Ajker Patrika

মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের রূপান্তরিত হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই: ডব্লিউএইচও

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ২৪ মে ২০২২, ১৪: ৩৯
Thumbnail image

ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো মাঙ্কিপক্স সম্পর্কে ইতিবাচক বার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থাটি জানিয়েছে, মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের রূপান্তরিত হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। এদিকে জাতিসংঘের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, পশ্চিম আফ্রিকা ও মধ্য আফ্রিকায় স্থানীয়ভাবে ছড়িয়ে পড়া সংক্রামক রোগটির রূপান্তরিত হওয়ার প্রবণতা নেই। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে। 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের স্মলপক্স সেক্রেটারিয়েটের প্রধান রোসামুন্ড লুইস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, ‘এই ভাইরাসের মিউটেশন (রূপান্তর) সাধারণত কম হয়। তবে এর জিনোম সিকোয়েন্স ভাইরাসটির বর্তমান প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাঙ্কিপক্স ভাইরাসের মিউটেশনের বিষয়টিতে নজর রাখছেন। কারণ মিউটেশন যেকোনো ভাইরাসকে আরও সহজে সংক্রমণযোগ্য ও গুরুতর করে তোলো।’ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নতুন রোগ, জুনোজেস রোগ ও কোভিড-১৯-এর প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান মারিয়া ভ্যান কেরখোভ গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ইউরোপ ও আমেরিকায় সম্প্রতি সন্দেহভাজন শতাধিক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বিষয়টি গুরুতর নয়।’ 

মাঙ্কিপক্স পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণযোগ্য বলেও মন্তব্য করেন মারিয়া ভ্যান কেরখোভ। তিনি বলেন, ‘বর্তমান যে পরিস্থিতি তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আফ্রিকা ও অন্যান্য যেসব দেশে রোগটি ছড়িয়েছে, সেখানে আমাদের সতর্ক নজর রাখতে হবে।’ 

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, ‘মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব অস্বাভাবিক। যেসব দেশে ভাইরাস নিয়মিতভাবে ছড়ায় না, সেসব দেশেও ছড়িয়েছে। বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের উৎস অনুসন্ধানের চেষ্টা করছেন এবং ভাইরাসের কোনো পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা বোঝার চেষ্টা করছেন।’ 

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা বলছেন, মাঙ্কিপক্স সাধারণত মানুষের মধ্যে সহজে ছড়িয়ে পড়ে না। তবে এটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে বা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিসগুলোর (কাপড়, বিছানা, বাসন ইত্যাদি) সংস্পর্শের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। 

এদিকে মার্কিন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘ম্যাসাচুসেটসে একজনের মাঙ্কিপক্স শনাক্ত হয়েছে। এ ছাড়া আরও চারজনের মাঙ্কিপক্স হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। এদের একজন নিউইয়র্কের, একজন ফ্লোরিডার এবং বাকি দুজন উটাহের বাসিন্দা।’ 

এই সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত