Ajker Patrika

রাশিয়ার কাছে ২৬৫ ইউক্রেনীয় সৈন্যের আত্মসমর্পণ 

রাশিয়ার কাছে ২৬৫ ইউক্রেনীয় সৈন্যের আত্মসমর্পণ 

মারিউপোল এরই মধ্যে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সর্বশেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্টালেরও পতন ঘটেছে। সেখানে থাকা অন্তত ২৬৫ ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ২৬৫ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে ৫১ জন গুরুতরভাবে আহত। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছ আহতদের দনেৎস্কের নোভোআজভস্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে পাঁচটি বাসে করে আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে আরও সাতটি বাসে করে আরও বেশ কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। উভয়ই সময়ই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সশস্ত্র সাঁজোয়া যান বাসগুলোকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটস্থ ওলেনিভকায় রাশিয়ার বন্দী শিবিরে নেওয়া হয়েছে। 

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্যদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায়।সোভিয়েত আমলে তৈরি ইউরোপের সর্ববৃহৎ এই ইস্পাত কারখানাটির নকশাই এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে বড় ধরনের কোনো পারমাণবিক হামলার সময়ও আশ্রয় নেওয়া যায়। সেসময়, কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ বাংকার ও টানেলের গোলক ধাঁধা তৈরি করা হয়েছিল। 

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা ইউনিট কমান্ডারদের ‘তাঁদের সৈন্যদের জীবন বাঁচাতে’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রুশ বাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল মারিউপোল। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংঘাত হয়েছে, তার মধ্যে আজভ সাগরের তীরবর্তী এই শহরটি উল্লেখযোগ্য। 

গত এপ্রিলেই মারিউপোল শহরের অধিকাংশ এলাকা দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। একমাত্র শহরটির প্রান্তে অবস্থিত আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা বাদে। সাবেক সোভিয়েত আমলে প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ এই কারখানা ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত