অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য ভাঙচুরের ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো’ পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে জায়গা পেয়েছে। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের ‘পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া’ আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে ঠাঁই পাওয়া এই ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাস।
গত ৫ আগস্টে তোলা এই ছবিটির বিষয়ে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে—২০২৪ সালের জুলাইয়ে সরকার ঘোষিত নিয়োগ কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিণত হয়েছিল এক গণজাগরণে। সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে অবৈধ গ্রেপ্তার, গুম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের অভিযোগ ওঠে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনও জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। আইনটি বাক্স্বাধীনতা সংকুচিত করছে বলে সমালোচনা ছিল।
শুরুতে শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন সরকার ও সরকারি বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়নের ফলে রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারপন্থী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হন। আগস্টের মধ্যে সরকার পতন ঘটে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেন।
‘দ্য ক্যানভাস অব পাওয়ার’ শিরোনামের এই ছবিটির আলোকচিত্রী শুভ্র কান্তি দাস সম্পর্কে জানানো হয়, তিনি বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। খ্যাতিমান এই ফটোসাংবাদিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং সামাজিক অবিচার নিয়ে কাজ করেন।
কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক শেষ করার পর, তিনি পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফটো সাংবাদিকতার পাঠ নেন। ২০১২ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে পুরোপুরি ফটো সাংবাদিকতা শুরু করেন।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জানিয়েছে, এ বছর প্রতিযোগিতায় ১৪১টি দেশের ৩ হাজার ৭৭৮ জন আলোকচিত্রী ৫৯ হাজারের বেশি ছবি জমা দেন। এর মধ্যে ৪২টি ছবি পুরস্কৃত হয়েছে। বিশ্বের ৬টি অঞ্চলভেদে আলোকচিত্রীদের তিনটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি আঞ্চলিক জুরি বিজয়ীদের নির্বাচন করে। পরে স্বাধীন আন্তর্জাতিক জুরি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে বিশ্বের রাজনৈতিক ও মিডিয়া পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। বিজয়ী ছবিগুলো দর্শকদের প্রচলিত সংবাদ চক্রের বাইরে গিয়ে ঘটনাগুলো আরও গভীরভাবে দেখার সুযোগ করে দেয়।’
এই বছরের পুরস্কার বিজয়ী ছবিগুলোর মূল থিমগুলোর মধ্যে রয়েছে—রাজনীতি, লিঙ্গ, অভিবাসন, সংঘাত এবং জলবায়ু সংকট।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জৌমানা এল জেইন খৌরি বলেছেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে মানুষের জন্য ঘটনাগুলো এড়িয়ে যাওয়া, স্ক্রল করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু এই ছবিগুলো আমাদের থামতে বাধ্য করে, পরিস্থিতি স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে—এমনকি তা অস্বস্তিকর হলেও।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবি আমাদের চোখের সামনে যা ঘটছে, তা মেনে নিতে বাধ্য করে, এমনকি যদি তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেও।’
বিজয়ী ছবিগুলো ৬০ টিরও বেশি শহরে প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে—লন্ডন, রোম, বার্লিন, মেক্সিকো সিটি, মন্ট্রিয়েল, জাকার্তা। এ ছাড়া অনলাইনে কোটি কোটি দর্শক বিজয়ী ছবিগুলো দেখতে পারবেন।
আগামী ১৭ এপ্রিল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ‘ফটো অব দ্য ইয়ার’ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। প্রত্যেক বিজয়ী আলোকচিত্রী এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। গ্লোবাল জুরি চেয়ার লুসি কন্টিসেলো বলেন, ‘আমরা এমন ছবি খুঁজছিলাম যা মানুষকে আলোচনায় নিয়ে আসবে।’
বিশ্ব প্রেস ফটো ১৯৫৫ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি সাংবাদিকতা ও প্রামাণ্য আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাস্তবতার গভীর উপলব্ধি, সংলাপ এবং সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের একটি ভাস্কর্য ভাঙচুরের ছবি ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো’ পুরস্কার বিজয়ীদের মধ্যে জায়গা পেয়েছে। মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারের ‘পশ্চিম, মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া’ আঞ্চলিক ক্যাটাগরিতে ঠাঁই পাওয়া এই ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশি ফটোসাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাস।
গত ৫ আগস্টে তোলা এই ছবিটির বিষয়ে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে—২০২৪ সালের জুলাইয়ে সরকার ঘোষিত নিয়োগ কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন পরিণত হয়েছিল এক গণজাগরণে। সরকারবিরোধী এই আন্দোলনে অবৈধ গ্রেপ্তার, গুম এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনের অভিযোগ ওঠে। সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির পাশাপাশি নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইনও জনগণের ক্ষোভের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। আইনটি বাক্স্বাধীনতা সংকুচিত করছে বলে সমালোচনা ছিল।
শুরুতে শান্তিপূর্ণ এই আন্দোলন সরকার ও সরকারি বাহিনীর কঠোর দমন-পীড়নের ফলে রক্তক্ষয়ী হয়ে ওঠে। নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারপন্থী গোষ্ঠীগুলোর হামলায় অন্তত ১ হাজার ৪০০ মানুষ নিহত হন। আগস্টের মধ্যে সরকার পতন ঘটে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে চলে যান। সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা দেন।
‘দ্য ক্যানভাস অব পাওয়ার’ শিরোনামের এই ছবিটির আলোকচিত্রী শুভ্র কান্তি দাস সম্পর্কে জানানো হয়, তিনি বাংলাদেশের চাঁদপুর জেলার বাসিন্দা। খ্যাতিমান এই ফটোসাংবাদিক রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংঘাত, পরিবেশগত বিপর্যয় এবং সামাজিক অবিচার নিয়ে কাজ করেন।
কম্পিউটার সায়েন্সে স্নাতক শেষ করার পর, তিনি পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউটে ফটো সাংবাদিকতার পাঠ নেন। ২০১২ সালে তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পেশা ছেড়ে পুরোপুরি ফটো সাংবাদিকতা শুরু করেন।
ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো জানিয়েছে, এ বছর প্রতিযোগিতায় ১৪১টি দেশের ৩ হাজার ৭৭৮ জন আলোকচিত্রী ৫৯ হাজারের বেশি ছবি জমা দেন। এর মধ্যে ৪২টি ছবি পুরস্কৃত হয়েছে। বিশ্বের ৬টি অঞ্চলভেদে আলোকচিত্রীদের তিনটি বিভাগে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই পুরস্কারের জন্য প্রাথমিকভাবে ছয়টি আঞ্চলিক জুরি বিজয়ীদের নির্বাচন করে। পরে স্বাধীন আন্তর্জাতিক জুরি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
সংগঠনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০২৪ সালে বিশ্বের রাজনৈতিক ও মিডিয়া পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে। বিজয়ী ছবিগুলো দর্শকদের প্রচলিত সংবাদ চক্রের বাইরে গিয়ে ঘটনাগুলো আরও গভীরভাবে দেখার সুযোগ করে দেয়।’
এই বছরের পুরস্কার বিজয়ী ছবিগুলোর মূল থিমগুলোর মধ্যে রয়েছে—রাজনীতি, লিঙ্গ, অভিবাসন, সংঘাত এবং জলবায়ু সংকট।
সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক জৌমানা এল জেইন খৌরি বলেছেন, ‘আমরা এমন এক সময়ে বাস করছি, যেখানে মানুষের জন্য ঘটনাগুলো এড়িয়ে যাওয়া, স্ক্রল করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া খুব সহজ। কিন্তু এই ছবিগুলো আমাদের থামতে বাধ্য করে, পরিস্থিতি স্বীকার করে নিতে বাধ্য করে—এমনকি তা অস্বস্তিকর হলেও।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই ছবি আমাদের চোখের সামনে যা ঘটছে, তা মেনে নিতে বাধ্য করে, এমনকি যদি তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেও।’
বিজয়ী ছবিগুলো ৬০ টিরও বেশি শহরে প্রদর্শিত হবে, যার মধ্যে রয়েছে—লন্ডন, রোম, বার্লিন, মেক্সিকো সিটি, মন্ট্রিয়েল, জাকার্তা। এ ছাড়া অনলাইনে কোটি কোটি দর্শক বিজয়ী ছবিগুলো দেখতে পারবেন।
আগামী ১৭ এপ্রিল নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে ‘ফটো অব দ্য ইয়ার’ বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। প্রত্যেক বিজয়ী আলোকচিত্রী এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। গ্লোবাল জুরি চেয়ার লুসি কন্টিসেলো বলেন, ‘আমরা এমন ছবি খুঁজছিলাম যা মানুষকে আলোচনায় নিয়ে আসবে।’
বিশ্ব প্রেস ফটো ১৯৫৫ সালে নেদারল্যান্ডসে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং এটি সাংবাদিকতা ও প্রামাণ্য আলোকচিত্রের মাধ্যমে বাস্তবতার গভীর উপলব্ধি, সংলাপ এবং সচেতনতা তৈরির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ প্রবেশ করানোর অভিনব এক প্রকল্প চালু করেছেন বিজ্ঞানীরা। জোহানেসবার্গের উইটওয়াটারস্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষক দল জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে গন্ডারদের কোনো ক্ষতি হবে না।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রবাদ আছে, ‘চোরের দশ দিন গেরস্তের এক দিন।’ ঠিক এমনই এক ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। স্থানীয় পুলিশ এক ‘লুটেরা দুলহান’কে (প্রতারক কনে) গ্রেপ্তার করেছে। যাঁর বিরুদ্ধে এক-দুজন নয়, আটজন পুরুষকে বিয়ে করে তাঁদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়ার নাতি ও জেডিএসের সাবেক সাংসদ প্রজ্জ্বল রেভান্না ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। বেঙ্গালুরুর একটি আদালত দীর্ঘ ১৪ মাস ধরে চলা এই মামলার রায় আজ শুক্রবার ঘোষণা করেছেন। এই রায়ের মাধ্যমে কার্যত তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সমাপ্তি ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেআন্তর্জাতিক চাপ ক্রমেই বাড়ছে নয়াদিল্লির ওপর। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ট্যারিফনীতি, রুশ তেল কেনা নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বে সমালোচনা, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চুক্তি নিয়ে দ্বিধা, ইয়েমেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নার্স নিমিষা প্রিয়াকে ফিরিয়ে আনার মানবিক ইস্যু এবং এর পাশাপাশি কোয়াড ও চীন-পাকিস্তান ঘিরে ক
৮ ঘণ্টা আগে