স্বাধীনতার পর বিগত ৭৫ বছরে ভারতে মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। দেশটির উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে এই সংকট আরও বেশি। ভারতজুড়েই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এই পানির প্রাপ্যতা হ্রাস পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া, অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—নদ–নদী শুকিয়ে যাওয়া, পানির উৎস কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাতের হার কমে যাওয়া।
গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশটির অধিকাংশ নদী–নালা শুকিয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালে যেখানে প্রতিবছর মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা ছিল ৬০৪২ ঘনমিটার সেখানে এই বছর সেটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪৮৬ ঘনমিটারে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায়, দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পানির প্রাপ্যতাও কমেছে।
পানির সংকট কতটা তীব্র তা বুঝতে পারা যাবে, দেশটির মহারাষ্ট্রের খাদিমাল গ্রামের একটি চিত্র থেকে। গ্রামটি রাজ্যের অমরাবতী জেলার বিদর্ভা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। কিন্তু নদীর অবস্থা এতটাই শুষ্ক যে—সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তাদের ভরসা গ্রামের একটি মাত্র কুয়ার ওপর। সেই কুয়াও আবার স্বাভাবিকভাবে পানিতে পূর্ণ নয়। স্থানীয় প্রশাসন সেখানে একটি পানির ট্যাংকারের সাহায্যে দিনে দুই থেকে তিনবার পানি ঢেলে যায়। আর গ্রামের মানুষ সেই কুয়া থেকেই পানি সংগ্রহ করেন।
তবে, পানি সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া এতটা সহজ নয়। রীতিমতো যুদ্ধই করতে হয়। তাও কপাল ভালো হলে এক বালতি মিলতে পারে। এবং এই এক বালতি পানিই একটি পরিবারের প্রায় সারা দিন ব্যবহার করতে হয়। খাওয়া, গোসলসহ অন্য যত কাজ রয়েছে তার সবই করতে হয় এই পানিতে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই গল্প উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি পাওয়ার পরই যে ভোগান্তি শেষ তা কিন্তু নয়। বরং এক দফা যুদ্ধ শেষে পাওয়া এক বালতি পানি বাড়িতে যাওয়ার পর শুরু হয় আরেক দফা যুদ্ধ। কারণ, এই পানির গুণগত মান খুবই খারাপ। কোনোভাবেই পানের যোগ্য নয়। ফলে, শিশুদের প্রায়ই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে হয়।
খাদিমাল গ্রামের মতোই এমন চিত্র ভারতের অনেক রাজ্যের বিপুলসংখ্যক গ্রামে। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকট এতই তীব্র হয়ে উঠে যে—রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
স্বাধীনতার পর বিগত ৭৫ বছরে ভারতে মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা প্রায় ৭৫ শতাংশ কমেছে। দেশটির উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যগুলোতে এই সংকট আরও বেশি। ভারতজুড়েই ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়া এই পানির প্রাপ্যতা হ্রাস পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। এ ছাড়া, অন্যান্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—নদ–নদী শুকিয়ে যাওয়া, পানির উৎস কমে যাওয়া, বৃষ্টিপাতের হার কমে যাওয়া।
গ্রীষ্ম মৌসুমে দেশটির অধিকাংশ নদী–নালা শুকিয়ে যাওয়ায় এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে উঠে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালে যেখানে প্রতিবছর মাথাপিছু পানির প্রাপ্যতা ছিল ৬০৪২ ঘনমিটার সেখানে এই বছর সেটা দাঁড়িয়েছে মাত্র ১৪৮৬ ঘনমিটারে। এ থেকে সহজেই বোঝা যায়, দেশটিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি পানির প্রাপ্যতাও কমেছে।
পানির সংকট কতটা তীব্র তা বুঝতে পারা যাবে, দেশটির মহারাষ্ট্রের খাদিমাল গ্রামের একটি চিত্র থেকে। গ্রামটি রাজ্যের অমরাবতী জেলার বিদর্ভা নদীর অববাহিকায় অবস্থিত। কিন্তু নদীর অবস্থা এতটাই শুষ্ক যে—সেখান থেকে প্রয়োজনীয় পানি পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে তাদের ভরসা গ্রামের একটি মাত্র কুয়ার ওপর। সেই কুয়াও আবার স্বাভাবিকভাবে পানিতে পূর্ণ নয়। স্থানীয় প্রশাসন সেখানে একটি পানির ট্যাংকারের সাহায্যে দিনে দুই থেকে তিনবার পানি ঢেলে যায়। আর গ্রামের মানুষ সেই কুয়া থেকেই পানি সংগ্রহ করেন।
তবে, পানি সংগ্রহের এই প্রক্রিয়া এতটা সহজ নয়। রীতিমতো যুদ্ধই করতে হয়। তাও কপাল ভালো হলে এক বালতি মিলতে পারে। এবং এই এক বালতি পানিই একটি পরিবারের প্রায় সারা দিন ব্যবহার করতে হয়। খাওয়া, গোসলসহ অন্য যত কাজ রয়েছে তার সবই করতে হয় এই পানিতে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের এক প্রতিবেদনে এই গল্প উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পানি পাওয়ার পরই যে ভোগান্তি শেষ তা কিন্তু নয়। বরং এক দফা যুদ্ধ শেষে পাওয়া এক বালতি পানি বাড়িতে যাওয়ার পর শুরু হয় আরেক দফা যুদ্ধ। কারণ, এই পানির গুণগত মান খুবই খারাপ। কোনোভাবেই পানের যোগ্য নয়। ফলে, শিশুদের প্রায়ই নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে হয়।
খাদিমাল গ্রামের মতোই এমন চিত্র ভারতের অনেক রাজ্যের বিপুলসংখ্যক গ্রামে। গ্রীষ্ম মৌসুমে পানির সংকট এতই তীব্র হয়ে উঠে যে—রীতিমতো যুদ্ধ শুরু করে পানি সংগ্রহ করতে হয়।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে