আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের গোষ্ঠীটি এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, দুজন কর্মী অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রাইজ নরটন রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে প্রবেশ করে এবং রিফুয়েলিং ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত দুটি ভয়েজার বিমানের ক্ষতিসাধন করে।
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, তাদের কর্মীরা দ্রুত বিমানের কাছে পৌঁছানোর জন্য বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করেছিলেন। এরপর তাঁরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে বিমান এবং রানওয়ের ওপর লাল রং স্প্রে করেন, যা রক্তের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্রওবার (পেরেট ওঠানোর জন্য বাঁকানো রড) দিয়ে বিমানের আরও ক্ষতি করা হয়েছে।
গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা জানানো সত্ত্বেও, ব্রিটেন সামরিক পণ্য পাঠানো, গাজার ওপর গুপ্তচর বিমান উড়ানো এবং মার্কিন/ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে রিফুয়েল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই দুই কর্মী ঘাঁটির নিরাপত্তা কর্মীরা তৎপর হওয়ার আগেই ফিরে এসেছেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবাদী গোষ্ঠীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মীদের প্রতিবাদ করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে।

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
‘প্যালেস্টাইন অ্যাকশন’ নামের গোষ্ঠীটি এক্স হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, দুজন কর্মী অক্সফোর্ডশায়ারের ব্রাইজ নরটন রয়্যাল এয়ার ফোর্স ঘাঁটিতে প্রবেশ করে এবং রিফুয়েলিং ও পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত দুটি ভয়েজার বিমানের ক্ষতিসাধন করে।
এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, তাদের কর্মীরা দ্রুত বিমানের কাছে পৌঁছানোর জন্য বৈদ্যুতিক স্কুটার ব্যবহার করেছিলেন। এরপর তাঁরা পুনর্ব্যবহারযোগ্য অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করে বিমান এবং রানওয়ের ওপর লাল রং স্প্রে করেন, যা রক্তের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ক্রওবার (পেরেট ওঠানোর জন্য বাঁকানো রড) দিয়ে বিমানের আরও ক্ষতি করা হয়েছে।
গোষ্ঠীর একজন মুখপাত্র বিবৃতিতে বলেছেন, ইসরায়েল সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নিন্দা জানানো সত্ত্বেও, ব্রিটেন সামরিক পণ্য পাঠানো, গাজার ওপর গুপ্তচর বিমান উড়ানো এবং মার্কিন/ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানগুলোকে রিফুয়েল করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই দুই কর্মী ঘাঁটির নিরাপত্তা কর্মীরা তৎপর হওয়ার আগেই ফিরে এসেছেন।
ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা পুলিশের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
প্রতিবাদী গোষ্ঠীটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কর্মীদের প্রতিবাদ করার একটি ভিডিও শেয়ার করেছে।

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
১৪ মিনিট আগে
তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
৩২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
গতকাল সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অপরদিকে এরদোয়ান একে বর্ণনা করেছেন ‘দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক’ বলে।
আঙ্কারায় দেওয়া বক্তব্যে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তুরস্ক-যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, ন্যাটোর জন্যও একটি সাফল্য। তিনি বলেন, ‘এটি (তুরস্ক) ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত। তাই এই সক্ষমতা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রথম ব্যাচের টাইফুন যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালে তুরস্কে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি টাইফুন সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে, যা পরে ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্য দেশ জার্মানি, ইতালি ও স্পেন অনুমোদন দেয়।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, নিজস্ব ‘কান’ যুদ্ধবিমান পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে বহর শক্তিশালী করতে আঙ্কারা মোট ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতার ও ওমানের কাছ থেকেও প্রতিটি দেশ থেকে আরও ১২টি করে টাইফুন কেনার পরিকল্পনা করছে। এর আগে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে তুরস্ক। তবে সেই সরবরাহ এখনো বিলম্বিত।
সম্প্রতি এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারও ওয়াশিংটন-নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে ফিরতে চায় তুরস্ক।

তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
গতকাল সোমবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে এই বিষয়ে চুক্তিতে সই করেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় একে ‘এক প্রজন্মের মধ্যে সবচেয়ে বড় যুদ্ধবিমান চুক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। অপরদিকে এরদোয়ান একে বর্ণনা করেছেন ‘দুই ঘনিষ্ঠ মিত্রের কৌশলগত সম্পর্কের নতুন প্রতীক’ বলে।
আঙ্কারায় দেওয়া বক্তব্যে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি শুধু তুরস্ক-যুক্তরাজ্যের জন্য নয়, ন্যাটোর জন্যও একটি সাফল্য। তিনি বলেন, ‘এটি (তুরস্ক) ন্যাটোর দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্ত। তাই এই সক্ষমতা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ন্যাটোর জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, সোমবার স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় প্রথম ব্যাচের টাইফুন যুদ্ধবিমান ২০৩০ সালে তুরস্কে পৌঁছাবে।
এর আগে, গত জুলাইয়ে তুরস্ক ও যুক্তরাজ্য ৪০টি টাইফুন সরবরাহের বিষয়ে একটি প্রাথমিক চুক্তি করে, যা পরে ইউরোফাইটার কনসোর্টিয়ামের অন্য সদস্য দেশ জার্মানি, ইতালি ও স্পেন অনুমোদন দেয়।
তুর্কি কর্মকর্তাদের মতে, নিজস্ব ‘কান’ যুদ্ধবিমান পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগে বহর শক্তিশালী করতে আঙ্কারা মোট ১২০টি যুদ্ধবিমান কিনতে চায়। ইসরায়েলের মতো আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য রক্ষার প্রয়াসে তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা কাতার ও ওমানের কাছ থেকেও প্রতিটি দেশ থেকে আরও ১২টি করে টাইফুন কেনার পরিকল্পনা করছে। এর আগে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ৪০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য ৭ বিলিয়ন ডলারের একটি চুক্তি করে তুরস্ক। তবে সেই সরবরাহ এখনো বিলম্বিত।
সম্প্রতি এরদোয়ান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কথাও বলেছেন। ২০১৯ সালে রুশ এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা কেনার কারণে বহিষ্কৃত হওয়ার পর আবারও ওয়াশিংটন-নেতৃত্বাধীন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কর্মসূচিতে ফিরতে চায় তুরস্ক।

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
২০ জুন ২০২৫
তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
৩২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এতে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়েছে দেশটির কৌশলগত অবস্থান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কৌশলগত শহর তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরের এই লুন্জে ঘাঁটিতে নতুন শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ফলে চীন এখন তাদের যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবস্থা সামনে এগিয়ে মোতায়েন করতে পারবে। এতে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ও কমে আসবে। কারণ, ভারতের ঘাঁটিগুলো অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে অবস্থিত।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘লুন্জেতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অর্থ হলো—পরবর্তী কোনো সংঘাত হলে তাদের ট্যাকটিক্যাল ফাইটার ও আক্রমণ হেলিকপ্টারগুলো সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে। সেখানে গোলাবারুদ ও জ্বালানি ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ টানেলে সংরক্ষিত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডোকলাম ঘটনার সময় (২০১৭ সালে) আমি আমার স্টাফদের বলেছিলাম, তিব্বতে পিএলএএফের (চীনা বিমানবাহিনী) সমস্যা বিমান নয়, বরং মোতায়েনের। তখনই আমি বলেছিলাম—যেদিন তারা তিব্বতের ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করবে, সেদিন বুঝতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিব্বতে তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তখনই দূর হবে।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ ও উন্নয়ন চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি।’ বিশেষ করে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দেখা চীনের সামরিক সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘লুন্জের উন্নয়ন আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ৩৬টি শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র সম্পদের ছড়িয়ে থাকা নিশ্চিত করে, নির্দিষ্ট আক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চভূমিতে টানা অপারেশনের সক্ষমতা বাড়ায়।’ খোসলার ভাষায়, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকেও সুরক্ষা দেবে, ফলে সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঁটিটিকে ধ্বংস করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘টিংরি, লুন্জে ও বুরাংয়ের মতো বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) খুব কাছে, মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই নৈকট্য চীনা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সামনের দিকে মোতায়েন এবং সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। এসব ঘাঁটি থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড ও লাদাখ পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি সম্ভব।’
স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহকারী ভ্যান্টরের (আগের নাম ম্যাক্সার) সর্বশেষ ছবিতে লুন্জের রানওয়েতে কয়েকটি চীনা সিএইচ–৪ ড্রোন দেখা গেছে। সিএইচ–৪ নামের এই মানববিহীন আকাশযান উচ্চভূমিতে অভিযানের জন্য তৈরি, যা ১৬ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
ভারত এই ড্রোন হুমকির মোকাবিলায় ২০২৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন হাতে পাবে। বিমানবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই আটটি করে ড্রোন পাবে। স্কাই গার্ডিয়ান হলো সি গার্ডিয়ানের একটি ভ্যারিয়েন্ট—যার ১৫টি ইউনিট ভারতীয় নৌবাহিনী কিনছে। পুরো প্রকল্পের মূল্য ৩৫০ কোটি ডলার।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরেক সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এসপি ধরকার বলেন, এই নতুন ঘাঁটি নির্মাণ ভারতের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে উত্তর সীমান্তের ঘটনাবলি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভূপ্রকৃতি, দুর্গম ভূখণ্ড ও উচ্চতার কারণে এত দিন আমরা কিছুটা কৌশলগত সুবিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন চীন আধুনিক বিমান ও বড় অবকাঠামোসহ দীর্ঘ রানওয়ে যুক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে, যা আমাদের সেই সুবিধা কমিয়ে দিচ্ছে।’
তার মতে, ‘তারা (চীন) এখন যেভাবে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র ও কঠোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তাতে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান অভিযানের কৌশল আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’
ভূ–গোয়েন্দা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেন, ভারতের তাওয়াং সীমান্তের বিপরীতে এই দ্রুত নির্মাণকাজ চীনের ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে বিমানশক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করছে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদিও এই সীমান্তে শক্তিশালী বিমান অবকাঠামো বজায় রেখেছে, কিন্তু লুন্জেতে চীনের ব্যাপক সামরিকীকরণ দেখায়—বেইজিং সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।’
লুন্জে ঘাঁটির এই উন্নয়ন এমন সময়ে ঘটছে, যখন চীন ভারতের হিমালয় সীমান্ত বরাবর আরও ছয়টি নতুন বিমানঘাঁটির উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এনডিটিভির প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, টিংরি, লুন্জে, বুরাং, ইউতিয়ান ও ইয়ারকান্টে নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। এসব ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, রানওয়ে সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন পরীক্ষার প্যাড ও সহায়ক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
চীনের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত বিমান শ্রেষ্ঠত্বকে মোকাবিলা করার কৌশল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে লেহ থেকে চাবুয়া পর্যন্ত ১৫টি বড় বিমানঘাঁটি চালু রেখেছে। উভয় দেশের বিমানঘাঁটি উন্নয়ন এখন এক নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। গালওয়ান সংঘর্ষ (১৫–১৬ জুন ২০২০)–এরপরও, দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকেরা বলছেন, এতে ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়েছে দেশটির কৌশলগত অবস্থান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশের কৌশলগত শহর তাওয়াং থেকে প্রায় ১০৭ কিলোমিটার দূরের এই লুন্জে ঘাঁটিতে নতুন শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের ফলে চীন এখন তাদের যুদ্ধবিমান ও বিভিন্ন ধরনের ড্রোন ব্যবস্থা সামনে এগিয়ে মোতায়েন করতে পারবে। এতে ভারতের বিমানবাহিনীর প্রতিক্রিয়া জানানোর সময়ও কমে আসবে। কারণ, ভারতের ঘাঁটিগুলো অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে অবস্থিত।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বি এস ধনোয়া এনডিটিভিকে বলেছেন, ‘লুন্জেতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের অর্থ হলো—পরবর্তী কোনো সংঘাত হলে তাদের ট্যাকটিক্যাল ফাইটার ও আক্রমণ হেলিকপ্টারগুলো সেখান থেকেই সেনাবাহিনীকে সহায়তা করবে। সেখানে গোলাবারুদ ও জ্বালানি ইতিমধ্যেই ভূগর্ভস্থ টানেলে সংরক্ষিত থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডোকলাম ঘটনার সময় (২০১৭ সালে) আমি আমার স্টাফদের বলেছিলাম, তিব্বতে পিএলএএফের (চীনা বিমানবাহিনী) সমস্যা বিমান নয়, বরং মোতায়েনের। তখনই আমি বলেছিলাম—যেদিন তারা তিব্বতের ঘাঁটিগুলোতে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ শুরু করবে, সেদিন বুঝতে হবে তারা আমাদের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিব্বতে তাদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা তখনই দূর হবে।’
ভারতীয় বিমানবাহিনীর সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল অনিল খোসলা বলেন, এই নির্মাণ ও উন্নয়ন চীনের ভবিষ্যৎ যুদ্ধ পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে এবং এটি ভারতের জন্য ‘গুরুতর কৌশলগত হুমকি।’ বিশেষ করে ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর থেকে দেখা চীনের সামরিক সক্ষমতা ও অবকাঠামোগত কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে এর তাৎপর্য আরও বেড়েছে।
তিনি বলেন, ‘লুন্জের উন্নয়ন আঞ্চলিক নিরাপত্তায় গভীর প্রভাব ফেলবে। ৩৬টি শক্তিশালী আশ্রয়কেন্দ্র সম্পদের ছড়িয়ে থাকা নিশ্চিত করে, নির্দিষ্ট আক্রমণের ঝুঁকি কমায় এবং উচ্চভূমিতে টানা অপারেশনের সক্ষমতা বাড়ায়।’ খোসলার ভাষায়, এই আশ্রয়কেন্দ্রগুলো নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম গোলাবারুদ, বিমান হামলা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকেও সুরক্ষা দেবে, ফলে সংঘাতের প্রাথমিক পর্যায়ে ঘাঁটিটিকে ধ্বংস করা ‘অত্যন্ত কঠিন’ হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘টিংরি, লুন্জে ও বুরাংয়ের মতো বিমানঘাঁটিগুলো প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলএসি) খুব কাছে, মাত্র ৫০ থেকে ১৫০ কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত। এই নৈকট্য চীনা বিমানবাহিনীকে দ্রুত সামনের দিকে মোতায়েন এবং সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর সুযোগ দিচ্ছে। এসব ঘাঁটি থেকে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড ও লাদাখ পর্যন্ত আকাশপথে নজরদারি সম্ভব।’
স্যাটেলাইট চিত্র সরবরাহকারী ভ্যান্টরের (আগের নাম ম্যাক্সার) সর্বশেষ ছবিতে লুন্জের রানওয়েতে কয়েকটি চীনা সিএইচ–৪ ড্রোন দেখা গেছে। সিএইচ–৪ নামের এই মানববিহীন আকাশযান উচ্চভূমিতে অভিযানের জন্য তৈরি, যা ১৬ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতা থেকে স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে।
ভারত এই ড্রোন হুমকির মোকাবিলায় ২০২৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল অ্যাটোমিকস নির্মিত স্কাই গার্ডিয়ান ড্রোন হাতে পাবে। বিমানবাহিনী ও স্থলবাহিনী উভয়েই আটটি করে ড্রোন পাবে। স্কাই গার্ডিয়ান হলো সি গার্ডিয়ানের একটি ভ্যারিয়েন্ট—যার ১৫টি ইউনিট ভারতীয় নৌবাহিনী কিনছে। পুরো প্রকল্পের মূল্য ৩৫০ কোটি ডলার।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর আরেক সাবেক উপপ্রধান এয়ার মার্শাল এসপি ধরকার বলেন, এই নতুন ঘাঁটি নির্মাণ ভারতের জন্য ‘গুরুতর চ্যালেঞ্জ’ তৈরি করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বহু বছর ধরে উত্তর সীমান্তের ঘটনাবলি সতর্কভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ভূপ্রকৃতি, দুর্গম ভূখণ্ড ও উচ্চতার কারণে এত দিন আমরা কিছুটা কৌশলগত সুবিধায় ছিলাম। কিন্তু এখন চীন আধুনিক বিমান ও বড় অবকাঠামোসহ দীর্ঘ রানওয়ে যুক্ত ঘাঁটি তৈরি করছে, যা আমাদের সেই সুবিধা কমিয়ে দিচ্ছে।’
তার মতে, ‘তারা (চীন) এখন যেভাবে শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র ও কঠোর অবকাঠামো তৈরি করছে, তাতে এই অঞ্চলে আমাদের বিমান অভিযানের কৌশল আরও কঠিন হয়ে পড়বে।’
ভূ–গোয়েন্দা বিশ্লেষক ড্যামিয়েন সাইমন বলেন, ভারতের তাওয়াং সীমান্তের বিপরীতে এই দ্রুত নির্মাণকাজ চীনের ঐতিহাসিকভাবে সংবেদনশীল অঞ্চলে বিমানশক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে ইঙ্গিত করছে। তিনি বলেন, ‘ভারত যদিও এই সীমান্তে শক্তিশালী বিমান অবকাঠামো বজায় রেখেছে, কিন্তু লুন্জেতে চীনের ব্যাপক সামরিকীকরণ দেখায়—বেইজিং সেই ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছে।’
লুন্জে ঘাঁটির এই উন্নয়ন এমন সময়ে ঘটছে, যখন চীন ভারতের হিমালয় সীমান্ত বরাবর আরও ছয়টি নতুন বিমানঘাঁটির উন্নয়ন চালিয়ে যাচ্ছে। এপ্রিল মাসে এনডিটিভির প্রতিবেদনে স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা যায়, টিংরি, লুন্জে, বুরাং, ইউতিয়ান ও ইয়ারকান্টে নতুন ঘাঁটি তৈরি হচ্ছে। এসব ঘাঁটিতে হ্যাঙ্গার, রানওয়ে সম্প্রসারণ, ইঞ্জিন পরীক্ষার প্যাড ও সহায়ক স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে।
চীনের এসব পদক্ষেপ স্পষ্টভাবে ভারতের হিমালয় অঞ্চলে প্রচলিত বিমান শ্রেষ্ঠত্বকে মোকাবিলা করার কৌশল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে লেহ থেকে চাবুয়া পর্যন্ত ১৫টি বড় বিমানঘাঁটি চালু রেখেছে। উভয় দেশের বিমানঘাঁটি উন্নয়ন এখন এক নতুন কৌশলগত বাস্তবতা তৈরি করছে। গালওয়ান সংঘর্ষ (১৫–১৬ জুন ২০২০)–এরপরও, দুই দেশ সম্পর্ক পুনর্গঠনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
২০ জুন ২০২৫
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
১৪ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রেডক্রস মৃতদেহবাহী কফিনটি বুঝে নিয়েছে এবং তা গাজায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই নতুন মৃতদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ২০ জন জিম্মি এর আগে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ মৃতদেহটি হস্তান্তরের পরই জিম্মিদের পরিবারগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে এবং হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে যেন যুদ্ধবিরতি স্থগিত করা হয়। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রত্যেক মৃত জিম্মি কোথায় আছে, তা হামাস ভালো করেই জানে।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে, হামাস তাদের সকল বাধ্যবাধকতা পূরণ করে সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যেন চুক্তির পরবর্তী ধাপে না যাওয়া হয়।
অন্যদিকে হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া গত শনিবার স্বীকার করেছেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ‘চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দখলদারি গাজার ভূমির চেহারা বদলে দিয়েছে।’ তাঁর মতে, যারা মৃতদেহগুলো কবর দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা তাদের কবর দেওয়ার স্থান ভুলে গেছে। আল-হাইয়ার মন্তব্যের এক দিন পরই ইসরায়েল একটি মিসরীয় কারিগরি দলকে গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, যারা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধানে সাহায্য করছে। রেডক্রস এই মিসরীয় দল এবং হামাসকে সঙ্গে নিয়েই জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ইসরায়েলের হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক সদস্যের ওপর ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না।’ তিনি দাবি করেন, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। খাবার ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার চরম ঘাটতি রয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ইউনিস আল-খাতিব সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে গাজার জনসংখ্যা যে ভয়ংকর মানবিক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি ছিল, এখনো পরিস্থিতি তেমনই আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ লাখের বেশি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উপত্যকার প্রায় সব শিশু এই ধরনের সহায়তার মুখাপেক্ষী। ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই সংঘাতে গত দুই বছরে প্রতিদিন একটি শ্রেণিকক্ষের সমপরিমাণ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে এবং শিশুদের ওপর এই আঘাতের ক্ষত বহু বছর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামেনি। এই চুক্তির ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ কিছুটা কমলেও লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীর গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহের সময় হয়রানি ও আটক করছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রায় প্রতিদিন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রেকি ফ্লাইট, স্থল অনুপ্রবেশ, সিরীয়দের আটক ও নিখোঁজ হওয়া এবং চৌকি স্থাপন। রোববার সকালে কুনেইত্রার গ্রামগুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরায়েল। সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ ছাড়া সোমবার দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী গতকাল সোমবার জানিয়েছে, রেডক্রস মৃতদেহবাহী কফিনটি বুঝে নিয়েছে এবং তা গাজায় মোতায়েন থাকা সেনাসদস্যদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। এই নতুন মৃতদেহ হস্তান্তরের মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী ২৮ জন নিহত জিম্মির মধ্যে ১৬ জনের দেহাবশেষ ফিরিয়ে দেওয়া হলো। চুক্তির অংশ হিসেবে জীবিত ২০ জন জিম্মি এর আগে ১৩ অক্টোবর হস্তান্তর করা হয়।
সর্বশেষ মৃতদেহটি হস্তান্তরের পরই জিম্মিদের পরিবারগুলো ইসরায়েল সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, যদি হামাস অবশিষ্ট জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করতে এবং হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হয়, তবে যেন যুদ্ধবিরতি স্থগিত করা হয়। জিম্মি ও নিখোঁজ পরিবার ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘প্রত্যেক মৃত জিম্মি কোথায় আছে, তা হামাস ভালো করেই জানে।’ তারা যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যস্থতাকারীদের অনুরোধ করেছে, হামাস তাদের সকল বাধ্যবাধকতা পূরণ করে সব জিম্মিকে ইসরায়েলে ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত যেন চুক্তির পরবর্তী ধাপে না যাওয়া হয়।
অন্যদিকে হামাসের আলোচক খলিল আল-হাইয়া গত শনিবার স্বীকার করেছেন, জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ‘চ্যালেঞ্জ’ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দখলদারি গাজার ভূমির চেহারা বদলে দিয়েছে।’ তাঁর মতে, যারা মৃতদেহগুলো কবর দিয়েছিল, তাদের মধ্যে কেউ কেউ যুদ্ধে নিহত হয়েছে বা তাদের কবর দেওয়ার স্থান ভুলে গেছে। আল-হাইয়ার মন্তব্যের এক দিন পরই ইসরায়েল একটি মিসরীয় কারিগরি দলকে গাজায় প্রবেশ করার অনুমতি দেয়, যারা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মৃতদেহের সন্ধানে সাহায্য করছে। রেডক্রস এই মিসরীয় দল এবং হামাসকে সঙ্গে নিয়েই জিম্মিদের মৃতদেহ খুঁজছে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের কাছে ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় অন্তত দুজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সোমবার জানায়, গত ৪৮ ঘণ্টায় উপত্যকাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১৩ জন আহত হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ৬৮ হাজার ৫২৭ জন নিহত এবং ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন আহত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ইসরায়েলের হামলার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বলেন, শনিবার ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) এক সদস্যের ওপর ইসরায়েলের হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়। তিনি বলেন, ‘আমরা এটাকে যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না।’ তিনি দাবি করেন, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।
জাতিসংঘের তথ্যমতে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দুই সপ্তাহের বেশি সময়ে প্রায় ৪ লাখ ৭৩ হাজার মানুষ উত্তর গাজায় ফিরেছে। ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে তাদের নতুন করে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজতে হচ্ছে। খাবার ও পানির মতো মৌলিক প্রয়োজনীয়তার চরম ঘাটতি রয়েছে। প্যালেস্টাইন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান ইউনিস আল-খাতিব সতর্ক করেছেন, যুদ্ধবিরতির আগে গাজার জনসংখ্যা যে ভয়ংকর মানবিক জরুরি অবস্থার মুখোমুখি ছিল, এখনো পরিস্থিতি তেমনই আছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ইসরায়েলের দুই বছরের যুদ্ধের পর গাজায় মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন এমন মানুষের সংখ্যা ৪ লাখ ৮৫ হাজার থেকে বেড়ে ১০ লাখের বেশি হয়েছে। ইউনিসেফ জানিয়েছে, উপত্যকার প্রায় সব শিশু এই ধরনের সহায়তার মুখাপেক্ষী। ইউনিসেফের মুখপাত্র টেস ইনগ্রাম আল জাজিরাকে বলেছেন, এই সংঘাতে গত দুই বছরে প্রতিদিন একটি শ্রেণিকক্ষের সমপরিমাণ শিশু নিহত বা আহত হয়েছে এবং শিশুদের ওপর এই আঘাতের ক্ষত বহু বছর থাকবে।
মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইসরায়েলি আগ্রাসন
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য অঞ্চলে ইসরায়েলের আগ্রাসন থামেনি। এই চুক্তির ফলে গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চাপ কিছুটা কমলেও লেবানন, সিরিয়া এবং পশ্চিম তীর গত সপ্তাহে ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ইসরায়েলি সৈন্য ও বসতি স্থাপনকারীরা দ্বিতীয় সপ্তাহের মতো ফিলিস্তিনিদের জলপাই সংগ্রহের সময় হয়রানি ও আটক করছে।
সিরিয়ার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর প্রায় প্রতিদিন অনুপ্রবেশের খবর পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে রেকি ফ্লাইট, স্থল অনুপ্রবেশ, সিরীয়দের আটক ও নিখোঁজ হওয়া এবং চৌকি স্থাপন। রোববার সকালে কুনেইত্রার গ্রামগুলোতে ইসরায়েলি আগ্রাসনের ঘটনা ঘটেছে।
লেবাননেও হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়মিতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে ইসরায়েল। সোমবার জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) ইসরায়েলি ড্রোনকে গুলি করে ভূপাতিত করে। এ ছাড়া সোমবার দুজনকে হত্যা করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
২০ জুন ২০২৫
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
১৪ মিনিট আগে
তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
৩২ মিনিট আগে
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
৯ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর স্ত্রী ব্রিজিত মাখোঁকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ঘৃণামূলক ও মিথ্যা প্রচারণার অভিযোগে প্যারিসে ১০ জনের বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে—তাঁরা অনলাইনে ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডিকে হয়রানি করেছেন এবং তাঁর লিঙ্গ নিয়ে ভিত্তিহীন অপপ্রচার ছড়িয়েছেন।
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, মামলাটি শুরু হয়েছে ব্রিজিত মাখোঁর ২০২৪ সালে করা অভিযোগের ভিত্তিতে। অভিযুক্ত ১০ জনের মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ২ জন নারী। তাঁদের বয়স ৪১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। তাঁরা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁদের সর্বোচ্চ দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, অভিযুক্তরা ব্রিজিত মাখোঁর লিঙ্গ ও যৌনতা নিয়ে ঘৃণামূলক মন্তব্য করেছেন এবং স্বামীর সঙ্গে তাঁর বয়সের ব্যবধানকে নির্দেশ করে তাঁকে ‘শিশুকামী’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
মামলাটিতে অন্যতম অভিযুক্ত দুই নারীর একজন হলেন অরেলিয়ান পুয়াসোঁ-আতলান। সামাজিক মাধ্যমে তিনি ‘জোয়ে সাগাঁ’ নামে পরিচিত এবং ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচারের সঙ্গে যুক্ত। আরেকজন হলেন দেলফিন জে। তিনি একটি আধ্যাত্মিক পরিমণ্ডলে ‘আমানদিন রোয়া’ নামে পরিচিত। ২০২১ সালে তিনি ইউটিউবে চার ঘণ্টার এক সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, ব্রিজিত মাখোঁ একসময় পুরুষ ছিলেন।
এই দুই নারীকে ২০২৪ সালে ব্রিজিত ও তাঁর ভাইয়ের মানহানি করার দায়ে জরিমানা দিতে বলা হয়েছিল। পরে অবশ্য আপিলের মাধ্যমে তাঁদের সাজা বাতিল হয়। তবে ফরাসি সর্বোচ্চ আদালতে এখনো এই মামলার আপিল চলছে।
এদিকে এই মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রে মাখোঁ দম্পতির করা আরেকটি মানহানির মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। গত জুলাইয়ে তাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ডানপন্থী পডকাস্টার ক্যান্ডেস ওয়েন্সের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ওয়েন্স মিথ্যাভাবে প্রচার করেছেন যে, ব্রিজিত আসলে ‘জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু’ নামে জন্ম নেওয়া এক পুরুষ। এই দাবি ‘ভয়াবহভাবে মিথ্যা ও অপমানজনক’—এমনটাই দাবি করেছেন মাখোঁ দম্পতি।
আসলে জ্যঁ-মিশেল ট্রগনু ব্রিজিত মাখোঁর বড় ভাই। তিনি ফ্রান্সের উত্তরাঞ্চলীয় শহর অ্যামিয়েঁতে বাস করেন। তিনি ব্রিজিতের সঙ্গে ২০১৭ ও ২০২২ সালে প্রেসিডেন্ট মাখোঁর অভিষেক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিজিত মাখোঁ পুরুষ—এই মিথ্যা গুজব প্রথম ছড়ায় ২০১৭ সালে মাখোঁ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর। পরবর্তীতে এটি ফরাসি ও মার্কিন ডানপন্থী ষড়যন্ত্র তত্ত্ববাদীদের হাতে আরও জোরালো হয়।
২০২২ সালে ব্রিজিত মাখোঁ ফরাসি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এই অভিযোগ ‘অসম্ভব’ এবং তাঁর পরিবারের জন্য ‘অপমানজনক আঘাত’।

ফিলিস্তিনপন্থী অধিকার কর্মীরা জানিয়েছে, তাঁরা যুক্তরাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটিতে প্রবেশ করে দুটি পরিবহন বিমানের ক্ষতিসাধন করেছেন।
২০ জুন ২০২৫
তুরস্ক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে ২০টি ইউরোফাইটার টাইফুন যুদ্ধবিমান কিনতে যাচ্ছে। এই ব্যয় হবে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। নিজস্ব প্রযুক্তির পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান— KAAN’—এর তৈরি চলাকালে আকাশ প্রতিরক্ষা জোরদার করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে আঙ্কারা।
১৪ মিনিট আগে
তিব্বতের লুন্জে বিমানঘাঁটির সম্প্রসারণ সম্পন্ন করেছে চীন। অরুণাচল প্রদেশের সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থিত ভারত-চীন সীমারেখা ম্যাকমোহন লাইন থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার উত্তরে এই ঘাঁটিতে ৩৬টি শক্তিশালী বিমান আশ্রয়কেন্দ্র, নতুন প্রশাসনিক ভবন ও নতুন অ্যাপ্রোন (বিমান চলাচলের মাঠ) নির্মাণ শেষ হয়েছে। ভারতীয় বিশ্লেষকে
৩২ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় দক্ষিণ গাজায় দুজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পর হামাস চুক্তির শর্ত মেনে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে আরেকজন মৃত জিম্মির দেহাবশেষ হস্তান্তর করেছে।
১ ঘণ্টা আগে