অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের আগপর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমামোগলুকে ইস্তাম্বুলের মারমারা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ইমামোগলুর হঠাৎ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বিরোধীদের দমন, নাকি আইনগত পদক্ষেপ?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ মার্চ গ্রেপ্তারের পর একরেম ইমামোগলুকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে প্রসিকিউটররা তাঁকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং ‘অপরাধী সংগঠনের সন্দেহভাজন নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তবে আদালত জানিয়েছেন, ইমামোগলুসহ আরও ২০ জনকে শুধু দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা’ করার অভিযোগটি খারিজ করা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, ‘যদিও সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার বিষয়ে জোরালো সন্দেহ রয়েছে, তবে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাঁকে শুধু ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদক সিনেম কোসেওগলু জানিয়েছেন, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। এর ফলে আদালত ইস্তাম্বুল পৌরসভায় সরকারি ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারবেন না। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্য থেকেই মেয়র নির্বাচিত হবেন।
আদালতের রায়ের পর ইমামোগলু বলেছেন, তিনি মাথা নত করবেন না। তাঁর এক্সে অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাত, এই কালো দাগ মুছে ফেলব—আমি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, আমি মাথা নত করব না। তাঁর (এরদোয়ান) আটকের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিচারবহির্ভূত নির্যাতন, যা তুরস্কের মানুষের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।’ এই পোস্টে তুর্কি নাগরিকদের তাঁর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ওজগুর ওজেল বলেছেন, তাঁরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি আপিল করবেন। তিনি বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুল পৌরসভা কাউন্সিল এখন ইমামোগলুর রায়ের অপেক্ষায় থাকাকালীন একজন ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত করবেন।’
এদিকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিএইচপির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা টাকার লোভে অন্ধ হয়ে গেছে। জনগণের শান্তি বিঘ্নিত করতে এবং জাতিকে বিভক্ত করতেই তারা এমন অরাজকতা করছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, রোববার আরও বিক্ষোভের আশঙ্কায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে ইস্তাম্বুলে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শনিবার রাতে ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা এবং প্রায় ৫০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা একরেম ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। কয়েক দিন পরেই সিএইচপির পক্ষ থেকে একরেম ইমামোগলুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর গ্রেপ্তার দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
বিষয়টিকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তবে এরদোয়ান ও তাঁর দল একে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ বলে দাবি করেছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুঞ্চ বলেছেন, এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলা ‘ভুল ও বিপজ্জনক’। কারণ, দেশে আইনের শাসন বজায় রয়েছে।
এদিকে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঠিক এক দিন আগে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ডিগ্রি বাতিল করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইমামোগলুর ডিগ্রি বাতিল করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তুর্কি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। ইমামোগলু এই সিদ্ধান্তকে ‘আইনবহির্ভূত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরের মেয়র একরেম ইমামোগলুকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে বিচারের আগপর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ইমামোগলুকে ইস্তাম্বুলের মারমারা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তবে ইমামোগলুর হঠাৎ গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। বিশ্লেষকেরা প্রশ্ন করেছেন, এ ধরনের ঘটনা বিরোধীদের দমন, নাকি আইনগত পদক্ষেপ?
