কলকাতা প্রতিনিধি
বহু ভাষার দেশ ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ভাষার বদলে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উঠেছে। বিজেপির এমন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে হিন্দিভাষী নয় এমন রাজ্যগুলো।
ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিকেও বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও হিন্দি ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতেও হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি ও তাদের থিংকট্যাংক আরএসএসের ঘোষিত হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান নীতিরই অঙ্গ এই অভিন্ন ভাষার ভাবনা। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি ইংরেজির পাশাপাশি গোটা দেশে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার ইঙ্গিত দেন। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে তাই মাতৃভাষা রক্ষার অধিকারের দাবিতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গসহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী অমিত শাহের ইঙ্গিতের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, কারও ওপর গায়ের জোরে হিন্দি চাপানো হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবেন তাঁরা। ভারত জোড়ো পদযাত্রায় অংশ নিয়ে কর্ণাটকে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধীও বলেছেন, আঞ্চলিক ভাষার অধিকার রক্ষায় কংগ্রেস সর্বতোভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, মাতৃভাষার বদলে কিছুতেই হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানবে না রাজ্য সরকার। একই কথা বলেছেন রাজ্য কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন থেকে শুরু করে অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতিবিদেরা।
এরই মধ্যে তামিলনাড়ুতে শাসক দল ডিএমকের যুব সংগঠনের সম্পাদক উদ্যায়ানীতি স্তালিন ও ছাত্র সংগঠনের সম্পাদক সিভিএমপি এঝিলারাসানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এমনকি, বিরোধী দল এআইডিএমকেও হিন্দির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার ছেলে ও কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা কুমারস্বামীও জানিয়েছেন, কন্নড় ভাষার অধিকার রক্ষায় তাঁরাও পথে নামছেন। ‘বাংলা পক্ষ’-এর নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পরীক্ষা, শিক্ষাদান, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে ইংরেজি সরিয়ে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা, হিন্দি না জানার কারণে ভারতীয় নাগরিককে শাস্তি দেওয়া, অহিন্দি জাতির অর্থ ও সম্পদ লুট করে সেই টাকায় ভারতে এবং ভারতের বাইরে রাষ্ট্রপুঞ্জে হিন্দি চাপানোর মাধ্যমে বাঙালি এবং সকল অহিন্দি জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্থায়ীভাবে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে’।
গর্গর এই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের মতো বুদ্ধিজীবীরাও। আসামের আমরা বাঙালির নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, বাঙালিবিদ্বেষ থেকে গোটা জাতিকেই নির্মূল করতে চাইছে বিজেপি। সব মিলিয়ে ভাষা নিয়ে নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছে ভারতে।
বহু ভাষার দেশ ভারতে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির বিরুদ্ধে আঞ্চলিক ভাষার বদলে হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে উঠেছে। বিজেপির এমন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছে হিন্দিভাষী নয় এমন রাজ্যগুলো।
ইংরেজির পাশাপাশি হিন্দিকেও বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা শুরু হয়েছে। ডাক্তারি বা ইঞ্জিনিয়ারিংয়েও হিন্দি ভাষায় পড়ানোর পাশাপাশি সরকারি চাকরিতেও হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। বিজেপি ও তাদের থিংকট্যাংক আরএসএসের ঘোষিত হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান নীতিরই অঙ্গ এই অভিন্ন ভাষার ভাবনা। সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সম্প্রতি ইংরেজির পাশাপাশি গোটা দেশে হিন্দি ভাষাকে বাধ্যতামূলক করার ইঙ্গিত দেন। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যগুলোতে তাই মাতৃভাষা রক্ষার অধিকারের দাবিতে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। বাংলাভাষী পশ্চিমবঙ্গসহ দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র প্রতিবাদ। কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতে হিন্দি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে আন্দোলন।
কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধী অমিত শাহের ইঙ্গিতের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, কারও ওপর গায়ের জোরে হিন্দি চাপানো হলে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবেন তাঁরা। ভারত জোড়ো পদযাত্রায় অংশ নিয়ে কর্ণাটকে দাঁড়িয়ে রাহুল গান্ধীও বলেছেন, আঞ্চলিক ভাষার অধিকার রক্ষায় কংগ্রেস সর্বতোভাবে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গেও প্রতিবাদ শুরু হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়েছেন, মাতৃভাষার বদলে কিছুতেই হিন্দিকে চাপিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানবে না রাজ্য সরকার। একই কথা বলেছেন রাজ্য কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্তালিন থেকে শুরু করে অন্যান্য দক্ষিণ ভারতীয় রাজনীতিবিদেরা।
এরই মধ্যে তামিলনাড়ুতে শাসক দল ডিএমকের যুব সংগঠনের সম্পাদক উদ্যায়ানীতি স্তালিন ও ছাত্র সংগঠনের সম্পাদক সিভিএমপি এঝিলারাসানের নেতৃত্বে শুরু হয়েছে আন্দোলন। এমনকি, বিরোধী দল এআইডিএমকেও হিন্দির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার ছেলে ও কর্ণাটকের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও জেডিএস নেতা কুমারস্বামীও জানিয়েছেন, কন্নড় ভাষার অধিকার রক্ষায় তাঁরাও পথে নামছেন। ‘বাংলা পক্ষ’-এর নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরির পরীক্ষা, শিক্ষাদান, তথ্য আদান-প্রদান ইত্যাদি সমস্ত ক্ষেত্রে ইংরেজি সরিয়ে হিন্দি বাধ্যতামূলক করা, হিন্দি না জানার কারণে ভারতীয় নাগরিককে শাস্তি দেওয়া, অহিন্দি জাতির অর্থ ও সম্পদ লুট করে সেই টাকায় ভারতে এবং ভারতের বাইরে রাষ্ট্রপুঞ্জে হিন্দি চাপানোর মাধ্যমে বাঙালি এবং সকল অহিন্দি জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে স্থায়ীভাবে হিন্দি সাম্রাজ্যবাদের দাস বানানোর চক্রান্ত চলছে’।
গর্গর এই অভিযোগকে সমর্থন জানিয়ে পথে নেমেছেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, কবি জয় গোস্বামী, শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকারের মতো বুদ্ধিজীবীরাও। আসামের আমরা বাঙালির নেতা সাধন পুরকায়স্থের অভিযোগ, বাঙালিবিদ্বেষ থেকে গোটা জাতিকেই নির্মূল করতে চাইছে বিজেপি। সব মিলিয়ে ভাষা নিয়ে নতুন করে অশান্তির সূত্রপাত হয়েছে ভারতে।
তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র জীবনে নতুন অধ্যায় শুরু করলেন প্রাক্তন বিজেডি নেতা পিনাকী মিশ্রকে বিয়ে করে। ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও আত্মীয়দের উপস্থিতিতে জার্মানির বার্লিনে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকেই জানতে চাইছেন—কে এই পিনাকী মিশ্র, যিনি মহুয়ার সঙ্গী হলেন জীবনের পথে?
২ ঘণ্টা আগেশনিবার সান বার্নার্ডিনো কাউন্টি থেকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রথম দলটি ক্যালিফোর্নিয়ায় পৌঁছায়। বর্তমানে তারা শহরের সবচেয়ে বড় আটক কেন্দ্রের (মেট্রোপলিটন ডিটেনশন ক্যাম্প এলএ) বাইরে জড়ো হচ্ছে। অবৈধ অভিবাসীদের আটকের পর এখানেই রাখা হয় বলে জানা গেছে।
৩ ঘণ্টা আগেবলিউডের ক্ল্যাসিক ‘রাত কে হামসফর’ গানের সঙ্গে নেচেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি মহুয়া মৈত্র ও বিজু জনতা দল (বিজেডি) নেতা পিনাকী মিশ্র। জার্মানির বার্লিনে এই দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানে তাঁরা এই নৃত্য করেন।
৩ ঘণ্টা আগেমিয়ানমারে ইয়াংগুনের ইউনিভার্সিটি অ্যাভিনিউ সড়কের ঐতিহাসিক ৫৪ নম্বর প্লটটি মূলত দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির বাড়ি হিসেবেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত। কিন্তু উত্তরাধিকার সূত্রের এই বাড়িটির একটি অংশ বিক্রির জন্য অনুমতি চেয়ে সম্প্রতি আবেদন করেছেন সুচির বড় ভাই অং সান ও।
৩ ঘণ্টা আগে