কলকাতা প্রতিনিধি
বাংলাদেশে পদ্মার রুপালি ইলিশ নামে পরিচিত হলেও উৎসবের মৌসুমে সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় তা এখন সোনালি আশীর্বাদ। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার রাত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকতে শুরু করেছে ইলিশ। কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, দুর্গাপূজার সময়ে আদৌ কি পাওয়া যাবে পদ্মার ইলিশ, নাকি এ বছরেও আগের মতো নানা জটিলতার কারণে উৎসবের বাজার থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে।
অবশেষে সেই জল্পনার অবসান! সীমান্ত পেরিয়েছে এসেছে মাছের ট্রাক। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার পাইকারি বাজারে ঝলমল করছে পদ্মার রুপালি শোভা। ব্যবসায়ীদের ভাষায়, এটি শুধু মাছ নয়, আবেগের প্রতীক। পদ্মার ইলিশ মানেই আলাদা স্বাদ, আলাদা গন্ধ, আলাদা স্মৃতি।
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য দুর্গাপূজার আনন্দ অসম্পূর্ণ থাকে যদি বাজারে পদ্মার ইলিশ না আসে। এ বছর মোট ১ হাজার ২০০ টন রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথম চালানে গতকাল রাতেই ঢুকেছে প্রায় ৩৭ টন ইলিশ। ধাপে ধাপে চলবে পুরো প্রক্রিয়া। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সময়টা একটু কম। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অনুমতি কার্যকর, এত অল্প সময়ে এত বড় চালান তোলা ও বাজারে বণ্টন করা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আবার দামের বিষয়টিও বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যে গুজরাট ও অন্য জায়গার ইলিশ বাজার দখল করে ফেলেছে, ফলে পদ্মার ইলিশ তুলনায় দামে কিছুটা বেশি পড়ছে।
পাইকারি বাজারে গড়ে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে দর, যা খুচরো বাজারে পৌঁছে দুই হাজার বা তার ওপরে যেতে পারে। সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে এই দাম, তবুও আবেগে ভর করে মানুষ কিনতে চাইবে। অনেক পরিবারে দুর্গাপূজার ভোজ অসম্পূর্ণ থাকে যদি পদ্মার ইলিশ না ওঠে। ফলে দামে যতই বাড়তি থাকুক, চাহিদা অটুট। এই আবেগের ওপর ভর করেই ব্যবসায়ীরা মনে করছেন উৎসবের সময়টায় অন্তত বিক্রি ভালো হবে।
তবে উদ্বেগও আছে। পদ্মার ইলিশ ঢুকতে একটু দেরি হয়েছে। যদি আরও আগে অনুমতি মিলত, তাহলে বাজারে সহজে দামও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো, ক্রেতারাও স্বস্তি পেতেন। বরং এবার পরিস্থিতি উল্টে গিয়েছে। কারণ, বাজারে যখন গুজরাটের ইলিশ জমে উঠেছে, তখন পদ্মার ইলিশ দেরিতে এসে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন পদ্মার ইলিশের বিশেষত্ব বজায় থাকছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সঙ্গে পদ্মার ইলিশের আবেগ জড়িয়ে আছে। শুধু খাদ্যের স্বাদ নয়, উৎসবের আনন্দের সঙ্গে এই মাছের সম্পর্ক। তাই এবারের চালান নিয়ে আনন্দ যতটা, সংশয়ও ততটাই। বাজারে এখন দেখার বিষয়—সরবরাহ ঠিক কতটা হয়, দাম কতটা ওঠানামা করে, আর ক্রেতারা শেষ পর্যন্ত কতটা সাড়া দেন। যা-ই হোক, সীমান্ত পার হয়ে আসা পদ্মার ইলিশ ফের একবার উৎসবের বাজারে আলোড়ন তুলেছে, আবেগ জাগিয়েছে, আর এই আবেগই আসল শক্তি যেটি ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়কেই বেঁধে রাখে একই সুতোয়।
বাংলাদেশে পদ্মার রুপালি ইলিশ নামে পরিচিত হলেও উৎসবের মৌসুমে সীমান্ত পেরিয়ে কলকাতায় তা এখন সোনালি আশীর্বাদ। বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গতকাল বুধবার রাত থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে ঢুকতে শুরু করেছে ইলিশ। কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছিল, দুর্গাপূজার সময়ে আদৌ কি পাওয়া যাবে পদ্মার ইলিশ, নাকি এ বছরেও আগের মতো নানা জটিলতার কারণে উৎসবের বাজার থেকে খালি হাতেই ফিরতে হবে।
অবশেষে সেই জল্পনার অবসান! সীমান্ত পেরিয়েছে এসেছে মাছের ট্রাক। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার পাইকারি বাজারে ঝলমল করছে পদ্মার রুপালি শোভা। ব্যবসায়ীদের ভাষায়, এটি শুধু মাছ নয়, আবেগের প্রতীক। পদ্মার ইলিশ মানেই আলাদা স্বাদ, আলাদা গন্ধ, আলাদা স্মৃতি।
দক্ষিণবঙ্গের মানুষের জন্য দুর্গাপূজার আনন্দ অসম্পূর্ণ থাকে যদি বাজারে পদ্মার ইলিশ না আসে। এ বছর মোট ১ হাজার ২০০ টন রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রথম চালানে গতকাল রাতেই ঢুকেছে প্রায় ৩৭ টন ইলিশ। ধাপে ধাপে চলবে পুরো প্রক্রিয়া। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, সময়টা একটু কম। ৫ অক্টোবর পর্যন্ত অনুমতি কার্যকর, এত অল্প সময়ে এত বড় চালান তোলা ও বাজারে বণ্টন করা কতটা সম্ভব তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আবার দামের বিষয়টিও বড় প্রশ্ন। ইতিমধ্যে গুজরাট ও অন্য জায়গার ইলিশ বাজার দখল করে ফেলেছে, ফলে পদ্মার ইলিশ তুলনায় দামে কিছুটা বেশি পড়ছে।
পাইকারি বাজারে গড়ে কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হচ্ছে দর, যা খুচরো বাজারে পৌঁছে দুই হাজার বা তার ওপরে যেতে পারে। সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে এই দাম, তবুও আবেগে ভর করে মানুষ কিনতে চাইবে। অনেক পরিবারে দুর্গাপূজার ভোজ অসম্পূর্ণ থাকে যদি পদ্মার ইলিশ না ওঠে। ফলে দামে যতই বাড়তি থাকুক, চাহিদা অটুট। এই আবেগের ওপর ভর করেই ব্যবসায়ীরা মনে করছেন উৎসবের সময়টায় অন্তত বিক্রি ভালো হবে।
তবে উদ্বেগও আছে। পদ্মার ইলিশ ঢুকতে একটু দেরি হয়েছে। যদি আরও আগে অনুমতি মিলত, তাহলে বাজারে সহজে দামও সামঞ্জস্যপূর্ণ হতো, ক্রেতারাও স্বস্তি পেতেন। বরং এবার পরিস্থিতি উল্টে গিয়েছে। কারণ, বাজারে যখন গুজরাটের ইলিশ জমে উঠেছে, তখন পদ্মার ইলিশ দেরিতে এসে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন পদ্মার ইলিশের বিশেষত্ব বজায় থাকছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গের মানুষের সঙ্গে পদ্মার ইলিশের আবেগ জড়িয়ে আছে। শুধু খাদ্যের স্বাদ নয়, উৎসবের আনন্দের সঙ্গে এই মাছের সম্পর্ক। তাই এবারের চালান নিয়ে আনন্দ যতটা, সংশয়ও ততটাই। বাজারে এখন দেখার বিষয়—সরবরাহ ঠিক কতটা হয়, দাম কতটা ওঠানামা করে, আর ক্রেতারা শেষ পর্যন্ত কতটা সাড়া দেন। যা-ই হোক, সীমান্ত পার হয়ে আসা পদ্মার ইলিশ ফের একবার উৎসবের বাজারে আলোড়ন তুলেছে, আবেগ জাগিয়েছে, আর এই আবেগই আসল শক্তি যেটি ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়কেই বেঁধে রাখে একই সুতোয়।
যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার গাজায় যুদ্ধবিরতি হলে একটি অন্তর্বর্তী কর্তৃপক্ষ চালুর আলোচনা করছেন। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। এমনকি, ওয়াশিংটনে এমন একটি প্রস্তাবও সমর্থন পেয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, টনি ব্লেয়ার নিজেই এই কর্তৃপক্ষের নেতৃত্ব দিতে পারেন।
৫ মিনিট আগেক্লাউড কম্পিউটিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে লাখ লাখ বেসামরিক ফিলিস্তিনিদের ওপর নজরদারির অভিযোগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর পরিষেবা সীমিত করছে মার্কিন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। গতকাল বৃহস্পতিবার, এক ব্লগ পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস চেয়ার ব্র্যাড স্মিথ।
৭ মিনিট আগেএবার ট্রাম্পের রোষানলে পড়লেন মার্কিন ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন—এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমি। মিথ্যা তথ্য দেওয়া ও বিচার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে দুটি অভিযোগ গঠন করেছে ভার্জিনিয়ার একটি ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি।
২ ঘণ্টা আগেওয়াইসি বলেন, ‘মোদিজি বলেছেন, বিহারে বাংলাদেশি আছে।’ এ সময় তিনি মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘মোদিজি, বিহারে বা সীমাঞ্চলে কোনো বাংলাদেশি নেই। তবে আপনার দিল্লিতে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বোন আছেন। তাঁকে বাংলাদেশে পাঠান। সীমাঞ্চলে আনুন, আমরা তাঁকে বাংলাদেশেই পৌঁছে দেব।’
২ ঘণ্টা আগে