
আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে দেহত্যাগ করলেন তিনি। তিনি রণজিৎ গুহ। একটু ইতিহাস জানা মানুষমাত্রই জানেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদদের মধ্যে কিংবদন্তিতুল্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রণজিৎ গুহের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার উডসে বসবাস করতেন। সেখানেই নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রণজিৎ গুহ শীর্ষ বাঙালি ইতিহাসবিদদের অন্যতম। ১৯২৩ সালের ২৩ মে অবিভক্ত ভারতের বাকেরগঞ্জের (ঝালকাঠির জেলার নলছিটি) সিদ্ধকাঠি গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। গত শতকের তিরিশের দশকে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান।
ইতিহাস গবেষণায় তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তা ঈর্ষণীয়, একই সঙ্গে তুঙ্গস্পর্শী তো বটেই। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ক্রিস মাঞ্জাপ্রার সঙ্গে ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবীর মৌখিক ইতিহাস প্রকল্প’ নিয়ে কাজ করেছিলেন রণজিৎ গুহ। সে সময় তিনি এক বক্তৃতায় পূর্ব বাংলায় (বর্তমানে বাংলাদেশ) তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন।
রণজিৎ জানান, কৈশোরকালেই তিনি ডিএইচ লরেন্স, দস্তয়েভস্কি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পড়ে ফেলেছিলেন। কীভাবে সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল, সেসবও বলেছিলেন তিনি।
রণজিৎ গুহ নিঃসন্দেহে বেঁচে থাকবেন উত্তর-ঔপনিবেশিক ও নিম্নবর্গের ইতিহাসের পথিকৃৎ হিসেবে। ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে ভিন্নধর্মী ইতিহাস লিখেও তিনি চিরস্মরণীয় স্থান দখল করেছেন।
রণজিতের বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি দেশ ভাগেরও আগে ১৯৩৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেখানেই পরিবার নিয়ে থিতু হন।
কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন রণজিৎ গুহ। পরে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
২০০৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে রণজিৎ তাঁর জীবনে প্রেসিডেন্সি কলেজের অবদানের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে বুদ্ধজীবী ভাবি না, এমনকি রাজনৈতিক কর্মীও ভাবি না। আমি শুধু নিরলসভাবে একাডেমিক কাজ করে গেছি। আর আমার এ কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজ।’
গত শতকের চল্লিশের দশকে রণজিৎ গুহ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন। সে সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড তুলে তাঁর লন্ডন যাত্রার খরচ জোগাড় করেছিল।
পরের সাত বছরও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫৩ সালে হঠাৎ তাঁর মনে হয়, তিনি আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগ দেবেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি ওই বছরেই লন্ডন থেকে কলকাতা ফিরে আসেন।
১৯৫৩ সালে চন্দন গড় কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন রণজিৎ গুহ। এরপর সেখান থেকে সেন্ট্রাল কলকাতা কলেজে (বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ) যোগ দেন। তবে তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই চাকরি চলে যায়।
রণজিৎ গুহ এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। কলকাতার এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উদারতাবাদী একাডেমিশিয়ানদের জন্য লীলাভূমি ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ খুলেছিলেন।
১৯৫৯ সালে রণজিৎ গুহ ফেলোশিপ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘দ্য রুল অফ প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল’ নামে সাড়া জাগানো প্রবন্ধ লিখে ফেলেন রণজিৎ গুহ।
কিন্তু রণজিৎ গুহের গবেষণাজীবনের প্রথম দিককার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ১৯৬১ সালে তাঁর বিখ্যাত দ্য রুল অব প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল প্রবন্ধটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে সেটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে প্যারিসেরই প্রকাশনা সংস্থা মাউটন থেকে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রণজিৎ গুহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এই সময়ে তিনি কোনো গবেষণা প্রবন্ধ কিংবা বই প্রকাশ করেননি। এমনকি কোনো একাডেমিক সম্মেলনেও যোগ দেননি।
তবে এই স্বেচ্ছাগোপনে থাকার সময়ে তিনি কলকাতায় তাঁর সমসাময়িক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ‘ভারতীয় সামাজিক আন্দোলনের ওপর গান্ধীবাদী প্রভাব’ বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য ১৯৭০-৭১ সালে তিনি ভারতে ছিলেন। তখন তাঁর মনোযোগ ছিল ভারতের কৃষক বিদ্রোহের দিকে। তাঁর বিখ্যাত গবেষণা প্রবন্ধটি ১৯৮৩ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
রণজিৎ কখনোই শিকড়কে ভোলেননি। তিনি ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘নিম্নবর্গের ইতিহাস’ নামে প্রবন্ধ পড়েছেন। পরে সেটি বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্নাল ‘এক্ষণ’ এ প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী দুই দশক ছিল রণজিৎ গুহের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের স্বর্ণসময়। কয়েক খণ্ডে ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ’ প্রকাশ করা ছাড়াও এ সময়ে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে বই প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে রণজিৎ গুহ সাসেক্স থেকে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৮ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। অবসরজীবন তিনি স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহকে নিয়ে অস্ট্রিয়ার এক শহরতলিতে কাটিয়ে দিয়েছেন।
অবসরে গেলেও তিনি তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা থেকে কখনোই অবসর নেননি। সমসাময়িক তরুণদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তরুণ কবিদের সঙ্গেও তাঁর ছিল নিবিড় সখ্য।
অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর পরেই রণজিৎ ঘোষণা দেন, এখন থেকে তিনি শুধু বাংলা ভাষায় লিখবেন। তাঁর এ ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। সকলের বিস্ময়কে আরও উসকে দিয়ে তিনি পরবর্তী জীবনে বহু প্রবন্ধ ও বই বাংলায় লিখেছেন।
আজ এই কিংবদন্তির জীবনাবসান হলো। কিন্তু বাঙালির ইতিহাসচর্চা যত দিন থাকবে, তত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন নিঃসন্দেহে।
স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে দেহত্যাগ করলেন তিনি। তিনি রণজিৎ গুহ। একটু ইতিহাস জানা মানুষমাত্রই জানেন, তিনি ছিলেন ভারতীয় ইতিহাসবিদদের মধ্যে কিংবদন্তিতুল্য।
ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, রণজিৎ গুহের বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। তিনি স্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনার উডসে বসবাস করতেন। সেখানেই নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
রণজিৎ গুহ শীর্ষ বাঙালি ইতিহাসবিদদের অন্যতম। ১৯২৩ সালের ২৩ মে অবিভক্ত ভারতের বাকেরগঞ্জের (ঝালকাঠির জেলার নলছিটি) সিদ্ধকাঠি গ্রামে জন্মেছিলেন তিনি। গত শতকের তিরিশের দশকে তিনি তাঁর পরিবারের সঙ্গে কলকাতায় পাড়ি জমান।
ইতিহাস গবেষণায় তিনি যে কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন, তা ঈর্ষণীয়, একই সঙ্গে তুঙ্গস্পর্শী তো বটেই। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়।
২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাফট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ও ইতিহাসবিদ ক্রিস মাঞ্জাপ্রার সঙ্গে ‘বাঙালি বুদ্ধিজীবীর মৌখিক ইতিহাস প্রকল্প’ নিয়ে কাজ করেছিলেন রণজিৎ গুহ। সে সময় তিনি এক বক্তৃতায় পূর্ব বাংলায় (বর্তমানে বাংলাদেশ) তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা, পারিবারিক পটভূমি ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত বলেছিলেন।
