Ajker Patrika

তালেবানের ওপর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করলেন রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
২০২৪ সালে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেয়। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
২০২৪ সালে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের একটি প্রতিনিধিদল রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে যোগ দেয়। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

আফগানিস্তানের তালেবানের ওপর ২১ বছরের বেশি সময় থাকা নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেছেন রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট। তালেবানকে রাশিয়া এর আগে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে রাশিয়া আফগানিস্তানের বর্তমান শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকের চেষ্টা করছে। 

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ওলেগ নেফেদভ প্রসিকিউটর জেনারেলের অনুরোধের প্রেক্ষিতে এই রায় দেন। তিনি বলেন, ‘এটি অবিলম্বে কার্যকর হবে।’  

২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবান আসার পর থেকেই মস্কোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা চেষ্টা দেখা যাচ্ছিল। এর আগে নব্বইয়ের দশকে আফগান সিভিল ওয়্যারের সময় এই দুই দেশের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক ছিল।  

সাম্প্রতিক সময়ে, আইএসআইএলের (আইএসআইএস) আঞ্চলিক শাখা আইএসকেপির বিরুদ্ধে লড়াইসহ বিভিন্ন নিরাপত্তা ইস্যুতে রাশিয়া ও তালেবান কাছাকাছি এসেছে। গত বছর প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সন্ত্রাসবাদ দমনে তালেবানকে ‘বন্ধু’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন এবং তাঁর একজন বিশেষ প্রতিনিধি এই গোষ্ঠীকে তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

এ ছাড়া মস্কো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি ফোরামে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার আয়োজন করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গ্যাস রপ্তানির জন্য আফগানিস্তানকে ট্রানজিট হাব হিসেবে ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়েছে।  

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গত বছর অক্টোবর মাসে বলেছিলেন, মস্কো কাবুলের সঙ্গে রাজনৈতিক, বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের নীতি অব্যাহত রাখবে। অন্যান্য এশীয় দেশও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নত করেছে, যদিও কোনো রাষ্ট্র এখন পর্যন্ত তাদের পুরোপুরি স্বীকৃতি দেয়নি।

২০২৩ সালে কাজাখস্তান তালেবানকে তাদের ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’-এর তালিকা থেকে সরিয়ে দেয়। কিরগিজস্তান গত বছর একই পদক্ষেপ নেয়। চীন, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরানসহ কয়েকটি দেশ কাবুলে তাদের দূতাবাস চালু রেখেছে। বেইজিং প্রথম দেশ, যারা ২০২৩ সালে তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের পর সেখানে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত