রুশ আক্রমণ থেকে নিজেদের শহরগুলো বাঁচাতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাণপণে লড়ছে ইউক্রেনের সেনারা। এর মধ্যেই ঘটল উল্টো ঘটনা। সোমবার মধ্যরাতে কারা যেন হামলা করেছে রাশিয়ার বলগরোদ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী একটি এলাকায়।
এ বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বলগরোদ অঞ্চলের গ্রাভোরনস্কি জেলায় হামলাকারীদের ঘিরে ফেলা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাকিরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের জঙ্গি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউক্রেন দাবি করছে, হামলাকারীরা তাদের দেশের কেউ নন। তারা রাশিয়ারই দুটি আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন (এফআরএল) ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস (আরডিকে) নামে এ দুটি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ক্রেমলিন বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইউক্রেন বলছে, হামলাকারী রুশ নাগরিকরা ইউক্রেনীয়দের জন্য একটি নিরাপদ বলয় তৈরির চেষ্টা করছে এবং দুটি দলই রাশিয়ার ভেতরে স্বায়ত্বশাসিতভাবে অবস্থান করে। এ ছাড়া ইউক্রেনের টেলিভিশনে তাদের রুশ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এদিকে সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে টেলিগ্রামে দায় স্বীকার করে বার্তা পাঠিয়েছে লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন। রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পসের সঙ্গে যৌথভাবে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে দলটি।
দল দুটির মধ্যে রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস আলোচনায় আসে চলতি বছরের মার্চে। সে সময় ৪৫ জন সদস্য নিয়ে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি হামলা পরিচালনা করে দলটি। এর আগে ফর্চুনা নামে দলটির এক সদস্য ইউক্রেনের গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, তাদের ১২০ জন সদস্য রয়েছে।
অন্যদিকে লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন গ্রুপটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত। এ দলের সদস্যরা ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করছে। সাদা আর নীল রঙের সমন্বয়ে তাদের একটি পতাকাও রয়েছে। তারা মুক্ত রাশিয়ার স্লোগান নিয়ে ক্রেমলিন-বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভলান্টিয়ার কর্পসের নেতা ডেনিস নিকিতিন জানান, দুটি দলই পুতিন সাম্রাজ্যের পতন চায়।
সর্বশেষ হামলার বিষয়ে জানা গেছে, গত সোমবার বেলগরোদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কোজিঙ্কা নামে একটি এলাকাকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে লিজিয়ন গ্রুপ। তারা দাবি করে, ভলান্টিয়ার কর্পসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তারা বেলগরোদ অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। রুশ নাগরিকরা নিরাপদ এবং রুশ ফেডারেশন শক্তিশালী এমন ধারণাকে হামলার মধ্য দিয়ে চূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় দলটি।
লিজিওন গ্রুপের সদস্যসংখ্যা কত, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে তারা দাবি করেছে, ইউক্রেনের কমান্ডে দেশটিতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পুরোদমে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
ইতিপূর্বে দলটির কায়জার নামে এক সদস্য দাবি করেছিলেন, তাঁদের গ্রুপে এমন কেউ নেই যাঁদের জোর করে সদস্য করা হয়েছে। তাঁরা ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সৈন্যদলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।
এদিকে দুটি গ্রুপের সামরিক গুরুত্ব নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। তাদের বিষয়ে ইউক্রেনীয় পণ্ডিত ভলোদিমির ফেসেঙ্কো বলেছিলেন, এখানে অনেক ইউনিটই কাজ করছে, যারা সত্যিকারের যুদ্ধের চেয়ে প্রচারণায়ই বেশি ব্যস্ত থাকে।
রুশ আক্রমণ থেকে নিজেদের শহরগুলো বাঁচাতে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাণপণে লড়ছে ইউক্রেনের সেনারা। এর মধ্যেই ঘটল উল্টো ঘটনা। সোমবার মধ্যরাতে কারা যেন হামলা করেছে রাশিয়ার বলগরোদ অঞ্চলের সীমান্তবর্তী একটি এলাকায়।
এ বিষয়ে রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, বলগরোদ অঞ্চলের গ্রাভোরনস্কি জেলায় হামলাকারীদের ঘিরে ফেলা হয়েছিল এবং তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। বাকিরা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ইউক্রেনের দিকে পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, হামলাকারীদের ‘ইউক্রেনের জঙ্গি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউক্রেন দাবি করছে, হামলাকারীরা তাদের দেশের কেউ নন। তারা রাশিয়ারই দুটি আধা সামরিক বাহিনীর সদস্য। লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন (এফআরএল) ও রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস (আরডিকে) নামে এ দুটি বাহিনী দীর্ঘদিন ধরেই ক্রেমলিন বিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ইউক্রেন বলছে, হামলাকারী রুশ নাগরিকরা ইউক্রেনীয়দের জন্য একটি নিরাপদ বলয় তৈরির চেষ্টা করছে এবং দুটি দলই রাশিয়ার ভেতরে স্বায়ত্বশাসিতভাবে অবস্থান করে। এ ছাড়া ইউক্রেনের টেলিভিশনে তাদের রুশ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এদিকে সিএনএনের এক খবরে বলা হয়েছে, হামলার বিষয়ে টেলিগ্রামে দায় স্বীকার করে বার্তা পাঠিয়েছে লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন। রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পসের সঙ্গে যৌথভাবে এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছে দলটি।
দল দুটির মধ্যে রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পস আলোচনায় আসে চলতি বছরের মার্চে। সে সময় ৪৫ জন সদস্য নিয়ে রাশিয়ার ব্রায়ানস্ক অঞ্চলে একটি হামলা পরিচালনা করে দলটি। এর আগে ফর্চুনা নামে দলটির এক সদস্য ইউক্রেনের গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল, তাদের ১২০ জন সদস্য রয়েছে।
অন্যদিকে লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিওন গ্রুপটির কার্যক্রম আরও বিস্তৃত। এ দলের সদস্যরা ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধও করছে। সাদা আর নীল রঙের সমন্বয়ে তাদের একটি পতাকাও রয়েছে। তারা মুক্ত রাশিয়ার স্লোগান নিয়ে ক্রেমলিন-বিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
ভলান্টিয়ার কর্পসের নেতা ডেনিস নিকিতিন জানান, দুটি দলই পুতিন সাম্রাজ্যের পতন চায়।
সর্বশেষ হামলার বিষয়ে জানা গেছে, গত সোমবার বেলগরোদের দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কোজিঙ্কা নামে একটি এলাকাকে ‘স্বাধীন’ ঘোষণা করে লিজিয়ন গ্রুপ। তারা দাবি করে, ভলান্টিয়ার কর্পসের সঙ্গে একাত্ম হয়ে তারা বেলগরোদ অঞ্চলের স্বাধীনতার জন্য লড়ছে। রুশ নাগরিকরা নিরাপদ এবং রুশ ফেডারেশন শক্তিশালী এমন ধারণাকে হামলার মধ্য দিয়ে চূর্ণ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানায় দলটি।
লিজিওন গ্রুপের সদস্যসংখ্যা কত, সে সম্পর্কে কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে তারা দাবি করেছে, ইউক্রেনের কমান্ডে দেশটিতে তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে পুরোদমে প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নিয়েছে।
ইতিপূর্বে দলটির কায়জার নামে এক সদস্য দাবি করেছিলেন, তাঁদের গ্রুপে এমন কেউ নেই যাঁদের জোর করে সদস্য করা হয়েছে। তাঁরা ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সৈন্যদলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন।
এদিকে দুটি গ্রুপের সামরিক গুরুত্ব নিয়ে কিছু মতভেদ রয়েছে। তাদের বিষয়ে ইউক্রেনীয় পণ্ডিত ভলোদিমির ফেসেঙ্কো বলেছিলেন, এখানে অনেক ইউনিটই কাজ করছে, যারা সত্যিকারের যুদ্ধের চেয়ে প্রচারণায়ই বেশি ব্যস্ত থাকে।
ইউক্রেনে আবারও ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। স্থানীয় সরকারের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর মাইকোলাইভে বাড়ি-ঘর ও বেসামরিক অবকাঠামোতে আঘাত হেনেছে একাধিক রুশ ড্রোন। এ ঘটনায় এখনো পর্যন্ত কেউ নিহত হয়েছে বলে খবর না পাওয়া গেলেও জানা গেছে, আহত হয়েছেন তিন বেসামরিক...
৩৬ মিনিট আগেইরানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দাবি করেছে, গত জুনে ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে যুদ্ধ শুরু করেছিল, তাতে অংশ নেওয়া ইসরায়েলি বিমানবাহিনীর পাইলট, কমান্ডার ও ড্রোন অপারেটরদের সম্পূর্ণ পরিচয় তারা উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। এরা কোথায় থাকে, কোন ইউনিটে কাজ করে এবং আগের অপরাধে তাদের সংশ্লিষ্টতা—সব তথ্য...
১ ঘণ্টা আগেমুম্বাই থেকে কলকাতা হয়ে ফ্লাইট ৬ ই-২৩৮৭-তে করে আসামের শিলচরে যাচ্ছিলেন হোসেন আহমেদ মজুমদার। হঠাৎ প্লেনের মধ্যে আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। বিমানের দুই ক্রু সদস্য তাঁকে বিমান থেকে নামতে সাহায্য করছিলেন। সে সময় পাশের সিটের এক যাত্রী আকস্মিকভাবে তাঁকে চড় মেরে বসেন।
১ ঘণ্টা আগেগাজাজুড়ে, আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। গতকাল শনিবার, ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে আরও অন্তত ৬২ জন। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের ৩৮ জন বিতর্কিত মানবিক সংগঠন গাজা হিউম্যানিটিরিয়ান ফাউন্ডেশনের ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
২ ঘণ্টা আগে