রাশিয়ার কাছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে জার্মানি। মূলত অপ্রচলিত ও অনিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কল করে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনার একটি ভিডিও টেপ রাশিয়ার হাতে পড়ে গেছে। ওই ভিডিওতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন জার্মান বিমানবাহিনী লুফথভাফের প্রধান ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুফথভাফের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ইউক্রেনে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাঠানো হচ্ছে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। লে. জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ তাঁর হোটেল রুম থেকে ওই ভিডিও কল করেছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল গেরহার্টজ ভিডিও কলে বলেছেন, ‘ব্রিটিশ সৈন্যরা (ইউক্রেনের) রণভূমিতে ছিল’। রাশিয়া অনেক দিন থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে যে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনারাও লড়ছে কিয়েভের পক্ষ হয়ে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ন্যাটো মিত্র দেশগুলো মধ্যে বিভাজন ও অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যমে এই কলের একটি রেকর্ডিং প্রচারিত হয়।
এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস গতকাল রোববার বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন এই রেকর্ডিং ব্যবহার করে জার্মানিকে ‘অস্থিতিশীল’ করার চেষ্টা করছেন এবং ‘তথ্য যুদ্ধ’ দিয়ে পশ্চিমাদের মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করার চেষ্টা করছেন।
ওই কলে লুফথভাফে প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ ইউক্রেনে জার্মান টোরাস ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য ডেলিভারি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা স্টর্ম শ্যাডোর চেয়ে অনেক বেশি ও এর লক্ষ্যভেদ আরও সুনির্দিষ্ট।
ইউক্রেনে টোরাস ক্ষেপণাস্ত্র ডেলিভারি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জেনারেল গেরহার্টজ বলেন, ‘যদি আমাদের ডেলিভারি পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় তবে আমরা বলব যে, আমি জানি—ব্রিটিশরা কীভাবে এটি করে। তারা সব সময় তাদের রিজব্যাক সাঁজোয়া যানে এটি পরিবহন করে। তাদের (ইউক্রেনের) মাটিতে বেশ কিছু লোক রয়েছে।’
ওই কলে অংশগ্রহণকারীদের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রাঙ্ক গ্রেফ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি কলে জার্মানির মাটিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হবে এসব সেনার দায়িত্বভার ব্রিটেনের ‘গ্রহণ’ করা। এ সময় তিনি নিজেই বলেন, ‘গণমাধ্যম যদি জানতে পারে তাহলে কী হইচই হবে তা কল্পনা করুন।’
এই কলের রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ায় জার্মানির বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ রডরিক কিসেওয়েটার বলেছেন, সম্ভবত একজন রুশ গোয়েন্দা এজেন্ট কলটিতে নাক গলাতে সক্ষম হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে সে লুফতভাফের কর্মকর্তাদের ফোনে আড়ি পাততে সক্ষম হয়েছিল।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে ‘খুবই গুরুতর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
রাশিয়ার কাছে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর গোপন তথ্য ফাঁস করে দিয়েছে জার্মানি। মূলত অপ্রচলিত ও অনিরাপদ প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভিডিও কল করে স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে আলোচনার একটি ভিডিও টেপ রাশিয়ার হাতে পড়ে গেছে। ওই ভিডিওতে ব্রিটেন ও ফ্রান্স ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছিলেন জার্মান বিমানবাহিনী লুফথভাফের প্রধান ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুফথভাফের প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ ও আরও কয়েকজন কর্মকর্তা ইউক্রেনে স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র কীভাবে পাঠানো হচ্ছে সেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। লে. জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ তাঁর হোটেল রুম থেকে ওই ভিডিও কল করেছিলেন।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেনারেল গেরহার্টজ ভিডিও কলে বলেছেন, ‘ব্রিটিশ সৈন্যরা (ইউক্রেনের) রণভূমিতে ছিল’। রাশিয়া অনেক দিন থেকেই এই অভিযোগ করে আসছে যে, ইউক্রেনে ব্রিটিশ সেনারাও লড়ছে কিয়েভের পক্ষ হয়ে। বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে ন্যাটো মিত্র দেশগুলো মধ্যে বিভাজন ও অন্তর্দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যমে এই কলের একটি রেকর্ডিং প্রচারিত হয়।
এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস গতকাল রোববার বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিন এই রেকর্ডিং ব্যবহার করে জার্মানিকে ‘অস্থিতিশীল’ করার চেষ্টা করছেন এবং ‘তথ্য যুদ্ধ’ দিয়ে পশ্চিমাদের মধ্যে বিভাজনের বীজ বপন করার চেষ্টা করছেন।
ওই কলে লুফথভাফে প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইঙ্গো গেরহার্টজ ইউক্রেনে জার্মান টোরাস ক্ষেপণাস্ত্রের সম্ভাব্য ডেলিভারি নিয়েও আলোচনা করেছেন। এই ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা স্টর্ম শ্যাডোর চেয়ে অনেক বেশি ও এর লক্ষ্যভেদ আরও সুনির্দিষ্ট।
ইউক্রেনে টোরাস ক্ষেপণাস্ত্র ডেলিভারি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জেনারেল গেরহার্টজ বলেন, ‘যদি আমাদের ডেলিভারি পদ্ধতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয় তবে আমরা বলব যে, আমি জানি—ব্রিটিশরা কীভাবে এটি করে। তারা সব সময় তাদের রিজব্যাক সাঁজোয়া যানে এটি পরিবহন করে। তাদের (ইউক্রেনের) মাটিতে বেশ কিছু লোক রয়েছে।’
ওই কলে অংশগ্রহণকারীদের একজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফ্রাঙ্ক গ্রেফ বলে মনে করা হচ্ছে। তিনি কলে জার্মানির মাটিতে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ইউক্রেনে ফিরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর ‘সঠিক পদক্ষেপ’ হবে এসব সেনার দায়িত্বভার ব্রিটেনের ‘গ্রহণ’ করা। এ সময় তিনি নিজেই বলেন, ‘গণমাধ্যম যদি জানতে পারে তাহলে কী হইচই হবে তা কল্পনা করুন।’
এই কলের রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ায় জার্মানির বিরোধীদলীয় রাজনীতিবিদ রডরিক কিসেওয়েটার বলেছেন, সম্ভবত একজন রুশ গোয়েন্দা এজেন্ট কলটিতে নাক গলাতে সক্ষম হয়েছিল এবং এর মাধ্যমে সে লুফতভাফের কর্মকর্তাদের ফোনে আড়ি পাততে সক্ষম হয়েছিল।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস এই রেকর্ডিং ফাঁস হওয়ার ঘটনাকে ‘খুবই গুরুতর’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এবং এর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে সারা বিশ্বের ক্যাথলিক সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন দেশ গভীর শোক প্রকাশ করেছে। ভারত সরকার তাঁর প্রতি সম্মান জানিয়ে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছে। বিশ্বের উল্লেখযোগ্য প্রায় সকল রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান তাঁর মৃত্যুতে শোকবার্তা পাঠিয়েছেন।
৪ ঘণ্টা আগেহাওয়াইয়ে ভ্রমণে গিয়ে মার্কিন সীমান্তরক্ষীদের হাতে দেহ তল্লাশি ও রাতভর আটকের শিকার হয়েছেন দুই জার্মান কিশোরী। পর্যাপ্ত সময়ের জন্য হোটেল বুকিং না থাকায় তাদের সন্দেহজনক মনে করে এই ব্যবস্থা নেয় যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি)।
৫ ঘণ্টা আগেপ্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল প্রায় চার বছরের পুরোনো একটি মামলায় ভারতের প্রতিযোগিতা কমিশন তথা সিসিআই-এর সঙ্গে নিষ্পত্তিতে পৌঁছেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট টিভির বাজারে গুগল অনৈতিক ও প্রতিযোগিতাবিরোধী ব্যবসায়িক চর্চা করছে, এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই নিষ্পত্তি হয়েছে। গুগল,
৬ ঘণ্টা আগেভারতের সড়ক নিরাপত্তা সংকট অত্যন্ত ভয়াবহ। চলমান এই সমস্যা প্রতিদিন বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। ২০২৩ সালে এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। জানা গেছে, সে বছর সড়ক দুর্ঘটনায় ভারতে ১ লাখ ৭২ হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর অর্থ প্রতিদিন ৪৭৪ জন বা প্রতি তিন মিনিটে প্রায় একজন মারা গেছেন।
৬ ঘণ্টা আগে