জিনাতুন নুর

পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন বিশ্বের খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিতে আজ শনিবার রোমের রাস্তায় ও ভ্যাটিকান সিটিতে আনুমানিক ৪ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারাও পোপ ফ্রান্সিসকে বিদায় জানাতে ভ্যাটিকানে মিলিত হয়েছিলেন।
শেষকৃত্যানুষ্ঠানের পর রোমের সড়ক বেয়ে এক বিষণ্ণ শোকযাত্রাসহ পোপ ফ্রান্সিসকে নিয়ে যাওয়া হয় চতুর্থ শতাব্দীর রোমান গির্জা সান্তা মারিয়া ম্যাজিওর বাসিলিকায়। শত বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম পোপ, যিনি প্রথা ভেঙে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার অর্থাৎ ভ্যাটিকানের চার দেয়ালের বাইরে সমাহিত হলেন। সাধারণত পোপদের ভ্যাটিকান সিটির ভেতরে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার নিচেই সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু ফ্রান্সিস নিজেই চেয়েছিলেন, যেন তাঁকে শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সেন্ট মেরি মেজর নামে পরিচিত 'বাসিলিকা দি সান্তা মারিয়া ম্যাজিওরে' ‘অনাড়ম্বর’ কবরে সমাহিত করা হয়।
২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগ পর্যন্ত নিজ দেশ আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস অঞ্চলের আর্চ বিশপ ছিলেন। তাঁর জন্য শোক জানাতে আর্জেন্টিনা ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে চার্চ, ক্যাথেড্রাল ও উন্মুক্ত স্থানে ভিড় করেন ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীরা।
কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে যথার্থই বলেছেন, ফ্রান্সিস মানুষের মধ্যে ‘দেয়াল নয়, সেতু নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন’। তিনি এমন একজন ছিলেন, যিনি সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন। আর তাইতো কোনো অন্য কোনো পোপকে শেষ বিদায় জানাতে এতো মানুষের জমায়েত হয়নি। ধনী-দরিদ্র, প্রভাবশালী ও প্রান্তিক— সবাই সমবেত হয়েছিলেন। এখন পরবর্তী পোপ বা ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন, সবার নজর থাকবে সেদিকে।
ইতালির রাজধানী রোমের ভেতরেই আরেকটি ব্যতিক্রমী রাষ্ট্র এই ভ্যাটিকান সিটি। এটি ক্যাথলিকতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীক, যা একইসঙ্গে বিশ্বের খ্রিস্টানদের গীর্জা ও রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। এই রাষ্ট্রের প্রধান হলেন পোপ, তিনি গীর্জারও প্রধান। ভ্যাটিকান সিটি যেমন বিশ্বের অন্যতম ছোট রাষ্ট্র, তেমনি এটি প্রাচীন ধর্মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রগুলোর মধ্যে সর্বশেষ। রাজতন্ত্র ও যাজকতন্ত্র একাকার হয়েও ধর্ম ও রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্যের অনন্য উদাহরণ এটি। ভ্যাটিক্যান সিটির রাজনৈতিক কাঠামো কীভাবে কাজ করে এবং পোপ কীভাবে নির্বাচিত হন, তাঁর ভূমিকা কী— এসব বিষয় জানতে ও জানাতেই আজকের এই নিবন্ধ।

এজার ভাটিকানুস ও পোপীয় রাষ্ট্র
ভ্যাটিকান সিটিতে চিরকালই পোপের শাসন ছিল না। এক সময় এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটির নামও ভ্যাটিকান ছিল না। আগে এই অঞ্চলকে এজার ভ্যাটিকানুস বলা হত। ভ্যাটিকান অবেলিস্ক (স্মৃতিস্তম্ভ) হিসেবে পরিচিত রোম সম্রাট নিরুর সার্কাস ছিল এখানকার আকর্ষণ। সেটাই ভ্যাটিকানের আধুনিক নগর রাষ্ট্রে একমাত্র অবশেষ।
যে এলাকাটিকে এখন সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার বলা হয়, সেখানে যীশু খ্রীষ্টের শিষ্য সেন্ট পিটার্সকে ক্রূশবিদ্ধ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। সম্রাট কন্সটান্টিনের সময় রোম খ্রিষ্টধর্মে রূপান্তরিত হলে সেন্ট পিটার্সের কথিত সমাধিস্থলের ওপর ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট পিটার্স র্গিজা গড়ে তোলা হয়। এই গির্জাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পোপতন্ত্রের রাষ্ট্র, পোপীয় রাষ্ট্রের প্রধান হন পোপ। তিনি একইসঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় শাসক।
৭৫৬ থেকে ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইতালীয় উপদ্বীপের বিশাল অংশজুড়ে ছিল এই পোপীয় রাষ্ট্র। প্রায় এক হাজার বছর ধরে রোমের বিপরীত দিকে এক রাজপ্রাসাদ ছিল পোপের বাসভবন ও কর্মস্থল। চতুর্দশ শতকে কিছু সময়ের জন্য ফ্রান্সের অ্যাভিনন থেকে শাসনকার্য পরিচালিত হতো। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে নবগঠিত ইতালীয় সাম্রাজ্য পোপীয় রাষ্ট্রকে দখল করে নেয় এবং ইতালীর নতুন রাজা পোপের শাসন খর্ব করে।
এভাবেই প্রায় ৬০ বছর ধরে ভ্যাটিকানের চার দেয়ালের মাঝে আটকে ছিল পোপতন্ত্র। তবে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। লাতেরান চুক্তির মাধ্যমে ইতালীর প্রধানমন্ত্রী বেনিতো মুসোলিনি ভ্যাটিকান সিটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর পোপতন্ত্র বিবর্তিত হলেও নগররাষ্ট্রটির শাসন হোলি সি বা পোপের অধীনেই রয়েছে। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র হিসেবে ভ্যাটিকানের যে গোড়াপত্তন শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত আছে।

ভ্যাটিকান সিটির প্রশাসন
ভ্যাটিকানের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ পোপ নামে পরিচিত রোমের বিশপের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এই নগর রাষ্ট্র ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তির শাসন হলেও হোলি সি কোনোভাবেই তার সমতুল্য নয়। সরকার, কার্ডিনাল, বিশপ ও পোপ নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানের পদবী হোলি সি। রাষ্ট্র ছাড়াও হোলি সি টিকে থাকতে পারে। এটিই একমাত্র সত্ত্বা যা ক্যাথলিক চার্চের সহস্রাব্দের বেশি সময়ের শাসনকাল ধরে টিকে ছিল।
ভ্যাটিকান নগর-রাষ্ট্র এমন এলাকা, যেখানে বসে হোলি সি প্রজাদের শাসন করতে পারে। আর প্রজা মানে সকল ক্যাথলিক ধর্মানুসারী। ভ্যাটিকানের প্রশাসন ও হোলি সি-উভয় ক্ষেত্রেই পোপের নিরূঙ্কুশ ক্ষমতা। তবে সকল রাজতন্ত্রের মতো পোপ প্রশাসনের সব বিষয়ে নাক গলান না। প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য সরকারের অন্যান্য সদস্যদের হাতেও ক্ষমতা অর্পণ করেন।
নির্বাহী ক্ষমতা, আইনসভা ও বিচারিক ক্ষমতার চর্চা ভ্যাটিকান সরকারে কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতেই। তবে তাত্ত্বিকভাবে হলেও এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রধান যাজক বা পোপের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। যদিও পোপের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতা পাওয়া রাষ্ট্রের প্রতিটি শাখার প্রধান ব্যাক্তিদের সঙ্গে আরও বেশ কিছু সদস্য কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
পোপ ও ভ্যাটিকানের নির্বাহী শাখা
ভ্যাটিকানের নিরূঙ্কুশ রাজা ও ধর্মীয় নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেন পোপ। বেশ কিছু নির্বাহী ক্ষমতা গভর্নরটের প্রেসিডেন্ট বা ভ্যাটিকান সরকারের প্রধানের কাছেও অর্পণ করা হয়। ভ্যাটিকানের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী পোপ। কিন্তু তিনি রোমান কিউরিয়া হিসেবে পরিচিত ক্যাথলিক গীর্জা বা হোলি সির গভর্নিং বডি মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষমতার প্রয়োগ করেন।
১৯৫২ সালে ভ্যাটিকান সিটির গর্ভনর পদের নাম বদলে ভ্যাটিকান গভর্নরটের প্রেসিডেন্ট নাম দেওয়া হয়। পোপের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী শাখার এই শীর্ষ নেতার হাতেই ভ্যাটিকান নগর-রাষ্ট্রের পরিচালনার ভার। তিনি পন্টিফিক্যাল বা যাজকীয় কমিশনেরও প্রধান। এই কমিশন ভ্যাটিকানের প্রধান আইন প্রণয়নকারী সংস্থা।
গভর্নরটের প্রেসিডেন্টকে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেন পোপ। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এই পদে আছেন সিস্টার রাফায়েলা পেত্রিনি। ভ্যাটিকানের ইতিহাসে এই পদে তিনিই প্রথম নারী। সরাসরি ভ্যাটিকান বা হোলি সির সঙ্গে সম্পর্কিত হোক বা না হোক-পোপ ও প্রেসিডেন্ট উভয়েরই রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। তবে উভয় দিকের নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সেখানে সিদ্ধান্ত হয়।

পোপ পদাধিকারবলে ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে রাজা নন, নির্বাচিত রাজা। মৃত্যু কিংবা অবসরের আগ পর্যন্ত পোপের পদ বহাল থাকে। কলেজ অব কার্ডিনালস বা পাপাল কনক্লেভ নামের ইলেক্টরাল বডি বা নির্বাচকমন্ডলী নতুন পোপ নির্বাচন করে থাকে। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক চার্চের পাদরীদের নিয়ে গঠিত এই ইলেক্টোরাল বডি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বে ২৬৩ জন কার্ডিনাল পাদরী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১২৪ জন কার্ডিনাল ইলেক্টর। তাঁরাই কনক্লেভে বা পোপ নির্বাচনের সভায় অংশ নিতে পারেন।
পোপ নির্বাচিত করার জন্য কার্ডিনালরা ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে বসেন। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে সিস্টিন চ্যাপেলে আটকে রাখা হয়। বাইরে থেকে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারের চিমনির ধোঁয়া দেখে নির্বাচন শেষ হয়েছে বোঝা যায়। ব্যালট পেপার পুড়িয়ে চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বের করা হয়। যখন নতুন পোপ নির্বাচিত হয়, তখন সাদা ধোঁয়া , তার আগ পর্যন্ত চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। ব্যালট পেপার পোড়ানোর কাজটি সকাল ও রাতে দুইবার করে করা হয়।

ভ্যাটিকানের আইন ব্যবস্থা
এককক্ষবিশিষ্ট পন্টিফিক্যাল কমিশন ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের জন্য আইন প্রণয়ন করে থাকে। সাতজন কার্ডিনালের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশন ভ্যাটিকান সিটি ও হলি সির জন্য নতুন আইন ও নীতির প্রস্তাব করে। কমিশনের প্রতিটি পদ পাঁচ বছর মেয়াদী হয়। কমিশনের প্রধান অর্থাৎ পন্টিফিক্যাল কমিশনের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের পাশাপাশি আইনসভার প্রধান হিসেবেও কাজ করেন।
নতুন আইন পাশ হলে সেটাকে সেক্রেটারিয়েট অব স্টেট বা পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদিত হতে হয়। সেক্রেটারিয়েট অব স্টেট হলো রোমান কিউরিয়ার প্রধান অঙ্গ। এটি হলি সির পক্ষে সকল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কাজ করে।
এই সেক্রেটারিয়েটের প্রধান একজন কার্ডিনাল, তাকে সেক্রেটারি অব স্টেট বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ডিকাস্ট্রি বা কিউরিয়ার সুনির্দিষ্ট তিনটি শাখা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে আছে সাধারণ বিভাগ, পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিভাগ ও কূটনৈতিক কর্মী বিভাগ। বর্তমান সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্র পারোলিন ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য সব আইন সেক্রেটারিয়েট অব স্টেটকে অনুমোদন করতে হয়। কারণ ক্যাথলিক গির্জার আইন এই রাষ্ট্রেরও আইন।
ভ্যাটিকান সিটির প্রশাসন পরিচালনার জন্য মৌলিক আইন আছে। ২০০০ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল এই দেওয়ানি আইন জারি করার পাশাপাশি ভ্যাটিকানের নতুন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সকল আইন বাতিল করেন। ১৮৮৯ সালের ইতালীয় মৌলিক আইনের উপর ভিত্তি করেই ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাটিকান সিটির দন্ডবিধি আইন ও দেওয়ানি আইন কার্যকর ছিল। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে এবং অর্থ পাচার ও যৌন র্নিযাতনের মতো অপরাধের আধুনিক শাস্তি অন্তর্ভূক্ত করতে পোপ ফ্রান্সিস এসে আইন সংশোধন করেন।

আগে প্যাস্টর বোনাস নামে পরিচিত ঐশী সংবিধান অনুযায়ী রোমান কিউরিয়া ও ক্যাথলিক চার্চের শাসন পরিচালিত হয়। পোপকে বিশ্বব্যাপী র্চাচ পরিচালনায় সাহায্য করতে এই সংবিধান অনুযায়ী বিধি ও আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০২২ সালে সেটি পরিবর্তন করে প্রেডিকেট ইভাঞ্জেলিয়ামকে (প্রিচ দ্য গসপেল) ভ্যাটিকানের ঐশী সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করেন পোপ ফ্রান্সিস। এছাড়াও ২০০৮ সালের পর ভ্যাটিকান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইতালীয় সরকারের আইন গ্রহণ করেনি। বরং ইতালিতে যখনই নতুন কোনো আইন প্রর্বতিত হয় তখন ভ্যাটিকান এটি র্পযালোচনা করে এবং র্চাচের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যর্পূণ হলেই তা গ্রহণ করে। না হলে ভ্যাটিকান সে আইন বাস্তবায়ন প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে।
ভ্যাটিকানের বিচার ব্যবস্থা
ভ্যাটিকানের আইন প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ। একজন প্রেসিডেন্ট ও চারজন বিচারপতি নিয়ে ভ্যাটিকানের ট্রাইবুনালটি গঠিত। পোপ ফ্রান্সিস ২০২০ সালে একজন বিচারপতির সংখ্যা বাড়ান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাই করা অধ্যাপক ও বিচার বিভাগীয় র্কমর্কতারা ট্রাইবুনালের সদস্য হন। পোপ তাঁদের বাছাই করে নিয়োগ দিলেও তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করেন।
২০২০ সালের পোপ ফ্রান্সিসের সংস্কারের ফলে বিচারে সহায়তার জন্য রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করা হয়। ভ্যাটিকানের অন্যান্য বিভাগের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল ও আইন কর্মকর্তার জবাবদিহিতা শুধুমাত্র পোপের কাছে সীমাবদ্ধ।
এই আইন ভ্যাটিকানের বিচার আরও সহজ ও শক্তিশালী করে। এর ফলে আর্থিক ও ফৌজদারি অপরাধ আরও ভালোভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এই ধরনের অপরাধের বিচার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিধি ও পদ্ধতি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এতে মানসম্মত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানও আছে।
ভ্যাটিকানের আইনপ্রয়োগ করে নগর-রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী জেন্ডামেরি। এটি বেসামরিক বাহিনী হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স আর উচ্চতার বাধ্যবাধকতা আছে। এই বাহিনীর সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা করতে হয়। প্রায় ২০০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত এই ছোট বাহিনী অন্য যেকোনো দেশের সাধারণ পুলিশ বহিনীর মতোই কাজ করে। পাশাপাশি এরাই ভ্যাটিকানের সিমান্ত রক্ষা করে।
ভ্যাটিকানে অপরাধের হার কম। শুধু ভ্যাটিকান সিটিতে কারাগারের সংখ্যাও কম। তাই লাতেরান চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে ভ্যাটিকানের অপরাধীদের ইতালির কারাগারে রাখা হয়।
এক নজরে ভ্যাটিকান রাজনৈতিক কাঠামো
নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাটিকান সিটি নামে ছোট রাষ্ট্রের শাসক পোপ হলেন নির্বাচিত রাজা। এর সরকারের অভ্যন্তরীণ আরও বেশ কিছু বিষয় আছে, যেগুলো এটিকে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে— যেমন ভ্যাটিকান সিটি (রাষ্ট্র) ও হোলি সির (চার্চ) স্বতন্ত্র অস্তিত্ব।
ভ্যাটিকান বিশ্বব্যাপী চার্চের সরকার হিসেবে কাজ করলেও এটি এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কার্যকরী ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এর মধ্যে রয়েছে জনসেবা, বিচার বিভাগ ও বৈদেশিক সম্পর্ক।
মোটের উপর একটি ধর্মীয় ক্ষুদ্ররাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হয় ভ্যাটিকান হচ্ছে তার চমৎকার কেস স্টাডি। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সাথে মিশ্রিত ধর্মীয় রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায় ঐশ্বরিক ও অনন্য এক চিত্র তুলে ধরে।
লেখক: ইতিহাসে স্নাতকোত্তর, ইডেন কলেজ

পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন বিশ্বের খ্রিস্টানদের শীর্ষ ধর্মযাজক পোপ ফ্রান্সিস। তাঁর শেষকৃত্যে অংশ নিতে আজ শনিবার রোমের রাস্তায় ও ভ্যাটিকান সিটিতে আনুমানিক ৪ লাখ মানুষ সমবেত হয়েছিলেন। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিশ্বনেতারাও পোপ ফ্রান্সিসকে বিদায় জানাতে ভ্যাটিকানে মিলিত হয়েছিলেন।
শেষকৃত্যানুষ্ঠানের পর রোমের সড়ক বেয়ে এক বিষণ্ণ শোকযাত্রাসহ পোপ ফ্রান্সিসকে নিয়ে যাওয়া হয় চতুর্থ শতাব্দীর রোমান গির্জা সান্তা মারিয়া ম্যাজিওর বাসিলিকায়। শত বছরের মধ্যে তিনিই প্রথম পোপ, যিনি প্রথা ভেঙে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার অর্থাৎ ভ্যাটিকানের চার দেয়ালের বাইরে সমাহিত হলেন। সাধারণত পোপদের ভ্যাটিকান সিটির ভেতরে সেন্ট পিটার্স বাসিলিকার নিচেই সমাধিস্থ করা হয়। কিন্তু ফ্রান্সিস নিজেই চেয়েছিলেন, যেন তাঁকে শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত সেন্ট মেরি মেজর নামে পরিচিত 'বাসিলিকা দি সান্তা মারিয়া ম্যাজিওরে' ‘অনাড়ম্বর’ কবরে সমাহিত করা হয়।
২০১৩ সালে ফ্রান্সিস পোপ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার আগ পর্যন্ত নিজ দেশ আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেস অঞ্চলের আর্চ বিশপ ছিলেন। তাঁর জন্য শোক জানাতে আর্জেন্টিনা ছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়াসহ বিশ্বের নানা প্রান্তে চার্চ, ক্যাথেড্রাল ও উন্মুক্ত স্থানে ভিড় করেন ক্যাথলিক ধর্মাবলম্বীরা।
কার্ডিনাল জিওভান্নি বাতিস্তা রে যথার্থই বলেছেন, ফ্রান্সিস মানুষের মধ্যে ‘দেয়াল নয়, সেতু নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন’। তিনি এমন একজন ছিলেন, যিনি সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন। আর তাইতো কোনো অন্য কোনো পোপকে শেষ বিদায় জানাতে এতো মানুষের জমায়েত হয়নি। ধনী-দরিদ্র, প্রভাবশালী ও প্রান্তিক— সবাই সমবেত হয়েছিলেন। এখন পরবর্তী পোপ বা ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রপ্রধান কে হবেন, সবার নজর থাকবে সেদিকে।
ইতালির রাজধানী রোমের ভেতরেই আরেকটি ব্যতিক্রমী রাষ্ট্র এই ভ্যাটিকান সিটি। এটি ক্যাথলিকতন্ত্রের সর্বোচ্চ প্রতীক, যা একইসঙ্গে বিশ্বের খ্রিস্টানদের গীর্জা ও রাষ্ট্র হিসেবে ভূমিকা পালন করে থাকে। এই রাষ্ট্রের প্রধান হলেন পোপ, তিনি গীর্জারও প্রধান। ভ্যাটিকান সিটি যেমন বিশ্বের অন্যতম ছোট রাষ্ট্র, তেমনি এটি প্রাচীন ধর্মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রগুলোর মধ্যে সর্বশেষ। রাজতন্ত্র ও যাজকতন্ত্র একাকার হয়েও ধর্ম ও রাষ্ট্রের ক্ষমতার ভারসাম্যের অনন্য উদাহরণ এটি। ভ্যাটিক্যান সিটির রাজনৈতিক কাঠামো কীভাবে কাজ করে এবং পোপ কীভাবে নির্বাচিত হন, তাঁর ভূমিকা কী— এসব বিষয় জানতে ও জানাতেই আজকের এই নিবন্ধ।