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯ মার্চ গ্রেপ্তারের পর একরেম ইমামোগলুকে আদালতে নেওয়া হয়। সেখানে প্রসিকিউটররা তাঁকে দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা করার অভিযোগে অভিযুক্ত করেন এবং ‘অপরাধী সংগঠনের সন্দেহভাজন নেতা’ বলে আখ্যায়িত করেন। তবে আদালত জানিয়েছেন, ইমামোগলুসহ আরও ২০ জনকে শুধু দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ইমামোগলুর বিরুদ্ধে আনা ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তা’ করার অভিযোগটি খারিজ করা হয়েছে।
আদালত বলেছেন, ‘যদিও সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তা করার বিষয়ে জোরালো সন্দেহ রয়েছে, তবে দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় তাঁকে শুধু ওই মামলাতেই গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদক সিনেম কোসেওগলু জানিয়েছেন, ইমামোগলুর বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদী’ কার্যক্রম সম্পর্কে কোনো অভিযোগ আনা হয়নি। এর ফলে আদালত ইস্তাম্বুল পৌরসভায় সরকারি ট্রাস্টি নিয়োগ করতে পারবেন না। পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্য থেকেই মেয়র নির্বাচিত হবেন।
আদালতের রায়ের পর ইমামোগলু বলেছেন, তিনি মাথা নত করবেন না। তাঁর এক্সে অ্যাকাউন্টের একটি পোস্টে বলা হয়, ‘আমরা সবাই মিলে আমাদের গণতন্ত্রের ওপর এই আঘাত, এই কালো দাগ মুছে ফেলব—আমি সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছি, আমি মাথা নত করব না। তাঁর (এরদোয়ান) আটকের আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বিচারবহির্ভূত নির্যাতন, যা তুরস্কের মানুষের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা।’ এই পোস্টে তুর্কি নাগরিকদের তাঁর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভের আহ্বান জানানো হয়।
প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা ওজগুর ওজেল বলেছেন, তাঁরা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনি আপিল করবেন। তিনি বলেছেন, ‘ইস্তাম্বুল পৌরসভা কাউন্সিল এখন ইমামোগলুর রায়ের অপেক্ষায় থাকাকালীন একজন ভারপ্রাপ্ত মেয়র নির্বাচিত করবেন।’
এদিকে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান সিএইচপির নেতাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘তারা টাকার লোভে অন্ধ হয়ে গেছে। জনগণের শান্তি বিঘ্নিত করতে এবং জাতিকে বিভক্ত করতেই তারা এমন অরাজকতা করছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদক জানিয়েছেন, রোববার আরও বিক্ষোভের আশঙ্কায় শনিবার সন্ধ্যা থেকে ইস্তাম্বুলে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শনিবার রাতে ইস্তাম্বুল, আঙ্কারা এবং প্রায় ৫০টি শহরে বিক্ষোভ হয়েছে।
বিরোধী রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা একরেম ইমামোগলু প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে পরিচিত। কয়েক দিন পরেই সিএইচপির পক্ষ থেকে একরেম ইমামোগলুকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করার কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর গ্রেপ্তার দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
বিষয়টিকে অনেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিহিত করেছেন। তবে এরদোয়ান ও তাঁর দল একে আইনি প্রক্রিয়ার অংশ বলে দাবি করেছে। তুরস্কের বিচারমন্ত্রী ইলমাজ তুঞ্চ বলেছেন, এই গ্রেপ্তারকে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বলা ‘ভুল ও বিপজ্জনক’। কারণ, দেশে আইনের শাসন বজায় রয়েছে।
এদিকে ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের ঠিক এক দিন আগে ইস্তাম্বুল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁর ডিগ্রি বাতিল করেছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইমামোগলুর ডিগ্রি বাতিল করে তাঁকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেওয়া থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, তুর্কি সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। ইমামোগলু এই সিদ্ধান্তকে ‘আইনবহির্ভূত’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতিষ্ঠিত ইউনিফিকেশন চার্চ ১৯৬০-এর দশক থেকে জাপানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর প্রতিষ্ঠাতা সান মিয়ং মুনের নাম থেকেই ‘মুনিজ’ নামটি এসেছে। চার্চটি হাজার হাজার যুগলের একযোগে বিবাহ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য অতীতে আলোচিত হয়েছে এবং আত্মার মুক্তির জন্য বিবাহকে কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে প্রচার করে
১ সেকেন্ড আগেযুক্তরাজ্যে রাশিয়ার হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে বর্তমানে ৬ বুলগেরিয়ানের বিচার চলছে। সম্প্রতি বিবিসির এক অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই গুপ্তচর নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন আরও দুই নারী—সভেতেলিনা জেনচেভা এবং সভেতানকা দনচেভা। তাঁদের পরিচয় এবারই প্রথম প্রকাশ্যে এল।
১ ঘণ্টা আগেএক বিবৃতিতে ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে কুনাল জানান, তিনি যে কোনো আইনি পদক্ষেপের জন্য পুলিশ এবং আদালতকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছেন। তবে তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আইন কি সমানভাবে প্রয়োগ হবে, নাকি যারা একটি কৌতুকে ক্ষুব্ধ হয়ে ভাঙচুর করেছে, তাদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা থাকবে?’
৩ ঘণ্টা আগেবর্তমানে ৮৯ বছর বয়সী ইওয়া হাকামাতাকে মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ২১ কোটি ৭০ লাখ ইয়েন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই ক্ষতিপূরণ প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ টাকারও বেশি। হাকামাতার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, জাপানের ইতিহাসে কোনো ফৌজদারি মামলার জন্য এটাই সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ।
৪ ঘণ্টা আগে