অনলাইন ডেস্ক
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে পাল্টা অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন, সেটির নাম রাখা হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। সরকারি সূত্রের বরাতে প্রথম ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই এই তথ্য প্রকাশ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’ রাখার পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ও আবেগঘন প্রতীকী তাৎপর্য। হিন্দু বিবাহিত নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর বা লাল গুঁড়া ব্যবহার করেন। এটি তাঁদের বৈবাহিক জীবনের প্রতীক। পেহেলগামে সেই নৃশংস হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যাঁদের অনেকে ছিলেন স্বামী ও পিতা। মৃত্যুর সময় তাঁদের চোখের সামনে স্ত্রীরা ও সন্তানেরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এই অভিযানের নাম তাই ‘সিন্দুর’ রাখা হয়েছে, যেন এর মাধ্যমে প্রত্যেক শহীদের স্ত্রীর নিঃশব্দ আর্তনাদকে শ্রদ্ধা জানানো যায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী যে চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে বড় অক্ষরে লেখা ‘OPERATION SINDOOR’। এর মধ্যে ‘O’ অক্ষরটি আঁকা হয়েছে ‘সিঁদুরের’ পাত্রের মতো করে, যার কিছুটা গড়িয়ে পড়েছে। এটি যেন পেহেলগাম হামলার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে এতসংখ্যক নারীর ‘সিঁদুর’ মুছে গেছে।
চিত্রটির নিচে ক্যাপশন লেখা ছিল, ‘বিচার সম্পন্ন হয়েছে। জয় হিন্দ।’
অভিযোগ আছে, পেহেলগাম হামলায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, ধর্ম জিজ্ঞাসা করে হত্যা করা হয় প্রকাশ্যে, পরিবারের সামনেই।
একটি ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, নববিবাহিত হিমাংশি নারওয়াল বসে রয়েছেন তাঁর নিহত স্বামী, ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের মরদেহের পাশে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্জুনাথ রাওয়ের স্ত্রী পল্লবী, যিনি আগের দিন শিকারা ভ্রমণের সময় হাসিমুখে ভিডিও করেছিলেন, পরদিন চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন। কারণ, তাঁর স্বামীকেও গুলি করা হয়েছিল।
শৈলেশ কালাথিয়ার স্ত্রী শীতল, বিতান অধিকারীর স্ত্রী সাহিনী, শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী ঐশান্য, সন্তোষ জাগদালের স্ত্রী প্রগতি—প্রত্যেক স্ত্রীর কান্না যেন গোটা দেশকে কাঁদিয়েছে।
এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার। ঐশান্য বলেছেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উনার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, তিনি সেই বিশ্বাস রাখলেন। এটাই আমার স্বামীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। যেখানে তিনি (স্বামী) আছেন, সেখানে নিশ্চয়ই শান্তি পেয়েছেন আজ।’
পুনেতে কৌশিক গনবোটের স্ত্রী সংগীতা বলেছেন, ‘এই অপারেশনের নাম দিয়ে সরকার আমাদের মতো স্বামীহারা নারীদের সম্মান জানিয়েছে। আমি সেই দিনটি ভুলতে পারি না। প্রতিদিন কাঁদি। আমরা অপেক্ষা করছিলাম, মোদিজি কখন জবাব দেবেন, আজ তিনি দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।’
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে পাল্টা অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন, সেটির নাম রাখা হয় ‘অপারেশন সিন্দুর’। সরকারি সূত্রের বরাতে প্রথম ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই এই তথ্য প্রকাশ করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যমতে, অভিযানের নাম ‘অপারেশন সিন্দুর’ রাখার পেছনে রয়েছে সাংস্কৃতিক ও আবেগঘন প্রতীকী তাৎপর্য। হিন্দু বিবাহিত নারীরা সিঁথিতে সিঁদুর বা লাল গুঁড়া ব্যবহার করেন। এটি তাঁদের বৈবাহিক জীবনের প্রতীক। পেহেলগামে সেই নৃশংস হামলায় ২৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, যাঁদের অনেকে ছিলেন স্বামী ও পিতা। মৃত্যুর সময় তাঁদের চোখের সামনে স্ত্রীরা ও সন্তানেরা দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এই অভিযানের নাম তাই ‘সিন্দুর’ রাখা হয়েছে, যেন এর মাধ্যমে প্রত্যেক শহীদের স্ত্রীর নিঃশব্দ আর্তনাদকে শ্রদ্ধা জানানো যায়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী যে চিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে বড় অক্ষরে লেখা ‘OPERATION SINDOOR’। এর মধ্যে ‘O’ অক্ষরটি আঁকা হয়েছে ‘সিঁদুরের’ পাত্রের মতো করে, যার কিছুটা গড়িয়ে পড়েছে। এটি যেন পেহেলগাম হামলার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেখানে এতসংখ্যক নারীর ‘সিঁদুর’ মুছে গেছে।
চিত্রটির নিচে ক্যাপশন লেখা ছিল, ‘বিচার সম্পন্ন হয়েছে। জয় হিন্দ।’
অভিযোগ আছে, পেহেলগাম হামলায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়, ধর্ম জিজ্ঞাসা করে হত্যা করা হয় প্রকাশ্যে, পরিবারের সামনেই।
একটি ভাইরাল ছবিতে দেখা যায়, নববিবাহিত হিমাংশি নারওয়াল বসে রয়েছেন তাঁর নিহত স্বামী, ভারতীয় নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বিনয় নারওয়ালের মরদেহের পাশে।
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মঞ্জুনাথ রাওয়ের স্ত্রী পল্লবী, যিনি আগের দিন শিকারা ভ্রমণের সময় হাসিমুখে ভিডিও করেছিলেন, পরদিন চিৎকার করে সাহায্য চাইছেন। কারণ, তাঁর স্বামীকেও গুলি করা হয়েছিল।
শৈলেশ কালাথিয়ার স্ত্রী শীতল, বিতান অধিকারীর স্ত্রী সাহিনী, শুভম দ্বিবেদীর স্ত্রী ঐশান্য, সন্তোষ জাগদালের স্ত্রী প্রগতি—প্রত্যেক স্ত্রীর কান্না যেন গোটা দেশকে কাঁদিয়েছে।
এই অভিযানে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নিহত ব্যক্তিদের পরিবার। ঐশান্য বলেছেন, ‘আমার স্বামীর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী মোদিকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা উনার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম, তিনি সেই বিশ্বাস রাখলেন। এটাই আমার স্বামীর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা। যেখানে তিনি (স্বামী) আছেন, সেখানে নিশ্চয়ই শান্তি পেয়েছেন আজ।’
পুনেতে কৌশিক গনবোটের স্ত্রী সংগীতা বলেছেন, ‘এই অপারেশনের নাম দিয়ে সরকার আমাদের মতো স্বামীহারা নারীদের সম্মান জানিয়েছে। আমি সেই দিনটি ভুলতে পারি না। প্রতিদিন কাঁদি। আমরা অপেক্ষা করছিলাম, মোদিজি কখন জবাব দেবেন, আজ তিনি দিয়েছেন। সন্ত্রাসবাদীদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে।’
ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় একটি বিমান বা বড় আকারের ড্রোন ভেঙে পড়েছে। গতকাল বুধবার ভোরে পাম্পোর শহরের কাছে বিধ্বস্ত হয় এটি। তবে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ভারতের যে পাঁচটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করার কথা বলা হয়েছে; এটি সেগুলোর মধ্যে একটি কি না, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
৪ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালানোর পর জাতীয় পর্যায়ে বৃহৎ নাগরিক প্রতিরক্ষা মহড়া ‘অপারেশন অভ্যাস’ শুরু করেছে ভারত। বুধবার (৭ মে) ভারতের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একযোগে অনুষ্ঠিত হয় এই মহড়া। মহড়াগুলোতে বিমান হামলা ও অগ্নিকাণ্ডের সময় নাগরিকদের উদ্ধার অভিযান শেখানো হয়।
৬ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পাকিস্তানকে দায়ী করে দেশটির বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত। বুধবার (৭ মে) মধ্যরাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত এই পাল্টা হামলা চালানো হয় পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু কাশ্মীর অঞ্চলে।
৬ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ভারতকে তার ‘ভুলের খেসারত’ দিতেই হবে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সামরিক বাহিনী মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শত্রুকে নতজানু করেছে...
৭ ঘণ্টা আগে