Ajker Patrika

ব্রিটেনের বিজ্ঞান জাদুঘরে আদানির ৪০ লাখ পাউন্ড অনুদান নিয়ে বিতর্কের ঝড়

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪৬
লন্ডন সায়েন্স মিউজিয়ামে ৪০ লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন গৌতম আদানি। ছবি: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সৌজন্যে
লন্ডন সায়েন্স মিউজিয়ামে ৪০ লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছেন গৌতম আদানি। ছবি: ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের সৌজন্যে

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়াম তথা বিজ্ঞান জাদুঘরের সবুজ জ্বালানি বিভাগ গঠনের জন্য আদানি গ্রুপের নবায়নযোগ্য জ্বালানি শাখা ৪০ লাখ পাউন্ড অনুদান দিয়েছে। বিতর্কিত এই সহযোগিতার ফলে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। একই সঙ্গে আদানি গ্রুপের ব্যাপক কয়লা ব্যবসার ওপর গভীর পর্যবেক্ষণ শুরু হয়েছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা কার্যালয়ের নথিপত্রে প্রথমবারের মতো এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এই চুক্তির ফলে সায়েন্স মিউজিয়ামের বিরুদ্ধে ‘গ্রিনওয়াশিং’—এর পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আদানির কাছ থেকে অর্থ নেওয়ার প্রতিবাদে প্রতিষ্ঠানটির দুই ট্রাস্টি পদত্যাগও করেছেন। গ্রিনওয়াশিং হলো এমন এক প্রক্রিয়া, যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠান ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে ভিত্তিহীন বা অপ্রমাণিত দাবি উপস্থাপন করে, যাতে তাদের পণ্যগুলো প্রকৃতপক্ষে যতটা পরিবেশবান্ধব বা পরিবেশের জন্য ইতিবাচক, তার চেয়ে বেশি পরিবেশবান্ধব বলে মনে হয়।

অধিকার গোষ্ঠী ‘কালচার আনস্টেইন্ড’ যুক্তরাজ্যের তথ্যপ্রাপ্তির স্বাধীনতার আওতায় সরকারের কাছ থেকে বের করে এনে তা ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানায়।

আদানি গ্রুপের ব্যবসায় বন্দর থেকে শুরু করে গণমাধ্যম পর্যন্ত বিস্তৃত। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে গোষ্ঠীটি ভারতের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনকারী সংস্থা হয়ে উঠেছে। আবার একই সঙ্গে এটি দেশটির অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি কয়লা খনি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে মার্কিন শর্ট-সেলার হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ‘নির্লজ্জ’ করপোরেট প্রতারণার অভিযোগ তোলে। আদানি এসব অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে। এরপর গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন বিচার বিভাগ ও সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানি ও অন্যান্য নির্বাহীদের বিরুদ্ধে একটি ভারতীয় সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলায় অভিযোগ গঠন করে। এই অভিযোগে বলা হয়, এই প্রকল্পের জন্য আদানি ও তাঁর সহযোগীরা ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ দিয়েছিল। তবে আদানি গ্রুপ এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে অভিহিত করেছে।

সায়েন্স মিউজিয়াম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী স্যার ইয়ান ব্ল্যাচফোর্ড অতীতেও তেল ও গ্যাস কোম্পানির পৃষ্ঠপোষকতার পক্ষে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন। তবে আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তির কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। বিশেষ করে, মার্কিন আদালতে অভিযুক্ত হওয়ার পরও আদানির অনুদান গ্রহণের নৈতিক মানদণ্ড নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছেন ব্ল্যাচফোর্ড।

আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে পরিবেশবাদী আন্দোলনকারীদের অভিযোগের অন্ত নেই। গত বছর আদানির নবায়নযোগ্য শক্তি প্রদর্শনী ‘এনার্জি রেভলিউশন: দ্য আদানি গ্রিন এনার্জি গ্যালারি’ও ব্যাপক সমালোচনা কুড়িয়েছে।

তবে কেবল লন্ডন সায়েন্স মিউজিয়াম নয়, যুক্তরাজ্যের অন্যান্য জাদুঘরও জীবাশ্ম জ্বালানি সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখার জন্য সমালোচিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ব্রিটিশ মিউজিয়ামের দেশটির পেট্রোলিয়াম কোম্পানি বিপির কাছ থেকে ৫০০ কোটি পাউন্ড গ্রহণ করে।

আদানি গ্রুপ সায়েন্স মিউজিয়ামকে মাত্র ৪০ লাখ পাউন্ড দিলেও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এই প্রতিষ্ঠানটি ১২৫ দশমিক ৭ মিলিয়ন পাউন্ড অনুদান পেয়েছে। সায়েন্স মিউজিয়াম জানিয়েছে, তারা বাণিজ্যিক সংবেদনশীলতার কারণে কোনো নির্দিষ্ট পৃষ্ঠপোষকতার চুক্তি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে না। তবে তারা জানিয়েছে যে, তাদের অভ্যন্তরীণ যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছে।

মিউজিয়াম আরও জানিয়েছে, তারা তাদের এনার্জি রেভলিউশন গ্যালারিতে পাঁচ লাখেরও বেশি দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে। আর ‘আদানি গ্রিন এনার্জির উদার পৃষ্ঠপোষকতার কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। আদানি গ্রিন এনার্জি একটি প্রধান নবায়নযোগ্য শক্তি কোম্পানি।’

ব্রিটিশ মন্ত্রিসভা কার্যালয়ের নথি থেকে আরও দেখা গেছে, ২০২২ সালের এপ্রিলে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটের আহমেদাবাদে আদানি গ্রুপের সদর দপ্তরে যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সঙ্গে এক বৈঠকে গৌতম আদানি প্রতিরক্ষা খাতে অংশীদারত্ব ও যুক্তরাজ্যে সম্ভাব্য বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন, তিনি ব্রিটিশ অ্যারোস্পেসের আদলে ভারতেরও অ্যারোস্পেস কোম্পানি গড়ে তুলতে চান।

ভারতের প্রতিরক্ষা খাত বেসরকারি কোম্পানিগুলোর জন্য উন্মুক্ত হওয়ার ফলে আদানি গ্রুপসহ একাধিক শক্তিশালী ভারতীয় কনগ্লোমারেট এই খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আহমেদাবাদের বৈঠকে জনসন উল্লেখ করেন, যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা প্রকল্প যেমন ফিউচার কমব্যাট এয়ার সিস্টেম ও নৌবাহিনীর প্রপালশন ব্যবস্থার উন্নয়নে ভারতের সঙ্গে অংশীদার হতে চায়।

বৈঠকের নথিতে উল্লেখ করা হয় যে, আদানি বলেন, তাঁর লক্ষ্য ছিল ভারতের নিজস্ব অ্যারোস্পেস কোম্পানি গড়ে তোলা। যেখানে গোয়েন্দা, নজরদারি ও সাইবার নিরাপত্তা; বিমান প্রতিরক্ষা; চালকবিহীন প্ল্যাটফর্ম এবং পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান নির্মাণ করা হবে। তিনি যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টিকে স্বাগত জানান জনসন।

নথিতে আরও বলা হয়েছে, সে সময় আদানি গ্রুপ হাইড্রোজেন উৎপাদনে বিনিয়োগ করছিল এবং মনে করেছিল, এটি রপ্তানির ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্য ভারতের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠবে। এক পৃথক নথিতে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ তখন শেফিল্ডভিত্তিক সবুজ হাইড্রোজেন প্রযুক্তি কোম্পানি আইটিএম পাওয়ারের সঙ্গে রপ্তানির বিষয়ে আলোচনাও করেছিল।

আদানির সঙ্গে ২০২১ সালের অক্টোবর ও ২০২২ সালের এপ্রিলে জনসনের বৈঠক হয়। সেই দুই বৈঠকের সারসংক্ষেপেও উঠে এসেছে যে, সে সময় মার্কিন কৌঁসুলিরা অভিযোগ করেছিলেন—গৌতম আদানি ভারতের একটি সৌরশক্তি প্রকল্পে ঘুষ দেওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। একই সময়ে, নথিতে উল্লেখ রয়েছে যে—আদানির কনগ্লোমারেট লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জে একটি ব্যবসা তালিকাভুক্ত করার কাজ ‘চূড়ান্ত করছিল’। তবে সেই প্রচেষ্টা আজও বাস্তবায়িত হয়নি।

২০২১ সালের অক্টোবরে যুক্তরাজ্যের গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট সামিটে গৌতম আদানির সঙ্গে জনসনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই ‘সংক্ষিপ্ত সাক্ষাতের’ প্রস্তুতির জন্য একটি সংক্ষিপ্ত নোট তৈরি করা হয়। এতে উল্লেখ করা হয়, আদানি এই বৈঠকে সায়েন্স মিউজিয়ামের ব্ল্যাচফোর্ড ও তখনকার চেয়ার ডেম মেরি আর্চারের সঙ্গে কথা বলবেন।

এই নোটে জনসনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, তিনি ‘সবুজ বিনিয়োগের পরবর্তী ধাপ সম্পর্কে আদানির দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চাইতে পারেন এবং জানতে পারেন, ব্রিটিশ সরকার এ ক্ষেত্রে কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে। বিশেষ করে বন্দর, সরবরাহ ব্যবস্থা, হাইড্রোজেন ও ডেটা সেন্টারের ক্ষেত্রে।’

এতে আরও বলা হয়, আদানি গ্রুপ কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে একটি প্ল্যাটফর্ম খুঁজছিলেন যাতে তারা তাদের নেট-জিরো পরিকল্পনার ঘোষণা দিতে পারে। কিন্তু, পরিহাসের বিষয় হলো, আদানি গ্রুপের ব্যবসায় একটি বড় অংশই জৈব জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল।

সায়েন্স মিউজিয়ামে আদানির পৃষ্ঠপোষকতায় চালু হওয়া সবুজ জ্বালানি শাখার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আদানি বলেছিলেন, তিনি যুক্তরাজ্যে সম্ভাব্য বিনিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে তাঁর মূল মনোযোগ ভারতের ‘বিশাল বাজারের’ দিকেই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোনা খুঁজতে গিয়েছিল দুই কিশোর, খনি ধসে চাপা পড়ে হলো মৃত্যু

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছেলে ইয়ায়াহ জেন্নেহকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা নামিনা জেন্নেহ। ছবি: বিবিসি
ছেলে ইয়ায়াহ জেন্নেহকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ মা নামিনা জেন্নেহ। ছবি: বিবিসি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের এক গ্রামে সাদা কাপড়ে মোড়ানো দুই কিশোরের নিথর দেহের সামনে দাঁড়িয়ে আছে মানুষ। কাঁদছে সবাই। কেউ বিশ্বাসই করতে চাইছে না, কিশোর দুটি তাদের মাঝে আর নেই।

সিয়েরা লিওনের পূর্বাঞ্চলীয় গ্রাম নিমবাদু থেকে ঠিক এক দিন আগে সোনার সন্ধানে বেরিয়েছিল ১৬ বছরের মোহামেদ বাঙ্গুরা ও ১৭ বছরের ইয়ায়াহ জেন্নেহ। উদ্দেশ্য, পরিবারের জন্য বাড়তি উপার্জন।

শেষ পর্যন্ত তাদের আর ফেরা হলো না। সোনার জন্য যে গর্ত তারা খুঁড়ছিল, সেটি ধসে তাদের ওপর পড়ে এবং সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যু হয়।

ওই অঞ্চলে গত চার বছরে এ নিয়ে তিনটি খনি দুর্ঘটনা ঘটল, যাতে প্রাণ হারায় কমপক্ষে পাঁচটি শিশু।

এলাকার হেডটিচার ও স্থানীয় কর্মীদের মতে, বাঙ্গুরা ও জেন্নেহর মতো সিয়েরা লিওনের আরও অনেক শিশু স্কুল ফেলে ঝুঁকিপূর্ণ খনিতে সোনা তুলতে যায়। এ প্রবণতা সেখানে ক্রমেই বাড়ছে।

বিবিসি আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিয়েরা লিয়নের পূর্বাঞ্চল হীরার খনির জন্য বিখ্যাত। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে হীরার মজুত ফুরিয়ে আসায় সোনা খনন বেড়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদে ভরা অঞ্চলটিতে স্থানীয় মানুষজন যেখানেই কোনো কিছুর মজুত খুঁজে পায়, সেখানেই খনির কাজ শুরু হয়ে যায়। তা চাষের জমি, পুরোনো কবরস্থান বা নদীর তীর—যাই হোক না কেন।

অঞ্চলটিতে নামীদামি কোনো খনন কোম্পানি নেই বললেই চলে। যেসব এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে খনি চালানো লাভজনক নয়, সেসব জায়গায় ছড়িয়ে আছে এসব অনিয়ন্ত্রিত খনি; যার গভীরতা কখনো কখনো ৪ মিটারও (১৩ ফুট) হয়।

আফ্রিকার আরও বহু দেশে এমন খনির দেখা মেলে, যেখান থেকে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার খবর প্রায়ই পাওয়া যায়।

নিমবাদুর অধিকাংশ পরিবারের জীবিকা চাষাবাদ আর ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর নির্ভরশীল। বিকল্প কর্মসংস্থান খুব কম। তাই বাড়তি আয়ের সুযোগ লোভনীয় মনে হয় গ্রামবাসীর।

তবে গ্রামের মানুষ এও জানে, এই আয় কখনো কখনো মূল্য দাবি করে। এবার সেই মূল্য দিতে হয়েছে সম্ভাবনাময় দুই কিশোরকে।

ইয়ায়াহ জেন্নেহর মা নামিনা জেন্নেহর স্বামী মারা গেছেন। পাঁচ সন্তানের সংসার চালাতে কিশোর ছেলেটির ওপরই ভরসা ছিল তাঁর।

একসময় এসব খনিতে কাজ করতেন নামিনা। বিবিসির কাছে তিনি স্বীকার করেন, ছেলেকে তিনিই খনির কাজে অভ্যস্ত করেছিলেন। তবে বলেন, ‘ও আমাকে বলেনি, ওই জায়গায় যাবে। জানলে আমি যেতে দিতাম না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে ৪২ দেশের নাগরিকদের দিতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ার ৫ বছরের রেকর্ড

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ৩৩
ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

মার্কিন কাস্টম অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন ডিপার্টমেন্ট বা শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা দপ্তর (সিবিপি) গতকাল মঙ্গলবার একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রস্তাব অনুসারে ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশ থেকে আসা পর্যটকদের অচিরেই হয়তো বিগত পাঁচ বছর পর্যন্ত তাদের সামাজিক মাধ্যমের ইতিহাস খতিয়ে দেখার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, এই পরিবর্তনের জেরে সেই সব পর্যটকেরা প্রভাবিত হবেন, যারা ভিসা মওকুফ কর্মসূচির যোগ্য। এই কর্মসূচি অনুযায়ী ৪২টি দেশের নাগরিকেরা ইলেকট্রনিক ভ্রমণ অনুমোদন পেলে ভিসা ছাড়াই ৯০ দিন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ করতে পারেন।

ফেডারেল রেজিস্ট্রারে মঙ্গলবার পেশ করা একটি নথিতে সিবিপি জানিয়েছে, তারা আবেদনকারীদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্যের একটি লম্বা তালিকা চাইবে, যার মধ্যে থাকবে সামাজিকমাধ্যম, গত দশ বছরজুড়ে ব্যবহার করা ই–মেইল ঠিকানা এবং বাবা-মা, জীবনসঙ্গী, ভাই-বোন ও সন্তানদের নাম, জন্মতারিখ, বাসস্থান ও জন্মস্থান।

বর্তমানে ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশগুলোর আবেদনকারীদের ইলেকট্রনিক সিস্টেম ফর ট্রাভেল অথোরাইজেশন কর্মসূচিতে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। তাঁরা ৪০ ডলার দিয়ে একটি ই-মেইল ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জরুরি যোগাযোগের তথ্য জমা দেন। এই অনুমোদনের মেয়াদ থাকে দুই বছর।

সিবিপির এই পদক্ষেপ মার্কিন সরকারের পূর্বের অনুরূপ কার্যক্রমের মতোই। সরকার ইতিমধ্যে দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য এইচ১–বি ভিসা এবং শিক্ষার্থী ও গবেষক ভিসার আবেদনকারীদের জন্য সামাজিকমাধ্যম পর্যালোচনার ব্যবস্থা চালু করেছে। এ ছাড়া সরকারের একটি নতুন ২৫০ ডলারের ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি সংগ্রহের পরিকল্পনা আছে, যা অনেক ভ্রমণকারীর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, যদিও ভিসা মওকুফ পাওয়া দেশের ভ্রমণকারীরা সেই ফি থেকে ছাড় পাবেন।

ভিসা ইনটিগ্রিটি ফি নিয়ে ট্রাভেল বা পর্যটন শিল্প আপত্তি জানিয়েছে। গত নভেম্বরে ২০ টিরও বেশি পর্যটন ও ভ্রমণ ব্যবসার একটি জোট বিরোধিতা করে একটি চিঠি স্বাক্ষর করে। তাঁদের উদ্বেগের কারণ, এই ফি আরোপের ফলে আগামী বছরের বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইচ্ছুক কোটি কোটি আন্তর্জাতিক পর্যটককে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করবে।

এক পর্যটন কর্মকর্তা পরিচয় গোপন রেখে কথা বলেছেন, সিবিপি এই পরিকল্পনা নিয়ে শিল্পের অংশীজনদের কিছু জানায়নি। তিনি একে যাত্রী যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এক ‘গুরুত্বপূর্ণ বাড়াবাড়ি’ বলে অভিহিত করেছেন। নোটিশে সিবিপি জানিয়েছে যে, তারা এই প্রস্তাবের ওপর ৬০ দিনের জন্য জনসাধারণের মন্তব্য গ্রহণ করবে।

যদি এই পরিকল্পনা অনুমোদিত হয়, তবে সিবিপি কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে ধাপে ধাপে পরিবর্তনগুলি কার্যকর করতে পারে, এমনটাই জানিয়েছে ইমিগ্রেশন আইন সংস্থা ফ্রাগোমেন (Fragomen) . ফ্রাগোমেন-এর অংশীদার বো কুপার সরকারের সামাজিক মাধ্যম পর্যালোচনার নতুন এই পদ্ধতিকে ‘প্যারাডাইম শিফট বা ধারণার আমূল পরিবর্তন’ বলে উল্লেখ করেছেন। কারণ এর আগে সংস্থাগুলি নির্দিষ্ট তথ্য, যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপ, যাচাইয়ের জন্য সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করত।

কুপার বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে অনলাইন আলাপ-আলোচনা দেখা হবে এবং কী ধরনের কথা বলা হয়েছে সে বিষয়ে নিজস্ব বিবেচনা ও নীতির ভিত্তিতে ভ্রমণ বাতিল করা হবে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘পর্যটন সংখ্যা কেমন থাকে, তা দেখতে বেশ আগ্রহ থাকবে।’

ডিজিটাল অধিকার গোষ্ঠী ইলেকট্রনিক ফ্রন্টিয়ার ফাউন্ডেশনের সিনিয়র স্টাফ অ্যাটর্নি সোফিয়া কোপ বিবৃতিতে বলেন, সামাজিক মাধ্যমের বাধ্যতামূলক প্রকাশ ও নজরদারি ‘নাগরিক স্বাধীনতার ক্ষতিকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদী এবং অন্যান্য বাজে লোককে খুঁজে বার করতে এটা কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়নি। তবে এটি নিরপরাধ ভ্রমণকারী এবং তাদের আমেরিকান পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের বাক্‌স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করেছে এবং তাদের গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে।’

সিবিপি এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক কোনো সাড়া দেয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওর মুখ ও ঠোঁট সুন্দর, মেশিনগানের মতো—প্রেস সেক্রেটারি লেভিট সম্পর্কে ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: সংগৃহীত
ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি তাঁর প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিটের ‘সুন্দর মুখ’ আর ‘ঠোঁট’-এর উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। এক অর্থনৈতিক কর্মসূচির প্রচারের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেওয়ার সময় সেখানেই এহেন মন্তব্য করেন ট্রাম্প। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

খবরে বলা হয়েছে, পেনসিলভানিয়ায় এক জনসভায় ৭৯ বছর বয়সী ট্রাম্প তাঁর প্রশাসনের অর্থনৈতিক সফলতার কথা বলছিলেন। তখনই মূল বিষয় থেকে সরে গিয়ে তাঁর ২৮ বছর বয়সী প্রেস সেক্রেটারি কত ‘চমৎকার’ তা নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের সুপারস্টার ক্যারোলিনকে পর্যন্ত নিয়ে এসেছি। সে কি দারুণ না? ক্যারোলিন কি অসাধারণ?’ উল্লসিত জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন।

এরপর তিনি লেভিটের শারীরিক সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাসের প্রশংসা করতে শুরু করেন। লেভিট তাঁর চেয়ে ৫০ বছরেরও বেশি ছোট। ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সে ফক্সের টেলিভিশন চ্যানেলে যায়, সেখানে সে দাপিয়ে বেড়ায়, দাপিয়ে বেড়ায়...সে যখন মঞ্চে ওঠে তাঁর ওই সুন্দর মুখ আর সেই ঠোঁট নিয়ে, যা থামে না, যেন একটা ছোট্ট মেশিনগান।’

ট্রাম্প বলেন, ‘তাঁর কোনো ভয়ডর নেই...কারণ আমাদের নীতি সঠিক। আমাদের এখানে নারীদের খেলায় পুরুষেরা অংশ নেয় না...আমাদের সবাইকে রূপান্তরকামী হতে বাধ্য করতে হয় না, আর আমাদের উন্মুক্ত সীমান্ত নীতিও নেই যেখান থেকে গোটা বিশ্ব—জেলখানা ও অন্য সব জায়গা থেকে—আমাদের দেশে ঢুকতে পারবে, তাই ওর কাজটা একটু সহজ। আমি তো অন্য পক্ষের প্রেস সেক্রেটারি হতে চাইতাম না।’

এই রিপাবলিকান নেতা আগস্টে নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারেও লেভিটকে নিয়ে একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘ওই মুখটা, ওই মস্তিষ্কটা, ওই ঠোঁট, যেভাবে চলে। মনে হয় যেন সে একটা মেশিনগান। আমার মনে হয় না ক্যারোলিনের চেয়ে ভালো প্রেস সেক্রেটারি আর কারও হয়েছে।’

লেভিট ট্রাম্পের প্রথম প্রশাসনে ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত সহকারী প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে কাজ করেছিলেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের বাসিন্দা লেভিট ৬০ বছর বয়সী রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার নিকোলাস রিক্কিও’র সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ এবং তাঁদের নিকো নামে একটি পুত্র সন্তান আছে। কংগ্রেস নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হওয়ার পর তিনি জানুয়ারি মাসে আবারও হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন এবং ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ প্রেস সেক্রেটারি হন। ট্রাম্পের পঞ্চম প্রেস সেক্রেটারি তিনি এবং তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম প্রেস সেক্রেটারি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সোশ্যাল মিডিয়া খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সোশ্যাল মিডিয়া খতিয়ে দেখবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারতীয়দের এইচ-১বি ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত

এইচ-১বি ভিসা প্রার্থীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অ্যাকাউন্ট যাচাই-বাছাই করবে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই নতুন সোশ্যাল মিডিয়া নীতিতে আটকে গেল ভারতের আবেদনকারীদের ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দিয়েছে ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। সেখানে বলা হয়, ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের তারিখ আগামী বছরে পেছানো হয়েছে।

দূতাবাসের বার্তায় আরও বলা হয়, যদি আপনি আপনার ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্ট পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে ইমেইল পেয়ে থাকেন, তবে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট তারিখে নিতে সহায়তা করতে আগ্রহী।’

বার্তায় সতর্ক করে দূতাবাস আরও জানায়, পুনর্নির্ধারণের নোটিফিকেশন পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত তারিখে উপস্থিত হলে দূতাবাস বা কনস্যুলেটে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।

ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শেষভাগে যেসব সাক্ষাৎকার নির্ধারিত ছিল, সেগুলো আগামী বছরের মার্চে নেওয়া হচ্ছে। তবে ঠিক কতগুলো অ্যাপয়েন্টমেন্ট স্থগিত হয়েছে, তা জানা যায়নি।

শীর্ষ ব্যবসায়িক অভিবাসন আইন প্রতিষ্ঠানের অ্যাটর্নি স্টিভেন ব্রাউন বলেন, ‘মিশন ইন্ডিয়া যা নিশ্চিত করেছে, তা-ই আমরা শুনছিলাম। সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইয়ের কারণে তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের বেশ কিছু অ্যাপয়েন্টমেন্ট বাতিল করে মার্চে পুনর্নির্ধারণ করেছে।’

এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও এইচ-৪ নির্ভরশীলদের জন্য স্ক্রিনিং ও যাচাই–বাছাইয়ের পরিধি বাড়িয়েছে মার্কিন সরকার। নতুন নির্দেশনায় আবেদনকারীদের সব সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলের প্রাইভেসি সেটিং ‘পাবলিক’ রাখতে বলা হয়েছে।

আরও বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বা জাতীয় নিরাপত্তা কিংবা জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারেন কি না তা চিহ্নিত করতে ১৫ ডিসেম্বর থেকে কর্মকর্তারা তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। তবে শিক্ষার্থী ও এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের আবেদনকারীরা আগে থেকেই এমন পর্যবেক্ষণের আওতায় ছিলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, প্রতিটি ভিসার ক্ষেত্রেই জাতীয় নিরাপত্তার কথা ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

দক্ষ বিদেশি কর্মীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের অন্যতম প্রধান পথ এইচ-১বি ভিসা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নিয়মকানুনের সর্বশেষ আঘাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি। গত সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নতুন এইচ-১বি ভিসার ওপর একবারের জন্য ১ লাখ ডলারের অতিরিক্ত ফি আরোপ করেন। এর কিছুদিন পর, আফগান বংশোদ্ভূত এক ব্যক্তির গুলিতে ন্যাশনাল গার্ড সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র ১৯টি দেশকে ‘উদ্বেগজনক দেশ’ হিসেবে চিহ্নিত করে আবেদনকারীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মোহাম্মদপুরে মা-মেয়ে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার

প্রাথমিকভাবে ১২৫ আসনে এনসিপির প্রার্থী ঘোষণা

আজকের রাশিফল: অতিরিক্ত রাগ লজ্জায় ফেলবে, ঘরে শান্তি চাইলে রান্না নিয়ে চুপ থাকুন

৫০ বছর ধরে কবর খুঁড়ছেন মজিরুল, নিঃস্বার্থ সেবায় গাংনীর গোরখোদকেরা

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার ২

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত