
সোমালিয়ার উপকূলে গত সপ্তাহে জলদস্যুদের হাত থেকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লির সামরিক বাহিনী যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি বিশেষ বাহিনীর সমান সক্ষমতা অর্জন করেছে তারই প্রমাণ এই ঘটনা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জলদস্যু বিরোধী এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি টহল জাহাজ, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি সি-১৭ ট্রান্সপোর্টার, একটি নৌ ড্রোন, একটি উদ্ধারকারী ড্রোন এবং একটি পি-৮ নজরদারি যুদ্ধবিমান।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ফেলো জন ব্র্যাডফোর্ড এই অভিযান সম্পর্কে বলেন, অভিযানটির সাফল্য প্রশিক্ষণ, কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য ক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীকে একটি শীর্ষ শ্রেণির বাহিনী হিসেবে তুলে ধরেছে। যুদ্ধজাহাজ, ড্রোন, বিভিন্ন ধরনের এয়ারক্র্যাফট এবং নৌবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বিত শক্তি ব্যবহার করে যেভাবে ঝুঁকি হ্রাস করা হয়েছিল সেটাই এই অভিযানের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক।
ইয়েমেন-ভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণের কারণে লোহিত সাগরে অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক বাহিনীর একজোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর এতে নিকটবর্তী হর্ন অব আফ্রিকাতে সোমালিয়ার জলদস্যুরা অনেকটাই অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারে। এতে বিশ্ব বাণিজ্যের কয়েকশ কোটি ডলারের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্লেষকেরা।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের মধ্যে আছে ইয়েমেন এবং সোমালিয়া। বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে দুটি দেশই বিধ্বস্ত। গত বছরের ডিসেম্বরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা মাল্টার পতাকাবাহী এবং বুলগেরীয়দের দ্বারা পরিচালিত এমভি রুয়েন নামের বাণিজ্যিক জাহাজটি আটক করেছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে সোমালিয়ার উপকূলে এটিই প্রথম সফল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
স্প্যানিশ, জাপানি এবং ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলো অনুসরণ করছিল এমভি রুয়েনকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে, মাল্টার পতাকাযুক্ত জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায়। কিন্তু গত সপ্তাহে গভীর সমুদ্রে জলদস্যুতার উদ্দেশ্যে জাহাজটি নিয়ে সোমালিয়ার জলসীমা ছেড়ে যায় এমভি রুয়েন। তখন ভারতীয় নৌবাহিনী এটিকে আটকানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়।
ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় কাজ করছিল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস কলকাতা। এমভি রুয়েনের পরিচালনায় সশস্ত্র জলদস্যুরা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আইএনএস কলকাতা ড্রোন ব্যবহার করেছিল। সেই ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এমভি রুয়েনের জলদস্যুরা। তারপর ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও আক্রমণের শিকার হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় রুয়েনের ওপর আক্রমণ করে আইএনএস কলকাতা। এতে রুয়েনের স্টিয়ারিং এবং নেভিগেশন নষ্ট হয়ে যায়।
জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল আইএনএস কলকাতা। ভারতের বিমানবাহিনী সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বলেছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ভারত থেকে ১০ ঘণ্টার ফ্লাইট করে আসেন কমান্ডোরা। এরপর তারা প্যারাস্যুটের সাহায্য নেন। এমভি রুয়েনে প্রবেশ করতে কয়েকটি ভেলাও নামানো হয়েছিল সাগরে। ভারতের এই শক্তি প্রদর্শনের সামনে আর টিকতে পারেনি সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