রণজিৎ জানান, কৈশোরকালেই তিনি ডিএইচ লরেন্স, দস্তয়েভস্কি মাইকেল মধুসূদন দত্ত পড়ে ফেলেছিলেন। কীভাবে সাহিত্য ও ইতিহাসের প্রতি তাঁর আগ্রহ জন্মেছিল, সেসবও বলেছিলেন তিনি।
রণজিৎ গুহ নিঃসন্দেহে বেঁচে থাকবেন উত্তর-ঔপনিবেশিক ও নিম্নবর্গের ইতিহাসের পথিকৃৎ হিসেবে। ভারতের কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে ভিন্নধর্মী ইতিহাস লিখেও তিনি চিরস্মরণীয় স্থান দখল করেছেন।
রণজিতের বাবা ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। তিনি দেশ ভাগেরও আগে ১৯৩৪ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে পেশা শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে সেখানেই পরিবার নিয়ে থিতু হন।
কলকাতার মিত্র ইনস্টিটিউট থেকে ১৯৩৮ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন রণজিৎ গুহ। পরে শিক্ষাবৃত্তি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে ইতিহাস বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।
২০০৯ সালের এক সাক্ষাৎকারে রণজিৎ তাঁর জীবনে প্রেসিডেন্সি কলেজের অবদানের কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে বুদ্ধজীবী ভাবি না, এমনকি রাজনৈতিক কর্মীও ভাবি না। আমি শুধু নিরলসভাবে একাডেমিক কাজ করে গেছি। আর আমার এ কাজের ভিত্তি গড়ে দিয়েছে প্রেসিডেন্সি কলেজ।’
গত শতকের চল্লিশের দশকে রণজিৎ গুহ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গেও নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৪৫ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধি হিসেবে ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন। সে সময় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ফান্ড তুলে তাঁর লন্ডন যাত্রার খরচ জোগাড় করেছিল।
পরের সাত বছরও তিনি কমিউনিস্ট পার্টির একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৫৩ সালে হঠাৎ তাঁর মনে হয়, তিনি আরও বেশি গবেষণায় মনোযোগ দেবেন। সেই উদ্দেশ্যে তিনি ওই বছরেই লন্ডন থেকে কলকাতা ফিরে আসেন।
১৯৫৩ সালে চন্দন গড় কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন রণজিৎ গুহ। এরপর সেখান থেকে সেন্ট্রাল কলকাতা কলেজে (বর্তমানে মাওলানা আজাদ কলেজ) যোগ দেন। তবে তাঁর পূর্ববর্তী রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই চাকরি চলে যায়।
রণজিৎ গুহ এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। কলকাতার এ বিশ্ববিদ্যালয়টি উদারতাবাদী একাডেমিশিয়ানদের জন্য লীলাভূমি ছিল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি শেষ করে এসে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগ খুলেছিলেন।
১৯৫৯ সালে রণজিৎ গুহ ফেলোশিপ নিয়ে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। এরপর ১৯৬৩ সালে ‘দ্য রুল অফ প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল’ নামে সাড়া জাগানো প্রবন্ধ লিখে ফেলেন রণজিৎ গুহ।
কিন্তু রণজিৎ গুহের গবেষণাজীবনের প্রথম দিককার পথ মোটেও মসৃণ ছিল না। ১৯৬১ সালে তাঁর বিখ্যাত দ্য রুল অব প্রোপার্টি ফর বেঙ্গল প্রবন্ধটি প্যারিস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রে জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে সেটি প্রত্যাখ্যাত হয়। পরে প্যারিসেরই প্রকাশনা সংস্থা মাউটন থেকে তাঁর গবেষণা প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়।
১৯৬০ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত রণজিৎ গুহ সাসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। বিস্ময়কর হলেও সত্য, এই সময়ে তিনি কোনো গবেষণা প্রবন্ধ কিংবা বই প্রকাশ করেননি। এমনকি কোনো একাডেমিক সম্মেলনেও যোগ দেননি।
তবে এই স্বেচ্ছাগোপনে থাকার সময়ে তিনি কলকাতায় তাঁর সমসাময়িক বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। ‘ভারতীয় সামাজিক আন্দোলনের ওপর গান্ধীবাদী প্রভাব’ বিষয়ক গবেষণা কাজের জন্য ১৯৭০-৭১ সালে তিনি ভারতে ছিলেন। তখন তাঁর মনোযোগ ছিল ভারতের কৃষক বিদ্রোহের দিকে। তাঁর বিখ্যাত গবেষণা প্রবন্ধটি ১৯৮৩ সালে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়।
রণজিৎ কখনোই শিকড়কে ভোলেননি। তিনি ১৯৮২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ‘নিম্নবর্গের ইতিহাস’ নামে প্রবন্ধ পড়েছেন। পরে সেটি বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাবশালী জার্নাল ‘এক্ষণ’ এ প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী দুই দশক ছিল রণজিৎ গুহের বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের স্বর্ণসময়। কয়েক খণ্ডে ‘সাবঅল্টার্ন স্টাডিজ’ প্রকাশ করা ছাড়াও এ সময়ে তিনি তাঁর বিভিন্ন বক্তৃতা ও প্রবন্ধের ওপর ভিত্তি করে বই প্রকাশ করেছেন।
১৯৮০ সালে রণজিৎ গুহ সাসেক্স থেকে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে যোগ দেন। এরপর ১৯৮৮ সালে অধ্যাপনা থেকে অবসর নেন। অবসরজীবন তিনি স্ত্রী মেখঠিল্ড গুহকে নিয়ে অস্ট্রিয়ার এক শহরতলিতে কাটিয়ে দিয়েছেন।
অবসরে গেলেও তিনি তাঁর বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা থেকে কখনোই অবসর নেননি। সমসাময়িক তরুণদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। সেই সময়ে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো তরুণ কবিদের সঙ্গেও তাঁর ছিল নিবিড় সখ্য।
অবসরে যাওয়ার কয়েক বছর পরেই রণজিৎ ঘোষণা দেন, এখন থেকে তিনি শুধু বাংলা ভাষায় লিখবেন। তাঁর এ ঘোষণা সবাইকে বিস্মিত করেছিল। সকলের বিস্ময়কে আরও উসকে দিয়ে তিনি পরবর্তী জীবনে বহু প্রবন্ধ ও বই বাংলায় লিখেছেন।
আজ এই কিংবদন্তির জীবনাবসান হলো। কিন্তু বাঙালির ইতিহাসচর্চা যত দিন থাকবে, তত দিন তিনি বেঁচে থাকবেন নিঃসন্দেহে।
স্ক্রল ডট ইন থেকে অনুবাদ করেছেন মারুফ ইসলাম

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১৭ মিনিট আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ইসরায়েল দুই বছরের যুদ্ধের সমাপ্তি হিসেবে হামাসের নিরস্ত্র হওয়ার দাবি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও তাদের ২০ দফা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হামাসকে অস্ত্র সমর্পণের শর্ত দিয়েছে। তবে খলিল আল-হাইয়া বলেছেন, ‘দখলদারত্বের অবসান হলে এসব অস্ত্র রাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
তবে আল-হাইয়া কোন কোন রাষ্ট্রের কথা বলেছেন, তা স্পষ্ট নয়। তিনি কি কোনো নতুন বা এখনো গঠিত না হওয়া ফিলিস্তিনি প্রশাসনিক কাঠামোর কথা বোঝাতে চেয়েছেন, সেটিও জানা যায়নি।
এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয় হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১৭ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১০ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
১০ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১৭ মিনিট আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

আসছে মে মাসের ২৩ তারিখে শতবর্ষে পা রাখতেন তিনি। তাঁর ভক্ত, শিক্ষার্থী ও শুভানুধ্যায়ীরা দিনটি সাড়ম্বরে উদ্যাপনের জন্য প্রস্তুতিও নিচ্ছিল। কিন্তু সকলের সেই উদ্যোগ নস্যাৎ করে দিয়ে আজ শনিবার ভোরে মারা গেলেন রণজিৎ গুহ।
২৯ এপ্রিল ২০২৩
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছে, তারা নিরস্ত্র হতে রাজি আছে। তবে শর্ত হলো, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারত্বের অবসান হতে হবে। হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন, সংগঠনটির অস্ত্রভান্ডারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত ইসরায়েলি ‘দখলদারত্ব ও আগ্রাসনের উপস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত।’
১৭ মিনিট আগে
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১০ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১০ ঘণ্টা আগে