অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের জান্তা সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনে ‘বাধা’ ঠেকাতে নতুন আইন করেছে। এই আইন অনুসারে, কেউ যদি নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করে তাহলে তার শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী কণ্ঠরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা সরকার। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত মঙ্গলবার নতুন নির্বাচন-সংক্রান্ত এক নতুন আইন জারি করেছেন, যেখানে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আইন নির্বাচনে নিযুক্ত কর্মী ও জান্তা-অনুগত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একধরনের নিশ্চয়তা দিতে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বিরোধী মত দমন করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
নতুন আইন অনুযায়ী—নির্বাচন ব্যাহত করলে ৩ থেকে ৫ বছর জেল; ব্যালট বাক্স, ভোটকেন্দ্র বা ভোটিং মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত করলে ৫ থেকে ১০ বছর জেল, তবে দলবদ্ধভাবে করলে যাবজ্জীবন পর্যন্ত হতে পারে; ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনকর্মী বা কর্মকর্তাকে গুরুতর আঘাত করলে ১০ থেকে ২০ বছর জেল এবং এসব অপরাধে কেউ মারা গেলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
নির্বাচনের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী থাকবেন উপদেষ্টা এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকবেন সচিব হিসেবে। এই কমিটি দেশি-বিদেশি সংস্থার কার্যক্রম নজরদারি করবে, ভোটে বিঘ্ন ঘটালে ব্যবস্থা নেবে এবং স্থানীয় নিরাপত্তা কমিটিও গঠন করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেবে, আর স্থানীয় পুলিশ প্রার্থীদের ও নির্বাচনকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তবে উত্তর শান রাজ্যের ওয়াদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের এক নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইইসি) এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
সমালোচকদের ভাষ্য, নতুন আইনটি ২০০৮ সালে সাবেক জান্তা নেতা থান শ্বে’র আনা বিতর্কিত আইনের মতোই, যা জাতীয় কনভেনশন নিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিষিদ্ধ করেছিল। সে সময় সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০ বছর জেল। তবে মিন অং হ্লাইং তা বাড়িয়ে দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত।
জান্তা সরকারের দাবি, নতুন এই আইন শান্তিপূর্ণ ও সফল নির্বাচন নিশ্চিত করবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত জনসাধারণকে—যারা অধিকাংশই এই নির্বাচনের বিপক্ষে—ভয় দেখাতে ব্যবহৃত হবে।
নতুন ‘ইলেকশন প্রোটেকশন ল’ ছাড়াও জান্তা সরকার সংসদের উভয় কক্ষ—পাইথু হ্লুত্তাও (নিম্নকক্ষ), আম্যোথা হ্লুত্তাও (উচ্চকক্ষ)—ও রাজ্য ও আঞ্চলিক সংসদে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে। সোমবার তারা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনে দ্বিতীয় সংশোধন যুক্ত করেছে।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রচারণা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও জান্তা সরকার এখনো নির্দিষ্ট ভোট তারিখ ঘোষণা করেনি। বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ধাপে ধাপে ভোট হবে।
তবে মিয়ানমারের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে সেনা সরকার ৮০ টিরও বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই রাখাইন, চিন ও শান রাজ্যে। তবুও নির্বাচন কমিশনের দাবি, তারা ২৬৭টি টাউনশিপে ভোট নিতে পারবে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই এলাকাগুলোর ভোটকেন্দ্র পাহারায় সেনা বা নবনিযুক্ত সৈন্যদের ব্যবহার করা হতে পারে।
জান্তার এই নির্বাচনী পরিকল্পনাকে ‘গণতান্ত্রিক রূপের আড়ালে’ সামরিক শাসন কায়েমের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো, মিয়ানমারের বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এবং বিভিন্ন গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠী।
অন্যদিকে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, রাশিয়া ও বেলারুশ জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া বলেছে, যত দিন সংঘাত চলবে, তত দিন কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
মিয়ানমারের জান্তা সরকার নির্বাচনে যেকোনো ধরনে ‘বাধা’ ঠেকাতে নতুন আইন করেছে। এই আইন অনুসারে, কেউ যদি নির্বাচন ভন্ডুল করার চেষ্টা করে তাহলে তার শাস্তি সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। থাইল্যান্ড থেকে প্রকাশিত মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে আসন্ন নির্বাচনের আগে বিরোধী কণ্ঠরোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে জান্তা সরকার। জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং গত মঙ্গলবার নতুন নির্বাচন-সংক্রান্ত এক নতুন আইন জারি করেছেন, যেখানে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই জান্তা সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সেনা ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হত্যা করা হয়েছে। এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা উদ্বেগ বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই আইন নির্বাচনে নিযুক্ত কর্মী ও জান্তা-অনুগত রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য একধরনের নিশ্চয়তা দিতে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে বিরোধী মত দমন করাই এর মূল উদ্দেশ্য।
নতুন আইন অনুযায়ী—নির্বাচন ব্যাহত করলে ৩ থেকে ৫ বছর জেল; ব্যালট বাক্স, ভোটকেন্দ্র বা ভোটিং মেশিন ক্ষতিগ্রস্ত করলে ৫ থেকে ১০ বছর জেল, তবে দলবদ্ধভাবে করলে যাবজ্জীবন পর্যন্ত হতে পারে; ভোটার, প্রার্থী, নির্বাচনকর্মী বা কর্মকর্তাকে গুরুতর আঘাত করলে ১০ থেকে ২০ বছর জেল এবং এসব অপরাধে কেউ মারা গেলে তার শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড।
নির্বাচনের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রতিরক্ষা উপমন্ত্রী থাকবেন উপদেষ্টা এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক থাকবেন সচিব হিসেবে। এই কমিটি দেশি-বিদেশি সংস্থার কার্যক্রম নজরদারি করবে, ভোটে বিঘ্ন ঘটালে ব্যবস্থা নেবে এবং স্থানীয় নিরাপত্তা কমিটিও গঠন করবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা দেবে, আর স্থানীয় পুলিশ প্রার্থীদের ও নির্বাচনকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করবে। তবে উত্তর শান রাজ্যের ওয়াদের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের এক নির্বাচন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউনিয়ন ইলেকশন কমিশন (ইইসি) এখনো কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
সমালোচকদের ভাষ্য, নতুন আইনটি ২০০৮ সালে সাবেক জান্তা নেতা থান শ্বে’র আনা বিতর্কিত আইনের মতোই, যা জাতীয় কনভেনশন নিয়ে যেকোনো চ্যালেঞ্জ নিষিদ্ধ করেছিল। সে সময় সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল ২০ বছর জেল। তবে মিন অং হ্লাইং তা বাড়িয়ে দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত।
জান্তা সরকারের দাবি, নতুন এই আইন শান্তিপূর্ণ ও সফল নির্বাচন নিশ্চিত করবে। কিন্তু বিশ্লেষকদের মতে, এটি মূলত জনসাধারণকে—যারা অধিকাংশই এই নির্বাচনের বিপক্ষে—ভয় দেখাতে ব্যবহৃত হবে।
নতুন ‘ইলেকশন প্রোটেকশন ল’ ছাড়াও জান্তা সরকার সংসদের উভয় কক্ষ—পাইথু হ্লুত্তাও (নিম্নকক্ষ), আম্যোথা হ্লুত্তাও (উচ্চকক্ষ)—ও রাজ্য ও আঞ্চলিক সংসদে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে। সোমবার তারা রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইনে দ্বিতীয় সংশোধন যুক্ত করেছে।
জানা গেছে, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে প্রচারণা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও জান্তা সরকার এখনো নির্দিষ্ট ভোট তারিখ ঘোষণা করেনি। বলা হয়েছে, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে ধাপে ধাপে ভোট হবে।
তবে মিয়ানমারের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে সেনা সরকার ৮০ টিরও বেশি শহরের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই রাখাইন, চিন ও শান রাজ্যে। তবুও নির্বাচন কমিশনের দাবি, তারা ২৬৭টি টাউনশিপে ভোট নিতে পারবে। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, এই এলাকাগুলোর ভোটকেন্দ্র পাহারায় সেনা বা নবনিযুক্ত সৈন্যদের ব্যবহার করা হতে পারে।
জান্তার এই নির্বাচনী পরিকল্পনাকে ‘গণতান্ত্রিক রূপের আড়ালে’ সামরিক শাসন কায়েমের প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করে এর সমালোচনা করেছে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো, মিয়ানমারের বেসামরিক জাতীয় ঐক্য সরকার (এনইউজি) এবং বিভিন্ন গণতন্ত্রপন্থী গোষ্ঠী।
অন্যদিকে চীন, ভারত, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, রাশিয়া ও বেলারুশ জান্তা সরকারের নির্বাচনী পরিকল্পনার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার মালয়েশিয়া বলেছে, যত দিন সংঘাত চলবে, তত দিন কোনো বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়।
পাকিস্তানে কারাবন্দী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) ১০৮ জন নেতা কর্মীকে সাম্প্রতিক এক রায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংস বিক্ষোভে অংশ নেওয়ার অভিযোগে তাদের এই সাজা দিল আদালত।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনে আবারও বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালিয়েছে মস্কোর সেনারা। এ হামলায় অন্তত ১৩ ইউক্রেনীয় নিহত হয়েছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে দেশটির জাতীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে এক শিশুও। আহত হয়েছে আরও কমপক্ষে ১৩২ জন, আহতদের মধ্যে রয়েছ
১ ঘণ্টা আগেএটাই সফলভাবে জন্ম নেওয়া কোনো শিশুর সবচেয়ে বেশি সময় ধরে হিমায়িত ভ্রূণ হিসেবে থাকার রেকর্ড। এর আগে ১৯৯২ সালে হিমায়িত হওয়া একটি ভ্রূণ থেকে ২০২২ সালে জন্ম নেওয়া যমজ শিশুরাই ছিল এই রেকর্ডের ধারক।
১৩ ঘণ্টা আগেমৃত্যুর সময় আদেলের শরীর ছিল শীর্ণ, পেট ছিল ভেতরের দিকে ঢোকানো, হাড়গুলো বেরিয়ে এসেছিল আর মুখ ছিল ফ্যাকাশে। তাঁর এই দুর্বল দেহ গাজার ফিলিস্তিনিদের ওপর চলা ক্ষুধার যুদ্ধের এক করুণ সাক্ষী। ইসরায়েলের অবিরাম হামলার কারণে সেখানে হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ও মানবিক সহায়তা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
১৪ ঘণ্টা আগে