ভারতীয় নৌবাহিনী এরপর এক বিবৃতিতে ঘোষণা দেয় যে, গত ৪০ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় নৌবাহিনীর অব্যাহত চাপ এবং পদক্ষেপের কারণে এমভি রুয়েনে থাকা সোমালিয়ার ৩৫ জন জলদস্যুই আত্মসমর্পণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভসহ বুলগেরিয়ার নেতারা এই অভিযানের জন্য ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাদেভ বলেন, ‘অপহরণের শিকার বুলগেরিয়ার জাহাজ রুয়েন এবং এর নাবিকসহ ৭ জন বুলগেরীয় নাগরিককে উদ্ধারের সাহসী পদক্ষেপের জন্য (মোদির) প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাক্তন ক্যাপ্টেন এবং বিশ্লেষক কার্ল শুস্টার বলেছেন যে, ঘটনাটি ভারতীয় নৌবাহিনীর পেশাদারিত্বকে তুলে ধরেছে। মারকোস নামে পরিচিত দিল্লির মেরিন কমান্ডো বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর কাছ থেকে অনেক কৌশল শিখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুস্টার বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী একটি উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং সুশৃঙ্খল পেশাদার বাহিনী। ৮ মাসের প্রশিক্ষণের পর যুক্তরাজ্যের এসএসের অনুকরণে মারকোস গঠন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াদের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশই এই বাহিনীতে ঢুকতে পেরেছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যু বিরোধী অভিযানে অভিজ্ঞ। তাদের আছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা। তা ছাড়া, বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই অস্থিতিশীল। সে ক্ষেত্রে, আবারও ডাকা হতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনীকে।

সোমালিয়ার উপকূলে গত সপ্তাহে জলদস্যুদের হাত থেকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে, দিল্লির সামরিক বাহিনী যে বিশ্বের সেরা কয়েকটি বিশেষ বাহিনীর সমান সক্ষমতা অর্জন করেছে তারই প্রমাণ এই ঘটনা। সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
জলদস্যু বিরোধী এই অভিযানে অংশ নিয়েছিল নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার, একটি টহল জাহাজ, ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি সি-১৭ ট্রান্সপোর্টার, একটি নৌ ড্রোন, একটি উদ্ধারকারী ড্রোন এবং একটি পি-৮ নজরদারি যুদ্ধবিমান।
কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ফেলো জন ব্র্যাডফোর্ড এই অভিযান সম্পর্কে বলেন, অভিযানটির সাফল্য প্রশিক্ষণ, কমান্ড, নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য ক্ষমতার দিক থেকে ভারতীয় নৌবাহিনীকে একটি শীর্ষ শ্রেণির বাহিনী হিসেবে তুলে ধরেছে। যুদ্ধজাহাজ, ড্রোন, বিভিন্ন ধরনের এয়ারক্র্যাফট এবং নৌবাহিনীর কমান্ডোদের সমন্বিত শক্তি ব্যবহার করে যেভাবে ঝুঁকি হ্রাস করা হয়েছিল সেটাই এই অভিযানের সবচেয়ে চমকপ্রদ দিক।
ইয়েমেন-ভিত্তিক হুতি বিদ্রোহীদের বাণিজ্যিক জাহাজে আক্রমণের কারণে লোহিত সাগরে অস্থিতিশীল নিরাপত্তা পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক বাহিনীর একজোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। আর এতে নিকটবর্তী হর্ন অব আফ্রিকাতে সোমালিয়ার জলদস্যুরা অনেকটাই অরক্ষিত হয়ে পড়তে পারে। এতে বিশ্ব বাণিজ্যের কয়েকশ কোটি ডলারের ব্যবসা হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বিশ্লেষকেরা।
এই অঞ্চলের সবচেয়ে দরিদ্র দেশের মধ্যে আছে ইয়েমেন এবং সোমালিয়া। বছরের পর বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধের কারণে দুটি দেশই বিধ্বস্ত। গত বছরের ডিসেম্বরে সোমালিয়ার জলদস্যুরা মাল্টার পতাকাবাহী এবং বুলগেরীয়দের দ্বারা পরিচালিত এমভি রুয়েন নামের বাণিজ্যিক জাহাজটি আটক করেছিল। ২০১৭ সালের পর থেকে সোমালিয়ার উপকূলে এটিই প্রথম সফল ছিনতাইয়ের ঘটনা।
স্প্যানিশ, জাপানি এবং ভারতীয় যুদ্ধজাহাজগুলো অনুসরণ করছিল এমভি রুয়েনকে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর ডিসেম্বরের প্রতিবেদন অনুসারে, মাল্টার পতাকাযুক্ত জাহাজটিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোমালিয়ার আঞ্চলিক জলসীমায়। কিন্তু গত সপ্তাহে গভীর সমুদ্রে জলদস্যুতার উদ্দেশ্যে জাহাজটি নিয়ে সোমালিয়ার জলসীমা ছেড়ে যায় এমভি রুয়েন। তখন ভারতীয় নৌবাহিনী এটিকে আটকানোর জন্য পদক্ষেপ নেয়।
ভারত সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ওই এলাকায় কাজ করছিল ডেস্ট্রয়ার আইএনএস কলকাতা। এমভি রুয়েনের পরিচালনায় সশস্ত্র জলদস্যুরা আছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আইএনএস কলকাতা ড্রোন ব্যবহার করেছিল। সেই ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করেছিল এমভি রুয়েনের জলদস্যুরা। তারপর ভারতীয় যুদ্ধজাহাজও আক্রমণের শিকার হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় রুয়েনের ওপর আক্রমণ করে আইএনএস কলকাতা। এতে রুয়েনের স্টিয়ারিং এবং নেভিগেশন নষ্ট হয়ে যায়।
জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলেছিল আইএনএস কলকাতা। ভারতের বিমানবাহিনী সামাজিক প্ল্যাটফর্মে বলেছে, জলদস্যুদের আত্মসমর্পণে বাধ্য করতে ভারত থেকে ১০ ঘণ্টার ফ্লাইট করে আসেন কমান্ডোরা। এরপর তারা প্যারাস্যুটের সাহায্য নেন। এমভি রুয়েনে প্রবেশ করতে কয়েকটি ভেলাও নামানো হয়েছিল সাগরে। ভারতের এই শক্তি প্রদর্শনের সামনে আর টিকতে পারেনি সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
ভারতীয় নৌবাহিনী এরপর এক বিবৃতিতে ঘোষণা দেয় যে, গত ৪০ ঘণ্টা ধরে ভারতীয় নৌবাহিনীর অব্যাহত চাপ এবং পদক্ষেপের কারণে এমভি রুয়েনে থাকা সোমালিয়ার ৩৫ জন জলদস্যুই আত্মসমর্পণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট রুমেন রাদেভসহ বুলগেরিয়ার নেতারা এই অভিযানের জন্য ভারত ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সামাজিক প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে রাদেভ বলেন, ‘অপহরণের শিকার বুলগেরিয়ার জাহাজ রুয়েন এবং এর নাবিকসহ ৭ জন বুলগেরীয় নাগরিককে উদ্ধারের সাহসী পদক্ষেপের জন্য (মোদির) প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।’
মার্কিন নৌবাহিনীর প্রাক্তন ক্যাপ্টেন এবং বিশ্লেষক কার্ল শুস্টার বলেছেন যে, ঘটনাটি ভারতীয় নৌবাহিনীর পেশাদারিত্বকে তুলে ধরেছে। মারকোস নামে পরিচিত দিল্লির মেরিন কমান্ডো বাহিনী যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের নৌবাহিনীর কাছ থেকে অনেক কৌশল শিখেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
শুস্টার বলেন, ভারতীয় নৌবাহিনী একটি উচ্চ প্রশিক্ষিত এবং সুশৃঙ্খল পেশাদার বাহিনী। ৮ মাসের প্রশিক্ষণের পর যুক্তরাজ্যের এসএসের অনুকরণে মারকোস গঠন করা হয়েছে। প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়াদের মধ্যে মাত্র ১০ থেকে ১৫ শতাংশই এই বাহিনীতে ঢুকতে পেরেছিল।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ভারতীয় নৌবাহিনী জলদস্যু বিরোধী অভিযানে অভিজ্ঞ। তাদের আছে ২০ বছরেরও বেশি সময়ের অভিজ্ঞতা। তা ছাড়া, বিশ্বের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক সমুদ্রপথের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এখন অনেকটাই অস্থিতিশীল। সে ক্ষেত্রে, আবারও ডাকা হতে পারে ভারতীয় নৌবাহিনীকে।

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
২ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর আত্মীয়কে (পুরুষ) ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে যৌন হয়রানি করেন।
ঘটনাটি ঘটে গত জুনে। অভিযোগের পরপরই এলিপেকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আদালতে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং ঘটনার পর থেকে বারবার সে ঘটনার দৃশ্য তাঁর মনে পড়তে থাকে। তবে আদালতের নথিতে, ভুক্তভোগীর বয়সসহ ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইউজিন ফুয়া জানান, গত ১৮ জুন ভুক্তভোগী তাঁর দাদুকে দেখতে নর্থ ব্রিজ রোডের র্যাফেলস হাসপাতালে যান। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি রোগীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে প্রবেশ করলে এলিপে সেখানে উঁকি দেন। এরপর নিজেকে ‘ডিসইনফেক্ট’ বা জীবাণুমুক্ত করার কথা বলে তিনি হাতে সাবান নিয়ে ভুক্তভোগীকে যৌন হয়রানি করেন।
এ সময় ভুক্তভোগী এতটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়েন যে, ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি প্রথমে নড়াচড়া করতে পারেননি। পরে তিনি দাদুর শয্যার পাশে ফিরে যান।
ঘটনার তিন দিন পর, গত ২১ জুন এ বিষয়ে অভিযোগ করা হয়। দুদিন পর এলিপেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার শুনানির পর এলিপেকে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের আদেশ দেন আদালত।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের কুরনুল শহরে একটি বাসে আগুন লাগার ঘটনার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে নতুন তথ্য। গতকাল শুক্রবার ভোরের দিকে বাসটিতে যখন বিস্ফোরণ হয়, সেসময় সেটির ভেতরে ছিল ২৩৪টি স্মার্টফোনের একটি চালান।
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
এক প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, বাসে থাকা ২৩৪টি স্মার্টফোনের মূল্য ৪৬ লাখ রুপি। হায়দরাবাদের মাঙ্গানাথ নামের এক ব্যবসায়ী সেগুলো বেঙ্গালুরু শহরে একটি ই-কমার্স কোম্পানির কাছে পাঠাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ফোনগুলো গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করা হতো।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ফোনগুলোতে আগুন লাগার সময় তাঁরা ব্যাটারি বিস্ফোরণের শব্দ পেয়েছিলেন।
অন্ধ্রপ্রদেশ ফায়ার সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক পি ভেঙ্কটরামন জানান, শুধু স্মার্টফোনের ব্যাটারিই নয়, বাসের শীতাতপনিয়ন্ত্রণ (এসি) ব্যবস্থায় ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক ব্যাটারিগুলোও বিস্ফোরিত হয়েছিল।
ভেঙ্কটরামন বলেন, তাপ এতটাই তীব্র ছিল যে বাসের মেঝেতে থাকা অ্যালুমিনিয়ামের পাতও গলে যায়।
ভেঙ্কটরামন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, জ্বালানি তেল চুঁইয়ে পড়ার কারণে শুরুতে বাসের সামনের অংশে আগুন লাগে। দুর্ঘটনার সময় একটি মোটরসাইকেল বাসের নিচে আটকে যায় এবং সেটির পেট্রল ছিটকে পড়ে তাপ বা স্ফুলিঙ্গের সংস্পর্শে এসে আগুন ধরে যায়। মুহূর্তেই আগুন পুরো বাসে ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
২ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেকলকাতা প্রতিনিধি

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ গোষ্ঠী। তাদের মূল লক্ষ্য, ভোটের আগে সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা এবং জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো।
মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত জেলাগুলোতে ইতিমধ্যেই তার আঁচ মিলেছে। উৎসবের মৌসুমে বিভিন্ন জায়গায় ভুয়া নিউজ, বিকৃত ভিডিও এবং মিথ্যা বক্তৃতার মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্র কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এমন ছবি, অডিও ও ভিডিও তৈরি করছে, যেগুলো আসল ও নকলের সীমারেখা মুছে দিয়েছে। জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতা, ধর্মীয় বক্তা এমনকি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মুখ বসিয়ে ছড়ানো হচ্ছে মিথ্যা বার্তা। উদ্দেশ্য একটাই—সামাজিক সম্প্রীতিতে ভাঙন ধরানো ও নির্বাচনের আগে রাজ্যজুড়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করা।
প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রাজ্যের সাইবার সেল ও জেলা পুলিশ মিলিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে। বিশেষ করে মুর্শিদাবাদ জেলায় বিগত চার মাসে ১ হাজার ১০০টির বেশি ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট চিহ্নিত করে বন্ধ করা হয়েছে। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব এবং এক্স প্ল্যাটফর্মে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ছিল ওই চক্র। প্রশাসনের দাবি, এসব অ্যাকাউন্ট থেকে নিয়মিতভাবে ধর্মীয় বা রাজনৈতিক বিদ্বেষমূলক বার্তা ছড়ানো হচ্ছিল, যা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পক্ষে বিপজ্জনক।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, ‘আমরা সোশ্যাল মিডিয়া মনিটরিং করছি। গত চার মাসে ১ হাজার ৯৩টি ভুয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। আরও বেশ কয়েকটি তদন্তাধীন।’ পুলিশের ধারণা, এ চক্রটি দেশীয় নয়। বহু আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে দেখা গেছে, সেগুলো বিদেশ এবং ভারতের অন্য রাজ্য থেকে পরিচালিত হচ্ছে। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে এখন এমন ভুয়া ছবি ও ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, যা সাধারণ মানুষের পক্ষে চেনা প্রায় অসম্ভব। ফলে একটি গুজব খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে সমাজে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারে।
পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে, যাতে কোনো তথ্য যাচাই না করে কেউ শেয়ার বা ফরওয়ার্ড না করেন। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মাজিদ ইকবাল খান বলেন, ‘এখন অনেক অ্যাকাউন্ট বিদেশ থেকে চালানো হচ্ছে। তাই আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি, তারা যেন এসব তথ্য যাচাই করে পোস্ট করে।’
একই সঙ্গে, রাজ্যজুড়ে চলছে ‘ভুয়ো খবরবিরোধী’ সচেতনতামূলক অভিযান। জেলার প্রতিটি থানায় সাইবার ক্রাইম সেলের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে জনসভা ও স্কুল-কলেজে প্রচার করা হচ্ছে। প্রশাসনের মতে, এই চেষ্টার লক্ষ্য শুধু অপরাধীদের ধরা নয়; বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে ডিজিটাল সচেতনতা সৃষ্টি করা। পুলিশের অভিজ্ঞতা বলছে, গুজব ছড়ানোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই টার্গেট করা হচ্ছে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা, যেখানে সামান্য উসকানিতেও বড় ধরনের অশান্তি ঘটার সম্ভাবনা থাকে। কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে, স্থানীয় উৎসব বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিকৃত ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
মুর্শিদাবাদের সাইবার ক্রাইম থানার আইসি উৎপল কুমার সাহা বলেন, ‘আমরা দেখেছি, কিছু মানুষ পরিকল্পিতভাবে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কয়েকটি প্রোফাইল মুছে দেওয়া হয়েছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।’ এ পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ১১ হাজারেরও বেশি বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট মুছে ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
রাজ্যের আইটি দপ্তর জানিয়েছে, প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে ভুয়া কনটেন্ট শনাক্ত করা ক্রমেই কঠিন হচ্ছে। তাই এখন আর শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়, সামাজিক সচেতনতাই গুজবের আগুন ঠেকানোর প্রধান অস্ত্র। সাইবার বিশ্লেষকেদের মতে, এআই শুধু ভালো কাজের জন্য নয়, খারাপ উদ্দেশ্যেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনো দেশে বসে আরেক দেশের রাজনৈতিক স্থিতি নষ্ট করার হাতিয়ার হিসেবে এটি এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। ভোট যত ঘনিয়ে আসবে, ততই এ ধরনের প্রচার বাড়বে। প্রশাসনের নজর সত্ত্বেও কিছু চক্র পরিকল্পিতভাবে সামাজিক বিভাজনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে। রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগও পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। ভোটের আগে মিথ্যা তথ্যের ঝড় ঠেকাতে তারা বিশেষ সাইবার মনিটরিং সেল চালু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ এখনকার রাজনৈতিক বাস্তবতায় তথ্যযুদ্ধই সবচেয়ে বড় অস্ত্র। আর এ যুদ্ধের ময়দান এখন সোশ্যাল মিডিয়া।

ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
২ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৪ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৩০ কোটি ডলারের জমকালো বলরুম নির্মাণের জন্য হোয়াইট হাউসের পূর্ব পাশ সম্পূর্ণরূপে ভেঙে ফেলা হয়েছে। মার্কিন প্রশাসন এই বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যে এটি করা হলো। যদিও ট্রাম্প এর আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, বলরুমের জন্য ভবনটির কোনো অংশ ভাঙা হবে না।
গতকাল শুক্রবার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে তোলা কিছু ছবিতে দেখা যায়, ঐতিহাসিক ভবনটির পূর্ব পাশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ইতিহাসবিদ, হোয়াইট হাউসের সাবেক কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণ।
যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা গতকাল এবিসি নিউজকে জানান, ট্রাম্প ‘সম্ভবত’ বলরুমটির নামকরণ নিজের নামে করবেন। কেউ কেউ এরই মধ্যে এটিকে ‘দ্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড জে ট্রাম্প বলরুম’ হিসেবে অভিহিত করছেন।
অথচ গত জুলাই মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, বলরুম নির্মাণের সময় হোয়াইট হাউসের বিদ্যমান অবকাঠামোর কিছুই ভেঙে ফেলা হবে না।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজের তত্ত্বাবধানকারী কেন্দ্রীয় সংস্থা ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশনের কাছে নকশা না পাঠিয়েই হোয়াইট হাউসের একাংশ ভেঙে ফেলার কাজ করেছেন ট্রাম্প।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, নির্মাণ পরিকল্পনা ‘শিগগির’ জমা দেওয়া হবে।
হোয়াইট হাউসের আরেক কর্মকর্তা দ্য গার্ডিয়ানকে বলেন, ‘ন্যাশনাল ক্যাপিটাল প্ল্যানিং কমিশন ধ্বংসের অনুমতি নয়, শুধু ভবন নির্মাণের অনুমতি চায়। সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হবে।’

ভারতীয় নৌবাহিনী এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে যে, প্রায় দুই দিন ধরে চলা জলদস্যু বিরোধী অভিযানের সময় বাণিজ্যিক জাহাজ এমভি রুয়েনের ১৭ জন নাবিককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। কয়েক ডজন জলদস্যুকে ভারতীয় বিশেষ বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
২০ মার্চ ২০২৪
সিঙ্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত একজন ভারতীয় নার্সকে যৌন হয়রানির অভিযোগে ১ বছর ২ মাসের কারাদণ্ড ও দুই ঘা বেত্রাঘাতের সাজা দিয়েছেন দেশটির আদালত। সিঙ্গাপুরের গণমাধ্যম দ্য স্ট্রেইটস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩৪ বছর বয়সী এলিপে শিবা নাগু নামের ওই নার্স র্যাফেলস হাসপাতালে একজন রোগীর...
২ ঘণ্টা আগে
ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ফোনগুলোর ব্যাটারি বিস্ফোরিত হওয়ার কারণে বাসে লাগা আগুনের তীব্রতা বহু গুণ বেড়ে যায়; যা কেড়ে নেয় ২০ জনের প্রাণ।
৪ ঘণ্টা আগে
রাজ্যের সামনে যখন আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন, ঠিক সে সময়ই ছড়াচ্ছে গুজবের আগুন। আর এই আগুনের জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির সর্বশেষ অস্ত্র—কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)। তদন্তে উঠে এসেছে, বিদেশের মাটিতে বসেই বাংলায় অশান্তি পাকানোর ছক কষছে এক সংঘবদ্ধ...
৪ ঘণ্টা আগে