অনলাইন ডেস্ক
জর্জিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট্ট গ্রাম শোরভিলা। এই গ্রামের সব মানুষই ধনী ব্যবসায়ী বিদজিনা ইভানিশভিলিকে সম্মান করেন। এখানকার রাস্তা উন্নত, বাড়িগুলো সুন্দর পরিপাটি এবং সর্বত্রই ঝুলছে শাসক দল ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ (জিডি) এর নীল-হলুদ পতাকা। কারণ তাঁদের গর্বিত সন্তান বিদজিনা ইভানিশভিলি শুধু একজন বিলিয়নিয়ারই নন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও।
গত ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জর্জিয়ান ড্রিম দলের প্রতিষ্ঠাতাও ইভানিশভিলি। ১৯৯০-এর দশকে তিনি রাশিয়ায় ব্যবসা করে বিপুল ধনী হয়ে যান এবং ২০০৩ সালে জর্জিয়ায় ফিরে আসেন।
তবে ইভানিশভিলির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি জর্জিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিবর্তে রাশিয়ার বলয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকেরা প্রায় সময়ই বলে থাকেন—তিনি দেশের উন্নতির জন্য কাজ করছেন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, শোরভিলায় কেউ নতুন বিয়ে করলে সেই নবদম্পতিকে ৩ হাজার ডলার উপহার হিসেবে দেন ইভানিশভিলি। সেখানে স্কুল, হাসপাতাল, গির্জা নির্মাণ ছাড়াও আরও অনেক উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
তবে বিরোধীরা বলছেন, দেশের রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন ইভানিশভিলি। তিনি এককভাবে দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
গত চার মাস ধরে জর্জিয়া জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ইভানিশভিলির প্রভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার মানুষেরাই এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তেমনই একজন তামারা আর্ভেলাদজে। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী প্রায় প্রতিদিনই রাজধানী তিবলিসিতে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তামারা বলেন, ‘দেশটি এখন এমন একজন ধনী ব্যক্তির স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, যার রাশিয়ান এজেন্ডা রয়েছে।’
সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন তামারা। পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করেছিল। তামারাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করার পাশাপাশি তাঁর প্রেমিকের লাইসেন্সও কেড়ে নেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ তামারা বলেন, ‘তিনি (ইভানিশভিলি) সবকিছুর মালিক, সব প্রতিষ্ঠান, সব সরকারি বাহিনী এবং সম্পদের মালিক। তিনি এই দেশকে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন এবং তিনি এই দেশকে এমনভাবে শাসন করছেন যেন এটি তার নিজের ব্যবসা।’
বিরোধীরা অভিযোগ করছে, ইভানিশভিলির নেতৃত্বাধীন সরকার জর্জিয়ার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। নির্বাচনে কারসাজি, বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। আইন পরিবর্তন করে পুলিশকে কঠোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে।
তবে ছোট্ট সেই গ্রাম শোরভিলার ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষক তেমুরি কাপানাদজে বলছেন, ‘রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই। কালকের শত্রু আজ বন্ধু হয়ে যেতে পারে।’ এই দৃষ্টিভঙ্গি অনেকেই সমর্থন করলেও, জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখন বেড়েই চলেছে।
জর্জিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট্ট গ্রাম শোরভিলা। এই গ্রামের সব মানুষই ধনী ব্যবসায়ী বিদজিনা ইভানিশভিলিকে সম্মান করেন। এখানকার রাস্তা উন্নত, বাড়িগুলো সুন্দর পরিপাটি এবং সর্বত্রই ঝুলছে শাসক দল ‘জর্জিয়ান ড্রিম’ (জিডি) এর নীল-হলুদ পতাকা। কারণ তাঁদের গর্বিত সন্তান বিদজিনা ইভানিশভিলি শুধু একজন বিলিয়নিয়ারই নন, তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীও।
গত ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা জর্জিয়ান ড্রিম দলের প্রতিষ্ঠাতাও ইভানিশভিলি। ১৯৯০-এর দশকে তিনি রাশিয়ায় ব্যবসা করে বিপুল ধনী হয়ে যান এবং ২০০৩ সালে জর্জিয়ায় ফিরে আসেন।
তবে ইভানিশভিলির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি জর্জিয়াকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পরিবর্তে রাশিয়ার বলয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তাঁর সমর্থকেরা প্রায় সময়ই বলে থাকেন—তিনি দেশের উন্নতির জন্য কাজ করছেন।
সোমবার এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, শোরভিলায় কেউ নতুন বিয়ে করলে সেই নবদম্পতিকে ৩ হাজার ডলার উপহার হিসেবে দেন ইভানিশভিলি। সেখানে স্কুল, হাসপাতাল, গির্জা নির্মাণ ছাড়াও আরও অনেক উন্নত সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন তিনি।
তবে বিরোধীরা বলছেন, দেশের রাজনীতিকে কুক্ষিগত করে রেখেছেন ইভানিশভিলি। তিনি এককভাবে দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
গত চার মাস ধরে জর্জিয়া জুড়ে বিক্ষোভ চলছে। ইভানিশভিলির প্রভাবের বিরুদ্ধে সোচ্চার মানুষেরাই এই বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তেমনই একজন তামারা আর্ভেলাদজে। ২৬ বছর বয়সী এই তরুণী প্রায় প্রতিদিনই রাজধানী তিবলিসিতে বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন। তামারা বলেন, ‘দেশটি এখন এমন একজন ধনী ব্যক্তির স্বার্থে পরিচালিত হচ্ছে, যার রাশিয়ান এজেন্ডা রয়েছে।’
সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে বিক্ষোভে অংশ নিতে যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিলেন তামারা। পুলিশ তাঁদের হেনস্থা করেছিল। তামারাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করার পাশাপাশি তাঁর প্রেমিকের লাইসেন্সও কেড়ে নেওয়া হয়। ক্ষুব্ধ তামারা বলেন, ‘তিনি (ইভানিশভিলি) সবকিছুর মালিক, সব প্রতিষ্ঠান, সব সরকারি বাহিনী এবং সম্পদের মালিক। তিনি এই দেশকে তার ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করেন এবং তিনি এই দেশকে এমনভাবে শাসন করছেন যেন এটি তার নিজের ব্যবসা।’
বিরোধীরা অভিযোগ করছে, ইভানিশভিলির নেতৃত্বাধীন সরকার জর্জিয়ার গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। নির্বাচনে কারসাজি, বিচারব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ এবং বিরোধীদের দমন করা হচ্ছে। আইন পরিবর্তন করে পুলিশকে কঠোর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর কেউ প্রতিবাদ করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যাপক জরিমানা আরোপ করা হচ্ছে।
তবে ছোট্ট সেই গ্রাম শোরভিলার ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষক তেমুরি কাপানাদজে বলছেন, ‘রাজনীতিতে চিরস্থায়ী বন্ধু বা শত্রু বলে কিছু নেই। কালকের শত্রু আজ বন্ধু হয়ে যেতে পারে।’ এই দৃষ্টিভঙ্গি অনেকেই সমর্থন করলেও, জর্জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা এখন বেড়েই চলেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সময় অনুযায়ী আজ মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ফোনে কথা বলেছেন। তাঁদের এই ফোনালাপ দেড় ঘণ্টা ধরে চলেছে। এই আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান এবং একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়ে দুই নেতা একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
২৬ মিনিট আগেরাশিয়ার তারুসা শহরের স্থানীয় পরিষদের সদস্য ইয়েভজেনি রুদেঙ্কো সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘তারুসার নারীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, যেন তারা রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে বেশি করে মিনি স্কার্ট পরেন, যেন রাশিয়ার জন্মহার বাড়ে।’
১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে টেলিফোন আলাপ শেষ হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেতিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) ৮০০ বিলিয়ন ইউরো ব্যয়ে একটি সামরিক শক্তি বৃদ্ধির কর্মসূচি পুনরায় চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডেনমার্কে সামরিক ক্যাডেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমাদের ২০৩০ সালের মধ্যে এমন একটি কার্যকর ইউরোপীয় যোগাযোগ নেটওয়ার্ক প্রয়োজন, যা সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত পরিবহনে সহায়ক হবে।
২ ঘণ্টা আগে