উত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ১০ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম জং উন রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেনাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা দিতে চেয়েছিলেন। এবার তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এসবিএসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওন-সিক বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, উত্তর কোরিয়া তাদের দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে রাশিয়া থেকে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাশিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে উত্তর কোরিয়া।’
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অ-লাভজনক গবেষণা সংস্থা ওপেন সোর্স সেন্টার (ওএসএস) জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তেলের চালানও গ্রহণ করেছে পিয়ংইয়ং।
সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১২টির বেশি উত্তর কোরীয় তেল ট্যাংকার মোট ৪৩বার সফর করেছে রাশিয়ার একটি বন্দরে। এই প্রতিবেদনে কিছু স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, তেলের ট্যাংকারগুলো ভরা অবস্থায় উত্তর কোরিয়া পৌঁছানোর পর খালি হয়ে রাশিয়ায় ফিরেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বিবিসিকে বলেছেন, ‘রাশিয়াকে দেওয়া অস্ত্র আর সৈন্যের বিনিময়ে এই তেল পিয়ংইয়ং গেছে।’
জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ একে অপরের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে ‘অবিলম্বে’ সামরিক সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে।
পুতিন এই চুক্তিকে ‘যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিয়ংইয়ং সম্ভবত ইউক্রেনকে বিদেশি নীতি পুনর্গঠনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। রাশিয়ায় সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ অর্থনীতির অংশ হিসেবে অস্ত্র, সামরিক সহায়তা ও শ্রম সরবরাহকারী হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে—যা তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ও প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীনকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
গত ২ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চয়ে সন হুই মস্কো সফর করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়াকে সহায়তা দিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া।’
তিনি মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণকে ‘পবিত্র সংগ্রাম’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘পিয়ংইয়ং পুতিনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বিশ্বাস করে।’
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া দুই দেশই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন—কিম তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য আর মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের রাশিয়ায় মোতায়েন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, পুতিন পশ্চিমের ইউক্রেনকে সমর্থন করার সমালোচনা করে এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।
উত্তর কোরিয়াকে তেল, ক্ষেপণাস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য সৈন্য সহায়তা নিচ্ছে রাশিয়া। আজ শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়ার একজন ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
এর আগেও যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া অভিযোগ করে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য ১০ হাজারের বেশি সৈন্য পাঠিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কিম জং উন রাশিয়ার সহায়তা নিয়ে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করে সেনাদের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা দিতে চেয়েছিলেন। এবার তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারি সম্প্রচার মাধ্যম এসবিএসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দেশটির শীর্ষ নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিন ওন-সিক বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত, উত্তর কোরিয়া তাদের দুর্বল আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে রাশিয়া থেকে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট মিসাইল ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ছাড়া রাশিয়া থেকে বিভিন্ন ধরনের অর্থনৈতিক সহায়তা পেয়েছে উত্তর কোরিয়া।’
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক অ-লাভজনক গবেষণা সংস্থা ওপেন সোর্স সেন্টার (ওএসএস) জানিয়েছে, রাশিয়া থেকে তেলের চালানও গ্রহণ করেছে পিয়ংইয়ং।
সম্প্রতি বিবিসির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আট মাসে ১২টির বেশি উত্তর কোরীয় তেল ট্যাংকার মোট ৪৩বার সফর করেছে রাশিয়ার একটি বন্দরে। এই প্রতিবেদনে কিছু স্যাটেলাইট ছবিতে দেখা যায়, তেলের ট্যাংকারগুলো ভরা অবস্থায় উত্তর কোরিয়া পৌঁছানোর পর খালি হয়ে রাশিয়ায় ফিরেছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বিবিসিকে বলেছেন, ‘রাশিয়াকে দেওয়া অস্ত্র আর সৈন্যের বিনিময়ে এই তেল পিয়ংইয়ং গেছে।’
জুন মাসে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। এই চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশ একে অপরের ওপর আক্রমণের ক্ষেত্রে ‘অবিলম্বে’ সামরিক সহায়তা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে এবং পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে।
পুতিন এই চুক্তিকে ‘যুগান্তকারী দলিল’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পিয়ংইয়ং সম্ভবত ইউক্রেনকে বিদেশি নীতি পুনর্গঠনের একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছে। রাশিয়ায় সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া যুদ্ধ অর্থনীতির অংশ হিসেবে অস্ত্র, সামরিক সহায়তা ও শ্রম সরবরাহকারী হিসেবে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করছে—যা তাদের দীর্ঘদিনের মিত্র ও প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীনকে দূরে ঠেলে দিতে পারে।
গত ২ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী চয়ে সন হুই মস্কো সফর করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনে বিজয়ী না হওয়া পর্যন্ত রাশিয়াকে সহায়তা দিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া।’
তিনি মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণকে ‘পবিত্র সংগ্রাম’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, ‘পিয়ংইয়ং পুতিনের প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে বিশ্বাস করে।’
উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া দুই দেশই জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন—কিম তার পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির জন্য আর মস্কো ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য। গত মাসে উত্তর কোরিয়ার সৈন্যদের রাশিয়ায় মোতায়েন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, পুতিন পশ্চিমের ইউক্রেনকে সমর্থন করার সমালোচনা করে এই প্রশ্নটি এড়িয়ে যান।
‘আমার বাবা ডায়বেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী। পর্যাপ্ত খাবারের অভাবে প্রায়শই তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। একবার তো পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছেন। দুধ-ডিমের মতো পুষ্টিকর খাবার ছাড়া তার সুস্থ হয়ে ওঠার কোনো উপায় নেই। কিন্তু পুষ্টিকর খাবার তো দূর কোনোমতে পেট ভরার মতো খাবারও নেই। বেশির ভাগ দিনই আমরা না খেয়ে থাকছি। মাঝে মাঝ
৯ মিনিট আগেসৌভাগ্য কাকে বলে, তারই যেন প্রমাণ পেলেন বাংলাদেশি তরুণ মোহাম্মদ খোরশেদ আলম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনপ্রিয় লটারি বিগ টিকিটে প্রথমবার অংশ নিয়েই জিতে নিয়েছেন ৫০ হাজার দিরহাম, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ লাখ টাকারও বেশি। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেমিশিগানের ট্র্যাভার্স সিটিতে একটি ওয়ালমার্ট স্টোরে ছুরিকাঘাতে অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে শহরটির কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে একজনকে আটক করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই বিবদমান প্রতিবেশী কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের নেতারা অবিলম্বে দেখা করে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়ে একমত হয়েছেন। ৩ দিন ধরে চলা সীমান্ত সংঘাতের পর শান্তি স্থাপনে মধ্যস্থতা করার চেষ্টার অংশ হি
২ ঘণ্টা আগে