অনলাইন ডেস্ক
‘বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশি নয়’—বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির ‘জয় হিন্দ কলোনিতে’ বাংলাভাষী শ্রমিকদের ওপর পুলিশি অভিযান এবং তাঁদের বস্তিতে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নিজেদের দেশেই যদি বাংলাভাষীরা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হন, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায়?’ তিনি আরও বলেন—বাসস্থান, পানি, বিদ্যুৎ মানুষের মৌলিক অধিকার। এসব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অর্থ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা চুপ থাকব না।’
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দেড় কোটিরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক আছেন এবং তাঁরা এখানে সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় বাংলাভাষীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলায় কথা বলা মানেই কেউ বাংলাদেশি—এই ধারণা বিভ্রান্তিকর এবং জাতিগত বৈষম্যমূলক। অন্য যেকোনো ভারতীয়র মতো বাংলাভাষীরাও এই দেশেরই নাগরিক।
মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের বঞ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি এখন পরিকল্পিতভাবে দেশজুড়ে ‘বাংলাবিরোধী’ এজেন্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওডিশা এবং মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের হয়রানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এবার সেই একই চিত্র দেখা গেল দেশের রাজধানীতেও।’
দিল্লির ‘জয় হিন্দ কলোনি’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কলোনিতে মূলত বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসী শ্রমিকেরা থাকেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির নির্মাণ ও পরিষেবা খাতে অবদান রাখছেন। অথচ বিজেপি শাসিত সরকারের নির্দেশে সেখানে হঠাৎ করেই পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ মিটার তুলে নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিজেদের টাকায় আনা পানির ট্যাংকও পুলিশ ও আরএএফ কর্মীরা আটকে দিয়েছেন। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও জবরদস্তি উচ্ছেদ চলছে।’
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি স্তরে বিষয়টি তোলা হবে এবং বাংলার মানুষকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে অপমানের বিরুদ্ধে সব রকম প্রতিবাদ করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি হ্যাবিয়াস করপাস (বন্দীকে আদালতে উপস্থাপন) মামলার শুনানি নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে—সরকার বীরভূম জেলার ছয়জন বাসিন্দাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা দিল্লিতে আবর্জনা সংগ্রাহক (র্যাগপিকার) হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ১৮ জুন দিল্লি পুলিশ ‘পরিচয় যাচাই’-এর অজুহাতে তাদের আটক করে এবং ২৬ জুন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করে। এ ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
হ্যাবিয়াস কর্পাস হলো সেই আইনি উপায়, যার মাধ্যমে যদি কাউকে বেআইনিভাবে আটক বা গুম করা হয়, তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্য বা অন্য কেউ আদালতে আবেদন করতে পারেন, যাতে আটক ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থাপন করে তাঁর আটক বা গ্রেপ্তারের বৈধতা যাচাই করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভাষা ও পরিচয়ের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের বিভাজন ও হেনস্তা করার একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক কৌশল এটি।’
‘বাংলাভাষী মানেই বাংলাদেশি নয়’—বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলাভাষীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে দমন-পীড়নের প্রতিবাদে এ মন্তব্য করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিল্লির ‘জয় হিন্দ কলোনিতে’ বাংলাভাষী শ্রমিকদের ওপর পুলিশি অভিযান এবং তাঁদের বস্তিতে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন তিনি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ তথ্য জানিয়েছে।
মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, ‘নিজেদের দেশেই যদি বাংলাভাষীরা অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত হন, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র হিসেবে আমাদের অবস্থান কোথায়?’ তিনি আরও বলেন—বাসস্থান, পানি, বিদ্যুৎ মানুষের মৌলিক অধিকার। এসব মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অর্থ মানবাধিকারের লঙ্ঘন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘আমরা চুপ থাকব না।’
সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দেড় কোটিরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক আছেন এবং তাঁরা এখানে সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করছেন। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোয় বাংলাভাষীদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে দমনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। বাংলায় কথা বলা মানেই কেউ বাংলাদেশি—এই ধারণা বিভ্রান্তিকর এবং জাতিগত বৈষম্যমূলক। অন্য যেকোনো ভারতীয়র মতো বাংলাভাষীরাও এই দেশেরই নাগরিক।
মমতার অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের বঞ্চিত করতে ব্যর্থ হয়ে বিজেপি এখন পরিকল্পিতভাবে দেশজুড়ে ‘বাংলাবিরোধী’ এজেন্ডা ছড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেন, ‘গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওডিশা এবং মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের হয়রানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এবার সেই একই চিত্র দেখা গেল দেশের রাজধানীতেও।’
দিল্লির ‘জয় হিন্দ কলোনি’ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই কলোনিতে মূলত বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসী শ্রমিকেরা থাকেন, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে দিল্লির নির্মাণ ও পরিষেবা খাতে অবদান রাখছেন। অথচ বিজেপি শাসিত সরকারের নির্দেশে সেখানে হঠাৎ করেই পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, বিদ্যুৎ মিটার তুলে নেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিজেদের টাকায় আনা পানির ট্যাংকও পুলিশ ও আরএএফ কর্মীরা আটকে দিয়েছেন। আদালতে বিষয়টি বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও জবরদস্তি উচ্ছেদ চলছে।’
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিটি স্তরে বিষয়টি তোলা হবে এবং বাংলার মানুষকে ‘অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে অপমানের বিরুদ্ধে সব রকম প্রতিবাদ করবে।
প্রসঙ্গত, আগামী শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি হ্যাবিয়াস করপাস (বন্দীকে আদালতে উপস্থাপন) মামলার শুনানি নির্ধারিত রয়েছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে—সরকার বীরভূম জেলার ছয়জন বাসিন্দাকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে, যাদের মধ্যে তিনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক। তারা দিল্লিতে আবর্জনা সংগ্রাহক (র্যাগপিকার) হিসেবে কাজ করতেন। অভিযোগ অনুযায়ী, ১৮ জুন দিল্লি পুলিশ ‘পরিচয় যাচাই’-এর অজুহাতে তাদের আটক করে এবং ২৬ জুন সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ করে। এ ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের মধ্যে গভীর উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
হ্যাবিয়াস কর্পাস হলো সেই আইনি উপায়, যার মাধ্যমে যদি কাউকে বেআইনিভাবে আটক বা গুম করা হয়, তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্য বা অন্য কেউ আদালতে আবেদন করতে পারেন, যাতে আটক ব্যক্তিকে আদালতে উপস্থাপন করে তাঁর আটক বা গ্রেপ্তারের বৈধতা যাচাই করা হয়।
মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ভাষা ও পরিচয়ের ভিত্তিতে ভারতীয় নাগরিকদের বিভাজন ও হেনস্তা করার একটি ধারাবাহিক রাজনৈতিক কৌশল এটি।’
মার্কিন বি-৫২ এইচ কৌশলগত বোমারু বিমান ও যুদ্ধবিমানের যৌথ মহড়া দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল শুক্রবার আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় এ মহড়া দেয় তারা। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পারস্পরিক সহযোগিতা চুক্তি শক্তিশালী করায় নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার
১ ঘণ্টা আগেএশিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে নতুন করে একধরনের ‘শীতল যুদ্ধ’ শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক প্রভাব বিস্তার থেকে শুরু করে বাণিজ্যিক প্রতিশ্রুতি; প্রতিটি ক্ষেত্রেই দুই পরাশক্তির লড়াই এখন আর গোপন কিছু নয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে এই লড়াই ক্রমেই আরও স্পষ্ট হচ্ছে
২ ঘণ্টা আগেতুরস্কের রাষ্ট্রবিরোধী লড়াইয়ে চার দশকের বেশি সময় ধরে নিয়োজিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) যোদ্ধারা আজ শুক্রবার উত্তর ইরাকে একটি প্রতীকী অনুষ্ঠানে অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। এই পদক্ষেপকে পিকেকের দীর্ঘ সশস্ত্র সংগ্রামের অবসান এবং শান্তিপূর্ণ রাজনীতির পথে যাত্রার প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ হিসেবে
৩ ঘণ্টা আগেভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে ভাষা ও পরিচয় ঘিরে উত্তেজনা চলছে, যা সম্প্রতি সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্র সরকার রাজ্যের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে হিন্দিকে তৃতীয় ভাষা হিসেবে পড়ানো বাধ্যতামূলক করলে এই উত্তেজনার সূত্রপাত হয়।
৪ ঘণ্টা আগে