এজার ভাটিকানুস ও পোপীয় রাষ্ট্র
ভ্যাটিকান সিটিতে চিরকালই পোপের শাসন ছিল না। এক সময় এই ক্ষুদ্র রাষ্ট্রটির নামও ভ্যাটিকান ছিল না। আগে এই অঞ্চলকে এজার ভ্যাটিকানুস বলা হত। ভ্যাটিকান অবেলিস্ক (স্মৃতিস্তম্ভ) হিসেবে পরিচিত রোম সম্রাট নিরুর সার্কাস ছিল এখানকার আকর্ষণ। সেটাই ভ্যাটিকানের আধুনিক নগর রাষ্ট্রে একমাত্র অবশেষ।
যে এলাকাটিকে এখন সেন্ট পিটার্স স্কোয়ার বলা হয়, সেখানে যীশু খ্রীষ্টের শিষ্য সেন্ট পিটার্সকে ক্রূশবিদ্ধ করা হয় বলে ধারণা করা হয়। সম্রাট কন্সটান্টিনের সময় রোম খ্রিষ্টধর্মে রূপান্তরিত হলে সেন্ট পিটার্সের কথিত সমাধিস্থলের ওপর ৩২৬ খ্রিষ্টাব্দে সেন্ট পিটার্স র্গিজা গড়ে তোলা হয়। এই গির্জাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে পোপতন্ত্রের রাষ্ট্র, পোপীয় রাষ্ট্রের প্রধান হন পোপ। তিনি একইসঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ ও ধর্মীয় শাসক।
৭৫৬ থেকে ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ইতালীয় উপদ্বীপের বিশাল অংশজুড়ে ছিল এই পোপীয় রাষ্ট্র। প্রায় এক হাজার বছর ধরে রোমের বিপরীত দিকে এক রাজপ্রাসাদ ছিল পোপের বাসভবন ও কর্মস্থল। চতুর্দশ শতকে কিছু সময়ের জন্য ফ্রান্সের অ্যাভিনন থেকে শাসনকার্য পরিচালিত হতো। ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দে নবগঠিত ইতালীয় সাম্রাজ্য পোপীয় রাষ্ট্রকে দখল করে নেয় এবং ইতালীর নতুন রাজা পোপের শাসন খর্ব করে।
এভাবেই প্রায় ৬০ বছর ধরে ভ্যাটিকানের চার দেয়ালের মাঝে আটকে ছিল পোপতন্ত্র। তবে ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দের পর পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে। লাতেরান চুক্তির মাধ্যমে ইতালীর প্রধানমন্ত্রী বেনিতো মুসোলিনি ভ্যাটিকান সিটিকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর পোপতন্ত্র বিবর্তিত হলেও নগররাষ্ট্রটির শাসন হোলি সি বা পোপের অধীনেই রয়েছে। নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র হিসেবে ভ্যাটিকানের যে গোড়াপত্তন শুরু হয়েছিল, তা এখনও অব্যাহত আছে।

ভ্যাটিকান সিটির প্রশাসন
ভ্যাটিকানের নির্বাহী বিভাগ, আইন বিভাগ ও বিচার বিভাগ পোপ নামে পরিচিত রোমের বিশপের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এই নগর রাষ্ট্র ধারাবাহিক পুনরাবৃত্তির শাসন হলেও হোলি সি কোনোভাবেই তার সমতুল্য নয়। সরকার, কার্ডিনাল, বিশপ ও পোপ নিয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠানের পদবী হোলি সি। রাষ্ট্র ছাড়াও হোলি সি টিকে থাকতে পারে। এটিই একমাত্র সত্ত্বা যা ক্যাথলিক চার্চের সহস্রাব্দের বেশি সময়ের শাসনকাল ধরে টিকে ছিল।
ভ্যাটিকান নগর-রাষ্ট্র এমন এলাকা, যেখানে বসে হোলি সি প্রজাদের শাসন করতে পারে। আর প্রজা মানে সকল ক্যাথলিক ধর্মানুসারী। ভ্যাটিকানের প্রশাসন ও হোলি সি-উভয় ক্ষেত্রেই পোপের নিরূঙ্কুশ ক্ষমতা। তবে সকল রাজতন্ত্রের মতো পোপ প্রশাসনের সব বিষয়ে নাক গলান না। প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য সরকারের অন্যান্য সদস্যদের হাতেও ক্ষমতা অর্পণ করেন।
নির্বাহী ক্ষমতা, আইনসভা ও বিচারিক ক্ষমতার চর্চা ভ্যাটিকান সরকারে কিছু প্রতিষ্ঠানের হাতেই। তবে তাত্ত্বিকভাবে হলেও এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রধান যাজক বা পোপের কাছে জবাবদিহি করতে হয়। যদিও পোপের প্রতিনিধি হিসেবে ক্ষমতা পাওয়া রাষ্ট্রের প্রতিটি শাখার প্রধান ব্যাক্তিদের সঙ্গে আরও বেশ কিছু সদস্য কিছুটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে।
পোপ ও ভ্যাটিকানের নির্বাহী শাখা
ভ্যাটিকানের নিরূঙ্কুশ রাজা ও ধর্মীয় নেতা হিসেবে ভূমিকা পালন করেন পোপ। বেশ কিছু নির্বাহী ক্ষমতা গভর্নরটের প্রেসিডেন্ট বা ভ্যাটিকান সরকারের প্রধানের কাছেও অর্পণ করা হয়। ভ্যাটিকানের সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী পোপ। কিন্তু তিনি রোমান কিউরিয়া হিসেবে পরিচিত ক্যাথলিক গীর্জা বা হোলি সির গভর্নিং বডি মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষমতার প্রয়োগ করেন।
১৯৫২ সালে ভ্যাটিকান সিটির গর্ভনর পদের নাম বদলে ভ্যাটিকান গভর্নরটের প্রেসিডেন্ট নাম দেওয়া হয়। পোপের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাহী শাখার এই শীর্ষ নেতার হাতেই ভ্যাটিকান নগর-রাষ্ট্রের পরিচালনার ভার। তিনি পন্টিফিক্যাল বা যাজকীয় কমিশনেরও প্রধান। এই কমিশন ভ্যাটিকানের প্রধান আইন প্রণয়নকারী সংস্থা।
গভর্নরটের প্রেসিডেন্টকে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য নির্বাচিত করেন পোপ। ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এই পদে আছেন সিস্টার রাফায়েলা পেত্রিনি। ভ্যাটিকানের ইতিহাসে এই পদে তিনিই প্রথম নারী। সরাসরি ভ্যাটিকান বা হোলি সির সঙ্গে সম্পর্কিত হোক বা না হোক-পোপ ও প্রেসিডেন্ট উভয়েরই রাষ্ট্রের সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে। তবে উভয় দিকের নির্বাহীদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতেই সেখানে সিদ্ধান্ত হয়।

পোপ পদাধিকারবলে ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের প্রধান হলেও তিনি উত্তরাধিকার সূত্রে রাজা নন, নির্বাচিত রাজা। মৃত্যু কিংবা অবসরের আগ পর্যন্ত পোপের পদ বহাল থাকে। কলেজ অব কার্ডিনালস বা পাপাল কনক্লেভ নামের ইলেক্টরাল বডি বা নির্বাচকমন্ডলী নতুন পোপ নির্বাচন করে থাকে। বিশ্বজুড়ে ক্যাথলিক চার্চের পাদরীদের নিয়ে গঠিত এই ইলেক্টোরাল বডি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্বে ২৬৩ জন কার্ডিনাল পাদরী ছিলেন, যাদের মধ্যে ১২৪ জন কার্ডিনাল ইলেক্টর। তাঁরাই কনক্লেভে বা পোপ নির্বাচনের সভায় অংশ নিতে পারেন।
পোপ নির্বাচিত করার জন্য কার্ডিনালরা ভ্যাটিকানের সিস্টিন চ্যাপেলে বসেন। দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া পর্যন্ত তাদেরকে সিস্টিন চ্যাপেলে আটকে রাখা হয়। বাইরে থেকে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারের চিমনির ধোঁয়া দেখে নির্বাচন শেষ হয়েছে বোঝা যায়। ব্যালট পেপার পুড়িয়ে চিমনি দিয়ে ধোঁয়া বের করা হয়। যখন নতুন পোপ নির্বাচিত হয়, তখন সাদা ধোঁয়া , তার আগ পর্যন্ত চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া বের হতে থাকে। ব্যালট পেপার পোড়ানোর কাজটি সকাল ও রাতে দুইবার করে করা হয়।

ভ্যাটিকানের আইন ব্যবস্থা
এককক্ষবিশিষ্ট পন্টিফিক্যাল কমিশন ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের জন্য আইন প্রণয়ন করে থাকে। সাতজন কার্ডিনালের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিশন ভ্যাটিকান সিটি ও হলি সির জন্য নতুন আইন ও নীতির প্রস্তাব করে। কমিশনের প্রতিটি পদ পাঁচ বছর মেয়াদী হয়। কমিশনের প্রধান অর্থাৎ পন্টিফিক্যাল কমিশনের প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধানের পাশাপাশি আইনসভার প্রধান হিসেবেও কাজ করেন।
নতুন আইন পাশ হলে সেটাকে সেক্রেটারিয়েট অব স্টেট বা পররাষ্ট্র দপ্তরের অনুমোদিত হতে হয়। সেক্রেটারিয়েট অব স্টেট হলো রোমান কিউরিয়ার প্রধান অঙ্গ। এটি হলি সির পক্ষে সকল রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক কাজ করে।
এই সেক্রেটারিয়েটের প্রধান একজন কার্ডিনাল, তাকে সেক্রেটারি অব স্টেট বা পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে গণ্য করা হয়। তিনি ডিকাস্ট্রি বা কিউরিয়ার সুনির্দিষ্ট তিনটি শাখা পরিচালনা করেন। এর মধ্যে আছে সাধারণ বিভাগ, পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিভাগ ও কূটনৈতিক কর্মী বিভাগ। বর্তমান সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েত্র পারোলিন ২০১৩ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করেছেন। ভ্যাটিকান নগর রাষ্ট্রের জন্য প্রযোজ্য সব আইন সেক্রেটারিয়েট অব স্টেটকে অনুমোদন করতে হয়। কারণ ক্যাথলিক গির্জার আইন এই রাষ্ট্রেরও আইন।
ভ্যাটিকান সিটির প্রশাসন পরিচালনার জন্য মৌলিক আইন আছে। ২০০০ সালে পোপ দ্বিতীয় জন পল এই দেওয়ানি আইন জারি করার পাশাপাশি ভ্যাটিকানের নতুন আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সকল আইন বাতিল করেন। ১৮৮৯ সালের ইতালীয় মৌলিক আইনের উপর ভিত্তি করেই ২০১৩ সাল পর্যন্ত ভ্যাটিকান সিটির দন্ডবিধি আইন ও দেওয়ানি আইন কার্যকর ছিল। জাতিসংঘের বেশ কয়েকটি চুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে এবং অর্থ পাচার ও যৌন র্নিযাতনের মতো অপরাধের আধুনিক শাস্তি অন্তর্ভূক্ত করতে পোপ ফ্রান্সিস এসে আইন সংশোধন করেন।

আগে প্যাস্টর বোনাস নামে পরিচিত ঐশী সংবিধান অনুযায়ী রোমান কিউরিয়া ও ক্যাথলিক চার্চের শাসন পরিচালিত হয়। পোপকে বিশ্বব্যাপী র্চাচ পরিচালনায় সাহায্য করতে এই সংবিধান অনুযায়ী বিধি ও আইন প্রণয়ন করা হয়। ২০২২ সালে সেটি পরিবর্তন করে প্রেডিকেট ইভাঞ্জেলিয়ামকে (প্রিচ দ্য গসপেল) ভ্যাটিকানের ঐশী সংবিধান হিসেবে গ্রহণ করেন পোপ ফ্রান্সিস। এছাড়াও ২০০৮ সালের পর ভ্যাটিকান স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইতালীয় সরকারের আইন গ্রহণ করেনি। বরং ইতালিতে যখনই নতুন কোনো আইন প্রর্বতিত হয় তখন ভ্যাটিকান এটি র্পযালোচনা করে এবং র্চাচের মূল্যবোধের সঙ্গে সামঞ্জস্যর্পূণ হলেই তা গ্রহণ করে। না হলে ভ্যাটিকান সে আইন বাস্তবায়ন প্রত্যাখ্যান করার অধিকার রাখে।
ভ্যাটিকানের বিচার ব্যবস্থা
ভ্যাটিকানের আইন প্রয়োগ করে বিচার বিভাগ। একজন প্রেসিডেন্ট ও চারজন বিচারপতি নিয়ে ভ্যাটিকানের ট্রাইবুনালটি গঠিত। পোপ ফ্রান্সিস ২০২০ সালে একজন বিচারপতির সংখ্যা বাড়ান। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাছাই করা অধ্যাপক ও বিচার বিভাগীয় র্কমর্কতারা ট্রাইবুনালের সদস্য হন। পোপ তাঁদের বাছাই করে নিয়োগ দিলেও তাঁরা স্বাধীনভাবে কাজ করেন।
২০২০ সালের পোপ ফ্রান্সিসের সংস্কারের ফলে বিচারে সহায়তার জন্য রাষ্ট্রের আইন কর্মকর্তার পদ সৃষ্টি করা হয়। ভ্যাটিকানের অন্যান্য বিভাগের হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত রাখার লক্ষ্যে ট্রাইব্যুনাল ও আইন কর্মকর্তার জবাবদিহিতা শুধুমাত্র পোপের কাছে সীমাবদ্ধ।
এই আইন ভ্যাটিকানের বিচার আরও সহজ ও শক্তিশালী করে। এর ফলে আর্থিক ও ফৌজদারি অপরাধ আরও ভালোভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এই ধরনের অপরাধের বিচার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিধি ও পদ্ধতি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এতে মানসম্মত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিধানও আছে।
ভ্যাটিকানের আইনপ্রয়োগ করে নগর-রাষ্ট্রের পুলিশ বাহিনী জেন্ডামেরি। এটি বেসামরিক বাহিনী হলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়স আর উচ্চতার বাধ্যবাধকতা আছে। এই বাহিনীর সদস্যদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্যাথলিক ধর্ম চর্চা করতে হয়। প্রায় ২০০ কর্মকর্তার সমন্বয়ে গঠিত এই ছোট বাহিনী অন্য যেকোনো দেশের সাধারণ পুলিশ বহিনীর মতোই কাজ করে। পাশাপাশি এরাই ভ্যাটিকানের সিমান্ত রক্ষা করে।
ভ্যাটিকানে অপরাধের হার কম। শুধু ভ্যাটিকান সিটিতে কারাগারের সংখ্যাও কম। তাই লাতেরান চুক্তির শর্তাবলী অনুসারে ভ্যাটিকানের অপরাধীদের ইতালির কারাগারে রাখা হয়।
এক নজরে ভ্যাটিকান রাজনৈতিক কাঠামো
নিয়ম অনুযায়ী ভ্যাটিকান সিটি নামে ছোট রাষ্ট্রের শাসক পোপ হলেন নির্বাচিত রাজা। এর সরকারের অভ্যন্তরীণ আরও বেশ কিছু বিষয় আছে, যেগুলো এটিকে কার্যকর ব্যবস্থা হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে— যেমন ভ্যাটিকান সিটি (রাষ্ট্র) ও হোলি সির (চার্চ) স্বতন্ত্র অস্তিত্ব।
ভ্যাটিকান বিশ্বব্যাপী চার্চের সরকার হিসেবে কাজ করলেও এটি এমন একটি রাষ্ট্র যেখানে কার্যকরী ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এর মধ্যে রয়েছে জনসেবা, বিচার বিভাগ ও বৈদেশিক সম্পর্ক।
মোটের উপর একটি ধর্মীয় ক্ষুদ্ররাষ্ট্র কীভাবে পরিচালিত হয় ভ্যাটিকান হচ্ছে তার চমৎকার কেস স্টাডি। একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রের সাথে মিশ্রিত ধর্মীয় রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার অতীত এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায় ঐশ্বরিক ও অনন্য এক চিত্র তুলে ধরে।
লেখক: ইতিহাসে স্নাতকোত্তর, ইডেন কলেজ

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক; এবং সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।
তিমোফ। ইউক্রেনের ৩৬ বছর বয়সী এক অফিস সহায়ক। তাঁর হাতে ও আঙুলে এখনো বেগুনি রঙের ছোট ছোট বেশ কিছু ক্ষত রয়ে গেছে। ছয় মাস আগে সে একটি সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে পালিয়ে আসে কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে। সে সময়ই হাতে এই ক্ষত তৈরি হয়। কিয়েভের এই যুবক জানান, গত এপ্রিলে তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি পরপর দুবার পালিয়ে এসেছেন।
তিমোফ বলেন, সত্যিকারের লড়াইয়ের জন্য তাঁর প্রশিক্ষণ কতখানি অকার্যকর, তা বুঝেই তিনি পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি বুঝতে পারেন, অনিবার্যভাবে তাঁকে ফ্রন্টলাইনের সৈন্য হতে হবে, যেখানে বেঁচে থাকার কোনো সুযোগ থাকবে না। তিমোফ বলেন, ‘কোনো প্রশিক্ষণই দেওয়া হয় না। আমি প্রথম আক্রমণেই মারা যাব, তাতে তাদের কিছু যায়-আসে না।’
তিনি দাবি করেন, তাঁর প্রশিক্ষকেরা বেশির ভাগ সময় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে যাতে কেউ পালাতে না পারে, সেই চিন্তায় মগ্ন থাকতেন। কেন্দ্রটি ছিল কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা একটি তিন মিটার প্রায় ১০ ফুট উঁচু কংক্রিটের দেয়াল দিয়ে সুরক্ষিত। তিমোফ বলেন, ‘একজন সৈনিক গুলি চালানো শিখল কি না, তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। তারা আমাকে একটি বন্দুক দিল, আমি লক্ষ্যের দিকে একটি গুলি ছুড়লাম, আর তারা আমার নামের পাশে একটি টিক চিহ্ন দিয়ে দিল।’ ব্যস প্রশিক্ষণ শেষ।
কর্তৃপক্ষের ভয়ে গা ঢাকা দিয়ে থাকায় তিমোফে তাঁর পদবি এবং ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখতে অনুরোধ করে। তিনি দাবি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কোনো পলাতক বা অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিত থাকার অভিযোগ আনা হয়নি। তাঁর ব্যাখ্যা খুব সহজ, ‘দেশের অর্ধেক মানুষ এখন পালাচ্ছে’, আর সামরিক ও বেসামরিক কর্তৃপক্ষের কাছে এত সংখ্যক পলাতককে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা নেই।
অক্টোবরে ইউক্রেনীয় কৌঁসুলিরা জানান, রাশিয়া ২০২২ সালে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে প্রায় ২ লাখ ৩৫ হাজার সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন এবং প্রায় ৫৪ হাজার সেনা পলায়ন করেছেন। গত বছর থেকে এই সংখ্যা দ্রুত বাড়তে থাকে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি ১ লাখ ৭৬ হাজার এবং পলায়নের ২৫ হাজার ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে।
ইউক্রেনীয় কমান্ডার ভ্যালেন্তিন মাঙ্কো শনিবার ইউক্রেনীয় প্রাভদাকে বলেন, ‘এমনকি রাশিয়ায়ও এত বেশি সৈন্য অনুমতি ছাড়া পালিয়ে যায়।’ পলায়নের এই সংকট ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড রাশিয়ার কাছে ক্রমেই চলে যাওয়ার মধ্যে সেনাকর্মীর মারাত্মক অভাবকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
নভেম্বরে রাশিয়ার বাহিনী প্রায় ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নেয়, যার বেশির ভাগই পূর্ব ইউক্রেনে, আর ওয়াশিংটনের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনা আবারও থমকে যায়। মাঙ্কো জানান, প্রতি মাসে প্রায় ৩০ হাজার পুরুষকে সেনাবাহিনীতে নেওয়া হয়, কিন্তু সব সামরিক ইউনিটকে ‘পুনরায় সচল’ করতে দরকার ৭০ হাজার সেনা।
যুদ্ধে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে, একজন সেনা সামরিক ইউনিট ছেড়ে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে পলায়নের অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন এবং তার ৫ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। আর অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতির শাস্তি ১০ বছর পর্যন্ত জেল। অনেকেই জেলকে বেছে নিচ্ছেন।
ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল স্টাফের সাবেক উপপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইগর রোমানেনকো বলেন, ‘আমাদের পলাতক সৈন্য এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়া সেনার সংখ্যা খুবই বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তারা ভাবে—আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে ফ্রন্টলাইনে যাওয়ার চেয়ে জেলে যাওয়া সহজ।’ রোমানেনকো দীর্ঘদিন ধরে কঠোর যুদ্ধকালীন আইন চালু করার এবং পলাতক ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের জন্য কঠোর শাস্তির পক্ষে সওয়াল করছেন। তাঁর বিশ্বাস, তাদের জেলে না পাঠিয়ে ফ্রন্টলাইনে পাঠানো উচিত।
পলায়ন এবং অনুমতি ছাড়া চলে যাওয়ার মধ্যে আইনি পার্থক্য হলো ‘চিরতরে চাকরি ছেড়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য।’ তবে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সরকার প্রথমবার পলায়নকারীদের জন্য ক্ষমা ঘোষণা করেছে। যার ফলে তারা কোনো শাস্তি ছাড়াই তাদের ইউনিটে ফিরে আসতে পারে। সামরিক কর্তৃপক্ষ এবং তাদের কমান্ডিং অফিসারদের দয়ার ওপর ভরসা করে প্রায় ৩০ হাজার সেনা ফিরে এসেছেন।
দক্ষিণ ইউক্রেনের একটি সামরিক ইউনিটের এক মনোবিজ্ঞানী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘তাদের প্রতি এখন আরও বেশি সহানুভূতি দেখানো হচ্ছে।’ তিনি বলেন, পলায়ন সব সময় মৃত্যুর ভয়ের কারণে হয় না, বরং বেশির ভাগ সময়েই মনোযোগহীন কমান্ডিং অফিসারদের কারণে হয়, যারা তাদের সেনাদের সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলে, তাদের কমান্ডার তাদের ছুটিতে যেতে দেননি, তাদের অসুস্থ আত্মীয়দের দেখতে যেতে দেননি, এমনকি বিয়ে করতেও দেননি।’
এদিকে সামরিক পুলিশ বাহিনীতে লোকবলের মারাত্মক অভাব রয়েছে এবং আদালতের আদেশ ছাড়া তারা কোনো সেনাকে আটক করতে পারে না। ফলে অনুমতি ছাড়া সেনাবাহিনী ছেড়ে যাওয়া কিংবা পালিয়ে যাওয়া সেনারা খুব বেশি ধরাও পড়ছে না।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং প্রাচীন ধর্মীয় রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির শাসনব্যবস্থা, পোপের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর অনাড়ম্বর সমাধি এবং বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বিশাল শোকানুষ্ঠানের বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে। টোকিও এবং বেইজিংয়ের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার আবহে এই ঘটনা ঘটল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুটি পারমাণবিক বোমা ও ক্ষেপণাস্ত্র বহনে সক্ষম টুপোলভ-৯৫ কৌশলগত বোমারু বিমান জাপান সাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের দিকে উড়ে যায় এবং সেখানে দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমানের সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তারা প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ‘দীর্ঘ দূরত্বের যৌথ উড্ডয়ন’ সম্পন্ন করে।
টোকিও আরও জানিয়েছে, বোমারু বিমানগুলো যখন জাপানের ওকিনাওয়া এবং মিয়াকো দ্বীপপুঞ্জের মধ্যে দিয়ে চক্কর কেটে যাচ্ছিল, তখন চারটি চীনা জে-১৬ যুদ্ধবিমান তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এই দুটি দ্বীপের মধ্যবর্তী মিয়াকো প্রণালি আন্তর্জাতিক জলপথ হিসেবে বিবেচিত। মন্ত্রণালয় আরও জানায়, জাপান সাগরে একই সময়ে রাশিয়ার বিমানবাহিনীর আরও কার্যকলাপ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি আর্লি-ওয়ার্নিং বিমান এ-৫০ এবং দুটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান ছিল।
জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী শিনজিরো কোইজুমি বুধবার এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘রাশিয়া ও চীনের যৌথ অভিযানগুলো স্পষ্টতই আমাদের জাতির বিরুদ্ধে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।’ ইজুমি যোগ করেন, জাপানের যুদ্ধবিমানগুলো ‘আকাশ প্রতিরক্ষা শনাক্তকরণ ব্যবস্থা কঠোরভাবে কার্যকর করেছে।’
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রুশ সংবাদ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, জাপানের কাছে রাশিয়া-চীনের যৌথ এই উড্ডয়ন আট ঘণ্টা ধরে চলেছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনীও মঙ্গলবার জানিয়েছে, সাতটি রুশ বিমান ও দুটি চীনা বিমান তাদের বিমান প্রতিরক্ষা সীমায় প্রবেশ করেছিল।
জাপান রোববার জানায়, এর আগের দিন চীনা বিমানবাহী জাহাজ থেকে উৎক্ষেপিত যুদ্ধবিমান জাপানি সামরিক বিমান লক্ষ্য করে রাডার তাক করেছিল; যদিও বেইজিং সেই দাবি অস্বীকার করেছে। গত মাসে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর জাপানের কাছাকাছি বেইজিংয়ের সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি পেল। সানায়ে বলেছিলেন, তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনা সামরিক পদক্ষেপ যদি জাপানের নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলে, তবে টোকিও তার প্রত্যুত্তর দিতে পারে।
চীন ও রাশিয়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অন্যান্য স্থানে সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করছে। এর মধ্যে রুশ ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্রবিরোধী প্রশিক্ষণ এবং দক্ষিণ চীন সাগরে লাইভ ফায়ার নৌ মহড়ার মতো যৌথ অভিযান অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং প্রাচীন ধর্মীয় রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির শাসনব্যবস্থা, পোপের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর অনাড়ম্বর সমাধি এবং বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বিশাল শোকানুষ্ঠানের বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে ট্রাম্প প্রশাসন এই ভিসাগুলো বাতিল করেছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রায় অর্ধেক ভিসা বাতিলের অভিযোগ মাদক বা অন্য নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, আক্রমণ, এবং চুরির মতো অপরাধের কারণে হয়েছে। কর্মকর্তাটি আরও জানান, ভিসা বাতিলের এই সংখ্যাটি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের অধীনে গত বছরের সংখ্যার দ্বিগুণেরও বেশি।
সাম্প্রতিককালে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছে যে—তারা ডানপন্থী মার্কিন রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের মৃত্যু উদযাপনকারী কয়েকজনের ভিসা বাতিল করেছে।
বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর প্রায় ১০ শতাংশ ছিল শিক্ষার্থীদের, যা সংখ্যায় ৮ হাজারের বেশি।
যাদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে কেউ কেউ ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের মতো বিষয়ে ক্যাম্পাসে তাদের সক্রিয়তার কারণে লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
২৯ জানুয়ারি স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশে বলা হয়েছে, এই ধরনের ‘বহিরাগত শিক্ষার্থীদের’ ইহুদি-বিরোধী হিসেবে দেখা হচ্ছে, এবং প্রয়োজন হলে, ‘এই বহিরাগতদের সরিয়ে দেওয়ার জন্য’ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ফিলিস্তিনপন্থী কাজকর্মের জন্য যাদের বহিষ্কারের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, সেই আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন রঞ্জনি শ্রীনিবাসন এবং রুমেইসা ওজতুর্ক, সেইসাথে মাহমুদ খলিলের মতো শিক্ষার্থীরা, যারা স্থায়ী বৈধ বাসিন্দা ছিলেন।
সমালোচকরা বলেছেন, নিজের মতামত প্রকাশের জন্য বহিষ্কার করাটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সংশোধনীর লঙ্ঘন, এবং ফিলিস্তিন-পন্থী সক্রিয়তার জন্য লক্ষ্যবস্তু হওয়া অনেক শিক্ষার্থীই এর বিরুদ্ধে লড়াই করে সফল হয়েছেন।
আগস্ট মাসে, স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানিয়েছিল, তারা ৬ হাজার ভিসা বাতিল করেছে, এবং বাতিল হওয়া ভিসাগুলোর দুই-তৃতীয়াংশ নাকি শিক্ষার্থীদের মার্কিন আইন লঙ্ঘনের কারণে হয়েছে, যার অভিযোগগুলোর মধ্যে ছিল ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পরেও অবস্থান, চুরি, আক্রমণ, নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো, এবং সন্ত্রাসবাদে সমর্থন।
তবে, কেবল দেশের অভ্যন্তরের বিদেশী নাগরিকরাই লক্ষ্যবস্তু হচ্ছেন না। জুন মাস থেকে, সম্ভাব্য ছাত্র ভিসার আবেদনকারীরা তাদের রাজনৈতিক মতামত যাচাইয়ের ক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান কঠোরতার সম্মুখীন হচ্ছেন।
মার্কিন সরকার এইচ১-বি ভিসা ধারীদের আরও বেশি করে যাচাই করার, বাইডেন প্রশাসনের অধীনে শরণার্থী হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাওয়া ব্যক্তিদের পুনঃসাক্ষাৎকার নেওয়ার, এবং সম্পূর্ণ বা আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হওয়া দেশগুলোর তালিকা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
প্রশাসন এইচ১-বি ভিসার খরচও বাড়িয়েছে যাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করতে চাওয়া বিদেশী নাগরিকদের কাছে এটি কম আকর্ষণীয় হয়।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদ এবং বর্তমান প্রেসিডেন্সির সময় তাঁর প্রধান এজেন্ডাগুলোর একটি ছিল অভিবাসীদের লক্ষ্য করা। ট্রাম্প তথাকথিত মুসলিম নিষেধাজ্ঞার দ্বিতীয়, আরও পরিমার্জিত সংস্করণ কার্যকর করেছিলেন এবং দেশে শরণার্থীদের প্রবেশাধিকারকে ব্যাপকভাবে কমিয়ে দিয়েছেন।
মার্কিন সীমান্তে প্রবেশকারী মানুষের সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমে গেছে এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা ‘অবৈধ’ অভিবাসীদের বহিষ্কার প্রক্রিয়াকে দ্রুত করার চেষ্টা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন আফগান এবং সিরিয়ান নাগরিকদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু করে অস্থায়ী সুরক্ষিত মর্যাদা (টিপিএস) অপসারণের চেষ্টাও করেছে, যা গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে অস্থায়ীভাবে দেশে থাকার অনুমতিপ্রাপ্ত বিদেশী নাগরিকদের দেওয়া হয়েছিল।
মিডল ইস্ট আই স্টেট ডিপার্টমেন্টের কাছে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো উত্তর পায়নি।

