
ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় ৬ হাজার রুপির কম। আর তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই জরিপে দেখা গেছে, তফসিলি জাতিগোষ্ঠীর মাত্র ৫.৭৬ শতাংশ একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছে। সবার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বেড়েছে নয় শতাংশ; ২০১৭-১৮ জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের প্রতিবেদনে যা ছয় শতাংশ ছিল।
২১৫ তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর চালানো এই প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিধানসভায় পেশ করা হয়।
বিহার সরকার যাদব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অভিযোগের মধ্যে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হলো। যদিও উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী উভয়েই এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
এই সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ের তথ্য গত মাসে প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, বিহারের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অনগ্রসর বা অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির। এদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি থেকে এসেছে।
অর্থনৈতিক তথ্য
বিহার সরকারের রিপোর্টের সামগ্রিক তথ্য উদ্বেগজনক। এতে বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত পরিবারের ৩৪ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬ হাজার রুপি আয় করে। ২৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ১০ হাজার বা তার কম রুপিতে দিনাতিপাত করে। এ ছাড়া প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপিতে সংসার চালায়। মাত্র চার শতাংশেরও কম নাগরিক প্রতি মাসে ৫০ হাজারের বেশি রুপি আয় করে।
প্রতিবেদনে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে রাজ্যের মোট ১৩ দশমিক ১ কোটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি প্রান্তিক ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ।
সামগ্রিকভাবে, তফসিলি জাতি থেকে ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ পরিবার এবং তফসিলি উপজাতি থেকে ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ পরিবারকে দারিদ্র্যপীড়িত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অনগ্রসর এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে এই সংখ্যা ৩৩ দশমিক ১৬ এবং ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যান্য জাতিগুলোর সব পরিবারের ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ দরিদ্র।
সাধারণ শ্রেণির পরিবারগুলোর মাত্র ২৫ দশমিক ০৯ শতাংশ দরিদ্র হিসাবে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে, ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ ভূমিহার, ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ব্রাহ্মণ এবং ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ রাজপুতদের দরিদ্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিহারের জনসংখ্যার ৭ দশমিক ১১ শতাংশ ব্রাহ্মণ ও রাজপুত। ভূমিহাররা ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ যাদব। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও এই সম্প্রদায়ের। এই অর্থনৈতিক শ্রেণিতে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৩২ শতাংশ কুশওয়াহা এবং ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ কুর্মিরা।
যাদবরা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। তাঁরা ভারতের তফসিলি আদার ব্যাকওয়ার্ড কম্যুনিটি বা ওবিসি উপগোষ্ঠীর মধ্য বৃহত্তম, যেখানে এই উপগোষ্ঠীর অন্যান্যদের মোট সংখ্যা মোটের আট শতাংশের কিছু বেশি।
গড়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে জনগোষ্ঠী (ইবিসি) পরিবারগুলোর ৩০ শতাংশেরও বেশি দরিদ্র। এদের মধ্যে তেলিসদের সংখ্যা ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কানুস, ৩৪ দশমিক ০৮ চন্দ্রবংশী, ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধানুক এবং ৩৫ দশমিক ৮৮ ননিয়ারা রয়েছে।
বিহারে সাক্ষরতার হার
সংসদবিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরীর মতে, রাজ্যে সামগ্রিক সাক্ষরতার হার ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমীক্ষায় মহিলাদের সাক্ষরতার হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্য ৯৫৩ জন সাক্ষর দিতে পারে, যেখানে ২০১১ সালে এই সংখ্যা ৯১৮ জন ছিল।
উত্তরদাতাদের মাত্র ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তবে তফসিলি জাতিদের ক্ষেত্রে এই হার ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণিগুলোর ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে সাধারণদের মধ্যে এই হার মাত্র ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সমীক্ষায় তফসিলি জাতির মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সামগ্রিকভাবে এটি নয় শতাংশে উন্নতি হয়েছে।
বিহারের অগাস্টের সমীক্ষার পর থেকে দেশব্যাপী বর্ণশুমারির দাবি ওঠে। এই মাসে পাঁচটি রাজ্য যথা ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মিজোরামের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কারণে বিষয়টি রাজনৈতিক আলাপে পরিণত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপি অতীতে এই দাবি মেনে নিতে নারাজ ছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সপ্তাহে সেই নীতিতো মোড়ের আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দল কখনোই এর বিরোধিতা করেনি তবে যথাযথ সময়েই একটি জরিপ করবে।
বিহারের সমীক্ষার প্রথমাংশ প্রকাশের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যপ্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে ‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভক্ত করার’ অভিযোগ তুলেছিলেন।
কংগ্রেস তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দলটি এই মাসের নির্বাচনে জয়ী রাজ্যগুলোতে একটি সমীক্ষা করবে। রাহুল গান্ধী বলেছেন, দলটি পরের বছর জিতলে এই সমীক্ষা জাতীয় পর্যায়েও অনুষ্ঠিত হবে।

ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের মাসিক আয় ৬ হাজার রুপির কম। আর তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ওই জরিপে দেখা গেছে, তফসিলি জাতিগোষ্ঠীর মাত্র ৫.৭৬ শতাংশ একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পেরেছে। সবার ক্ষেত্রে এই সংখ্যা বেড়েছে নয় শতাংশ; ২০১৭-১৮ জাতীয় পরিসংখ্যান অফিসের প্রতিবেদনে যা ছয় শতাংশ ছিল।
২১৫ তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণি এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির অর্থনৈতিক অবস্থার ওপর চালানো এই প্রতিবেদন আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিধানসভায় পেশ করা হয়।
বিহার সরকার যাদব এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা বৃদ্ধি করেছে বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের অভিযোগের মধ্যে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হলো। যদিও উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী উভয়েই এই দাবি অস্বীকার করেছেন।
এই সমীক্ষার প্রথম পর্যায়ের তথ্য গত মাসে প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায়, বিহারের ৬০ শতাংশেরও বেশি মানুষ অনগ্রসর বা অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির। এদের মধ্যে ২০ শতাংশের বেশি তফসিলি জাতি বা তফসিলি উপজাতি থেকে এসেছে।
অর্থনৈতিক তথ্য
বিহার সরকারের রিপোর্টের সামগ্রিক তথ্য উদ্বেগজনক। এতে বলা হয়েছে, রাজ্যের সমস্ত পরিবারের ৩৪ দশমিক ১৩ শতাংশ প্রতি মাসে সর্বোচ্চ ৬ হাজার রুপি আয় করে। ২৯ দশমিক ৬১ শতাংশ ১০ হাজার বা তার কম রুপিতে দিনাতিপাত করে। এ ছাড়া প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার রুপিতে সংসার চালায়। মাত্র চার শতাংশেরও কম নাগরিক প্রতি মাসে ৫০ হাজারের বেশি রুপি আয় করে।
প্রতিবেদনে একটি ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে রাজ্যের মোট ১৩ দশমিক ১ কোটি জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৮০ শতাংশের বেশি প্রান্তিক ও অনগ্রসর শ্রেণির মানুষ।
সামগ্রিকভাবে, তফসিলি জাতি থেকে ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ পরিবার এবং তফসিলি উপজাতি থেকে ৪২ দশমিক ৭০ শতাংশ পরিবারকে দারিদ্র্যপীড়িত হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। অনগ্রসর এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে এই সংখ্যা ৩৩ দশমিক ১৬ এবং ৩৩ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অন্যান্য জাতিগুলোর সব পরিবারের ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ দরিদ্র।
