Ajker Patrika

স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ করার পক্ষে ভোট দিল যুক্তরাজ্য

ছবি: বিবিসি
ছবি: বিবিসি

স্বেচ্ছামৃত্যু বা সহায়ক মৃত্যুকে বৈধ করার একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে সংসদের। দীর্ঘ বিতর্কের পর এ ধরনের মৃত্যুর বিষয়ে বড় ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিল দেশটি। প্রস্তাবিত আইন অনুসারে, ছয় মাসের মধ্যে মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে, এমন কোনো প্রাপ্তবয়স্ক অন্তিম রোগী নিজেদের জীবন শেষ করতে কর্তৃপক্ষের সহায়তা চাইতে পারবেন।

শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় এক দশকের মধ্যে এই প্রথমবার সংসদ সদস্যরা স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ করার প্রস্তাবে ভোট দিয়েছেন। অবশেষে ৩৩০ বনাম ২৭৫ ভোটের ব্যবধানে প্রস্তাবটি পাস হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি এখন আরও বিস্তারিত আলোচনা ও সংশোধনের জন্য সংসদে উত্থাপন করা হবে। এটি কার্যকর করতে এখন ব্রিটিশ পার্লামেন্টের উভয় কক্ষের অনুমোদন প্রয়োজন।

এর আগে, এমপিদের বিবেকের ওপর ভিত্তি করে এই প্রস্তাবে ভোট দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টার্মার এবং তাঁর পূর্বসূরি ঋষি সুনাকও প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে কনজারভেটিভ নেতা কেমি ব্যাডেনক এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ছিলেন।

বিবিসি জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যে স্বেচ্ছামৃত্যু বৈধ করার প্রস্তাবটি লেবার এমপি কিম লিডবিটার উত্থাপন করেছিলেন। ভোটের পর তিনি বলেছেন, ‘এই সিদ্ধান্ত সহায়ক মৃত্যুর পক্ষে প্রচারণাকারীদের জন্য বিশাল এক বিজয়।’

বিলটির প্রস্তাবিত বিধি-কাঠামোতে বলা হয়েছে—সহায়ক মৃত্যুর জন্য আবেদনকারীদের মানসিকভাবে সক্ষম হতে হবে এবং তাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে, কোনো ধরনের চাপ বা প্ররোচনা ছাড়া।

সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় দুজন স্বাধীন চিকিৎসক এবং উচ্চ আদালতের একজন বিচারক সন্তুষ্ট হতে হবে।

এদিকে প্রস্তাবের বিরোধীরা দাবি করেছেন—মরণাপন্ন, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা নিজের বা অন্যদের চাপের কারণে এই পদ্ধতিতে যেতে বাধ্য হতে পারেন। কনজারভেটিভ এমপি ড্যানি ক্রুগার এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বলেছেন, ‘এটি রাষ্ট্র-সমর্থিত আত্মহত্যা সেবা চালু করার সমতুল্য।’

প্রস্তাবকারী লিডবিটার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, বিলটি পাস হওয়ার আগে এর সব দিক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘বিলটি কার্যকর করতে দুই বছর সময় লাগতে পারে। কারণ এটি সঠিকভাবে করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত