
যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্ত।
আবিদা সুলতান ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোপালের (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) মুসলিম শাসক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবিদা ছিলেন সাহসী ‘বেগমদের’ উত্তরসূরি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আবিদার পরিবার ভোপাল শাসন করেছে। তিনি সাধারণ নারী, বিশেষত মুসলিম নারীদের ঘিরে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে অস্বীকার করে এ ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
আবিদা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময়, মুসলিম ও কিছু হিন্দু নারীদের মধ্যে নিজেকে ঢেকে রাখা ও পুরুষদের থেকে আলাদা থাকার নিয়ম ছিল। ছোটবেলা থেকেই আবিদা ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর দাদি তাঁকে পর্দার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি বিদ্রোহ করেন। তাঁর সাহস আর বাবার উদার মানসিকতার কারণে তিনি আর কখনোই পর্দা মেনে চলেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
কয়েক দশক ধরে তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া শানসভার সামলেছেন। তিনি তাঁর শাসনামলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তারও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি।
আবিদা ছোটবেলা থেকেই যেন শাসকের হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর দাদি কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ সুলতান জাহান—যিনি নিজেও ভোপালের শাসক ছিলেন—তাঁকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত আবিদা সুলতান তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোয়ার্স অব আ রেবেল প্রিন্সেসে’—উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁকে ভোর ৪টায় উঠে কোরআন পড়তে হতো। এরপর খেলাধুলা, সংগীত ও ঘোড়দৌড় শেখার পাশাপাশি ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও টয়লেট পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হতো।

নিজের শৈশব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবিদা সুলতান বলেন, ‘আমরা মেয়েরা কখনোই লিঙ্গের কারণে নিজেদের নিম্নতর ভাবতে শিখিনি। সবকিছুতেই সমতা ছিল। ছেলেদের মতোই আমাদের সব স্বাধীনতা ছিল, আমরা ঘোড়ায় চড়তে পারতাম, গাছে উঠতে পারতাম, যেকোনো খেলাধুলা করতে পারতাম। কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’
ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিদা ১২ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কুরওয়াইয়ের শাসক ও শৈশবের বন্ধু সরওয়ার আলী খানকে সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতার কথাও আত্মজীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি।
আবিদ তাঁর বইতে লিখেন, একদিন তিনি যখন তাঁর চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে বালিশ লড়াইয়ে মেতেছিলেন। এ সময় তাঁর দাদি ঘরে ঢুকে তাঁকে একটি বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলেন। কিন্তু কেউই তাকে জানায়নি যে, বিয়েটা তাঁর নিজেরই। আবিদা লিখেন, ‘কেউ আমাকে (বিয়ের জন্য) সাজিয়ে-গুছিয়ে দেয়নি বা কীভাবে আচরণ করতে হবে তাও শেখায়নি। ফলে আমি বিয়ে আসরে ঢুকেছিলাম সেখানে জড়সড় হয়ে থাকা নারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, মুখ খোলা রেখে এবং বরাবরের মতোই গোমড়া মুখে।’
ভোপালের এই রাজকন্যার বিয়েটি খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল—এক দশকেরও কম। তাঁর বৈবাহিক জীবন ছিল কঠিন। বিষয়টি কেবল তাঁর কম বয়সের জন্য নয়, বরং তাঁর স্বামীর পরিবারের কঠোর, ধর্মীয় পরিবেশের জন্যও। আবিদা অকপটে স্বীকার করেছেন, যৌনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব ও অস্বস্তি তাঁর দাম্পত্য জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আবিদা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি দাম্পত্য যন্ত্রণার জগতে প্রবেশ করি। আমি বুঝতে পারিনি যে, বিয়ের রাতের ঘটনাগুলো আমাকে এতটা আতঙ্কিত, অসাড় ও অপবিত্র অনুভব করাবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।’ এর ফলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরে।

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের আত্মজীবনীমূলক লেখায় অন্তরঙ্গতা ও যৌনতা নিয়ে এক গবেষণায় ঐতিহাসিক শিভন ল্যামবার্ট-হার্লি দেখিয়েছেন, যৌনতা নিয়ে আবিদার অকপট বর্ণনা সেই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দেয় যে, মুসলিম নারীরা যৌনতা নিয়ে লেখেন না। আবিদার লেখা বরং একটি নির্ভীক এক নারীর চরিত্রকেই উপস্থাপন করেছে।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবিদা শ্বশুরবাড়ি কুরওয়াই ছেড়ে ভোপালে ফিরে আসেন। তবে একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ খানে অভিভাবকত্ব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই দীর্ঘ বিরোধে বিরক্ত হয়ে এবং ছেলেকে হারাতে না চেয়ে—আবিদা তাঁর স্বামীকে নিবৃত্ত করতে সাহসী এক পদক্ষেপ নেন। ১৯৩৫ সালের মার্চের এক উষ্ণ রাতে, আবিদা তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কুরওয়াইয়ে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তাঁর স্বামীর শোয়ার ঘরে ঢুকে একটি রিভলবার বের করে স্বামীর কোলে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হয় আমাকে গুলি করো, না হলে আমি তোমাকে গুলি করব।’
সেদিন আবিদা তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং জয়ী হন। এরপর, তিনি নিজ সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন ছেলেকে লালনপালন করেন। আবিদা সুলতান ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ভোপালের মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেন। এরপর ভোপাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে একীভূত হয়।
আবিদা ব্রিটিশ সরকারের আহ্বানে ভারত শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহরু এবং তাঁর ছেলে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সহিংসতাও প্রত্যক্ষ করেন।
নিজের স্মৃতিকথায় আবিদা বর্ণনা করেন, কীভাবে ভোপালে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পদে পদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁর পরিবার ভোপালে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা শুরু হয় ভারত ভাগের পর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়কার একটি বিশেষত ভয়াবহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।
একদিন ভারত সরকার তাঁকে জানায়, মুসলিম শরণার্থীদের একটি ট্রেন ভোপালে পৌঁছাবে। ট্রেনটির যাত্রীদের দেখভাল করতে তিনি স্টেশনে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কামরাগুলো খুলতেই দেখা গেল, সবাই মৃত।’ এ ধরনের সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসই তাঁকে ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করে।
আবিদা চুপিসারে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল ছাড়েন, ভালো একটি ভবিষ্যতের আশায়। পাকিস্তানেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করেন। ২০০২ সালে করাচিতে তার মৃত্যু হয়।
আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাঁর বোনকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে। ভোপালে আজও আবিদা তাঁর ডাকনাম ‘বিয়া হুজুর’ নামে পরিচিত। ভোপালের নারী শাসকদের নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক শামস উর রহমান আলভি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধর্মীয় রাজনীতি তাঁর ঐতিহ্যকে ম্রিয়মাণ করেছে, তাঁকে নিয়ে তেমন কথা হয় না। কিন্তু তাঁর নাম এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্ত।
আবিদা সুলতান ১৯১৩ সালে ব্রিটিশ ভারতের উত্তর প্রদেশে ভোপালের (বর্তমানে মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত) মুসলিম শাসক পরিবারে জন্ম নেওয়া আবিদা ছিলেন সাহসী ‘বেগমদের’ উত্তরসূরি। এক শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে আবিদার পরিবার ভোপাল শাসন করেছে। তিনি সাধারণ নারী, বিশেষত মুসলিম নারীদের ঘিরে প্রচলিত ধ্যানধারণাকে অস্বীকার করে এ ঐতিহ্য বজায় রেখেছিলেন।
আবিদা পর্দাপ্রথার বিরোধিতা করেছিলেন। সে সময়, মুসলিম ও কিছু হিন্দু নারীদের মধ্যে নিজেকে ঢেকে রাখা ও পুরুষদের থেকে আলাদা থাকার নিয়ম ছিল। ছোটবেলা থেকেই আবিদা ছিলেন সাহসী ও স্বাধীনচেতা। ১৩ বছর বয়সে তাঁর দাদি তাঁকে পর্দার মধ্যে থাকতে বাধ্য করতে চাইলে তিনি বিদ্রোহ করেন। তাঁর সাহস আর বাবার উদার মানসিকতার কারণে তিনি আর কখনোই পর্দা মেনে চলেননি। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হন।
কয়েক দশক ধরে তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া শানসভার সামলেছেন। তিনি তাঁর শাসনামলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেন। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর যে বিদ্বেষ ও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে তারও প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন তিনি।
আবিদা ছোটবেলা থেকেই যেন শাসকের হওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করেছিলেন। তাঁর দাদি কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ সুলতান জাহান—যিনি নিজেও ভোপালের শাসক ছিলেন—তাঁকে নিজ হাতে গড়ে তুলেছিলেন। ২০০৪ সালে প্রকাশিত আবিদা সুলতান তাঁর আত্মজীবনী ‘মেমোয়ার্স অব আ রেবেল প্রিন্সেসে’—উল্লেখ করেন, কীভাবে তাঁকে ভোর ৪টায় উঠে কোরআন পড়তে হতো। এরপর খেলাধুলা, সংগীত ও ঘোড়দৌড় শেখার পাশাপাশি ঘর ঝাড়ু দেওয়া ও টয়লেট পরিষ্কারের মতো কাজও করতে হতো।

নিজের শৈশব নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে আবিদা সুলতান বলেন, ‘আমরা মেয়েরা কখনোই লিঙ্গের কারণে নিজেদের নিম্নতর ভাবতে শিখিনি। সবকিছুতেই সমতা ছিল। ছেলেদের মতোই আমাদের সব স্বাধীনতা ছিল, আমরা ঘোড়ায় চড়তে পারতাম, গাছে উঠতে পারতাম, যেকোনো খেলাধুলা করতে পারতাম। কোনো বিধিনিষেধ ছিল না।’
ভোপালের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে আবিদা ১২ বছর বয়সে পার্শ্ববর্তী রাজ্য কুরওয়াইয়ের শাসক ও শৈশবের বন্ধু সরওয়ার আলী খানকে সঙ্গে বিয়ে করেন। বিয়ে নিয়ে নিজের মজার অভিজ্ঞতার কথাও আত্মজীবনীতে বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন তিনি।
আবিদ তাঁর বইতে লিখেন, একদিন তিনি যখন তাঁর চাচাতো ভাইবোনদের সঙ্গে বালিশ লড়াইয়ে মেতেছিলেন। এ সময় তাঁর দাদি ঘরে ঢুকে তাঁকে একটি বিয়ের জন্য তৈরি হতে বলেন। কিন্তু কেউই তাকে জানায়নি যে, বিয়েটা তাঁর নিজেরই। আবিদা লিখেন, ‘কেউ আমাকে (বিয়ের জন্য) সাজিয়ে-গুছিয়ে দেয়নি বা কীভাবে আচরণ করতে হবে তাও শেখায়নি। ফলে আমি বিয়ে আসরে ঢুকেছিলাম সেখানে জড়সড় হয়ে থাকা নারীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে, মুখ খোলা রেখে এবং বরাবরের মতোই গোমড়া মুখে।’
ভোপালের এই রাজকন্যার বিয়েটি খুবই কম সময় স্থায়ী হয়েছিল—এক দশকেরও কম। তাঁর বৈবাহিক জীবন ছিল কঠিন। বিষয়টি কেবল তাঁর কম বয়সের জন্য নয়, বরং তাঁর স্বামীর পরিবারের কঠোর, ধর্মীয় পরিবেশের জন্যও। আবিদা অকপটে স্বীকার করেছেন, যৌনতা নিয়ে জ্ঞানের অভাব ও অস্বস্তি তাঁর দাম্পত্য জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল।
আবিদা তাঁর বইয়ে লিখেছেন, ‘বিয়ের পরপরই আমি দাম্পত্য যন্ত্রণার জগতে প্রবেশ করি। আমি বুঝতে পারিনি যে, বিয়ের রাতের ঘটনাগুলো আমাকে এতটা আতঙ্কিত, অসাড় ও অপবিত্র অনুভব করাবে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ককে আমি কখনোই মেনে নিতে পারিনি।’ এর ফলে তাঁর দাম্পত্য জীবনে ভাঙন ধরে।

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম নারীদের আত্মজীবনীমূলক লেখায় অন্তরঙ্গতা ও যৌনতা নিয়ে এক গবেষণায় ঐতিহাসিক শিভন ল্যামবার্ট-হার্লি দেখিয়েছেন, যৌনতা নিয়ে আবিদার অকপট বর্ণনা সেই প্রচলিত ধারণা ভেঙে দেয় যে, মুসলিম নারীরা যৌনতা নিয়ে লেখেন না। আবিদার লেখা বরং একটি নির্ভীক এক নারীর চরিত্রকেই উপস্থাপন করেছে।
বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর আবিদা শ্বশুরবাড়ি কুরওয়াই ছেড়ে ভোপালে ফিরে আসেন। তবে একমাত্র সন্তান শাহরিয়ার মোহাম্মদ খানে অভিভাবকত্ব নিয়ে স্বামীর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এই দীর্ঘ বিরোধে বিরক্ত হয়ে এবং ছেলেকে হারাতে না চেয়ে—আবিদা তাঁর স্বামীকে নিবৃত্ত করতে সাহসী এক পদক্ষেপ নেন। ১৯৩৫ সালের মার্চের এক উষ্ণ রাতে, আবিদা তিন ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে কুরওয়াইয়ে স্বামীর বাড়িতে পৌঁছান। সেখানে তাঁর স্বামীর শোয়ার ঘরে ঢুকে একটি রিভলবার বের করে স্বামীর কোলে ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘হয় আমাকে গুলি করো, না হলে আমি তোমাকে গুলি করব।’
সেদিন আবিদা তাঁর স্বামীর সঙ্গে হাতাহাতি লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েন এবং জয়ী হন। এরপর, তিনি নিজ সন্তানকে নিয়ে ফিরে আসেন ছেলেকে লালনপালন করেন। আবিদা সুলতান ১৯৩৫ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ভোপালের মন্ত্রিসভা পরিচালনা করেন। এরপর ভোপাল ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের সঙ্গে একীভূত হয়।
আবিদা ব্রিটিশ সরকারের আহ্বানে ভারত শাসনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকগুলোতে অংশ নেন। সেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহরু এবং তাঁর ছেলে জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হিন্দু-মুসলিম সম্পর্কের অবনতি এবং ১৯৪৭ সালের দেশভাগ পরবর্তী সহিংসতাও প্রত্যক্ষ করেন।
নিজের স্মৃতিকথায় আবিদা বর্ণনা করেন, কীভাবে ভোপালে তিনি বৈষম্যের শিকার হয়েছেন পদে পদে। শতাব্দীর পর শতাব্দী তাঁর পরিবার ভোপালে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করলেও তাদের ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা শুরু হয় ভারত ভাগের পর। এক সাক্ষাৎকারে তিনি হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার সময়কার একটি বিশেষত ভয়াবহ স্মৃতির কথা উল্লেখ করেন।
একদিন ভারত সরকার তাঁকে জানায়, মুসলিম শরণার্থীদের একটি ট্রেন ভোপালে পৌঁছাবে। ট্রেনটির যাত্রীদের দেখভাল করতে তিনি স্টেশনে যান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কামরাগুলো খুলতেই দেখা গেল, সবাই মৃত।’ এ ধরনের সহিংসতা এবং সাম্প্রদায়িক অবিশ্বাসই তাঁকে ১৯৫০ সালে পাকিস্তানে চলে যেতে বাধ্য করে।
আবিদা চুপিসারে তাঁর ছেলেকে নিয়ে ভোপাল ছাড়েন, ভালো একটি ভবিষ্যতের আশায়। পাকিস্তানেও তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন এবং গণতন্ত্র এবং নারীর অধিকারের পক্ষে কাজ করেন। ২০০২ সালে করাচিতে তার মৃত্যু হয়।
আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর ভারত সরকার তাঁর বোনকে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করে। ভোপালে আজও আবিদা তাঁর ডাকনাম ‘বিয়া হুজুর’ নামে পরিচিত। ভোপালের নারী শাসকদের নিয়ে গবেষণা করা সাংবাদিক শামস উর রহমান আলভি বলেন, ‘গত কয়েক বছরের ধর্মীয় রাজনীতি তাঁর ঐতিহ্যকে ম্রিয়মাণ করেছে, তাঁকে নিয়ে তেমন কথা হয় না। কিন্তু তাঁর নাম এত সহজে ভুলে যাওয়ার মতো নয়।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
২ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেএএফপি, কায়রো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের নিয়ে গঠিত অস্থায়ী এই কমিটি আরব দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সহায়তায় কাজ করবে। যুদ্ধবিধ্বস্ত উপত্যকায় যেন প্রশাসনিক কোনো শূন্যতা না থাকে, সে জন্য অবিলম্বে কাজ শুরু করবে তারা।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলনের সামনে আসা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ অবস্থানের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সব গোষ্ঠীকে নিয়ে একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বানের প্রস্তাব এসেছে। ওই সম্মেলনে জাতীয় কৌশল নির্ধারণ এবং ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থার (পিএলও) পুনরুজ্জীবনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপ নিয়ে কায়রোতে হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। উভয় পক্ষ আগামী দিনগুলোতেও বৈঠক চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েলি চাপ মোকাবিলা করে অভ্যন্তরীণ ঐক্য জোরদারে কাজ করবে।
এই আলোচনার সমান্তরালে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান হাসান রাশাদ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এর মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদ, পিএলওর অন্তর্ভুক্ত ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইনের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে হামাস ও ফাতাহ যুদ্ধ-পরবর্তী গাজা যৌথভাবে পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে রাজি হয়েছিল। তবে ফাতাহর অনেক নেতা তখন সেই চুক্তির সমালোচনা করেন। এখন ট্রাম্প-সমর্থিত প্রস্তাব ঘিরে নতুন করে আশার আলো দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার মুখে দীর্ঘদিন থেকে হামাস বলে আসছে, যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তারা আর সরাসরি উপত্যকার শাসনকাজ পরিচালনায় আগ্রহী নয়। তবে পশ্চিমাদের দাবি অনুযায়ী নিজেদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে দলটি। তারা বলছে, একমাত্র স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠিত হলেই তাদের যোদ্ধারা অস্ত্র সমর্পণ করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে অস্ত্র সমর্পণের পর তাঁদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করা হবে।
এদিকে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরাতে পাঁচ হাজার সদস্যের একটি বাহিনী গঠনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পরিকল্পনায় নতুন করে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এ বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হতে তুরস্কের আগ্রহ থাকলেও তাতে আপত্তি জানিয়েছে ইসরায়েল। তাদের আপত্তির মুখে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, এই বহুজাতিক বাহিনীর জাতীয়তা নিয়ে ইসরায়েলের স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করা একটি আবশ্যকীয় শর্ত।
ইসরায়েলের অভিযোগ, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মুসলিম ব্রাদারহুড ও হামাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় ঘনিষ্ঠ। ফলে গাজায় স্থিতিশীলতা ফেরানোর বাহিনী থেকে তুরস্ককে অবশ্যই বাদ দিতে হবে। অন্যদিকে এই বাহিনীতে তুরস্কের উপস্থিতি চায় হামাস।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
২ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে কুমো বলেন, ‘জোহরান মামদানি পতিতাবৃত্তিকে বৈধ করার জন্য প্রস্তাবিত আইনের উদ্যোক্তা। এই আইন পাস হলে সমাজের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষ আরও শোষণের শিকার হবেন এবং মানব পাচারকারীরা, গ্যাং সদস্যরা ও সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র আরও শক্তিশালী হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গভর্নর হিসেবে আমি এই বিলের বিরুদ্ধে বহু বছর লড়াই করেছি।’
কুমো অভিযোগ করেন, নিউইয়র্ক সিটি এরই মধ্যে কুইন্সে ‘মার্কেট অব সুইটহার্টস’-এর মতো এলাকাগুলোতে পতিতাবৃত্তি, অপরাধ ও সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এই আইন পাস হলে শহরের প্রতিটি কোণে আবারও পতিতাবৃত্তি শুরু হবে।
তিনি বলেন, ‘এটি জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। তবে মামদানির অতীত কর্মকাণ্ড বিবেচনায় এটি আশ্চর্যের কিছু নয়। তিনি এনওয়াইপিডির অর্থায়ন কমানোর পক্ষে ছিলেন, এমনকি পুলিশ যেন গার্হস্থ্য পারিবারিক সহিংসতার ঘটনায় হস্তক্ষেপ না করতে পারে, সেটিরও পক্ষপাতী ছিলেন। তিনি পুলিশকে বর্ণবাদী, সমকামবিরোধী এবং জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।’
কুমো বলেন, ‘মামদানি যে ডেমোক্রেটিক সোশ্যালিস্টস অব আমেরিকার সদস্য, এই সংগঠনও একই নীতির সমর্থক।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমার কথা মনে রাখুন, বাস্তব জগতে এই আইন পাস হলে বিপদের দরজা খুলে যাবে। মামদানি হয়তো নিউইয়র্ক সিটির পুরোনো অন্ধকার সময়টা মনে রাখেন না, যখন টাইমস স্কয়ার ছিল অপরাধপ্রবণ, পতিতাবৃত্তির কেন্দ্র এবং মানুষ জানত, কোন এলাকাগুলো এড়িয়ে চলতে হবে। আমরা সেই সময়ের ভয়াবহতা জানি এবং কেউই সেই যুগে ফিরে যেতে চায় না।’
কুমো বলেন, ‘আমাদের আরও বেশি করে সাহায্য করতে হবে সেই মানুষদের, যাঁরা জোরপূর্বক বা শোষণের শিকার হয়ে পতিতাবৃত্তিতে জড়িত হয়েছেন। নিউইয়র্ককে মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে—তাদের জন্য পথ সহজ করা নয়।’

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) আদালত অভিযুক্ত দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে (২৭) দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন। মামলার নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ২০২২ সালে ১২ বছর বয়সী লোলা দাভিয়েকে নির্মমভাবে নির্যাতনের পর হত্যা করেছিলেন দাহবিয়া বেঙ্কিরেদ। এই ঘটনা সে সময় পুরো ফ্রান্সকে নাড়িয়ে দিয়েছিল এবং বেঙ্কিরেদের অবৈধ অভিবাসী পরিচয় ঘিরে দেশটিতে তীব্র অভিবাসনবিরোধী ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
দাহবিয়া বেঙ্কিরেদকে গ্রেপ্তার করা হয় লোলা নিখোঁজ হওয়ার পর। এরপর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায় প্যারিসের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের লবিতে রাখা ট্রাঙ্কে। ওই ভবনেই কেয়ারটেকারের কাজ করতেন লোলার বাবা-মা।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারক বলেন, ‘অপরাধটি ছিল অতি নিষ্ঠুর ও নৃশংস। এটি প্রকৃত অর্থে একধরনের নির্যাতন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ও অবর্ণনীয় পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী ও তার পরিবার যে মানসিক আঘাত পেয়েছে, আদালত তা বিবেচনায় নিয়েছে।’
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রায় ঘোষণার আগে যুক্তি দেন, বেঙ্কিরেদের অপরাধের ‘চরম ভয়াবহতা’ ও ‘অমানবিক নিষ্ঠুরতা’ বিবেচনায় তার জন্য ‘যাবজ্জীবন’ শাস্তিই প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত, ফরাসি দণ্ডবিধির অধীনে যাবজ্জীবন দেশটিতে সর্বোচ্চ সাজা এবং এতে কোনো শর্তে মুক্তি বা শাস্তি কমানোর সুযোগ থাকে না।
তদন্তে জানা গেছে, বেঙ্কিরেদ ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর লোলাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন।
বিচার চলাকালে বেঙ্কিরেদ আদালতে নিজের অপরাধের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি, তা ভয়াবহ।’ তবে তিনজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তাঁর মধ্যে ‘মনস্তাত্ত্বিকভাবে বিপজ্জনক বা সাইকোপ্যাথিক প্রবণতা’ রয়েছে এবং তাঁর মানসিক অবস্থাকে চিকিৎসার মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়।
ঘটনার পর ফ্রান্সের রক্ষণশীল ও অতি ডানপন্থী রাজনীতিকেরা কড়া অভিবাসন আইনের দাবি তুলেছেন। কারণ বেঙ্কিরেদ স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও ফ্রান্সে অবস্থান করছিলেন এবং দেশ ছাড়ার নির্দেশনা মানেননি। তবে নিহত লোলার মা রাজনীতিবিদদের অনুরোধ করেছেন, যেন তাঁরা তাঁর মেয়ের মৃত্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার না করেন।
প্রসঙ্গত, ফ্রান্সে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত বিরল। এর আগে এমন সাজা পেয়েছিলেন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার মিশেল ফুরনিরে এবং ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার অন্যতম অভিযুক্ত সালাহ আবদেসলেম। ওই হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৩০ জন।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
২ ঘণ্টা আগে
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

মহারাষ্ট্রে ভয়াবহ ঘটনা ঘটিয়েছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে দুই বছরের যমজ কন্যাসন্তানের গলা কেটে হত্যা করেছেন ওয়াসিম জেলার এক বাসিন্দা। পরে নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি পুলিশের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের নাম রাহুল চাভান। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ভ্রমণে বের হয়েছিলেন চাভান। পথে স্ত্রীর সঙ্গে তুমুল বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁর। ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রী রাগ করে বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
স্ত্রী চলে যাওয়ার পর রাহুল একাই দুই মেয়েকে নিয়ে রওনা দেন। পথে বুলধানা জেলার আঞ্চারওয়াড়ি এলাকার একটি জঙ্গলে গাড়ি থামিয়ে দুই শিশুকে সেখানে নিয়ে যান। পরে নির্মমভাবে তাদের গলা কেটে হত্যা করেন।
ঘটনার পর রাহুল সরাসরি ওয়াসিম থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন এবং দুই মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, হত্যার পর রাহুল প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে মরদেহে আগুন ধরানোর চেষ্টা করেছিলেন। আংশিকভাবে দগ্ধ অবস্থায় দুই শিশুর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
তবে বুলধানা জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দগ্ধ হওয়ার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি ফরেনসিক পরীক্ষা ও ময়নাতদন্তের পর স্পষ্ট হবে।
ওয়াসিম জেলার ডিএসপি মনীষা কদম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের নমুনা সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে।

যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে—এই প্রবাদের এক অনন্য উদাহরণ ভোপালের রাজকন্যা আবিদা সুলতান। তিনি ছোট বেলা থেকেই ছিলেন একেবারেই ভিন্নধর্মী এক রাজকন্যা। তিনি ছোট চুল রাখতেন, বাঘ শিকার করতেন এবং দুর্দান্ত পোলো খেলতেন। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই নিজেই রোলস রয়েস গাড়ি চালাতেন, ওড়াতেন বিমানও। তলোয়ারবাজিতেও ছিলে দুর্দান্
২৫ নভেম্বর ২০২৪
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার শাসনভার হস্তান্তরে সম্মত হয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। গাজায় সক্রিয় অন্য সংগঠনগুলোও কায়রো বৈঠকের এই সমঝোতার বিষয়ে একমত হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর ও মেয়র পদপ্রার্থী অ্যান্ড্রু এম. কুমো আসন্ন নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী জোহরান মামদানির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন। তিনি দাবি করেছেন, মামদানি বহু বছর ধরে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দেওয়ার আইন প্রণয়নের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। কুমোর মতে এটি ‘অত্যন্ত বিপজ্জনক উদ্যোগ’।
২ ঘণ্টা আগে
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার দায়ে অভিযুক্ত এক আলজেরীয় নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফ্রান্সের একটি আদালত। দেশটিতে এই প্রথম কোনো নারীকে এমন সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হলো।
২ ঘণ্টা আগে