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং প্রাচীন ধর্মীয় রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির শাসনব্যবস্থা, পোপের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর অনাড়ম্বর সমাধি এবং বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বিশাল শোকানুষ্ঠানের বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা হলে, হামাস ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজা থেকে সব ধরনের আক্রমণাত্মক অভিযান এক দশক পর্যন্ত বন্ধ রাখতে এবং তাদের অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলতে প্রস্তুত বলে মধ্যস্থতাকারীদের জানিয়েছে। লন্ডন থেকে প্রকাশিত মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।
আলোচনার সঙ্গে পরিচিত এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা মিডল ইস্ট আইকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
আলোচনার সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে কায়রোতে মিসরীয়, কাতারি এবং তুর্কি মধ্যস্থতাকারীদের কাছে এই প্রস্তাবটি দেওয়া হয়েছে। এই প্রস্তাবটিকে তিনি হামাসের পক্ষ থেকে একটি সারগর্ভ পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যার লক্ষ্য হলো—যুদ্ধবিরতি আলোচনার পরবর্তী ধাপে গতি আনা।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রস্তাবটি পরিষ্কার। এর মাধ্যমে হামাস এই নিশ্চয়তা দিচ্ছে যে, গাজা থেকে ইসরায়েলের দিকে কোনো অস্ত্র ছোড়া হবে না, এবং তারা অস্ত্র মাটির নিচে পুঁতে ফেলার মাধ্যমে তা করবে। তারা গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে সাত থেকে দশ বছরের জন্য একটি হুদনা (ইসলামিক ঐতিহ্যে দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতি বোঝাতে ব্যবহৃত শব্দ) প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে, এবং হামাস এই অস্ত্র ব্যবহার করবে না।’
ওই কর্মকর্তার মতে, মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রগুলো এই হুদনার গ্যারান্টার হিসেবে কাজ করবে এবং এর সম্মতি নিশ্চিত করবে। তিনি জানান, অস্ত্রগুলো গোপন করা হবে এবং মধ্যস্থতাকারীরা সরাসরি হামাসের প্রতিশ্রুতিগুলো তত্ত্বাবধান করবেন। তিনি বলেন, ‘এই সময়ে গাজা নিজেই নিজের কাজে ব্যস্ত থাকবে।’ তিনি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা বিধ্বংসী যুদ্ধ, বাস্তুচ্যুতি এবং অবরোধের পর পুনর্গঠন এবং অভ্যন্তরীণ শাসনের দিকে ইঙ্গিত করেন।
হামাস এখন পর্যন্ত একটি সম্পূর্ণ সার্বভৌম ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতৃত্বের কর্তৃত্ব ছাড়া তাদের অস্ত্র সমর্পণ করতে অস্বীকার করেছে। ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই আন্দোলন বারবার বলেছে যে, ফিলিস্তিনি ভূমি থেকে দখলদারিত্ব শেষ হলেই কেবল ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তাদের সশস্ত্র অভিযান বন্ধ হবে।
তবে, এই নতুন প্রস্তাবটি নির্দিষ্টভাবে গাজা নিয়ে, এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে হামাসের সামরিক সক্ষমতা বা রাজনৈতিক কার্যকলাপের বিষয়ে এতে কিছু বলা হয়নি, যেখানে গাজা যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তা জোর দিয়ে বলেন, আঞ্চলিক কূটনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তনের কারণেও এই প্রস্তাবটি তৈরি হয়েছে। তিনি মিসরকে বিশেষভাবে উল্লেখ করে বলেন, কায়রোর অবস্থানে পরিবর্তন এসেছে এবং তারা গাজার ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মিসর সম্প্রতি জোর দিয়েছে যে, রাফা ক্রসিংয়ে উভয় দিকেই চলাচল অনুমোদন করতে হবে, যার মধ্যে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তনও অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে, ইসরায়েল কেবল গাজা থেকে প্রস্থান করার অনুমতি দিয়েছে এবং হাজার হাজার মানুষকে গাজার উত্তর ও মধ্যভাগের বাড়িতে ফিরে যেতে বাধা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক নবায়ন করেছে। হামাসও মধ্যস্থতায় অগ্রগতি খুঁজে পেয়েছে এবং অনেক ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আন্দোলনটি সাধারণ অবস্থানে পৌঁছানোর জন্য একটি বাস্তববাদী উপায়ে বিশ্বাস করে।’

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট এবং প্রাচীন ধর্মীয় রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটির শাসনব্যবস্থা, পোপের নির্বাচন প্রক্রিয়া ও তাদের কর্তৃত্ব নিয়ে এই নিবন্ধে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর পর তাঁর অনাড়ম্বর সমাধি এবং বিশ্বনেতাদের অংশগ্রহণে বিশাল শোকানুষ্ঠানের বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে।
২৭ এপ্রিল ২০২৫
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী ক্রমেই নাকাল হয়ে পড়ছে। এই সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে সেনাবাহিনী থেকে সদস্যদের পলায়ন ও অনুমতি ছাড়া অনুপস্থিতি। সরকারি হিসাব অনুসারে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরুর পর এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ সেনা অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত বা পলাতক। এবং সংখ্যা ক্রম
২ ঘণ্টা আগে
জাপানকে ঘিরে রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধবিমান যৌথভাবে টহল দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে টোকিও। জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে জানিয়েছে, রাশিয়া ও চীনের বিমানবাহিনী দেশটির চারপাশ দিয়ে যৌথ টহল দেওয়ায় তারাও নজরদারি চালানোর জন্য যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন ১ বছরেরও কম সময়ে ৮৫ হাজারের বেশি মার্কিন ভিসা বাতিল। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন মঙ্গলবার জানিয়েছে, এক বছরেরও কম সময়ের মধ্যে অন্তত ৮৫ হাজার মার্কিন ভিসা (সব ক্যাটাগরির) বাতিল করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে