আজকের পত্রিকা ডেস্ক
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনের ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক কুচকাওয়াজ। এ দিন দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, উন্নত ড্রোন ও নতুন প্রজন্মের যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রদর্শন করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি হবে সামরিক আধুনিকায়নে চীনের সাফল্যের একটি প্রতীকী প্রকাশ। এর মাধ্যমে চীন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্দেশে শক্ত বার্তা দেবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগস্ট মাসে দুই দফা মহড়া শেষে চীনা সেনারা এখন মূল প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত। মহড়ায় সৈন্য, পুলিশ ও দর্শকসহ প্রায় ৪০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের কুচকাওয়াজ ২০১৫ সালের ৭০ তম বার্ষিকীর মহড়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেই মহড়ায় ১২ হাজারেরও বেশি সৈন্য অংশ নিয়েছিল।
এবারের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ভাষণ দেবেন এবং ‘নতুন ধাঁচের যুদ্ধ সক্ষমতা’ তুলে ধরবেন। এতে হাইপারসনিক অস্ত্র, উন্নত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, শত শত যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। পশ্চিমা নেতারা এড়িয়ে চললেও, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন শেষে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল অনুষ্ঠানের আগে প্রস্তুতিমূলক মহড়া থেকেই দেশটির যেসব অস্ত্রশস্ত্রের কথা ফাঁস হয়েছে সেগুলো চমকে দেওয়ার মতো।
চীনের সমুদ্রশক্তি ও ড্রোন
লিক হওয়া ছবিতে, পানির নিচে চালনা করা হবে এমন অন্তত দুই ধরনের অতি বৃহৎ মানববিহীন যানের (এক্সএলইউইউভি) উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই জলজ ড্রোনগুলো টর্পেডো আকৃতির এবং স্টিলথ প্রযুক্তিনির্ভর। অন্তত ছয়টি ড্রোন মহড়ায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ‘এজেএক্স ০০২’ সিরিজের চারটি ও আরও দুটি বৃহত্তর মডেল ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক্সএলইউইউভি কর্মসূচি বর্তমানে চীনের দখলেই রয়েছে।
ট্যাংক ও স্থলযান
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবার তাদের টাইপ ৯৯এ মূল যুদ্ধ ট্যাংক প্রদর্শন করবে। ৫৫ টন ওজনের এই ট্যাংকটি সোভিয়েত যুগের টি-৭২ নকশা অনুসরণ করে তৈরি হয়েছে। উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম, চারপাশে রাডার এবং তৃতীয় প্রজন্মের থার্মাল ইমেজারসহ এটি ৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি
চীন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও উন্মোচন করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া ছবিতে ওয়াইজে-১৫, ওয়াইজে-১৭, ওয়াইজে-১৯ ও ওয়াইজে-২০ মডেলের হাইপারসনিক মিসাইলের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এসব অস্ত্র বর্তমানে প্রচলিত সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন মিসাইল বহনকারী ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর-লাঞ্চার (টিইএল) গাড়িও নজরে এসেছে।
আকাশযান ও ‘লয়াল উইংম্যান’
মহড়ায় দেখা গেছে, এক ধরনের মানববিহীন যুদ্ধবিমান (ইউসিএভি), যা ‘লয়াল উইংম্যান’ হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চীনের এফএই-৯৭ বা মার্কিন ওয়াইএফকিউ-৪২এ মডেলের অনুরূপ। আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, বিজয় দিবসে ৭০ মিনিটের ওই কুচকাওয়াজে ৪৫টি কন্টিনজেন্ট অংশ নেবে। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে রাষ্ট্রপতি সি চিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন। রাজধানীতে ইতিমধ্যেই কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধে চীনের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ হতাহত হয়। সেই সময় দেশটিতে শুধুমাত্র নানজিং গণহত্যায়ই নিহতের সংখ্যা ছিল এক থেকে তিন লাখ। সেই ইতিহাসকে স্মরণ করেই চীন এবার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দৃঢ় করতে চাইছে।
আগামী ৩ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মসমর্পণের ৮০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চীনের ইতিহাসের অন্যতম বৃহত্তম সামরিক কুচকাওয়াজ। এ দিন দেশটির পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তাদের সর্বাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, উন্নত ড্রোন ও নতুন প্রজন্মের যুদ্ধ সরঞ্জাম প্রদর্শন করবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি হবে সামরিক আধুনিকায়নে চীনের সাফল্যের একটি প্রতীকী প্রকাশ। এর মাধ্যমে চীন তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের উদ্দেশে শক্ত বার্তা দেবে।
বুধবার (২০ আগস্ট) যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগস্ট মাসে দুই দফা মহড়া শেষে চীনা সেনারা এখন মূল প্রদর্শনীর জন্য প্রস্তুত। মহড়ায় সৈন্য, পুলিশ ও দর্শকসহ প্রায় ৪০ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবারের কুচকাওয়াজ ২০১৫ সালের ৭০ তম বার্ষিকীর মহড়াকেও ছাড়িয়ে যাবে। সেই মহড়ায় ১২ হাজারেরও বেশি সৈন্য অংশ নিয়েছিল।
এবারের অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং ভাষণ দেবেন এবং ‘নতুন ধাঁচের যুদ্ধ সক্ষমতা’ তুলে ধরবেন। এতে হাইপারসনিক অস্ত্র, উন্নত ইলেকট্রনিক সরঞ্জাম, শত শত যুদ্ধবিমান ও বোমারু বিমান প্রদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। পশ্চিমা নেতারা এড়িয়ে চললেও, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) সম্মেলন শেষে অনেক বিদেশি প্রতিনিধি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূল অনুষ্ঠানের আগে প্রস্তুতিমূলক মহড়া থেকেই দেশটির যেসব অস্ত্রশস্ত্রের কথা ফাঁস হয়েছে সেগুলো চমকে দেওয়ার মতো।
চীনের সমুদ্রশক্তি ও ড্রোন
লিক হওয়া ছবিতে, পানির নিচে চালনা করা হবে এমন অন্তত দুই ধরনের অতি বৃহৎ মানববিহীন যানের (এক্সএলইউইউভি) উপস্থিতি দেখা গেছে। প্রায় ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের এই জলজ ড্রোনগুলো টর্পেডো আকৃতির এবং স্টিলথ প্রযুক্তিনির্ভর। অন্তত ছয়টি ড্রোন মহড়ায় অংশ নেয়, যার মধ্যে ‘এজেএক্স ০০২’ সিরিজের চারটি ও আরও দুটি বৃহত্তর মডেল ছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের সবচেয়ে বড় এক্সএলইউইউভি কর্মসূচি বর্তমানে চীনের দখলেই রয়েছে।
ট্যাংক ও স্থলযান
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি এবার তাদের টাইপ ৯৯এ মূল যুদ্ধ ট্যাংক প্রদর্শন করবে। ৫৫ টন ওজনের এই ট্যাংকটি সোভিয়েত যুগের টি-৭২ নকশা অনুসরণ করে তৈরি হয়েছে। উন্নত টার্গেটিং সিস্টেম, চারপাশে রাডার এবং তৃতীয় প্রজন্মের থার্মাল ইমেজারসহ এটি ৫ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল আঘাত হানতে সক্ষম।
ক্ষেপণাস্ত্র শক্তি
চীন নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও হাইপারসনিক অ্যান্টি-শিপ মিসাইলও উন্মোচন করবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া ছবিতে ওয়াইজে-১৫, ওয়াইজে-১৭, ওয়াইজে-১৯ ও ওয়াইজে-২০ মডেলের হাইপারসনিক মিসাইলের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। এসব অস্ত্র বর্তমানে প্রচলিত সব প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সক্ষম বলে ধারণা করা হচ্ছে। নতুন মিসাইল বহনকারী ট্রান্সপোর্টার-ইরেক্টর-লাঞ্চার (টিইএল) গাড়িও নজরে এসেছে।
আকাশযান ও ‘লয়াল উইংম্যান’
মহড়ায় দেখা গেছে, এক ধরনের মানববিহীন যুদ্ধবিমান (ইউসিএভি), যা ‘লয়াল উইংম্যান’ হিসেবে পরিচিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি চীনের এফএই-৯৭ বা মার্কিন ওয়াইএফকিউ-৪২এ মডেলের অনুরূপ। আকাশ প্রতিরক্ষা ও আক্রমণ সক্ষমতা বাড়াতে এটি বড় ভূমিকা রাখবে।
জানা গেছে, বিজয় দিবসে ৭০ মিনিটের ওই কুচকাওয়াজে ৪৫টি কন্টিনজেন্ট অংশ নেবে। তিয়ানআনমেন স্কয়ারে রাষ্ট্রপতি সি চিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন। রাজধানীতে ইতিমধ্যেই কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দ্বিতীয় চীন-জাপান যুদ্ধে চীনের প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষ হতাহত হয়। সেই সময় দেশটিতে শুধুমাত্র নানজিং গণহত্যায়ই নিহতের সংখ্যা ছিল এক থেকে তিন লাখ। সেই ইতিহাসকে স্মরণ করেই চীন এবার সামরিক শক্তি প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্য ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দৃঢ় করতে চাইছে।
লুটতরাজ, ভাঙচুরসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে এরই মধ্যে দেশজুড়ে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী।
১৩ মিনিট আগেকাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার উপত্যকাজুড়ে অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। যার মধ্যে সাত জন নিহত হয়েছে উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে।
১ ঘণ্টা আগেভারত ও চীনের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল মঙ্গলবার ইইউ কর্মকর্তাদের এই আহ্বান জানান তিনি। মূলত, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে চাপের মুখে ফেলতে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলের অংশ হিসেবে এমন অনুরোধ জানান
১ ঘণ্টা আগেকাঠমান্ডুতে মৃত্যুর মিছিল, ধ্বংসযজ্ঞ আর অগ্নিসংযোগের ভয়াবহ ছবি ছড়িয়ে পড়ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে। দেশজুড়ে আন্দোলনের মুখে কেপি শর্মা অলি সরকারের পতনের পর হিমালয়ের পাদদেশের এই দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নিয়েছে নেপালের সেনাবাহিনী।
২ ঘণ্টা আগে