Ajker Patrika

পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবাশ্ম বন পাওয়া গেল ইংল্যান্ডে

পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবাশ্ম বন পাওয়া গেল ইংল্যান্ডে

দক্ষিণ পশ্চিম ইংল্যান্ডের উপকূলীয় এলাকায় নতুন আবিষ্কৃত একটি জীবাশ্ম এলাকাকে পৃথিবীর প্রাচীনতম জীবাশ্ম বন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিজ্ঞানীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিবিসি জানিয়েছে, ওই জীবাশ্ম বনটি সমারসেটের একটি উঁচু বেলেপাথরের পাহাড়ে আবিষ্কৃত হয়েছে। 

কেমব্রিজ এবং কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা বলছেন, ওই বনে পাওয়া প্রাচীনতম জীবাশ্ম গাছগুলো এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে পাওয়া অন্য যে কোনো গাছের জীবাশ্মের চেয়ে পুরোনো। সেখানে ক্যালামোফাইটন নামে এক ধরনের প্রাচীন গাছের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে, যেগুলো দেখতে অনেকটা পাম গাছের মতো ছিল। 

আজকের দিনে পৃথিবীতে যেসব গাছ দেখা যায়, সেগুলোর আদিরূপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে নতুন আবিষ্কৃত জীবাশ্ম বনের গাছগুলোকে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, প্রাগৈতিহাসিক ওই বনের সবচেয়ে বড় গাছগুলো সাধারণত ২ থেকে ৪ মিটার লম্বা হতো। তাঁরা উদ্ভিদের জীবাশ্ম এবং তাদের ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি শিকড়ের চিহ্নও শনাক্ত করেছেন। কোটি বছর আগে প্রথম দিকের গাছগুলো কেমন দৃশ্য তৈরি করত এবং উপকূলরেখাকে কীভাবে স্থিতিশীল রাখত তারও ধারণা দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

এ বিষয়ে কার্ডিফের স্কুল অব আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের গবেষক এ সহ-লেখক ক্রিস্টোফার বেরি বলেছেন, ‘আমি যখন প্রথম গাছের গুঁড়ির ছবি দেখেছিলাম, বিশ্বজুড়ে ৩০ বছর গবেষণার আলোকে তখনই বুঝে গিয়েছিলাম সেগুলো আসলে কী ছিল।’ 

বেরি বলেন, ‘এগুলোকে বাড়ির এত কাছে দেখে অবাক হয়েছিলাম।’ 

বিজ্ঞানীদের বর্ণনায় গাছগুলো অনেকটা এমন ছিল। ছবি: সংগৃহীতগবেষকেরা দাবি করেছেন, ইতিপূর্বে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সবচেয়ে পুরোনো যে জীবাশ্ম বনটি আবিষ্কৃত হয়েছিল সেই বনটির চেয়ে নতুন আবিষ্কৃত বনটি প্রায় ৪০ লাখ বছরের পুরোনো। বলা যায়, ডেভোনিয়ান যুগে শুরু হওয়া এই বনটি ৪১ থেকে ৩৫ কোটি বছর আগে পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। মূলত সেই সময়টিতেই ভূমিতে জীবনের বড় সম্প্রসারণ ঘটে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। 

গবেষকেরা আরও জানিয়েছেন, নতুন আবিষ্কৃত এলাকাটি সেই আমলে একটি আধা-শুষ্ক সমভূমি ছিল এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে নয় বরং জার্মানি এবং বেলজিয়ামের কিছু অংশে এই বন বিস্তৃত ছিল। কারণ সেখানেও এই ধরনের গাছের জীবাশ্ম পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত