জার্মান চিন্তাবিদ ও সাম্যবাদী দর্শনের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্সের আদর্শকে ধারণ করে সমাজের শোষিত শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজও লড়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাঁর রচিত কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো কিংবা দাস ক্যাপিটালকে অনেকে শোষণ–বঞ্চনাহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। কাঙ্ক্ষিত এই মহাপুরুষের সমাধি দেখতে প্রতিবছরই যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনে হাইগেট সমাধিস্থলে হাজির হন অসংখ্য মানুষ।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্ল মার্ক্সের সেই সমাধির পাশে সমাহিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা মার্ক্সের সমাজতন্ত্র ধারণার মানানসই নয়। কী সেই শর্ত?
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সমাধিস্থলে মার্ক্স শায়িত আছেন, সেখানে বেশ কিছু নতুন প্লট তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের একটি সাধারণ প্লট ৫ লাখ পাউন্ডে পাওয়া গেলেও মার্ক্সের পাশে কোনো কবর সমাধিস্থ হওয়ার বাসনা থাকলে তাঁকে গুনতে হবে অন্তত ২৫ হাজার পাউন্ড। সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি অন্তত পৌনে ৩৫ লাখ টাকা!
বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। মার্ক্সের পাশে সমাধিস্থ হওয়াটা গৌরবের বিষয় মনে করলে অস্বাভাবিক মূল্য দিয়ে কবরের জায়গা কেনাটা কতখানি মার্ক্সের সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, সেটিও তো বিবেচনা করা উচিত!
মুশকিল হচ্ছে, জমির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে মার্ক্সের আলাদা কোনো তত্ত্ব থাকলে হাইগেট সিমেটারির প্লটের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেটি না হয় বিবেচনা করা যেত। সে রকম কিছু তো নেই। যদিও অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডোর ‘ভাড়া ও কর তত্ত্ব’-এর সমালোচনা করে লেখালেখি করেছেন মার্ক্স। তবে মার্ক্সের সেই আলোচনা হাইগেট সিমেটারির ক্ষেত্রে তখনই প্রযোজ্য হতে পারে, যদি তাতে আরও বেশি মার্ক্সের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়! রিকার্ডো যেখানে এ ক্ষেত্রে অধিকতর উৎপাদনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত হয়তো হাইগেট সমাধিস্থলে মার্ক্সের সমাধির কাছের প্লটগুলো ২৫ হাজার পাউন্ডের বেশি দামে বিক্রি হতে পারে।
মার্ক্সের সমাধি দেখার জন্য অসংখ্য পর্যটকের সমাগম হয় হাইগেট সমাধিস্থলে। তবে সবাই যে মার্ক্সের সমাধি দেখতে যান এমনও নয়। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা সেই সমাধিস্থলে জর্জ ইলিয়ট কিংবা জর্জ মাইকেলের সমাধিও দেখতে যান। আরও অসংখ্য রথী-মহারথীকে সেখানে সমাধিস্থ করা হয়েছে। মার্ক্সের সমাধি ধ্বংস কিংবা উড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তাঁর সমাধির স্থাপনায় ‘ক্ষুধার্তের মতাদর্শ’ এবং ‘গণহত্যার জনক’ শব্দগুলোও লিখে দিয়েছিল কেউ।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে মত দেওয়া হয়েছে, যারা মার্ক্সের মতাদর্শকে সত্যিই ধারণ করেন, তাঁদের দ্বারা গুরুর সমাধির পাশে সমাহিত হওয়া প্রায় অসম্ভব! কারণ, আপনি যে ধরনের কমিউনিস্টই হোন না কেন, এমনকি আধুনিক ধনী কমিউনিস্ট হলেও আপনার মতাদর্শ এ ধরনের সম্পদ কেনায় সায় দিতে পারে না। তবে কেউ চাইলে চরম কমিউনিস্টবিরোধী হয়েও বিপুল অর্থ দিয়ে মার্ক্সের সমাধির পাশে সমাহিত হতে পারেন। এমনটি হলে নিঃসন্দেহে মার্ক্সের শেষ বিশ্রামের স্থানটির মর্যাদা নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই ঘটবে!
শোষিত মানুষকে ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্স। ১৮১৮ সালে জার্মানিতে জন্ম হলেও যৌবন থেকে জীবনের বাকিটা সময় ইংল্যান্ডেই কাটিয়েছেন। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাঁকে। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে আসেন। সেখানেই ১৮৮৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
জার্মান চিন্তাবিদ ও সাম্যবাদী দর্শনের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্সের আদর্শকে ধারণ করে সমাজের শোষিত শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আজও লড়ে যাচ্ছেন অনেকে। তাঁর রচিত কমিউনিস্ট মেনিফেস্টো কিংবা দাস ক্যাপিটালকে অনেকে শোষণ–বঞ্চনাহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মূলমন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করেন। কাঙ্ক্ষিত এই মহাপুরুষের সমাধি দেখতে প্রতিবছরই যুক্তরাজ্যের উত্তর লন্ডনে হাইগেট সমাধিস্থলে হাজির হন অসংখ্য মানুষ।
গত বুধবার (১৭ জানুয়ারি) প্রকাশিত দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্ল মার্ক্সের সেই সমাধির পাশে সমাহিত হওয়ার সুযোগ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা করছে কর্তৃপক্ষ। তবে এর জন্য যে শর্ত দেওয়া হয়েছে, তা মার্ক্সের সমাজতন্ত্র ধারণার মানানসই নয়। কী সেই শর্ত?
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে সমাধিস্থলে মার্ক্স শায়িত আছেন, সেখানে বেশ কিছু নতুন প্লট তৈরি করা হয়েছে। এ ধরনের একটি সাধারণ প্লট ৫ লাখ পাউন্ডে পাওয়া গেলেও মার্ক্সের পাশে কোনো কবর সমাধিস্থ হওয়ার বাসনা থাকলে তাঁকে গুনতে হবে অন্তত ২৫ হাজার পাউন্ড। সর্বশেষ বিনিময় হার অনুযায়ী বাংলাদেশি মুদ্রায় এটি অন্তত পৌনে ৩৫ লাখ টাকা!
বিষয়টি নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে। মার্ক্সের পাশে সমাধিস্থ হওয়াটা গৌরবের বিষয় মনে করলে অস্বাভাবিক মূল্য দিয়ে কবরের জায়গা কেনাটা কতখানি মার্ক্সের সমাজতন্ত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হচ্ছে, সেটিও তো বিবেচনা করা উচিত!
মুশকিল হচ্ছে, জমির মূল্য নির্ধারণ নিয়ে মার্ক্সের আলাদা কোনো তত্ত্ব থাকলে হাইগেট সিমেটারির প্লটের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সেটি না হয় বিবেচনা করা যেত। সে রকম কিছু তো নেই। যদিও অর্থনীতিবিদ ডেভিড রিকার্ডোর ‘ভাড়া ও কর তত্ত্ব’-এর সমালোচনা করে লেখালেখি করেছেন মার্ক্স। তবে মার্ক্সের সেই আলোচনা হাইগেট সিমেটারির ক্ষেত্রে তখনই প্রযোজ্য হতে পারে, যদি তাতে আরও বেশি মার্ক্সের জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়! রিকার্ডো যেখানে এ ক্ষেত্রে অধিকতর উৎপাদনশীলতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
শেষ পর্যন্ত হয়তো হাইগেট সমাধিস্থলে মার্ক্সের সমাধির কাছের প্লটগুলো ২৫ হাজার পাউন্ডের বেশি দামে বিক্রি হতে পারে।
মার্ক্সের সমাধি দেখার জন্য অসংখ্য পর্যটকের সমাগম হয় হাইগেট সমাধিস্থলে। তবে সবাই যে মার্ক্সের সমাধি দেখতে যান এমনও নয়। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা সেই সমাধিস্থলে জর্জ ইলিয়ট কিংবা জর্জ মাইকেলের সমাধিও দেখতে যান। আরও অসংখ্য রথী-মহারথীকে সেখানে সমাধিস্থ করা হয়েছে। মার্ক্সের সমাধি ধ্বংস কিংবা উড়িয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টাও হয়েছে একাধিকবার। সর্বশেষ ২০১৯ সালে তাঁর সমাধির স্থাপনায় ‘ক্ষুধার্তের মতাদর্শ’ এবং ‘গণহত্যার জনক’ শব্দগুলোও লিখে দিয়েছিল কেউ।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে মত দেওয়া হয়েছে, যারা মার্ক্সের মতাদর্শকে সত্যিই ধারণ করেন, তাঁদের দ্বারা গুরুর সমাধির পাশে সমাহিত হওয়া প্রায় অসম্ভব! কারণ, আপনি যে ধরনের কমিউনিস্টই হোন না কেন, এমনকি আধুনিক ধনী কমিউনিস্ট হলেও আপনার মতাদর্শ এ ধরনের সম্পদ কেনায় সায় দিতে পারে না। তবে কেউ চাইলে চরম কমিউনিস্টবিরোধী হয়েও বিপুল অর্থ দিয়ে মার্ক্সের সমাধির পাশে সমাহিত হতে পারেন। এমনটি হলে নিঃসন্দেহে মার্ক্সের শেষ বিশ্রামের স্থানটির মর্যাদা নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই ঘটবে!
শোষিত মানুষকে ন্যায্য অধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে আমৃত্যু সংগ্রাম করেছেন ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রখ্যাত জার্মান চিন্তাবিদ, দার্শনিক, সমাজবিজ্ঞানী ও দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদের প্রবক্তা কার্ল মার্ক্স। ১৮১৮ সালে জার্মানিতে জন্ম হলেও যৌবন থেকে জীবনের বাকিটা সময় ইংল্যান্ডেই কাটিয়েছেন। সমাজতান্ত্রিক চিন্তাধারা তরুণদের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয় তাঁকে। ১৯৪৯ সালে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে চলে আসেন। সেখানেই ১৮৮৩ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।
ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিতে ব্রিটেনের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির ওপর চাপ বাড়ছে। এরই মধ্যে এই দাবিতে দেশটির ৯টি রাজনৈতিক দলের ২২০ জন এমপি প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে একটি চিঠি লিখেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১১ মিনিট আগেইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর গোয়েন্দাদের জন্য আরবি ভাষা ও ইসলামিক জ্ঞানার্জন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মূলত ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গোয়েন্দা ব্যর্থতার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গোয়েন্দা শাখার সব সৈনিক ও কর্মকর্তার জন্য আরবি ভাষা এবং ইসলামিক স্টাডিজ প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে।
২৯ মিনিট আগেঘরে-বাইরে চাপের মুখে থাকলেও লাতিন আমেরিকার দেশ কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো ইসরায়েলে ‘এক টনও’ কয়লা রপ্তানি না করা সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অটল। গত বৃহস্পতিবার তিনি এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। তিনি এমন এক সময়ে এই নির্দেশ দিলেন, যখন ইসরায়েলি অবরোধের কারণে গাজায় লাখো মানুষ দিনের পর দিন না খেয়ে আছে।
১ ঘণ্টা আগেফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল আরোপিত দুর্ভিক্ষের ছবি যখন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করছে, তখন ভারত ও ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা সম্পর্ক আরও গভীর ও জোরদার করার অঙ্গীকার করেছেন। গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের ফলে ৫৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও অনেক আন্তর্জাতিক অধিকার সংস্থা...
২ ঘণ্টা আগে