জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শুরু হতে পারত।
মেরকেল বলেছেন, ‘যদি ২০০৮ সালে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে এগিয়ে যেত, তবে আমরা আরও আগে সামরিক সংঘাতে জড়াতাম। প্রেসিডেন্ট পুতিন এটি মেনে নিতেন না। তা ছাড়া, সেই সময় ইউক্রেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মতো প্রস্তুতও ছিল না।’
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি মেরকেলের এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘ভুল হিসাব’ বলে মনে করেন। তার মতে, মেরকেলের পদক্ষেপ রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, মেরকেলের আমলে জার্মানি রাশিয়ার সঙ্গে দুইটি সরাসরি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করেছিল। জার্মানির জ্বালানি খাত এই পাইপলাইনগুলোর ওপর নির্ভরশীল। তবে ওই দুটি চুক্তিকে পুতিনের ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি।
মেরকেল দাবি করেছেন, ওই প্রকল্পগুলোর দুটি উদ্দেশ্য ছিল—প্রথমত, জার্মানির ব্যবসায়িক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা এবং দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
তবে সেই সময় পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মেরকেলের এমন নীতির কঠোর বিরোধিতা করেছিল। পোল্যান্ডের সংসদ সদস্য রাদোস্লভ ফগিয়েল বলেছেন, ‘জার্মানির গ্যাসের টাকা রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
মেরকেল কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। যদিও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সম্প্রতি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে জার্মান শিল্প এখন উচ্চ মূল্যের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে চাপের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, ২০১৫ সালে জার্মানিতে ১০ লাখের বেশি আশ্রয়প্রার্থী প্রবেশেরও অনুমতি দিয়েছিলেন মেরকেল। এটিকে তাঁর আমলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর জন্য মেরকেল প্রশংসিতও হয়েছিলেন। তবে সমালোচকেরা মনে করেন, মেরকেলের ওই নীতি জার্মানিতে ডানপন্থী এএফডি পার্টির উত্থান ত্বরান্বিত করেছিল। বর্তমানে জার্মান জনমত জরিপে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এএফডি। অভিবাসন বিরোধিতাই এই দলের মূল স্লোগান।
এএফডি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে, মেরকেল স্বীকার করলেও নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানোই ডানপন্থীদের মোকাবিলার উপায়।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নেতৃত্বে জার্মানি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে দেশটিকে ‘ইউরোপের রুগ্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, মেরকেলের আমলে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করার মতো দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার গৃহীত হয়নি বলেই জার্মানির আজ এমন পরিণতি।
বর্তমানে ইউরোপের নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছেন। মেরকেল মনে করেন, একনায়কী কৌশল মোকাবিলা করতে শক্তিশালী অগ্রাধিকার ও স্পষ্ট যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি জানান, রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর ক্ষমতা বা রাজনৈতিক জীবনের প্রতি তাঁর আর কোনো অনুরাগ নেই।
নিজ আমলে মেরকেল শান্তি বজায় রাখার এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বর্তমানের সংকটময় পরিস্থিতিতে তার নীতি ও সিদ্ধান্তের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শুরু হতে পারত।
মেরকেল বলেছেন, ‘যদি ২০০৮ সালে ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার পথে এগিয়ে যেত, তবে আমরা আরও আগে সামরিক সংঘাতে জড়াতাম। প্রেসিডেন্ট পুতিন এটি মেনে নিতেন না। তা ছাড়া, সেই সময় ইউক্রেন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির মতো প্রস্তুতও ছিল না।’
তবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি মেরকেলের এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘ভুল হিসাব’ বলে মনে করেন। তার মতে, মেরকেলের পদক্ষেপ রাশিয়াকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছিল।
বিবিসি জানিয়েছে, মেরকেলের আমলে জার্মানি রাশিয়ার সঙ্গে দুইটি সরাসরি গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ করেছিল। জার্মানির জ্বালানি খাত এই পাইপলাইনগুলোর ওপর নির্ভরশীল। তবে ওই দুটি চুক্তিকে পুতিনের ভূ-রাজনৈতিক অস্ত্র বলে অভিহিত করেছেন জেলেনস্কি।
মেরকেল দাবি করেছেন, ওই প্রকল্পগুলোর দুটি উদ্দেশ্য ছিল—প্রথমত, জার্মানির ব্যবসায়িক স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা এবং দ্বিতীয়ত, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা।
তবে সেই সময় পূর্ব ইউরোপের ন্যাটো ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো মেরকেলের এমন নীতির কঠোর বিরোধিতা করেছিল। পোল্যান্ডের সংসদ সদস্য রাদোস্লভ ফগিয়েল বলেছেন, ‘জার্মানির গ্যাসের টাকা রাশিয়ার যুদ্ধ তহবিলকে আরও শক্তিশালী করেছে।’
মেরকেল কূটনীতির মাধ্যমে রাশিয়ার হামলা ঠেকানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন। যদিও সেই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সম্প্রতি রাশিয়ার জ্বালানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে জার্মান শিল্প এখন উচ্চ মূল্যের তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানির ক্ষেত্রে চাপের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে, ২০১৫ সালে জার্মানিতে ১০ লাখের বেশি আশ্রয়প্রার্থী প্রবেশেরও অনুমতি দিয়েছিলেন মেরকেল। এটিকে তাঁর আমলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর জন্য মেরকেল প্রশংসিতও হয়েছিলেন। তবে সমালোচকেরা মনে করেন, মেরকেলের ওই নীতি জার্মানিতে ডানপন্থী এএফডি পার্টির উত্থান ত্বরান্বিত করেছিল। বর্তমানে জার্মান জনমত জরিপে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে এএফডি। অভিবাসন বিরোধিতাই এই দলের মূল স্লোগান।
এএফডি রাজনৈতিকভাবে লাভবান হয়েছে, মেরকেল স্বীকার করলেও নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষেই কথা বলেছেন। তিনি মনে করেন, অবৈধ অভিবাসন ঠেকানো এবং আফ্রিকান দেশগুলোতে বিনিয়োগ বাড়ানোই ডানপন্থীদের মোকাবিলার উপায়।
অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের নেতৃত্বে জার্মানি শক্তিশালী অর্থনৈতিক অবস্থানে থাকলেও বর্তমানে দেশটিকে ‘ইউরোপের রুগ্ণ ব্যক্তি’ হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, মেরকেলের আমলে ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করার মতো দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার গৃহীত হয়নি বলেই জার্মানির আজ এমন পরিণতি।
বর্তমানে ইউরোপের নেতারা যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করছেন। মেরকেল মনে করেন, একনায়কী কৌশল মোকাবিলা করতে শক্তিশালী অগ্রাধিকার ও স্পষ্ট যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে তিনি জানান, রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার পর ক্ষমতা বা রাজনৈতিক জীবনের প্রতি তাঁর আর কোনো অনুরাগ নেই।
নিজ আমলে মেরকেল শান্তি বজায় রাখার এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ব্যবহারের চেষ্টা করেছিলেন। তবে বর্তমানের সংকটময় পরিস্থিতিতে তার নীতি ও সিদ্ধান্তের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারস
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুইডেনের লিনশপিং শহরে দুই নেতার বৈঠক হয়। এরপর তাঁরা সফর করেন গ্রিপেনের উৎপাদক ‘সাব–SAAB’—এর কারখানায়। এই প্রতিষ্ঠানই তৈরি করে জেএএস ৩৯ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান, গ্লোবালআই নজরদারি বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টারসন জানান, দুই দেশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা চুক্তি করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ১০০—১৫০টি নতুন গ্রিপেন–ই মডেলের যুদ্ধবিমান রপ্তানির সম্ভাবনা, যা সুইডেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান রপ্তানি অর্ডার হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, সামনে পথটা দীর্ঘ। কিন্তু আজ থেকে আমরা ইউক্রেনকে বিপুলসংখ্যক গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহের সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
গত দুই বছর ধরে ইউক্রেনে গ্রিপেন সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ার পর আপাতত সেটির ওপর মনোযোগ দিতে এই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ইউক্রেনের জন্য গ্রিপেন পাওয়ার কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যৎ চুক্তিতে আমরা কমপক্ষে ১০০টি বিমান অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় পাইলটরা ইতিমধ্যে সুইডেনে গিয়ে গ্রিপেন পরীক্ষা করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে বিমান রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ হয়। গ্রিপেন তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং টেকসই—যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এর মতো উন্নত বিমানের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী বিকল্প। জেলেনস্কির আশা, আগামী বছর থেকেই ইউক্রেন গ্রিপেন যুদ্ধবিমান পাবে এবং ব্যবহার শুরু করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য গ্রিপেন অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অর্থ, কৌশল ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
ক্রিস্টারসন জানান, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন বিমানের উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হতে তিন বছর লাগতে পারে। পুরোনো গ্রিপেন মডেল পাঠানোর বিষয়টি এখনো খোলা রয়েছে, যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমান ক্রয়ের অর্থায়ন হতে পারে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ থেকে এবং ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’—এর অন্তর্ভুক্ত মিত্র দেশগুলোর সহায়তায়। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (RUSI) বিমানযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, এই সম্ভাব্য চুক্তি দেখায় যে ইউক্রেন কেবল যুদ্ধের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন নয়, বরং যুদ্ধোত্তর বিমানবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছে।
বর্তমানে ইউক্রেনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ব্রঙ্ক বলেন, গ্রিপেন ই এই দুইয়ের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম মধ্য-ওজনের যুদ্ধবিমান হতে পারে। এর উন্নত রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেবে।
১৯৯৬ সাল থেকে গ্রিপেন সক্রিয় রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি বিমান তৈরি করেছে সাব। বুধবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগেই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। সুইডেন নিজেই সর্বশেষ গ্রিপেন–ই মডেলের ৬০টি বিমান অর্ডার করেছে। লিনশপিংয়ের কারখানায় সাব উৎপাদনক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বছরে ২০–৩০টি বিমান তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাজিলেও গ্রিপেন নির্মাণ করছে।
লিনশপিংয়ে পৌঁছানোর আগে জেলেনস্কি অল্প সময়ের জন্য নরওয়ের রাজধানী অসলোতে থামেন। সেখানে নরওয়ে সরকার ঘোষণা দেয়—তারা ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের জন্য আরও দেড় বিলিয়ন নরওয়েজীয় ক্রোন (প্রায় ১৪৯.৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদান দেবে।
সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারসন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ সুইডেনের লিনশপিং শহরে দুই নেতার বৈঠক হয়। এরপর তাঁরা সফর করেন গ্রিপেনের উৎপাদক ‘সাব–SAAB’—এর কারখানায়। এই প্রতিষ্ঠানই তৈরি করে জেএএস ৩৯ গ্রিপেন যুদ্ধবিমান, গ্লোবালআই নজরদারি বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম।
সংবাদ সম্মেলনে ক্রিস্টারসন জানান, দুই দেশ আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতা চুক্তি করেছে। এই সহযোগিতার মধ্যে রয়েছে ১০০—১৫০টি নতুন গ্রিপেন–ই মডেলের যুদ্ধবিমান রপ্তানির সম্ভাবনা, যা সুইডেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিমান রপ্তানি অর্ডার হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, সামনে পথটা দীর্ঘ। কিন্তু আজ থেকে আমরা ইউক্রেনকে বিপুলসংখ্যক গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহের সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
গত দুই বছর ধরে ইউক্রেনে গ্রিপেন সরবরাহের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। তবে গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ার পর আপাতত সেটির ওপর মনোযোগ দিতে এই পরিকল্পনা স্থগিত রাখা হয়। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে ইউক্রেনের জন্য গ্রিপেন পাওয়ার কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যৎ চুক্তিতে আমরা কমপক্ষে ১০০টি বিমান অর্জন করতে পারব বলে আশা করছি।’
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনীয় পাইলটরা ইতিমধ্যে সুইডেনে গিয়ে গ্রিপেন পরীক্ষা করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে বিমান রপ্তানি প্রক্রিয়া সহজ হয়। গ্রিপেন তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল এবং টেকসই—যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ এর মতো উন্নত বিমানের চেয়ে অনেক সাশ্রয়ী বিকল্প। জেলেনস্কির আশা, আগামী বছর থেকেই ইউক্রেন গ্রিপেন যুদ্ধবিমান পাবে এবং ব্যবহার শুরু করবে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সেনাবাহিনীর জন্য গ্রিপেন অত্যন্ত জরুরি। বিষয়টি অর্থ, কৌশল ও গতিশীলতার সঙ্গে সম্পর্কিত।’
ক্রিস্টারসন জানান, এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। নতুন বিমানের উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু হতে তিন বছর লাগতে পারে। পুরোনো গ্রিপেন মডেল পাঠানোর বিষয়টি এখনো খোলা রয়েছে, যদিও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, বিমান ক্রয়ের অর্থায়ন হতে পারে পশ্চিমা দেশগুলোতে থাকা রাশিয়ার জব্দকৃত সম্পদ থেকে এবং ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’—এর অন্তর্ভুক্ত মিত্র দেশগুলোর সহায়তায়। তবে চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের আগে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। লন্ডনের রয়্যাল ইউনাইটেড সার্ভিসেস ইনস্টিটিউটের (RUSI) বিমানযুদ্ধ বিশেষজ্ঞ জাস্টিন ব্রঙ্ক বলেন, এই সম্ভাব্য চুক্তি দেখায় যে ইউক্রেন কেবল যুদ্ধের তাৎক্ষণিক প্রয়োজন নয়, বরং যুদ্ধোত্তর বিমানবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েও ভাবছে।
বর্তমানে ইউক্রেনের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এফ-১৬ এবং ফ্রান্সের তৈরি মিরাজ ২০০০ যুদ্ধবিমান রয়েছে। ব্রঙ্ক বলেন, গ্রিপেন ই এই দুইয়ের তুলনায় অনেক বেশি সক্ষম মধ্য-ওজনের যুদ্ধবিমান হতে পারে। এর উন্নত রাডার, ইলেকট্রনিক যুদ্ধ ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার মিটিওর ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করার ক্ষমতা উল্লেখযোগ্য সুবিধা দেবে।
১৯৯৬ সাল থেকে গ্রিপেন সক্রিয় রয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২৮০টি বিমান তৈরি করেছে সাব। বুধবার এই খবর প্রকাশিত হওয়ার আগেই কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য বেড়েছে ৩.৩ শতাংশ। সুইডেন নিজেই সর্বশেষ গ্রিপেন–ই মডেলের ৬০টি বিমান অর্ডার করেছে। লিনশপিংয়ের কারখানায় সাব উৎপাদনক্ষমতা বাড়াচ্ছে। কয়েক বছরের মধ্যে বছরে ২০–৩০টি বিমান তৈরির লক্ষ্য নিয়েছে তারা। প্রতিষ্ঠানটি ব্রাজিলেও গ্রিপেন নির্মাণ করছে।
লিনশপিংয়ে পৌঁছানোর আগে জেলেনস্কি অল্প সময়ের জন্য নরওয়ের রাজধানী অসলোতে থামেন। সেখানে নরওয়ে সরকার ঘোষণা দেয়—তারা ইউক্রেনকে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহের জন্য আরও দেড় বিলিয়ন নরওয়েজীয় ক্রোন (প্রায় ১৪৯.৪ মিলিয়ন ডলার) অনুদান দেবে।
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শু
২৫ নভেম্বর ২০২৪যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা এটি। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় বন্ধ করা, যা দেশটির যুদ্ধ পরিচালনার অর্থ জোগায়।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখন হত্যাযজ্ঞ বন্ধের সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রেজারি রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ব্রিটেন গত সপ্তাহে রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে বেসরকারি লুকওয়েলকে ছাড় দিয়েছে—হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির কারণে।
হোয়াইট হাউসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘বৈঠকটা ঠিক মনে হয়নি, তাই বাতিল করেছি। তবে ভবিষ্যতে করব।’
এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্রিটেনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবরকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন।
নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে আয় কমানোর সবচেয়ে সরাসরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ, ভারত কম দামে রুশ তেল কিনছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ফিশম্যান বলেন, ‘রসনেফট ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, যেটি এখন পর্যন্ত পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।’ তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের পর স্বল্পমেয়াদে অনেক প্রতিষ্ঠান রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে।
এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউক্রেন কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিলে এবং পশ্চিমা অংশীদারিত্ব সীমিত করলে শান্তি আসতে পারে। তবে বিষয়টি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ায়।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন বলেন, ইইউর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজও শিগগির গৃহীত হবে। এতে রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ, ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত, রসনেফট ও গ্যাজপ্রম নেফটের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রুশ কূটনীতিকদের শেনজেন এলাকায় অবাধ চলাচলেও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।
যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফেরার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম নিষেধাজ্ঞা এটি। এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য হলো রাশিয়ার তেল বিক্রির আয় বন্ধ করা, যা দেশটির যুদ্ধ পরিচালনার অর্থ জোগায়।
মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি তথা অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এখন হত্যাযজ্ঞ বন্ধের সময়। প্রেসিডেন্ট পুতিন যুদ্ধ থামাতে অস্বীকৃতি জানানোয় ট্রেজারি রাশিয়ার দুটি বড় তেল কোম্পানিকে নিষিদ্ধ করছে। প্রয়োজনে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
ব্রিটেন গত সপ্তাহে রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তবে বেসরকারি লুকওয়েলকে ছাড় দিয়েছে—হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার জন্য বিশেষ অনুমতির কারণে।
হোয়াইট হাউসে ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত বৈঠক বাতিল করেছেন। ট্রাম্প বলেন, ‘বৈঠকটা ঠিক মনে হয়নি, তাই বাতিল করেছি। তবে ভবিষ্যতে করব।’
এর আগে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে ব্রিটেনের দেওয়া স্টর্ম শ্যাডো ক্রুজ মিসাইল রাশিয়ার ভেতরে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। তবে ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই খবরকে ‘ভুয়া’ বলে দাবি করেছেন।
নতুন নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার তেল রপ্তানি থেকে আয় কমানোর সবচেয়ে সরাসরি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগে ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ, ভারত কম দামে রুশ তেল কিনছিল।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা এডওয়ার্ড ফিশম্যান বলেন, ‘রসনেফট ছিল রাশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানি, যেটি এখন পর্যন্ত পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিল।’ তিনি মনে করেন, এই সিদ্ধান্তের পর স্বল্পমেয়াদে অনেক প্রতিষ্ঠান রুশ তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে পারে।
এই পদক্ষেপকে ইউক্রেন ও ইউরোপীয় মিত্রদের জন্য বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ইউক্রেন কিছু ভূখণ্ড ছেড়ে দিলে এবং পশ্চিমা অংশীদারিত্ব সীমিত করলে শান্তি আসতে পারে। তবে বিষয়টি পশ্চিমা দেশগুলোর উদ্বেগ বাড়ায়।
ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়ন বলেন, ইইউর ১৯তম নিষেধাজ্ঞা প্যাকেজও শিগগির গৃহীত হবে। এতে রাশিয়ার তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি নিষিদ্ধ, ‘শ্যাডো ফ্লিট’ তেলবাহী জাহাজ কালো তালিকাভুক্ত, রসনেফট ও গ্যাজপ্রম নেফটের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন নিষিদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাওয়া ব্যাংক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
নতুন পদক্ষেপের অংশ হিসেবে রুশ কূটনীতিকদের শেনজেন এলাকায় অবাধ চলাচলেও বিধিনিষেধ দেওয়া হবে।
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শু
২৫ নভেম্বর ২০২৪সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারস
১ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগেওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর দল লিকুদ পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে মোট চার দফা ভোট প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।
পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুডিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অঞ্চলে প্রয়োগের জন্য।’ এখন বিলটি পরবর্তী আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।
এই ভোট এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্ত না করতে সতর্ক করেছিলেন। এ ছাড়া এই বিল পাসের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলে উপস্থিত ছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখা।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে এই বিল পাসকে আখ্যা দিয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিরোধী দলের আরেকটি উসকানি’ হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃত সার্বভৌমত্ব অর্জিত হবে মাঠপর্যায়ে সঠিক কাজের মাধ্যমে, কোনো চোখে লাগার মতো আইন পাস করে নয়।’
অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করা মানে কার্যত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে চূড়ান্তভাবে শেষ করে দেওয়া, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত ছিল।
নেতানিয়াহুর জোটের কয়েকজন সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ‘ইহুদি শক্তি’ দল এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের ‘ধর্মীয় জায়নবাদ’ দলের সদস্যরা বিলটির পক্ষে ভোট দেন।
বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন কট্টর ডানপন্থী নোআম পার্টির নেতা আভি মাওজ, যিনি সরকার জোটের অংশ নন।
বেশির ভাগ লিকুদ এমপি ভোটে অংশ নেননি বা বিরত থাকেন, তবে একজন ইউলি এডেলস্টাইন নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং সেটিই ছিল নির্ধারক ভোট। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বই সময়ের দাবি।’
বিরোধী দলের আরেকটি বিল, যাতে মাআলে আদুমিম বসতিও ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব ছিল, সেটিও পাস হয়েছে। গত আগস্টে ইসরায়েল মাআলে আদুমিম ও জেরুজালেমের মাঝখানে একটি বৃহৎ বসতি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। সে সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছিল, এতে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভৌগোলিকভাবে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এই ভোটের পর ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পশ্চিম তীরে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, যার মধ্যে জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকাও অন্তর্ভুক্ত, একটি ভৌগোলিক একক, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বিলগুলো ‘ঔপনিবেশিক দখলের কদর্য দিক’ প্রকাশ করছে। তারা আরও বলেছে, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার দখলদারদের অস্থির প্রচেষ্টা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ভোটের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে একে বলেছে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’
ইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর দল লিকুদ পার্টির বিরোধিতা সত্ত্বেও গত মঙ্গলবার ১২০ আসনের পার্লামেন্টে ২৫-২৪ ভোটে বিলটি পাস হয়। এটি আইন হিসেবে কার্যকর হতে মোট চার দফা ভোট প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ।
পার্লামেন্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিলটি প্রাথমিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব জুডিয়া ও সামারিয়া (পশ্চিম তীর) অঞ্চলে প্রয়োগের জন্য।’ এখন বিলটি পরবর্তী আলোচনার জন্য পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা কমিটিতে যাবে।
এই ভোট এমন এক সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যার এক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েলকে পশ্চিম তীর সংযুক্ত না করতে সতর্ক করেছিলেন। এ ছাড়া এই বিল পাসের সময় যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ইসরায়েলে উপস্থিত ছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি টিকিয়ে রাখা।
লিকুদ পার্টি এক বিবৃতিতে এই বিল পাসকে আখ্যা দিয়েছে ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য বিরোধী দলের আরেকটি উসকানি’ হিসেবে। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রকৃত সার্বভৌমত্ব অর্জিত হবে মাঠপর্যায়ে সঠিক কাজের মাধ্যমে, কোনো চোখে লাগার মতো আইন পাস করে নয়।’
অধিকৃত পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করা মানে কার্যত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের দুই রাষ্ট্র সমাধানের সম্ভাবনাকে চূড়ান্তভাবে শেষ করে দেওয়া, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবনায় নির্ধারিত ছিল।
নেতানিয়াহুর জোটের কয়েকজন সদস্য, জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভিরের ‘ইহুদি শক্তি’ দল এবং অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোতরিচের ‘ধর্মীয় জায়নবাদ’ দলের সদস্যরা বিলটির পক্ষে ভোট দেন।
বিলটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন কট্টর ডানপন্থী নোআম পার্টির নেতা আভি মাওজ, যিনি সরকার জোটের অংশ নন।
বেশির ভাগ লিকুদ এমপি ভোটে অংশ নেননি বা বিরত থাকেন, তবে একজন ইউলি এডেলস্টাইন নেতানিয়াহুর বিরোধিতা করে বিলের পক্ষে ভোট দেন এবং সেটিই ছিল নির্ধারক ভোট। তিনি এক্সে লেখেন, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মাতৃভূমির প্রতিটি ইঞ্চিতে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্বই সময়ের দাবি।’
বিরোধী দলের আরেকটি বিল, যাতে মাআলে আদুমিম বসতিও ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার প্রস্তাব ছিল, সেটিও পাস হয়েছে। গত আগস্টে ইসরায়েল মাআলে আদুমিম ও জেরুজালেমের মাঝখানে একটি বৃহৎ বসতি প্রকল্প অনুমোদন দেয়। সে সময় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলেছিল, এতে ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের ভৌগোলিকভাবে টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এই ভোটের পর ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হামাস, কাতার, সৌদি আরব ও জর্ডান তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, তারা ‘পার্লামেন্টের ফিলিস্তিনি ভূমি সংযুক্ত করার প্রচেষ্টা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘পশ্চিম তীরে দখলকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড, যার মধ্যে জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকাও অন্তর্ভুক্ত, একটি ভৌগোলিক একক, যার ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’
হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, এই বিলগুলো ‘ঔপনিবেশিক দখলের কদর্য দিক’ প্রকাশ করছে। তারা আরও বলেছে, ‘আমরা জোর দিয়ে বলছি, পশ্চিম তীর সংযুক্ত করার দখলদারদের অস্থির প্রচেষ্টা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য।’
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ভোটের ‘তীব্র নিন্দা’ জানিয়ে একে বলেছে ‘ফিলিস্তিনি জনগণের ঐতিহাসিক অধিকারের প্রকাশ্য লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি স্পষ্ট চ্যালেঞ্জ।’
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শু
২৫ নভেম্বর ২০২৪সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারস
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসী মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবার ছোট নৌকায় করে ব্রিটেনে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে মানবপাচারকারীদের হাতে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে পণ্যের মতো ব্যবহার করেছে, জোর করে কাজ করিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বন্দুক তাক করে বলেছে—একটা কথা বললেও মেরে ফেলবে।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস সরাসরি ঘটনাটি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, এক অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে আবারও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্ত অপব্যবহার করা হবে না। যাদের এখানে থাকার আইনি অধিকার নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দেব।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ‘হিউম্যানস ফর রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক ম্যাডি হ্যারিস বলেছেন, তাঁর সংস্থা ওই ইরানি ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই তিনি তীব্র আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি ধারণা করছিলেন ফ্রান্সে পাচারকারীরা আবারও তাকে নির্যাতন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য–ফ্রান্সের এই ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ স্কিম চালু হয়েছে গত জুলাই মাসে। এর অধীনে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং বিনিময়ে যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের, যাদের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ফ্রান্স থেকে ২৩ জনকে গ্রহণ করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্য থেকে ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো এক অভিবাসী মাত্র এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে আবার ছোট নৌকায় করে ব্রিটেনে ফিরে এসেছেন। বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ইরানি নাগরিককে গত ৬ আগস্ট আটক করা হয় এবং ১৯ সেপ্টেম্বর ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ চুক্তির আওতায় ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি গত ১৮ অক্টোবর আবারও ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে ফিরে এসেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ফ্রান্সে মানবপাচারকারীদের হাতে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওরা আমাকে পণ্যের মতো ব্যবহার করেছে, জোর করে কাজ করিয়েছে, নির্যাতন করেছে, বন্দুক তাক করে বলেছে—একটা কথা বললেও মেরে ফেলবে।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্র অফিস সরাসরি ঘটনাটি স্বীকার না করলেও জানিয়েছে, এক অভিবাসীকে আটক করা হয়েছে এবং দ্রুত তাঁকে আবারও ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমাদের সীমান্ত অপব্যবহার করা হবে না। যাদের এখানে থাকার আইনি অধিকার নেই, আমরা তাদের সরিয়ে দেব।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে ‘হিউম্যানস ফর রাইটস নেটওয়ার্ক’-এর পরিচালক ম্যাডি হ্যারিস বলেছেন, তাঁর সংস্থা ওই ইরানি ব্যক্তির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছে। ফ্রান্সে ফেরত পাঠানোর পর থেকেই তিনি তীব্র আতঙ্কে ভুগছিলেন। তিনি ধারণা করছিলেন ফ্রান্সে পাচারকারীরা আবারও তাকে নির্যাতন করতে পারে।
যুক্তরাজ্য–ফ্রান্সের এই ‘ওয়ান ইন, ওয়ান আউট’ স্কিম চালু হয়েছে গত জুলাই মাসে। এর অধীনে অবৈধভাবে আসা ব্যক্তিদের ফ্রান্সে ফেরত পাঠানো হচ্ছে এবং বিনিময়ে যুক্তরাজ্য গ্রহণ করছে এমন আশ্রয়প্রার্থীদের, যাদের প্রকৃত সুরক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪২ জনকে যুক্তরাজ্য থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে এবং ফ্রান্স থেকে ২৩ জনকে গ্রহণ করা হয়েছে।
জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর করা গ্যাস চুক্তিগুলো জার্মানির ব্যবসা এবং মস্কোর সঙ্গে শান্তি রক্ষার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ২০০৮ সালে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগ দিতে বাধা না দিলে, যুদ্ধ আরও অনেক আগেই শু
২৫ নভেম্বর ২০২৪সুইডেন ইউক্রেনকে সর্বোচ্চ ১৫০টি নিজস্বভাবে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের গ্রিপেন যুদ্ধবিমান সরবরাহ করতে পারে। দুই দেশ এই বিষয়ে একটি ‘লেটার অব ইনটেন্ট’ বা ‘ইচ্ছাপত্রে’ সই করেছে দেশটি। গতকাল বুধবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকের পর এই তথ্য জানিয়েছেন সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উলফ ক্রিস্টারস
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার দুই বৃহত্তম তেল কোম্পানি রসনেফট ও লুকওয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ক্রেমলিনের ওপর চাপ বাড়ানোর অংশ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের পার্লামেন্ট অধিকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব আরোপের একটি বিলের প্রাথমিক অনুমোদন দিয়েছে। সোজা কথা পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার বিলে অনুমোদন দিয়েছে। একে আন্তর্জাতিক আইনের প্রকাশ্য লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিচ্ছেন বিশ্লেষকেরা।
৩ ঘণ্টা আগে