রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যেন এক স্থায়ী নাম হয়ে গিয়েছিল। একটানা ৭০ বছরের শাসনামলে তো তা-ই হওয়ার কথা। এই দীর্ঘ সময়ে একমাত্র সিংহাসনে বসে থাকা ব্যক্তিটি ধ্রুব ছিলেন। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য দেখেছে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর শাসন, যার শুরুটি হয়েছিল উইনস্টন চার্চিলের মধ্য দিয়ে। শেষ হলো গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাসের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে।
ব্রিটেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যান। ১৯৫২ সালের জুনে সিংহাসনে আরোহণের পর ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এসে সেই শাসনের পর্দা নামল। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনেও আপাতত শেষ হলো রানির শাসন। কারণ রানির মৃত্যুতে সিংহাসনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরোহণ করছেন ৭৩ বছর বয়সী চার্লস। এই লম্বা সময়ে অনেক কিছুই দেখেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্রই কিছুদিন আগে গত জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের প্লাটিনাম জুবিলি উৎসব হলো। প্রায় এক বছর ধরে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা অসুস্থ রানি সেদিন শুধু বাকিংহাম প্রাসাদের বারান্দায় এসে একবার দেখা দিয়েছিলেন। পুরো উৎসবের অন্য আনুষ্ঠানিকতায় সামনে থেকে হাজির ছিলেন চার্লস।
বিশ্বের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চেয়ে দীর্ঘ সময় রাজত্ব করেছিলেন আর মাত্র একজন। তিনি হলেন থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল। তাঁর শাসনামল ছিল ৭০ বছর ১২৬ দিনের। চলতি বছরই দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসেন রানি। আর মাত্র কিছুদিন বাকি ছিল। তাহলেই সবাইকে টপকে তিনিই হতেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাজত্ব করা ব্যক্তি। অবশ্য ব্রিটেনের ইতিহাস তিনি নতুন করেই লিখেছেন বলা যায়। রানি ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ শাসনামলের সঙ্গে নিজের নামটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ খোদাই করে দিয়েছিলেন সেই ২০১৫ সালেই।
এই দীর্ঘ সময়ে কত কী দেখেছে বিশ্ব। শুরুতেই বলা হয়েছে, খোদ ব্রিটেনই দেখেছে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী। শুরুটা হয়েছিল উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে। লিজ ট্রাসে এসে যতি টানার আগে এই তালিকায় এসেছেন একে একে অ্যান্থনি এডেন, হ্যারল্ড ম্যাকমিলান, অ্যালেক ডগলাস-হোম, হ্যারল্ড উইলসন, অ্যাডওয়ার্ড হিথ, হ্যারল্ড উইলসন, জেমস কালাঘান, মার্গারেট থ্যাচার, জন মেজর, টনি ব্লেয়ার, গর্ডন ব্রাউন, ডেভিড ক্যামেরন, তেরিসা মে ও বরিস জনসন। কত উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিলেন তিনি।
এই দীর্ঘ সময়ে গোটা বিশ্ব দেখেছে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা এবং তার প্রশমন, দেখেছে দ্বিমেরু বিশ্বের একমেরু বিশ্বে পরিণত হওয়া, দেখেছে ইরাক যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আরব বসন্তের নামে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। আর সর্বশেষ ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান রেখেই তো রানি চলে গেলেন।
রানির এই শাসনামল এতটাই দীর্ঘ যে, ব্রিটেনের বহু মানুষ তাঁর এক জীবনে রানির ছবি ছাড়া কোনো ব্যাংকনোট দেখেনি, দেখেনি কোনো কয়েন বা যেকোনো ধরনের মুদ্রা। জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে রানি রেখে গেছেন এক গভীর ছাপ।
এই গোটা সময় ব্রিটিশ রাজপরিবার নানা কারণেই আলোচনায় এসেছে। কত ধরনের স্ক্যান্ডালের সাক্ষী হতে হয়েছে রানিকে। তিনি দেখেছেন চার্লস ও ডায়ানার বিয়ে এবং বিচ্ছেদ। তাঁকে দেখতে হয়েছে, ডায়নার মৃত্যু এবং তা নিয়ে গণমাধ্যমসহ শুধু ব্রিটেন নয়, গোটা বিশ্বে নানা আলোচনা। তাঁকে দেখতে হয়েছে নাতি প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নিয়ে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা। তাঁর সময়েই ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারি রাজরক্তবিহীন মেগানকে বিয়ে করে প্রাসাদ ছেড়েছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নামে গোটা ইউরোপকে যেমন এক ছাতার তলায় আসতে দেখেছেন, তেমনি দেখেছেন ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে এর বিচ্ছেদও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যা কিংবা মানুষের চাঁদে অবতরণের মতো দুনিয়া কাঁপানো কত শত ঘটনার সাক্ষী তিনি।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যেন এক স্থায়ী নাম হয়ে গিয়েছিল। একটানা ৭০ বছরের শাসনামলে তো তা-ই হওয়ার কথা। এই দীর্ঘ সময়ে একমাত্র সিংহাসনে বসে থাকা ব্যক্তিটি ধ্রুব ছিলেন। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য দেখেছে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রীর শাসন, যার শুরুটি হয়েছিল উইনস্টন চার্চিলের মধ্য দিয়ে। শেষ হলো গত মঙ্গলবার লিজ ট্রাসের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে।
ব্রিটেনের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ মারা যান। ১৯৫২ সালের জুনে সিংহাসনে আরোহণের পর ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর এসে সেই শাসনের পর্দা নামল। এর মধ্য দিয়ে ব্রিটেনেও আপাতত শেষ হলো রানির শাসন। কারণ রানির মৃত্যুতে সিংহাসনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরোহণ করছেন ৭৩ বছর বয়সী চার্লস। এই লম্বা সময়ে অনেক কিছুই দেখেছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাত্রই কিছুদিন আগে গত জুনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসন আরোহণের প্লাটিনাম জুবিলি উৎসব হলো। প্রায় এক বছর ধরে জনসমাবেশ এড়িয়ে চলা অসুস্থ রানি সেদিন শুধু বাকিংহাম প্রাসাদের বারান্দায় এসে একবার দেখা দিয়েছিলেন। পুরো উৎসবের অন্য আনুষ্ঠানিকতায় সামনে থেকে হাজির ছিলেন চার্লস।
বিশ্বের ইতিহাসে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের চেয়ে দীর্ঘ সময় রাজত্ব করেছিলেন আর মাত্র একজন। তিনি হলেন থাইল্যান্ডের রাজা ভূমিবল। তাঁর শাসনামল ছিল ৭০ বছর ১২৬ দিনের। চলতি বছরই দ্বিতীয় অবস্থানে চলে আসেন রানি। আর মাত্র কিছুদিন বাকি ছিল। তাহলেই সবাইকে টপকে তিনিই হতেন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় রাজত্ব করা ব্যক্তি। অবশ্য ব্রিটেনের ইতিহাস তিনি নতুন করেই লিখেছেন বলা যায়। রানি ভিক্টোরিয়াকে ছাড়িয়ে ব্রিটেনের সবচেয়ে দীর্ঘ শাসনামলের সঙ্গে নিজের নামটি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ খোদাই করে দিয়েছিলেন সেই ২০১৫ সালেই।
এই দীর্ঘ সময়ে কত কী দেখেছে বিশ্ব। শুরুতেই বলা হয়েছে, খোদ ব্রিটেনই দেখেছে ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী। শুরুটা হয়েছিল উইনস্টন চার্চিলকে দিয়ে। লিজ ট্রাসে এসে যতি টানার আগে এই তালিকায় এসেছেন একে একে অ্যান্থনি এডেন, হ্যারল্ড ম্যাকমিলান, অ্যালেক ডগলাস-হোম, হ্যারল্ড উইলসন, অ্যাডওয়ার্ড হিথ, হ্যারল্ড উইলসন, জেমস কালাঘান, মার্গারেট থ্যাচার, জন মেজর, টনি ব্লেয়ার, গর্ডন ব্রাউন, ডেভিড ক্যামেরন, তেরিসা মে ও বরিস জনসন। কত উত্থান-পতনের সাক্ষী ছিলেন তিনি।
এই দীর্ঘ সময়ে গোটা বিশ্ব দেখেছে স্নায়ুযুদ্ধের উত্তেজনা এবং তার প্রশমন, দেখেছে দ্বিমেরু বিশ্বের একমেরু বিশ্বে পরিণত হওয়া, দেখেছে ইরাক যুদ্ধ, উপসাগরীয় যুদ্ধ, ভিয়েতনাম যুদ্ধ, আরব বসন্তের নামে উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। আর সর্বশেষ ইউক্রেন যুদ্ধ চলমান রেখেই তো রানি চলে গেলেন।
রানির এই শাসনামল এতটাই দীর্ঘ যে, ব্রিটেনের বহু মানুষ তাঁর এক জীবনে রানির ছবি ছাড়া কোনো ব্যাংকনোট দেখেনি, দেখেনি কোনো কয়েন বা যেকোনো ধরনের মুদ্রা। জনপ্রিয় সংস্কৃতিতে রানি রেখে গেছেন এক গভীর ছাপ।
এই গোটা সময় ব্রিটিশ রাজপরিবার নানা কারণেই আলোচনায় এসেছে। কত ধরনের স্ক্যান্ডালের সাক্ষী হতে হয়েছে রানিকে। তিনি দেখেছেন চার্লস ও ডায়ানার বিয়ে এবং বিচ্ছেদ। তাঁকে দেখতে হয়েছে, ডায়নার মৃত্যু এবং তা নিয়ে গণমাধ্যমসহ শুধু ব্রিটেন নয়, গোটা বিশ্বে নানা আলোচনা। তাঁকে দেখতে হয়েছে নাতি প্রিন্স অ্যান্ড্রুকে নিয়ে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনা। তাঁর সময়েই ব্রিটিশ যুবরাজ হ্যারি রাজরক্তবিহীন মেগানকে বিয়ে করে প্রাসাদ ছেড়েছেন।
রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ইউরোপীয় ইউনিয়নের নামে গোটা ইউরোপকে যেমন এক ছাতার তলায় আসতে দেখেছেন, তেমনি দেখেছেন ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে এর বিচ্ছেদও। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি হত্যা কিংবা মানুষের চাঁদে অবতরণের মতো দুনিয়া কাঁপানো কত শত ঘটনার সাক্ষী তিনি।
প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল প্রায় চার বছরের পুরোনো একটি মামলায় ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন তথা সিসিআই-এর সঙ্গে নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভির বাজারে গুগল অনৈতিক ও প্রতিযোগিতাবিরোধী ব্যবসায়িক চর্চা করছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নিষ্পত্তি হয়েছে। গুগল,
২ মিনিট আগেভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
৩৮ মিনিট আগে২০১৩ সালে, ৩৪ বছর বয়সে থর পেডারসেন এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্তটি শুধু ব্যতিক্রম নয়, এক কঠিন সংকল্পও বটে। কারণ তিনি কোনো উড়োজাহাজে না চড়েই পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ঘুরে দেখার পণ করেন। প্রায় এক দশকের ব্যবধানে এভাবেই পৃথিবীর ২০৩টি দেশ ঘুরে ফেলেছেন পেডারসেন।
২ ঘণ্টা আগেপেরুর আদি জাতি কুকামা সম্প্রদায়ের কাছে মারানিওন নদী শুধু পানির উৎস নয়, বরং এক পবিত্র আত্মিক সত্তা। প্রায় ৯০০ মাইল বা ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই নদী আন্দিজ পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়ে আমাজনে মিশেছে। কিন্তু গত কয়েক দশক ধরে এটি মারাত্মকভাবে তেল দূষণের শিকার হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে