Ajker Patrika

আফগানিস্তানের ৪৯ গ্রামের ৫ হাজারের বেশি বাড়ি ধ্বংসস্তূপ, পৌঁছানোই যায়নি ৪৪১ গ্রামে: জাতিসংঘ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ১৭
ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত
ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ছবি: সংগৃহীত

আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক ভূমিকম্পে ৪৯টি গ্রামে মোট ৫ হাজার ২৩০টি বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জাতিসংঘের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ৭০০টি বাড়ি। তবে, প্রত্যন্ত বেশ কয়েকটি গ্রামে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি বলেও জানিয়েছে জাতিসংঘ। বার্তা সংস্থা এপি এ তথ্য জানিয়েছে।

গতকাল সোমবার আফগানিস্তানে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের প্রধান কো-অর্ডিনেটর শ্যানন ও’হারা এপিকে জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে আরও দুর্গম হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানের বন্ধুর পাহাড়ি রাস্তাগুলো। এ কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪১টি গ্রামে পৌঁছানো বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। ভূমিকম্পের পর ৫ দশমিক ২ থেকে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার একাধিক আফটার শক আরও শোচনীয় করে তুলেছে পরিস্থিতি।

জাতিসংঘের অনুমান, এই ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৫ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবং এই ৫ লাখ মানুষের অর্ধেকের বেশিই শিশু। ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তান ও ইরান থেকে বিতাড়িত আফগানরাও।

ও’হারা জানান, জালালাবাদ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রামে পৌঁছাতে তাঁর সময় লেগেছে সাড়ে ছয় ঘণ্টা। ভূমিকম্পের কারণে হওয়া ভূমিধসে বড় বড় পাথর পড়ে জায়গায় জায়গায় বন্ধ হয়ে আছে রাস্তা। এমন পরিস্থিতির কারণে ত্রাণসহায়তা নিয়ে আসা অনেক যানবাহনই দুর্গত এলাকায় পৌঁছাতে পারছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা যখন গাড়ি নিয়ে পাহাড়ি এলাকার ওপরে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন দেখতে পাই পায়ে হেঁটে অনেকেই নিচে নামছে। হাতে করে যা বহন করা সম্ভব হচ্ছে, তা-ই নিয়ে যাচ্ছে তারা। অনেকের গায়ে সেই ভূমিকম্পের রাতে যে জামা পরনে ছিল, এখনো তা-ই রয়েছে।’

তিনি জানান, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের যত কাছে যান, ততই দেখতে পান পরিস্থিতি আরও খারাপ। বলেন, ‘পুরো গ্রাম ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। গবাদিপশুর মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে সেখানে টেকা দায়। বাস্তুচ্যুতরা গাদাগাদি করে এক তাঁবুর মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। কেউ কেউ জায়গা না পেয়ে খোলা আকাশের নিচেই অবস্থান করছে।’

তিনি আরও জানান, ‘প্রায় ৯২ শতাংশ মানুষ খোলা স্থানে মল-মূত্র ত্যাগ করছেন। পানযোগ্য পরিষ্কার পানিও নেই। এরই মধ্যে সেখানে কলেরা মহামারি আকার ধারণ করেছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত