতিবেশী দেশগুলোর উদাহরণ টেনে আনেন। দোভাল উল্লেখ করেন, প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপালের মতো কয়েকটি দেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি (নন-ইনস্টিটিউশনাল মেথড) উপায়ে শাসন পরিবর্তন হয়েছে, যার মূলে ছিল শাসনের দুর্বলতা এবং জনগণের অসন্তোষ। এই উদাহরণগুলো দেখায়, অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং চরম পরিস্থিতি এড়াতে একটি শক্তিশালী ও কার্যকর শাসনব্যবস্থা কতটা জরুরি।

উল্লেখ্য, শাসন পরিবর্তনের অপ্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি বলতে সাধারণত সামরিক হস্তক্ষেপ, গণ-আন্দোলন বা অন্যান্য অস্বাভাবিক পরিস্থিতিকে বোঝায়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসন মডেলের উচ্চ প্রশংসা করেন দোভাল। তাঁর মতে, ভারত বর্তমানে ‘কক্ষপথ পরিবর্তন’-এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিবর্তন শুধু এক ধরনের শাসনব্যবস্থা, সরকার এবং সামাজিক কাঠামোর ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বিশ্বমঞ্চে ভারতের অবস্থানকেও নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে।

সূত্র: এনডিটিভি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পাসপোর্ট সূচকে কেন ভারতের এত পতন, কূটনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১২: ৩২
পাসপোর্ট সূচকে কেন ভারতের এত পতন, কূটনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন

ভারত বর্তমানে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি। অথচ দেশের অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে পাসপোর্টের ক্ষমতার কোনো সামঞ্জস্য নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত হেনলি পাসপোর্ট সূচকে ভারতের পাসপোর্টের দুর্বলতা আবারও প্রকট হয়েছে। ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুবিধার ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই সূচকে ভারত গত বছরের তুলনায় পাঁচ ধাপ পিছিয়ে ৮৫তম স্থানে নেমে এসেছে।

ভারতীয় নাগরিকদের জন্য পশ্চিমা ও ইউরোপীয় দেশগুলোতে ভিসা প্রাপ্তি এখনো একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল ভারতের ‘সফট পাওয়ার’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বিশ্বের মোট ১৯৯টি পাসপোর্টের মধ্যে ভারতের বর্তমান অবস্থান ৮৫তম। এটি হতাশাজনক বলছেন পর্যবেক্ষকেরা। এর বিপরীতে রুয়ান্ডা (৭৮তম), ঘানা (৭৪তম) এবং আজারবাইজানের (৭২তম) মতো ভারতের তুলনায় অনেক ছোট অর্থনীতির দেশগুলো সূচকে এগিয়ে রয়েছে। বর্তমানে ভারতীয় পাসপোর্টধারীরা মাত্র ৫৭টি দেশে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুবিধা পান, যা আফ্রিকার দেশ মৌরিতানিয়ার নাগরিকদের সমান।

অবশ্য গত দশকেও পাসপোর্ট সূচকে ভারত ৮০-এর ঘরেই ওঠানামা করেছে, এমনকি ২০২১ সালে ৯০-এর ঘরে নেমে গিয়েছিল। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় ভারতের জন্য এটি মোটেও সম্মানজনক নয়। এশিয়ার এই দেশগুলোর পাসপোর্ট বরাবরই সূচকের শীর্ষস্থানে থাকে।

গত বছরের মতো চলতি বছরও সিঙ্গাপুর ১৯৩টি দেশে ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা নিয়ে সূচকের শীর্ষে অবস্থান করছে। দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান দ্বিতীয়, ভিসামুক্ত ভ্রমণ সুবিধা আছে ১৯০টি দেশে। ১৮৯টি দেশে ভিসামুক্ত সুবিধা নিয়ে জাপানের অবস্থান তৃতীয়।

যেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০। বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসামুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা মাত্র ৩৮টি। উত্তর কোরিয়ার অবস্থানও একই।

পাসপোর্টের ক্ষমতা কেবল একটি ভ্রমণ নথি নয়; এটি একটি দেশের ‘সফট পাওয়ার’ এবং বৈশ্বিক প্রভাবকে প্রতিফলিত করে। একটি দুর্বল পাসপোর্ট নাগরিকদের জন্য আন্তর্জাতিক ব্যবসা, উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত সুযোগ সীমিত করে। এর ফলে ভিসা খরচ বাড়ে এবং ভ্রমণের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষার সময় তৈরি হয়।

বিগত এক দশকে ভারতে ভিসামুক্ত প্রবেশের সুযোগ দেওয়া দেশের সংখ্যা বাড়লেও, র‍্যাঙ্ক কেন পিছিয়েছে?

২০১৪ সালে ভারতে যখন প্রথম নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসে তখন ভিসামুক্ত ভ্রমণের সুযোগ ছিল ৫২টি দেশে এবং র‍্যাঙ্ক ছিল ৭৬তম। এর এক বছর পরই বড় ধাক্কা খায় ভারতীয় ভিসা, অবস্থান একলাফে ৮৫-তে নেমে যায়। এরপর ২০২৩ ও ২০২৪ সালে একটু উন্নতি হয়, ৮০তম স্থানে ওঠে। এরপর ২০২৫ সালে আবার নেমে ৮৫তম স্থানে চলে গেছে। এই সময় ভারতীয়দের ভিসামুক্ত ভ্রমণ গন্তব্য ২০১৫ সালের ৫২ থেকে বেড়ে ২০২৩ সালে ৬০ এবং ২০২৪ সালে ৬২টি হয়েছে। স্পষ্টত ২০২৫ সালে ভিসা গন্তব্য ৫৭টিতে ঠেকলেও তা ২০১৫ সালের (৫২) তুলনায় বেশি। এরপরও পাসপোর্ট সূচকে ৮৫-তে নেমে যাওয়ার কারণ কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর মূল কারণ হলো বিশ্বব্যাপী ভূরাজনৈতিক গতিপ্রকৃতিতে তীব্র প্রতিযোগিতা। বৈশ্বিক গড় ভিসামুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা ২০০৬ সালের ৫৮ থেকে বেড়ে ২০২৫ সালে ১০৯ হয়েছে। এর অর্থ হলো, বিশ্বের অন্যান্য দেশ দ্রুতগতিতে তাদের নাগরিকদের জন্য নতুন ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কূটনৈতিক দৌড়ে ভারত পিছিয়ে পড়েছে।

যেখানে গত এক দশকে চীন তাদের ভিসামুক্ত গন্তব্যের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ৮২ করেছে, যার ফলে তাদের র‍্যাঙ্ক ৯৪ থেকে ৬০-এ উন্নীত হয়েছে। এই উদাহরণ স্পষ্ট করে, কূটনৈতিক উদ্যোগের মাধ্যমে র‍্যাঙ্ক দ্রুত উন্নত করা সম্ভব।

র‍্যাঙ্ক পতনের নেপথ্যে রাজনৈতিক, ঐতিহাসিক ও নিরাপত্তাও বড় কারণ। সাবেক ভারতীয় রাষ্ট্রদূত আচল মালহোত্রা এই র‍্যাঙ্ক পতনের পেছনে একাধিক অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক কারণ তুলে ধরেছেন।

মালহোত্রার মতে, ১৯৭০-এর দশকে ভারতীয়রা অনেক পশ্চিমা দেশে ভিসা ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারতেন। কিন্তু ১৯৮০-এর দশকে খালিস্তান আন্দোলনের ফলে সৃষ্ট অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ভারতের গণতান্ত্রিক ভাবমূর্তিকে আঘাত করে এবং এর প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমা দেশগুলো ভিসা নীতি কঠোর করে। পরবর্তী রাজনৈতিক উত্থান-পতন ভারতের স্থিতিশীলতা নিয়ে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তোলে।

মালহোত্রা উল্লেখ করেন, অনেক দেশই বর্তমানে অভিবাসন নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক। ভারত থেকে অন্য দেশে স্থায়ীভাবে যাওয়া বা ভিসার মেয়াদ শেষেও থেকে যাওয়ার হার বেশি হওয়ায় তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের সুনামের ওপর প্রভাব ফেলছে।

হেনলি বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে বিভিন্ন দেশের অবস্থান:

এ ছাড়া পাসপোর্টের নিরাপত্তা ঝুঁকি এবং জটিল পদ্ধতিকেও এই পতনের জন্য দায়ী করেছেন মালহোত্রা। তিনি বলেন, পাসপোর্টের নিরাপত্তা এবং অভিবাসন পদ্ধতিও ভিসামুক্ত প্রবেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ২০২৪ সালে শুধু দিল্লি পুলিশই ভিসা এবং পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে ২০৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। ভারতের ধীরগতির ভিসা প্রক্রিয়াকরণ এবং জটিল অভিবাসন পদ্ধতিও আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পিছিয়ে থাকার অন্যতম কারণ। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও বিশ্ব রাজনীতিতে ‘আইসোলেশন’ বা বিচ্ছিন্নতার প্রবণতার কারণে সূচকে ঐতিহাসিক সর্বনিম্ন ১২তম স্থানে নেমে এসেছে। যেখানে আগের বছরও শীর্ষ ১০-এ ছিল।

এদিকে পাসপোর্টের নিরাপত্তা বাড়ানো এবং অভিবাসন প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য ভারত সম্প্রতি ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্ট চালু করেছে। এতে ছোট একটি চিপের মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংরক্ষিত থাকে, যা জালিয়াতি রোধে অত্যন্ত কার্যকর হবে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মত হলো, শুধু প্রযুক্তিগত উন্নতিই যথেষ্ট নয়। ভারতীয়দের বিশ্বব্যাপী গ্রহণযোগ্যতা ও প্রভাব বাড়াতে হলে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে এবং দ্রুত নতুন নতুন ভ্রমণ চুক্তি স্বাক্ষর করতে হবে। অর্থনৈতিক শক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাসপোর্টের র‍্যাঙ্ক উন্নত করতে সরকারের এই বিষয়ে আরও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, হেনলি পাসপোর্ট ইনডেক্স

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এবার তেলের খনি নাইজেরিয়াতে নজর ট্রাম্পের, অজুহাত—খ্রিষ্টানরা ভালো নেই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৪২
নাইজেরিয়াকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত
নাইজেরিয়াকে বিশেষ তালিকাভুক্ত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। ছবি: সংগৃহীত

আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়াতে ধর্মীয় স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে বলে দেশটিতে বিশেষ নজর রাখার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নাইজেরিয়াকে ধর্মীয় স্বাধীনতা-সংক্রান্ত নজরদারির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্পের অভিযোগ, দেশটির মুসলিম জনগোষ্ঠীর হাতে খ্রিষ্টানরা ‘গণহত্যার’ শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের গুরুতর এবং অস্পষ্ট দাবির ভিত্তিতেই আফ্রিকান এ দেশটিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘বিশেষ উদ্বেগের দেশ’ বা কান্ট্রিস অব পার্টিকুলার কনসার্নের (সিপিসি) তালিকায় যুক্ত করা হবে।

সমালোচকেরা বলছেন, এই তকমা নাইজেরিয়ার ওপর ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক বা অন্যান্য নিষেধাজ্ঞা জারির পথ প্রশস্ত করতে পারে।

গতকাল শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লেখেন, ‘নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টান ধর্ম এক অস্তিত্বের সংকটের মুখে। হাজার হাজার খ্রিষ্টানকে হত্যা করা হচ্ছে। কট্টর ইসলামপন্থীরা এই গণহত্যার জন্য দায়ী। আমি এই কারণে নাইজেরিয়াকে একটি “বিশেষ উদ্বেগের দেশ” ঘোষণা করছি।’

তবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বাভাবিক আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে গেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা আইন, ১৯৯৮-এর অধীনে এই সিপিসি ক্যাটাগরি তৈরি করা হয়েছিল ধর্মীয় নিপীড়ন পর্যবেক্ষণ এবং তা বন্ধ করার পক্ষে কথা বলার জন্য। সাধারণত কংগ্রেস দ্বারা প্রতিষ্ঠিত দ্বিদলীয় গ্রুপ ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ) এবং পররাষ্ট্র দপ্তরের বিশেষজ্ঞদের দীর্ঘ সুপারিশের ভিত্তিতেই এই তকমা দেওয়া হয়।

ট্রাম্প এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মতামত না নিয়েই দ্রুত তদন্তের জন্য হাউস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস কমিটি এবং দুই রিপাবলিকান কংগ্রেস সদস্য—রিপ্রেজেনটেটিভ রাইলি মুর ও টম কোলকে নির্দেশ দিয়েছেন। ট্রাম্পের এই অভিযোগগুলো ডানপন্থী আইনপ্রণেতারা বহু দিন ধরে প্রচার করে আসছেন। তাঁদের ভাষ্য, যা নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতকে কেবল কট্টর ইসলামপন্থীদের দ্বারা খ্রিষ্টানদের ওপর আক্রমণ হিসেবে তুলে ধরে।

বিশেষজ্ঞরা অবশ্য এই ধরনের সরল ব্যাখ্যাকে ‘অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁরা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, নাইজেরিয়ার অভ্যন্তরীণ সংঘাতগুলো কেবল ধর্মীয় পার্থক্যের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা করা যায় না।

নাইজেরিয়া মূলত দুটি অংশে বিভক্ত: সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর এবং প্রধানত খ্রিষ্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ। এক দশকের বেশি সময় ধরে উগ্রবাদী গোষ্ঠী বোকো হারামের সহিংস আক্রমণের ফলে দেশটি চরম অস্থিরতা ও বাস্তুচ্যুতির সম্মুখীন হয়েছে। এর পাশাপাশি পানি ও চারণভূমির মতো সম্পদের সংকট নিয়েও দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছে। এর ফলে প্রধানত খ্রিষ্টান কৃষক এবং মুসলিম পশুপালকদের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নাইজেরিয়া সরকার দাবি করে, এই সংঘর্ষগুলোতে প্রাথমিকভাবে ধর্মের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।

তা সত্ত্বেও, রিপাবলিকান সিনেটর টেড ক্রুজ এবং প্রতিনিধি রাইলি মুর ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মুর বলেন, নাইজেরিয়ার খ্রিষ্টানদের জন্য আন্তর্জাতিক মনোযোগ, চাপ ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তিনি এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।

এদিকে নাইজেরিয়ায় খ্রিষ্টানদের রক্ষার কথা বললেও ট্রাম্প প্রশাসনের শরণার্থী নীতি নতুন করে সমালোচনায় এসেছে। স্বদেশ থেকে নিপীড়ন বা সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা নাইজেরিয়ার মানুষের জন্য কার্যত যুক্তরাষ্ট্রের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি।

গত বুধবার ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ২০২৬ অর্থবছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী গ্রহণের সংখ্যা সর্বনিম্ন পর্যায়ে (মাত্র ৭৫০০ জন) সীমিত করা হবে। কোটা বেশির ভাগই ‘দক্ষিণ আফ্রিকার আফ্রিকানার এবং ‘অবৈধ বা অন্যায্য বৈষম্যের শিকার’ ব্যক্তিদের মধ্যে বরাদ্দ করা হবে।

সমালোচকেরা এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করে যুক্তি দিয়েছেন, শরণার্থী মর্যাদা দেওয়া হয় নিয়মতান্ত্রিক নিপীড়ন বিবেচনায়, কেবল বৈষম্যের ভিত্তিতে নয়। ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকার শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানাররা ‘গণহত্যা’র শিকার হচ্ছে বলে ভুল দাবি করে কূটনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে চলেছেন। এ ধরনের প্রচারণা চরম ডানপন্থী গোষ্ঠীগুলোই করে থাকে।

উল্লেখ্য, নাইজেরিয়াকে ‘আফ্রিকার দৈত্য’ বলা হয়। এর কারণ শুধু এর বিপুল জনসংখ্যা নয়, বরং এর বিশাল অর্থনৈতিক আকার এবং বিশ্ববাজারে খনিজ তেলের (পেট্রোলিয়াম) ক্ষেত্রে দেশটির প্রধান ভূমিকা। নাইজেরিয়ার অর্থনীতির মূল ভিত্তি খনিজ তেল সম্পদ। দেশটির দক্ষিণ অংশে, বিশেষত নাইজার নদীর বদ্বীপ অঞ্চলে, খনিজ তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের সমৃদ্ধ মজুত রয়েছে, যা আগামী বহু দশক ধরে ব্যবহারের জন্য যথেষ্ট। নাইজেরিয়া বর্তমানে আফ্রিকা মহাদেশের বৃহত্তম অর্থনীতি। তেল উৎপাদন এবং রপ্তানির ওপর ভিত্তি করেই দেশটি এই অবস্থান ধরে রেখেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে নাইজেরিয়ার তেল রপ্তানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘জাল রিপোর্টে’ কারাবাস

ভেনম রিসার্চ সেন্টার: সাপের বিষের ওষুধ দেশেই তৈরির চেষ্টা

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন: জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কাহিল ৫ অ্যান্টিবায়োটিক

আজকের রাশিফল: সহকর্মীকে জ্ঞান দিতে যাবেন না, প্রাপ্তিযোগে বাল্যকালের প্রেমপত্র

কুষ্টিয়ার দৌলতপুর: পদ্মার দুর্গম চরে সক্রিয় ডজনখানেক বাহিনী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত