
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর আমেরিকার পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন ১০৪ ভারতীয়। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো দক্ষিণ আমেরিকায়, নৌকায় পার হতে হলো উত্তাল সমুদ্র, বিপজ্জনক ভূখণ্ডে দুর্গম পর্বত হেঁটে পার হওয়া, তারপর অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মার্কিন—মেক্সিকো সীমান্তে অন্ধকার কারাগারে বন্দী হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত ভারতে ফিরে আসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এই কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে গেল আমেরিকায় উন্নত জীবনের স্বপ্ন।
এমনই একজন ভাগ্যাহত পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার তাহলি গ্রামের বাসিন্দা হরবিন্দর সিং। তিনি বলেন, এক এজেন্ট তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের ভিসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ৪২ লাখ রুপি দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানানো হয় যে ভিসাটি মঞ্জুর হয়নি। এরপর তাঁকে দিল্লি থেকে একের পর এক ফ্লাইটে কাতার ও পরে ব্রাজিল পাঠানো হয়।
হরবিন্দর বলেন, “ব্রাজিলে আমাকে বলা হয়, আমি পেরু থেকে ফ্লাইট ধরতে পারব, কিন্তু তেমন কোনো ফ্লাইট ছিল না। এরপর ট্যাক্সিতে আমাদের আরও এগিয়ে কলম্বিয়া নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর পানামার সীমান্তে পৌঁছাই। সেখানে আমাকে বলা হয়, একটি জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু কোনো জাহাজও ছিল না। তখন দুই দিন ধরে আমাদের ‘ডানকি রুট’ (অবৈধ অভিবাসনের বিপজ্জনক পথ) পার হতে হয়।”
হরবিন্দর আরও জানান, দীর্ঘ সময় পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার পর মেক্সিকো সীমান্তের উদ্দেশে তাদের একটি ছোট নৌকায় করে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়। চার ঘণ্টার সেই সমুদ্রযাত্রায় নৌকাটি উল্টে গিয়ে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন পানামার জঙ্গলে প্রাণ হারান। পুরো যাত্রাপথে তাঁরা সামান্য পরিমাণ ভাত খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ছিলেন।
দরাপুর গ্রামের সুখপাল সিংও একই ধরনের ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। ১৫ ঘণ্টা সমুদ্রপথে যাত্রা করেন তিনি। এরপর ৪০—৪৫ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে পাড়ি দেন, যেখানে গভীর ও বিপজ্জনক উপত্যকা ছিল। সুখপাল বলেন, ‘যদি কেউ আহত হতো, তাকে ফেলে রেখে চলে যেত বাকিরা। আমরা পথে অনেক মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।’
তবে এই কষ্টের যাত্রা শেষে কোনো সুখ কপালে জুটল না তাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে মেক্সিকোতে গ্রেপ্তার হন সুখপাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪ দিন অন্ধকার একটি কারাগারে রাখা হয়েছিল, যেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত আসত না। হাজার হাজার পাঞ্জাবি যুবক, পরিবার ও শিশুরা এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’
অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া চেষ্টা না করতে সবাইকে অনুরোধ করেন জলন্ধর জেলার এই তরুণ।
গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল।
ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশ থেকে ৩ জন করে এবং চণ্ডীগড় থেকে ২ জন। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৩ জন নাবালক ছিলেন, যার মধ্যে একটি চার বছরের ছেলে ও পাঁচ ও সাত বছরের দুই কন্যাশিশুও রয়েছে।
জসপাল সিং নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পুরো ফ্লাইটে তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের মুক্ত করা হয়।
তিনি জানান, এক ট্রাভেল এজেন্ট তাঁকে বৈধ উপায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁর থেকে ৩০ লাখ রুপি নিয়েছিল। প্রথমে তাঁকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ছয় মাস ছিলেন। পরে গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাঁকে আটক করে।
গুজরাটের মেহসানা জেলার চন্দ্রনগর-দাভলা গ্রামের বাসিন্দা কানুভাই প্যাটেলের মেয়ে এই ফেরত আসাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর মেয়ে এক মাস আগে বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপে ছুটিতে গিয়েছিলেন। কানুভাই বলেন, ‘আমি জানি না ইউরোপ পৌঁছানোর পর সে কী পরিকল্পনা করেছিল। শেষবার আমরা গত ১৪ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলাম। কীভাবে সে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাল, তা আমাদের জানা নেই।’
পাঞ্জাবের অবৈধ অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, আমেরিকায় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তাদের সন্তানদের পাঠিয়েছিলেন। এখন এই চরম আর্থিক সংকট তাঁদের দুর্দশা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
হরবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী কুলজিন্দর কউর বলেন, ‘আমরা আমাদের যা কিছু ছিল, সব বিক্রি করেছি এবং চড়া সুদে ঋণ নিয়েছি এজেন্টকে টাকা দেওয়ার জন্য, ভালো ভবিষ্যতের আশায়। কিন্তু সে (এজেন্ট) আমাদের প্রতারণা করেছে। এখন শুধু আমার স্বামীই ফেরত আসেনি, আমাদের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝাও চেপে বসেছে।’
কাপুরথলার বহবাল বাহাদুর গ্রামের গুরপ্রীত সিংয়ের পরিবার তাঁকে বিদেশ পাঠাতে বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিল। অন্যদিকে, ফতেগড় সাহিবের জসবিন্দর সিংয়ের পরিবার তাঁকে বিদেশ পাঠাতে ৫০ লাখ রুপি খরচ করেছিল, আর এখন তাদের চড়া সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
পাঞ্জাবের জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, কাপুরথলা ও নওয়ানশহর জেলা—‘এনআরআই বেল্ট’ নামে পরিচিত। এই এলাকাগুলো থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ বিদেশে অভিবাসনের চেষ্টা করেন।

দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পর আমেরিকার পথে যাত্রা শুরু করেছিলেন ১০৪ ভারতীয়। প্রথমে তাদের নিয়ে যাওয়া হলো দক্ষিণ আমেরিকায়, নৌকায় পার হতে হলো উত্তাল সমুদ্র, বিপজ্জনক ভূখণ্ডে দুর্গম পর্বত হেঁটে পার হওয়া, তারপর অবৈধ অভিবাসী হিসেবে মার্কিন—মেক্সিকো সীমান্তে অন্ধকার কারাগারে বন্দী হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত ভারতে ফিরে আসা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির কারণে এই কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে গেল আমেরিকায় উন্নত জীবনের স্বপ্ন।
এমনই একজন ভাগ্যাহত পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার তাহলি গ্রামের বাসিন্দা হরবিন্দর সিং। তিনি বলেন, এক এজেন্ট তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থানের ভিসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ৪২ লাখ রুপি দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে জানানো হয় যে ভিসাটি মঞ্জুর হয়নি। এরপর তাঁকে দিল্লি থেকে একের পর এক ফ্লাইটে কাতার ও পরে ব্রাজিল পাঠানো হয়।
হরবিন্দর বলেন, “ব্রাজিলে আমাকে বলা হয়, আমি পেরু থেকে ফ্লাইট ধরতে পারব, কিন্তু তেমন কোনো ফ্লাইট ছিল না। এরপর ট্যাক্সিতে আমাদের আরও এগিয়ে কলম্বিয়া নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর পানামার সীমান্তে পৌঁছাই। সেখানে আমাকে বলা হয়, একটি জাহাজে করে নিয়ে যাওয়া হবে, কিন্তু কোনো জাহাজও ছিল না। তখন দুই দিন ধরে আমাদের ‘ডানকি রুট’ (অবৈধ অভিবাসনের বিপজ্জনক পথ) পার হতে হয়।”
হরবিন্দর আরও জানান, দীর্ঘ সময় পাহাড়ি পথ ধরে হেঁটে যাওয়ার পর মেক্সিকো সীমান্তের উদ্দেশে তাদের একটি ছোট নৌকায় করে গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়। চার ঘণ্টার সেই সমুদ্রযাত্রায় নৌকাটি উল্টে গিয়ে তাদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। আরেকজন পানামার জঙ্গলে প্রাণ হারান। পুরো যাত্রাপথে তাঁরা সামান্য পরিমাণ ভাত খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে ছিলেন।
দরাপুর গ্রামের সুখপাল সিংও একই ধরনের ভয়ানক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। ১৫ ঘণ্টা সমুদ্রপথে যাত্রা করেন তিনি। এরপর ৪০—৪৫ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে পাড়ি দেন, যেখানে গভীর ও বিপজ্জনক উপত্যকা ছিল। সুখপাল বলেন, ‘যদি কেউ আহত হতো, তাকে ফেলে রেখে চলে যেত বাকিরা। আমরা পথে অনেক মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছি।’
তবে এই কষ্টের যাত্রা শেষে কোনো সুখ কপালে জুটল না তাদের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টাকালে মেক্সিকোতে গ্রেপ্তার হন সুখপাল। তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪ দিন অন্ধকার একটি কারাগারে রাখা হয়েছিল, যেখানে সূর্যের আলো পর্যন্ত আসত না। হাজার হাজার পাঞ্জাবি যুবক, পরিবার ও শিশুরা এমন পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে।’
অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়া চেষ্টা না করতে সবাইকে অনুরোধ করেন জলন্ধর জেলার এই তরুণ।
গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল।
ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর প্রদেশ থেকে ৩ জন করে এবং চণ্ডীগড় থেকে ২ জন। এর মধ্যে ১৯ জন নারী ও ১৩ জন নাবালক ছিলেন, যার মধ্যে একটি চার বছরের ছেলে ও পাঁচ ও সাত বছরের দুই কন্যাশিশুও রয়েছে।
জসপাল সিং নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, পুরো ফ্লাইটে তাঁদের হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণের পর তাদের মুক্ত করা হয়।
তিনি জানান, এক ট্রাভেল এজেন্ট তাঁকে বৈধ উপায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁর থেকে ৩০ লাখ রুপি নিয়েছিল। প্রথমে তাঁকে ব্রাজিলে পাঠানো হয়। সেখানে তিনি ছয় মাস ছিলেন। পরে গত ২৪ জানুয়ারি মার্কিন সীমান্ত রক্ষী বাহিনী তাঁকে আটক করে।
গুজরাটের মেহসানা জেলার চন্দ্রনগর-দাভলা গ্রামের বাসিন্দা কানুভাই প্যাটেলের মেয়ে এই ফেরত আসাদের মধ্যে ছিলেন। তিনি দাবি করেন, তাঁর মেয়ে এক মাস আগে বন্ধুদের সঙ্গে ইউরোপে ছুটিতে গিয়েছিলেন। কানুভাই বলেন, ‘আমি জানি না ইউরোপ পৌঁছানোর পর সে কী পরিকল্পনা করেছিল। শেষবার আমরা গত ১৪ জানুয়ারি তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পেরেছিলাম। কীভাবে সে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাল, তা আমাদের জানা নেই।’
পাঞ্জাবের অবৈধ অভিবাসীদের পরিবারের সদস্যরা জানান, আমেরিকায় উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশায় বিশাল অঙ্কের ঋণ নিয়ে তাদের সন্তানদের পাঠিয়েছিলেন। এখন এই চরম আর্থিক সংকট তাঁদের দুর্দশা বাড়িয়ে দিচ্ছে। দালালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।
হরবিন্দর সিংয়ের স্ত্রী কুলজিন্দর কউর বলেন, ‘আমরা আমাদের যা কিছু ছিল, সব বিক্রি করেছি এবং চড়া সুদে ঋণ নিয়েছি এজেন্টকে টাকা দেওয়ার জন্য, ভালো ভবিষ্যতের আশায়। কিন্তু সে (এজেন্ট) আমাদের প্রতারণা করেছে। এখন শুধু আমার স্বামীই ফেরত আসেনি, আমাদের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝাও চেপে বসেছে।’
কাপুরথলার বহবাল বাহাদুর গ্রামের গুরপ্রীত সিংয়ের পরিবার তাঁকে বিদেশ পাঠাতে বাড়ি বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছিল। অন্যদিকে, ফতেগড় সাহিবের জসবিন্দর সিংয়ের পরিবার তাঁকে বিদেশ পাঠাতে ৫০ লাখ রুপি খরচ করেছিল, আর এখন তাদের চড়া সুদে নেওয়া ঋণ পরিশোধ করতে হবে।
পাঞ্জাবের জলন্ধর, হোশিয়ারপুর, কাপুরথলা ও নওয়ানশহর জেলা—‘এনআরআই বেল্ট’ নামে পরিচিত। এই এলাকাগুলো থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক মানুষ বিদেশে অভিবাসনের চেষ্টা করেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল। ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল। ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল। ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

গতকাল বুধবার ১০৪ অবৈধ ভারতীয় অভিবাসী নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমান অমৃতসর বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসী ফেরত পাঠানো কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভারতে পাঠানো প্রথম বড় দল। ফেরত আসাদের মধ্যে ৩৩ জন ছিলেন হরিয়ানা ও গুজরাট থেকে, ৩০ জন পাঞ্জাব থেকে, মহারাষ্ট্র ও উত্তর
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
৩ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
৩ ঘণ্টা আগে