সাধারণ শ্রেণির পরিবারগুলোর মাত্র ২৫ দশমিক ০৯ শতাংশ দরিদ্র হিসাবে তালিকাভুক্ত। এর মধ্যে, ২৫ দশমিক ৩২ শতাংশ ভূমিহার, ২৫ দশমিক ৩ শতাংশ ব্রাহ্মণ এবং ২৪ দশমিক ৮৯ শতাংশ রাজপুতদের দরিদ্র হিসাবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। বিহারের জনসংখ্যার ৭ দশমিক ১১ শতাংশ ব্রাহ্মণ ও রাজপুত। ভূমিহাররা ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ।
অনগ্রসর শ্রেণির মধ্যে ৩৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ যাদব। উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও এই সম্প্রদায়ের। এই অর্থনৈতিক শ্রেণিতে রয়েছে ৩৪ দশমিক ৩২ শতাংশ কুশওয়াহা এবং ২৯ দশমিক ৯ শতাংশ কুর্মিরা।
যাদবরা জনসংখ্যার ১৪ দশমিক ২৬ শতাংশ। তাঁরা ভারতের তফসিলি আদার ব্যাকওয়ার্ড কম্যুনিটি বা ওবিসি উপগোষ্ঠীর মধ্য বৃহত্তম, যেখানে এই উপগোষ্ঠীর অন্যান্যদের মোট সংখ্যা মোটের আট শতাংশের কিছু বেশি।
গড়ে অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে জনগোষ্ঠী (ইবিসি) পরিবারগুলোর ৩০ শতাংশেরও বেশি দরিদ্র। এদের মধ্যে তেলিসদের সংখ্যা ২৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৯৯ শতাংশ কানুস, ৩৪ দশমিক ০৮ চন্দ্রবংশী, ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ধানুক এবং ৩৫ দশমিক ৮৮ ননিয়ারা রয়েছে।
বিহারে সাক্ষরতার হার
সংসদবিষয়ক মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরীর মতে, রাজ্যে সামগ্রিক সাক্ষরতার হার ৭৯ দশমিক ৭ শতাংশ। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমীক্ষায় মহিলাদের সাক্ষরতার হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। প্রতি ১ হাজার নারীর মধ্য ৯৫৩ জন সাক্ষর দিতে পারে, যেখানে ২০১১ সালে এই সংখ্যা ৯১৮ জন ছিল।
উত্তরদাতাদের মাত্র ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। তবে তফসিলি জাতিদের ক্ষেত্রে এই হার ২৪ দশমিক ৩১ শতাংশ এবং অত্যন্ত অনগ্রসর শ্রেণিগুলোর ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ বেড়েছে। সামগ্রিকভাবে সাধারণদের মধ্যে এই হার মাত্র ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
সমীক্ষায় তফসিলি জাতির মধ্যে মাত্র ৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। সামগ্রিকভাবে এটি নয় শতাংশে উন্নতি হয়েছে।
বিহারের অগাস্টের সমীক্ষার পর থেকে দেশব্যাপী বর্ণশুমারির দাবি ওঠে। এই মাসে পাঁচটি রাজ্য যথা ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মিজোরামের নির্বাচন ও ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের কারণে বিষয়টি রাজনৈতিক আলাপে পরিণত হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপি অতীতে এই দাবি মেনে নিতে নারাজ ছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই সপ্তাহে সেই নীতিতো মোড়ের আভাস দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর দল কখনোই এর বিরোধিতা করেনি তবে যথাযথ সময়েই একটি জরিপ করবে।
বিহারের সমীক্ষার প্রথমাংশ প্রকাশের পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যপ্রদেশের একটি অনুষ্ঠানে ‘জাতপাতের নামে দেশকে বিভক্ত করার’ অভিযোগ তুলেছিলেন।
কংগ্রেস তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে। দলটি এই মাসের নির্বাচনে জয়ী রাজ্যগুলোতে একটি সমীক্ষা করবে। রাহুল গান্ধী বলেছেন, দলটি পরের বছর জিতলে এই সমীক্ষা জাতীয় পর্যায়েও অনুষ্ঠিত হবে।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের আয় ৬ হাজার রুপির কম। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
০৭ নভেম্বর ২০২৩
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের আয় ৬ হাজার রুপির কম। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
০৭ নভেম্বর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের আয় ৬ হাজার রুপির কম। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
০৭ নভেম্বর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ভারতের বিহারে এক তৃতীয়াংশ বা ৩৪ শতাংশ পরিবারের আয় ৬ হাজার রুপির কম। তফসিলি জাতি এবং তফসিলি উপজাতি পরিবারের ৪২ শতাংশ দারিদ্র্য সীমার মধ্যে বাস করে। বিহার সরকারের জাতি-ভিত্তিক তথ্যের দ্বিতীয় পর্যায়ে সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
০৭ নভেম্বর ২০২৩
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে