Ajker Patrika

দলীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসে জলঘোলা, নির্বিঘ্নে ঘর গুছাচ্ছে বিজেপি

কলকাতা প্রতিনিধি
দলীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসে জলঘোলা, নির্বিঘ্নে ঘর গুছাচ্ছে বিজেপি

দলীয় প্রধান অর্থাৎ দলীয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে যথেষ্ট জলঘোলা হয়েছে কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছেন অশোক গেহলট। নিজ রাজ্য রাজস্থানে দলীয় বিধায়কদের বিদ্রোহের কারণে পিছিয়ে পড়েছেন তিনি। কংগ্রেসের বর্তমান প্রধান সোনিয়া গান্ধীও ক্ষিপ্ত অশোক গেহলটের ওপর। দলকে সংঘবদ্ধ রাখার বিষয়ে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার ওপর এখন অনেকেই আস্থা হারাচ্ছেন।

কংগ্রেসে দলীয় প্রধান বাছাই করা নিয়ে জলঘোলা হলেও মসৃণভাবেই দলীয় প্রধান বেছে নিতে চলেছে বিজেপি। একটি সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ওরফে জেপি নাড্ডাই আরও এক মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন। ভারতের সাবেক এই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বেই বিজেপি ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচন লড়তে চায় বলেই একরকম নিশ্চিত শাসক দলের নেতারা।

আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সাংগঠনিক নির্বাচন। সোনিয়া গান্ধীর উত্তরসূরি কে হচ্ছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়। দলের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী আগেই জানিয়েছেন, তিনি কিংবা গান্ধী পরিবারের অন্য কেউ দলীয় প্রধানের পদে লড়বেন না। তাই দলটিতে বিরুদ্ধ মতাবলম্বী বলে খ্যাতে জি–২৩ এর নেতা ও কংগ্রেসের প্রবীণ রাজনীতিবিদ শশী থারুর ও গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলটের লড়াই অনেকটাই নিশ্চিত ছিল। কিন্তু রাজস্থানে গত রোববার রাতে রাজ্যের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে সোনিয়ার দুই দূত মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেনের সামনে বিদ্রোহ করায় অশোক নিজেই এখন দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত।

এই অবস্থায় নতুন করে রাজ্যসভার বিরোধী দলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, মধ্যপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ ও দ্বিগ্বিজয় সিংয়ের নাম উঠে আসছে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ প্রার্থী হিসেবে। কংগ্রেসের এই হ–য–ব–র–ল রাজনৈতিক অবস্থাকে সার্কাস আখ্যা দিয়ে বিজেপি নির্বিঘ্নে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিচ্ছে।

আগামী ২০ জানুয়ারি মেয়াদ শেষ হচ্ছে বিজেপির বর্তমান সভাপতি জেপি নাড্ডার। দলীয় সংবিধান অনুযায়ী বিজেপিতে অন্তত ৫০ শতাংশ রাজ্যে সাংগঠনিক নির্বাচনের পরই সর্বভারতীয় সভাপতি নির্বাচিত হন। গত আগস্ট মাসেই রাজ্যগুলোর নির্বাচন প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা হয়নি। বিজেপিতে অবশ্য সাংগঠনিক নির্বাচন কখনই তেমন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে ওঠেনি। এবারও তাই হতে চলেছে বলে ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নাড্ডাকেই আরও একটি মেয়াদের জন্য সভাপতি রাখতে চান। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত