ভারতের উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ শহরের একটি অভিজাত এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছিলেন এক মুসলিম চিকিৎসক দম্পতি। কিন্তু স্থানীয় হিন্দু প্রতিবেশীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে সেই বাড়িতে উঠতে পারেননি তাঁরা। প্রতিবেশীরা দাবি করেন, এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। যেখানে ৪০০-এর বেশি হিন্দু পরিবারের বসবাস। তাই তাঁরা অন্য সম্প্রদায়ের কাউকে সেখানে থাকতে দিতে চান না।
শুক্রবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে মেঘা অরোরা নামে একজন প্রতিবেশীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মন্দিরের সামনে মুসলিম পরিবারকে থাকতে দেওয়া যায় না। এটি আমাদের নারীদের জন্যও একটি নিরাপত্তার প্রশ্ন।’
ওই বাড়িটির আগের মালিক ড. অশোক বাজাজ জানিয়েছেন, সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুসলিম দম্পতি ওই বাড়িটি এখন একটি হিন্দু পরিবারের কাছে পুনরায় বিক্রি করবেন।
ড. অশোক বাজাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ঘটনায় বোঝা যায়, আমাদের শহরের পরিবেশও বদলে যাচ্ছে। আমি কখনোই এমনটা আশা করিনি।’
ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক তানভীর আইজাজ বিবিসিকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় মেরুকরণ এখন গ্রাম থেকে শহরেও শেকড় গাড়ছে। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী এবং একটি মানুষের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।’
বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই নিন্দা করেছেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাংসদ জন ব্রিটাস এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘‘আমরা সবসময় ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ নিয়ে গর্ব করি। কিন্তু এমন ঘটনার জন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’’
কমেডিয়ান আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘#নতুনভারতে, স্বাগতম। একজন চিকিৎসক আরেকজন চিকিৎসকের কাছে তাঁর বাড়ি বিক্রি করেছেন... এর জন্য কেন প্রতিবাদ বা উত্তেজনার সৃষ্টি হবে?’
তবে অধ্যাপক আইজাজ আশাবাদী, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, ‘হিন্দু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে তৈরি। বেশিরভাগ মানুষই জানেন, ঘৃণা তাঁদের ধর্মের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের আশার জায়গা।’
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলিমরা বহু বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। বিজেপি শাসনামলে এ ধরনের ঘটনা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। মোরাদাবাদের এই ঘটনাটি কেবল একটি বাড়ি বিক্রি নয়, বরং ভারতে বাড়তে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ, যা সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধকেও চ্যালেঞ্জ করে।
ভারতের উত্তর প্রদেশের মোরাদাবাদ শহরের একটি অভিজাত এলাকায় নতুন বাড়ি কিনেছিলেন এক মুসলিম চিকিৎসক দম্পতি। কিন্তু স্থানীয় হিন্দু প্রতিবেশীদের তীব্র বিরোধিতার মুখে সেই বাড়িতে উঠতে পারেননি তাঁরা। প্রতিবেশীরা দাবি করেন, এলাকাটি হিন্দু অধ্যুষিত। যেখানে ৪০০-এর বেশি হিন্দু পরিবারের বসবাস। তাই তাঁরা অন্য সম্প্রদায়ের কাউকে সেখানে থাকতে দিতে চান না।
শুক্রবার বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে মেঘা অরোরা নামে একজন প্রতিবেশীকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের মন্দিরের সামনে মুসলিম পরিবারকে থাকতে দেওয়া যায় না। এটি আমাদের নারীদের জন্যও একটি নিরাপত্তার প্রশ্ন।’
ওই বাড়িটির আগের মালিক ড. অশোক বাজাজ জানিয়েছেন, সমঝোতার মাধ্যমেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুসলিম দম্পতি ওই বাড়িটি এখন একটি হিন্দু পরিবারের কাছে পুনরায় বিক্রি করবেন।
ড. অশোক বাজাজ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ঘটনায় বোঝা যায়, আমাদের শহরের পরিবেশও বদলে যাচ্ছে। আমি কখনোই এমনটা আশা করিনি।’
ভারতের দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক তানভীর আইজাজ বিবিসিকে বলেছেন, ‘ধর্মীয় মেরুকরণ এখন গ্রাম থেকে শহরেও শেকড় গাড়ছে। এটি সম্পূর্ণ সংবিধানবিরোধী এবং একটি মানুষের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন।’
বিষয়টি জানাজানির পর সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই নিন্দা করেছেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির (মার্কসবাদী) সাংসদ জন ব্রিটাস এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে বলেছেন, ‘‘আমরা সবসময় ‘বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্য’ নিয়ে গর্ব করি। কিন্তু এমন ঘটনার জন্য আমাদের লজ্জিত হওয়া উচিত।’’
কমেডিয়ান আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় হ্যাশ ট্যাগ ব্যবহার করে লিখেছেন, ‘#নতুনভারতে, স্বাগতম। একজন চিকিৎসক আরেকজন চিকিৎসকের কাছে তাঁর বাড়ি বিক্রি করেছেন... এর জন্য কেন প্রতিবাদ বা উত্তেজনার সৃষ্টি হবে?’
তবে অধ্যাপক আইজাজ আশাবাদী, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন আসবে। তিনি বলেন, ‘হিন্দু ধর্ম, বহু সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে তৈরি। বেশিরভাগ মানুষই জানেন, ঘৃণা তাঁদের ধর্মের বিরুদ্ধে। এটাই আমাদের আশার জায়গা।’
ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা, বিশেষত মুসলিমরা বহু বছর ধরে বৈষম্যের শিকার। বিজেপি শাসনামলে এ ধরনের ঘটনা আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থাগুলোর। মোরাদাবাদের এই ঘটনাটি কেবল একটি বাড়ি বিক্রি নয়, বরং ভারতে বাড়তে থাকা ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার একটি জ্বলন্ত উদাহরণ, যা সংবিধানের মৌলিক মূল্যবোধকেও চ্যালেঞ্জ করে।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর চব্বিশ পরগনায় তিন বাংলাদেশি নাগরিককে সম্প্রতি আটক করে পরে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা এবং অপরজন বাংলাদেশ পুলিশের এসপি পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
২৮ মিনিট আগেচীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের অনুরোধেই এই আলোচনা হয়েছে। তবে এর বেশি বিস্তারিত তথ্য জানায়নি তারা। হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
৩৫ মিনিট আগেভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র এবং সাবেক বিজেডি সাংসদ ও সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী পিনাকী মিশ্র জার্মানিতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার এনডিটিভি সহ ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে এই খবর জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেসিমলা চুক্তি প্রসঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর (এফও) জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনো দ্বিপক্ষীয় চুক্তি বাতিলের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
২ ঘণ্টা আগে