আজকের পত্রিকা ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মার্কিন বাহিনী ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি ‘মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করেছে’। তাঁর দাবি, সাবমেরিনটি ‘একটি পরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে’ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল। ওই সাবমেরিনে থাকা চার ব্যক্তির মধ্যে দুজন নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার জন্য এটি ছিল এক মহান সম্মান—এক বিশাল মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করা হয়েছে, যা পরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, ওই নৌযানে মূলত ফেন্টানিল ও অন্যান্য অবৈধ মাদক ছিল।’ ট্রাম্প দাবি করেন, সাবমেরিনটিতে চারজন ‘পরিচিত নারকোটেররিস্ট’ ছিল। তিনি বলেন, ‘নৌযানটিতে চারজন নারকোটেররিস্ট ছিল। তাদের মধ্যে দুজন নিহত হয়েছে।’ তবে অভিযানে কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তাঁর ভাষায়, ‘আমি যদি ওই সাবমেরিনটিকে উপকূলে পৌঁছাতে দিতাম, তাহলে অন্তত ২৫ হাজার আমেরিকান নাগরিক মারা যেত। বেঁচে থাকা দুই সন্ত্রাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশ ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের আটক ও বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই স্থল বা সমুদ্রপথে মাদক পাচারকারী নারকোটেররিস্টদের সহ্য করবে না।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবারের বিমান হামলায় লক্ষ্যবস্তু হওয়া ওই সাবমেরিনে থাকা দুই বেঁচে যাওয়া সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে একটি মার্কিন নৌযানে নিয়ে যায়। অন্য দুই ক্রু সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শনিবার ট্রাম্প ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন, বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে তাদের নিজ নিজ দেশ কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরে উভয় দেশই জানিয়েছে, তারা ওই দুই নাগরিককে গ্রহণ করেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো শনিবার এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা নারকো সাবমেরিন থেকে উদ্ধার হওয়া কলম্বিয়ার নাগরিককে গ্রহণ করেছি। তিনি জীবিত আছেন, এতে আমরা খুশি। তাঁকে আইনের আওতায় বিচার করা হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মাদকবাহী নৌযান লক্ষ্য করে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছে। এসব সামরিক অভিযানের বৈধতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একই সময়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেখানে এখন রয়েছে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ সেনা সদস্য। ভেনেজুয়েলা সরকারের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে এ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প জানান, তিনি সিআইএ-কে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। এতে কারাকাসে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে।
তবে মাদুরো মাদক পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব নৌ আক্রমণ আসলে ভেনেজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং ‘শাসন পরিবর্তনের’ অজুহাত। মাদুরোর ভাষায়, এসব অভিযান ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, মার্কিন বাহিনী ক্যারিবিয়ান সাগরে একটি ‘মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করেছে’। তাঁর দাবি, সাবমেরিনটি ‘একটি পরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে’ যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল। ওই সাবমেরিনে থাকা চার ব্যক্তির মধ্যে দুজন নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এবং মার্কিন সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার ট্রাম্প নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমার জন্য এটি ছিল এক মহান সম্মান—এক বিশাল মাদকবাহী সাবমেরিন ধ্বংস করা হয়েছে, যা পরিচিত মাদক পাচার রুট ধরে যুক্তরাষ্ট্রের দিকে যাচ্ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা নিশ্চিত করেছে যে, ওই নৌযানে মূলত ফেন্টানিল ও অন্যান্য অবৈধ মাদক ছিল।’ ট্রাম্প দাবি করেন, সাবমেরিনটিতে চারজন ‘পরিচিত নারকোটেররিস্ট’ ছিল। তিনি বলেন, ‘নৌযানটিতে চারজন নারকোটেররিস্ট ছিল। তাদের মধ্যে দুজন নিহত হয়েছে।’ তবে অভিযানে কোনো মার্কিন সেনা হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
তাঁর ভাষায়, ‘আমি যদি ওই সাবমেরিনটিকে উপকূলে পৌঁছাতে দিতাম, তাহলে অন্তত ২৫ হাজার আমেরিকান নাগরিক মারা যেত। বেঁচে থাকা দুই সন্ত্রাসীকে তাদের নিজ নিজ দেশ ইকুয়েডর ও কলম্বিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়েছে, যেখানে তাদের আটক ও বিচারের মুখোমুখি করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই স্থল বা সমুদ্রপথে মাদক পাচারকারী নারকোটেররিস্টদের সহ্য করবে না।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবারের বিমান হামলায় লক্ষ্যবস্তু হওয়া ওই সাবমেরিনে থাকা দুই বেঁচে যাওয়া সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা হেলিকপ্টারে উদ্ধার করে একটি মার্কিন নৌযানে নিয়ে যায়। অন্য দুই ক্রু সদস্য ঘটনাস্থলেই নিহত হন। শনিবার ট্রাম্প ওই অভিযানের ভিডিও প্রকাশ করেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিশ্চিত করেছেন, বেঁচে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে তাদের নিজ নিজ দেশ কলম্বিয়া ও ইকুয়েডরে ফেরত পাঠানো হয়েছে। পরে উভয় দেশই জানিয়েছে, তারা ওই দুই নাগরিককে গ্রহণ করেছে। কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো শনিবার এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা নারকো সাবমেরিন থেকে উদ্ধার হওয়া কলম্বিয়ার নাগরিককে গ্রহণ করেছি। তিনি জীবিত আছেন, এতে আমরা খুশি। তাঁকে আইনের আওতায় বিচার করা হবে।’
ট্রাম্প প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এর আগে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে মাদকবাহী নৌযান লক্ষ্য করে পরিচালিত যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ২৭ জন নিহত হয়েছে। এসব সামরিক অভিযানের বৈধতা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে। একই সময়ে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সেখানে এখন রয়েছে গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার, এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, একটি পারমাণবিক সাবমেরিন এবং প্রায় ৬ হাজার ৫০০ সেনা সদস্য। ভেনেজুয়েলা সরকারের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়ার প্রেক্ষাপটে এ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার ট্রাম্প জানান, তিনি সিআইএ-কে ভেনেজুয়েলায় গোপন অভিযান চালানোর অনুমতি দিয়েছেন। এতে কারাকাসে জল্পনা তৈরি হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে ক্ষমতাচ্যুত করার পরিকল্পনা করছে।
তবে মাদুরো মাদক পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এসব নৌ আক্রমণ আসলে ভেনেজুয়েলা সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবং ‘শাসন পরিবর্তনের’ অজুহাত। মাদুরোর ভাষায়, এসব অভিযান ‘দেশের সার্বভৌমত্ব ও আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’।
সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এমন এক প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে, যেখানে দেশটির ওপর আক্রমণ যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আক্রমণ বলে গণ্য হবে। এই চুক্তিটি অনেকটাই গত মাসে কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের করা এক চুক্তির মতো। যেখানে ঘোষিত হয়েছে, উপসাগরীয় দেশটির ওপর যেকোনো কোনো আক্রমণই আমেরিকার ‘শান্তি ও
১ ঘণ্টা আগেতাইওয়ানের সবচেয়ে বড় বিরোধী দল কুয়োমিনতাংয়ের (কেএমটি) নতুন প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন চেং লি-ওন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষে কাজ করেছেন। এক সময় চীন থেকে পালিয়ে আসা চিয়াং কাইশেক এই দলের নেতা ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং হুমকি দিয়েছিলেন, পাকিস্তানের প্রতিটি ইঞ্চি ভারতের আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্রহ্মসের আওতায়। এর পরপরই, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ভারতকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, দেশটি উসকানি দিলে পাকিস্তান পারমাণবিক বোমা ব্যবহারেও পিছপা হবে না। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রত
২ ঘণ্টা আগেএক সপ্তাহের তীব্র সীমান্ত সংঘর্ষের পর আফগানিস্তান ও পাকিস্তান তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। কাতার ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় দোহায় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সরাসরি আলোচনার পর উভয় পক্ষ এই সম্মতি দেয়। ২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতা দখলের পর দুই দেশের মধ্যে এটিই ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘর্ষ।
২ ঘণ্টা আগে