জেন-জি বিক্ষোভ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ শুরুর পর হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতাল। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রায় ১০০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এই গুলির ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই বিক্ষোভকে ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ হয়েছে আখ্যা দিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বিক্ষোভ ডিজিটাল স্পেস থেকে সড়কে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে কাঠমান্ডুর মাইতিগড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এই মাইতিগড় ছাড়াও গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করলে তারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
এদিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জন নেপাল বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি এই হাসপাতালে এর আগে কখনো দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক আহতের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখানেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে। এতে চিকিৎসকদেরও কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
কারফিউ জারি
বিক্ষোভের কারণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রথমে এই কারফিউ ছিল বানেস্বর এলাকায়। এই এলাকায় নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, কাঠমান্ডু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। পুলিশের হামলার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। পরে কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় শীতল নিউওয়াজ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া লাইনচাউর (ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলাকা), বালুওয়াতার (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা), মহারাজগঞ্জ, সিংঘা দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য এলাকায়ও কারফিউ জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ বজায় থাকবে।
তারকাদের সমর্থন
কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভ এখনো চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণেরা এখনো রাস্তা ছেড়ে যাননি। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশটির তারকারা। অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ এবং হরি বনস আচারিয়া এই আন্দোলনের পক্ষে সরাসরি এবং প্রকাশে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন আচারিয়া। প্রবীণ নেতাদের সরে গিয়ে তরুণদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী প্রকাশ সপুত তাঁর ছোট দুই ভাইকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের অর্থ তাঁদের হাতে দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা বিক্ষোভের পেছনে
কাঠমান্ডুর প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলের জন্য আগেই অনুমোদনও নিয়েছিল তারা। এই সংগঠনের প্রধান সুধান গুরুং বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা যে বিক্ষোভ করছি, তেমনি একটি বিক্ষোভ ছিল গতকাল।’
তবে এই বিক্ষোভকে জোরালো করার জন্য কাজ করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘হামি নেপালের’ পক্ষ থেকে বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন তথ্য আগেই দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী করতে হবে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে জানিয়ে দিচ্ছিল সংগঠনটি। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই স্কুল, কলেজের ড্রেস পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার ছিল। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, দুর্নীতিকে না বলুন এবং একতাবদ্ধ হোন। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জেন-জি এখানে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিক্ষোভ
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), মেসেঞ্জার, সিগন্যাল, ইমো, ইউচ্যাট, স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পাস করা নতুন বিধি অনুসারে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তবে টিকটক, ভাইবার ও আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন করায় তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান এই মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছিল। মূলত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তরুণেরা। তবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। গত রোববার সাংবাদিকেরা কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকেরা বলেন, সরকার এর মাধ্যমে জনসাধারণের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পথ রোধ করে কর্তৃত্ববাদের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। উল্টো তিনি হুমকি দেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
ক্ষতির কারণে সড়কে মানুষেরা
সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন খাত। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছে না পর্যটন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া নেপালের অনেকেই দেশটির বাইরে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সংসদীয় এলাকায় গুলি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল সোমবার আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী জুজান রাজভান্ডরি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। তবে এটাই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ নয়। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। নেপালে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে।’
এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইকসামা তুমরক বলেন, ‘সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যা করছে তা কর্তৃত্ববাদী আচরণ। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।’

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ শুরুর পর হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতাল। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রায় ১০০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এই গুলির ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই বিক্ষোভকে ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ হয়েছে আখ্যা দিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বিক্ষোভ ডিজিটাল স্পেস থেকে সড়কে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে কাঠমান্ডুর মাইতিগড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এই মাইতিগড় ছাড়াও গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করলে তারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
এদিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জন নেপাল বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি এই হাসপাতালে এর আগে কখনো দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক আহতের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখানেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে। এতে চিকিৎসকদেরও কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
কারফিউ জারি
বিক্ষোভের কারণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রথমে এই কারফিউ ছিল বানেস্বর এলাকায়। এই এলাকায় নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, কাঠমান্ডু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। পুলিশের হামলার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। পরে কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় শীতল নিউওয়াজ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া লাইনচাউর (ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলাকা), বালুওয়াতার (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা), মহারাজগঞ্জ, সিংঘা দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য এলাকায়ও কারফিউ জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ বজায় থাকবে।
তারকাদের সমর্থন
কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভ এখনো চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণেরা এখনো রাস্তা ছেড়ে যাননি। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশটির তারকারা। অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ এবং হরি বনস আচারিয়া এই আন্দোলনের পক্ষে সরাসরি এবং প্রকাশে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন আচারিয়া। প্রবীণ নেতাদের সরে গিয়ে তরুণদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী প্রকাশ সপুত তাঁর ছোট দুই ভাইকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের অর্থ তাঁদের হাতে দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা বিক্ষোভের পেছনে
কাঠমান্ডুর প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলের জন্য আগেই অনুমোদনও নিয়েছিল তারা। এই সংগঠনের প্রধান সুধান গুরুং বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা যে বিক্ষোভ করছি, তেমনি একটি বিক্ষোভ ছিল গতকাল।’
তবে এই বিক্ষোভকে জোরালো করার জন্য কাজ করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘হামি নেপালের’ পক্ষ থেকে বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন তথ্য আগেই দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী করতে হবে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে জানিয়ে দিচ্ছিল সংগঠনটি। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই স্কুল, কলেজের ড্রেস পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার ছিল। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, দুর্নীতিকে না বলুন এবং একতাবদ্ধ হোন। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জেন-জি এখানে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিক্ষোভ
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), মেসেঞ্জার, সিগন্যাল, ইমো, ইউচ্যাট, স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পাস করা নতুন বিধি অনুসারে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তবে টিকটক, ভাইবার ও আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন করায় তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান এই মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছিল। মূলত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তরুণেরা। তবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। গত রোববার সাংবাদিকেরা কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকেরা বলেন, সরকার এর মাধ্যমে জনসাধারণের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পথ রোধ করে কর্তৃত্ববাদের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। উল্টো তিনি হুমকি দেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
ক্ষতির কারণে সড়কে মানুষেরা
সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন খাত। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছে না পর্যটন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া নেপালের অনেকেই দেশটির বাইরে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সংসদীয় এলাকায় গুলি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল সোমবার আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী জুজান রাজভান্ডরি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। তবে এটাই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ নয়। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। নেপালে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে।’
এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইকসামা তুমরক বলেন, ‘সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যা করছে তা কর্তৃত্ববাদী আচরণ। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।’
জেন-জি বিক্ষোভ
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ শুরুর পর হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতাল। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রায় ১০০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এই গুলির ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই বিক্ষোভকে ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ হয়েছে আখ্যা দিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বিক্ষোভ ডিজিটাল স্পেস থেকে সড়কে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে কাঠমান্ডুর মাইতিগড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এই মাইতিগড় ছাড়াও গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করলে তারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
এদিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জন নেপাল বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি এই হাসপাতালে এর আগে কখনো দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক আহতের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখানেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে। এতে চিকিৎসকদেরও কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
কারফিউ জারি
বিক্ষোভের কারণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রথমে এই কারফিউ ছিল বানেস্বর এলাকায়। এই এলাকায় নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, কাঠমান্ডু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। পুলিশের হামলার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। পরে কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় শীতল নিউওয়াজ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া লাইনচাউর (ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলাকা), বালুওয়াতার (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা), মহারাজগঞ্জ, সিংঘা দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য এলাকায়ও কারফিউ জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ বজায় থাকবে।
তারকাদের সমর্থন
কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভ এখনো চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণেরা এখনো রাস্তা ছেড়ে যাননি। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশটির তারকারা। অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ এবং হরি বনস আচারিয়া এই আন্দোলনের পক্ষে সরাসরি এবং প্রকাশে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন আচারিয়া। প্রবীণ নেতাদের সরে গিয়ে তরুণদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী প্রকাশ সপুত তাঁর ছোট দুই ভাইকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের অর্থ তাঁদের হাতে দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা বিক্ষোভের পেছনে
কাঠমান্ডুর প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলের জন্য আগেই অনুমোদনও নিয়েছিল তারা। এই সংগঠনের প্রধান সুধান গুরুং বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা যে বিক্ষোভ করছি, তেমনি একটি বিক্ষোভ ছিল গতকাল।’
তবে এই বিক্ষোভকে জোরালো করার জন্য কাজ করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘হামি নেপালের’ পক্ষ থেকে বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন তথ্য আগেই দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী করতে হবে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে জানিয়ে দিচ্ছিল সংগঠনটি। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই স্কুল, কলেজের ড্রেস পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার ছিল। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, দুর্নীতিকে না বলুন এবং একতাবদ্ধ হোন। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জেন-জি এখানে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিক্ষোভ
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), মেসেঞ্জার, সিগন্যাল, ইমো, ইউচ্যাট, স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পাস করা নতুন বিধি অনুসারে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তবে টিকটক, ভাইবার ও আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন করায় তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান এই মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছিল। মূলত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তরুণেরা। তবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। গত রোববার সাংবাদিকেরা কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকেরা বলেন, সরকার এর মাধ্যমে জনসাধারণের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পথ রোধ করে কর্তৃত্ববাদের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। উল্টো তিনি হুমকি দেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
ক্ষতির কারণে সড়কে মানুষেরা
সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন খাত। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছে না পর্যটন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া নেপালের অনেকেই দেশটির বাইরে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সংসদীয় এলাকায় গুলি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল সোমবার আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী জুজান রাজভান্ডরি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। তবে এটাই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ নয়। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। নেপালে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে।’
এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইকসামা তুমরক বলেন, ‘সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যা করছে তা কর্তৃত্ববাদী আচরণ। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।’

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
বিক্ষোভ শুরুর পর হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন হাসপাতাল। কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, ১৯ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া প্রায় ১০০ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
এই গুলির ঘটনার জেরে পদত্যাগ করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখক। ঘটনার দায় স্বীকার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল মন্ত্রিসভায় পদত্যাগপত্র জমা দেন। তিনি বলেন, ‘এত মানুষের প্রাণহানি অচিন্তনীয়। নৈতিকভাবে আমার আর দায়িত্বে থাকা উচিত নয়।’
নেপালের গণমাধ্যম কাঠমান্ডু পোস্ট এই বিক্ষোভকে ‘জেন-জি’দের বিক্ষোভ হয়েছে আখ্যা দিয়েছে। গণমাধ্যমটি বলছে, সরকারের দুর্নীতির প্রতিবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর সরকারের নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে বিক্ষোভ ডিজিটাল স্পেস থেকে সড়কে নেমে এসেছে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে রাস্তায় নেমে আসে বিক্ষোভকারীরা। তারা প্রথমে কাঠমান্ডুর মাইতিগড় এলাকায় জড়ো হয়। সেখানে স্লোগান দেওয়া শুরু হয়। এই মাইতিগড় ছাড়াও গতকাল বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে। পুলিশ এই বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করলে তারা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে এবং ভাঙচুর চালায়।
এরপর পরিস্থিতি আরও খারাপে দিকে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। এতে পরিস্থিতি আরও উত্তাল হয়ে ওঠে।
এদিকে কাঠমান্ডুর হাসপাতালের চিত্র তুলে ধরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকেরা। রাজধানীর সিভিল হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা রঞ্জন নেপাল বলেন, ‘আমি এমন পরিস্থিতি এই হাসপাতালে এর আগে কখনো দেখিনি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখানে অনেক আহতের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পুলিশ এখানেই কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করছে। এতে চিকিৎসকদেরও কাজ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।’
কারফিউ জারি
বিক্ষোভের কারণে কাঠমান্ডুর বিভিন্ন এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রথমে এই কারফিউ ছিল বানেস্বর এলাকায়। এই এলাকায় নেপালের পার্লামেন্ট ভবন, কাঠমান্ডু প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। পুলিশের হামলার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে কাঠমান্ডু। পরে কাঠমান্ডুতে প্রেসিডেন্টের বাসভবন ও কার্যালয় শীতল নিউওয়াজ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়। এ ছাড়া লাইনচাউর (ভাইস-প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলাকা), বালুওয়াতার (প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন এলাকা), মহারাজগঞ্জ, সিংঘা দরবারসহ গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য এলাকায়ও কারফিউ জারি করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্পর্শকাতর এলাকাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কারফিউ জারি করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই কারফিউ বজায় থাকবে।
তারকাদের সমর্থন
কারফিউ জারি করার পরও বিক্ষোভ এখনো চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণেরা এখনো রাস্তা ছেড়ে যাননি। এই বিক্ষোভের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন দেশটির তারকারা। অভিনেতা মদন কৃষ্ণ শ্রেষ্ঠ এবং হরি বনস আচারিয়া এই আন্দোলনের পক্ষে সরাসরি এবং প্রকাশে বক্তব্য দিয়েছেন। সরকারের অবস্থান এবং দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন আচারিয়া। প্রবীণ নেতাদের সরে গিয়ে তরুণদের জায়গা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। আরেক অভিনেতা ও সংগীতশিল্পী প্রকাশ সপুত তাঁর ছোট দুই ভাইকে বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার কথা বলেছেন। এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয়ের অর্থ তাঁদের হাতে দিয়েছেন তিনি।
যাঁরা বিক্ষোভের পেছনে
কাঠমান্ডুর প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ‘হামি নেপাল’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে গতকাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। এই মিছিলের জন্য আগেই অনুমোদনও নিয়েছিল তারা। এই সংগঠনের প্রধান সুধান গুরুং বলেন, ‘সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সারা দেশে আমরা যে বিক্ষোভ করছি, তেমনি একটি বিক্ষোভ ছিল গতকাল।’
তবে এই বিক্ষোভকে জোরালো করার জন্য কাজ করা হচ্ছিল আগে থেকেই। ‘হামি নেপালের’ পক্ষ থেকে বিক্ষোভের জন্য বিভিন্ন তথ্য আগেই দেওয়া হচ্ছিল। এ ছাড়া ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য কী করতে হবে, তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আগে জানিয়ে দিচ্ছিল সংগঠনটি। বিক্ষোভে শিক্ষার্থীদের বই নিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিল। গতকাল কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায়, অনেকেই স্কুল, কলেজের ড্রেস পরে বিক্ষোভে যোগ দিয়েছে। তাদের হাতে বিভিন্ন লিফলেট, পোস্টার ছিল। একটি পোস্টারে লেখা ছিল, দুর্নীতিকে না বলুন এবং একতাবদ্ধ হোন। আরেকটি পোস্টারে লেখা ছিল, ‘জেন-জি এখানে, ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল’।
নিষেধাজ্ঞার পর থেকে বিক্ষোভ
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ নিয়ে সমালোচনা বেশ কিছু দিন ধরেই চলছিল। গত বৃহস্পতিবার ফেসবুক, ইউটিউব, এক্স (সাবেক টুইটার), মেসেঞ্জার, সিগন্যাল, ইমো, ইউচ্যাট, স্ন্যাপচ্যাটসহ ২৬টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে নেপাল সরকার। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর সরকারের যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী পৃথিবী সুব্বা জানান, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের পাস করা নতুন বিধি অনুসারে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এগুলো বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
তবে টিকটক, ভাইবার ও আরও তিনটি প্ল্যাটফর্ম নিবন্ধন করায় তারা সরকারের নিষেধাজ্ঞা আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান এই মন্ত্রী। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কাঠমান্ডু পোস্টের খবরে বলা হয়, এর আগে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছিল বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সেখানে ‘নেপো কিডস’, ‘নেপো বেবিস’ হ্যাশট্যাগগুলোর ব্যবহার করা হচ্ছিল। মূলত সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন তরুণেরা। তবে সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো বন্ধ করে দিলে বিক্ষোভ দানা বাঁধতে শুরু করে। গত রোববার সাংবাদিকেরা কাঠমান্ডুতে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ থেকে সাংবাদিকেরা বলেন, সরকার এর মাধ্যমে জনসাধারণের কণ্ঠস্বর রোধ করতে চায়। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পথ রোধ করে কর্তৃত্ববাদের পথে হাঁটতে চাইছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানায় আন্তর্জাতিক সংগঠন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
তবে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি এসব সমালোচনা গায়ে মাখেননি। উল্টো তিনি হুমকি দেন, দেশের স্বার্থের বিরুদ্ধে কোনো কিছু করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।
ক্ষতির কারণে সড়কে মানুষেরা
সরকারের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞার কারণে সবচেয়ে ক্ষতির মুখে পড়ে নেপালের পর্যটন খাত। দেশটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে। নিষেধাজ্ঞার কারণে সেই সুযোগ আর পাচ্ছে না পর্যটন নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ছাড়া নেপালের অনেকেই দেশটির বাইরে থাকেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে তাঁরাও পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। এর প্রতিবাদে বিভিন্ন স্থানে স্থানে বিক্ষোভ শুরু হয়। রোববার প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলির সংসদীয় এলাকায় গুলি চালায় পুলিশ। এরপর গতকাল সোমবার আবারও গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী।
গতকাল বিক্ষোভে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী জুজান রাজভান্ডরি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ক্ষুব্ধ হয়েছি। তবে এটাই বিক্ষোভের একমাত্র কারণ নয়। আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। নেপালে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা হয়েছে।’
এদিকে পুলিশের হামলার নিন্দা জানিয়ে ইকসামা তুমরক বলেন, ‘সরকার বিক্ষোভের বিরুদ্ধে যা করছে তা কর্তৃত্ববাদী আচরণ। আমরা এই অবস্থার পরিবর্তন দেখতে চাই।’

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে।
আজ রোববার (২৬ অক্টোবর) পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জনসংযোগ শাখার (আইএসপিআর) বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আফগানিস্তান থেকে সশস্ত্র ব্যক্তিরা খুররম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান অঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। পাহাড়ি ও দুর্গম এই দুই জেলায় সংঘর্ষটি ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমের এই চেষ্টা প্রমাণ করে যে আফগান সরকারের সন্ত্রাসবাদ দমনে প্রকৃত অবস্থান নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
এ সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ বিষয়ে জানতে তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছিল, কিন্তু তারা মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এদিকে, এ সংঘর্ষের সময়ই দুই দেশের প্রতিনিধিদল ইস্তাম্বুলে আলোচনায় বসেছে, যাতে সীমান্তে উত্তেজনা কমানো যায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়, তা ছিল ২০২১ সালে কাবুলে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার পর সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী ঘটনা। পাকিস্তানের দাবি, তালেবান সরকার সীমান্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই অভিযোগ ঘিরে উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও পাকিস্তান আফগানিস্তানে বিমান হামলা করে। পরে দোহায় এক চুক্তির মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়।
তবে তালেবান সরকার বরাবরই পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে। বরং তারা অভিযোগ করেছে, পাকিস্তানি সামরিক অভিযানে তাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন হয়েছে।
গতকাল পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি টিকে আছে এবং তিনি বিশ্বাস করেন, আফগানিস্তানও শান্তি চায়। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ইস্তাম্বুলে কোনো সমঝোতা না হলে যুদ্ধ অনিবার্য।
পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার ও গতকাল যাঁরা সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টা করেছিলেন, তাঁরা ‘ফিতনা আল খারিজ’ নামের এক সংগঠনের সদস্য। সেনাবাহিনী বলেছে, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী বিদেশি পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত এবং উগ্রবাদী মতাদর্শে অনুপ্রাণিত।

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিবিসির সাক্ষাৎকার
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে তিনি আত্মবিশ্বাসী।
২০২৪ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজয়ের পর কমলা হ্যারিস এবারই প্রথম প্রকাশ্যে ইঙ্গিত দিলেন, ২০২৮ সালে তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। এমনকি বিভিন্ন জরিপে ডেমোক্র্যাট দলের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তাঁকে অনেক পিছিয়ে দেখানো হলেও তিনি তা গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
হ্যারিস বলেন, ‘যদি আমি জরিপের ফল শুনতাম, তবে জীবনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিতাম না। আমি এখনো শেষ হইনি—সারা জীবন জনসেবায় কাটিয়েছি, সেটাই আমার রক্তে মিশে আছে।’
সাক্ষাৎকারে হ্যারিস তাঁর সাবেক প্রতিদ্বন্দ্বী ট্রাম্পকে ‘একজন স্বৈরাচারী’ হিসেবে আখ্যা দেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প সম্পর্কে যেসব সতর্কবার্তা তিনি দিয়েছিলেন, তা এখন সত্য প্রমাণিত হচ্ছে। কমলা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম তিনি (ট্রাম্প) বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করবেন—এবং সেটাই তিনি এখন করছেন।’
উদাহরণ হিসেবে কমলা কৌতুক অভিনেতা জিমি কিমেলকে ট্রাম্প-নিযুক্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থার চাপের মুখে টেলিভিশন থেকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনা উল্লেখ করেন। হ্যারিসের ভাষায়, ‘ট্রাম্পের চামড়া এতটাই পাতলা যে একটি রসিকতাও সহ্য করতে পারেন না।’
মার্কিন ব্যবসায়ী ও প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই ট্রাম্পের ক্ষমতার সামনে নতি স্বীকার করেছে উল্লেখ করে কমলা বলেন, ‘অনেকে ক্ষমতার কাছাকাছি থাকতে চায়, কোনো তদন্ত এড়াতে চায়, কিংবা নিজের স্বার্থে কিছু অনুমোদন করাতে চায়।’
হোয়াইট হাউস অবশ্য কমলা হ্যারিসের এসব মন্তব্যকে গুরুত্ব দেয়নি। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অ্যাবিগেইল জ্যাকসন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস যখন বিপুল ব্যবধানে নির্বাচনে হেরে যান, তখনই আমেরিকান জনগণ তার প্রতি মত জানিয়ে দিয়েছে।’
সম্প্রতি কমলা প্রকাশ করেছেন তার নির্বাচনী স্মৃতিকথা ‘১০৭ ডেজ’। তিনি বাইডেনের পদত্যাগের পর মাত্র ১০৭ দিন সময় পান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়াইয়ের জন্য। সাক্ষাৎকারে সাংবাদিকেরা তাঁকে প্রশ্ন করেন—যদি বাইডেন আগে সরে দাঁড়াতেন, তাহলে কি এখন ট্রাম্পের বদলে আপনিই প্রেসিডেন্ট হতেন? জবাবে কমলা বলেছেন, ‘ওটা এক অনিশ্চিত প্রশ্ন—যা আমেরিকার ভাগ্য বদলাতে পারত।’

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন এই বিধান কার্যকর হবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এতে বলা হয়েছে, মার্কিন সীমান্ত কর্তৃপক্ষ চাইলে বিদেশিদের কাছ থেকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ডিএনএসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক তথ্যও সংগ্রহ করতে পারবে।
নতুন নীতিতে আরও বলা হয়েছে, এখন থেকে ১৪ বছরের নিচে শিশু ও ৭৯ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স্কদেরও ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রক্রিয়ার আওতায় আনা যাবে। এত দিন এই দুই শ্রেণির মানুষ এ ব্যবস্থার বাইরে ছিল।
এই উদ্যোগকে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অবস্থানের অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র–মেক্সিকো সীমান্তে নজরদারি জোরদার করার পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসন এবার ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ব্যক্তিদের শনাক্তকরণেও গুরুত্ব দিচ্ছে।
তবে বিমানবন্দরগুলোতে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তির বাড়তি ব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অধিকারকর্মীরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই প্রযুক্তির ভুল শনাক্তকরণ হার এখনো বেশি এবং এটি কৃষ্ণাঙ্গ বা সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে বৈষম্যপূর্ণ ফলাফল দিতে পারে।
২০২৪ সালের এক প্রতিবেদনে মার্কিন নাগরিক অধিকার কমিশন (US Commission on Civil Rights) জানিয়েছিল, পরীক্ষায় দেখা গেছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার কৃষ্ণাঙ্গ ও সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে ভুল শনাক্তের সম্ভাবনা তুলনামূলক বেশি।
২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিস অনুমান করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসকারী প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ অভিবাসীর মধ্যে ৪২ শতাংশেরই ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।
এমনকি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস একটি স্বয়ংক্রিয় ‘এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম’ তৈরির নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু তা কখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা হয়নি।
বর্তমানে মার্কিন কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রোটেকশন (সিবিপি) সংস্থা সব বাণিজ্যিক ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের জন্য ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। তবে বাইর হওয়ার ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা এখনো কেবল নির্দিষ্ট কয়েকটি স্থানে সীমিত।
নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সব বাণিজ্যিক বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরে প্রবেশ ও প্রস্থানের ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ বায়োমেট্রিক এন্ট্রি-এক্সিট সিস্টেম চালু করা হবে।

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

ইউক্রেনের জীববিজ্ঞানী লিওনিদ পশেনিচনভকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহের’ অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে রুশ কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার জের ধরে শুরু হয়েছে তীব্র কূটনৈতিক বিরোধ। ইউক্রেন দাবি করেছে, অ্যান্টার্কটিকায় ক্রিল মাছ ধরায় নিয়ন্ত্রণ আরোপের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই পশেনিচনভকে ‘মিথ্যা’ অভিযোগে আটক করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান জানিয়েছে, লিওনিদ পশেনিচনভ অ্যান্টার্কটিকা বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এক জীববিজ্ঞানী। ১৯৮৩ সাল থেকে তিনি ‘অ্যান্টার্কটিক সামুদ্রিক জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ কমিশন’-এর গবেষণায় যুক্ত আছেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তিনি ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসেবে ওই কমিশনের কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার হোবার্টে আয়োজিত একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পশেনিচনভ। ওই সম্মেলনে অ্যান্টার্কটিকার সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও ক্রিল মাছ ধরার সীমা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। ঠিক এমন সময়ই রাশিয়ার দখল করা ক্রিমিয়া থেকে তাঁকে আটক করা হয়েছে।
রুশ কর্তৃপক্ষের এক নথিতে দাবি করা হয়েছে, পশেনিচনভ ‘রাশিয়ার নাগরিক’ হিসেবে ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কাজ করেছেন এবং শত্রুপক্ষের সহায়তা করেছেন। অভিযোগে বলা হয়, তিনি তাঁর গবেষণাকে ব্যবহার করেছেন রাশিয়ার অ্যান্টার্কটিক ক্রিল ধরার কার্যক্রমকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে। ইউক্রেনীয় প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্রিল আহরণে সীমা আরোপের আহ্বান জানানোয় রাশিয়ার অর্থনৈতিক স্বার্থ নষ্ট হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
অ্যান্টার্কটিকার উপদ্বীপ ঘিরে একটি সামুদ্রিক সংরক্ষিত এলাকা গঠনের প্রস্তাব নিয়েই মূলত এই বিতর্ক। বহু বছর ধরে রাশিয়া ও চীন এমন সংরক্ষিত এলাকা গঠনের বিরোধিতা করে আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বছর প্রথমবারের মতো অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলে ক্রিল আহরণের পরিমাণ টেকসই সীমা ছাড়িয়ে গেছে।
পশেনিচনভের আটক নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, আর যুক্তরাজ্য আহ্বান করেছে, রাশিয়া যেন ইচ্ছাকৃতভাবে আটক সব বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেয়। পশেনিচনভ সম্পর্কে ইউক্রেনের অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিল মিরোশনিচেঙ্কো বলেছেন, ‘তিনি একজন বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ নন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
সহকর্মীরা জানিয়েছেন, ৭০ বছর বয়সী এই বিজ্ঞানী শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং হাঁটুর সমস্যায় ভুগছেন। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী ইভজেনি পাখোমভ বলেছেন, ‘তিনি (পশেনিচনভ) অতি সদালাপী ও সহৃদয় মানুষ। তাঁর নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে আমরা সবাই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
ব্লু মেরিন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড্যান ক্রকেট মন্তব্য করেছেন, ‘পশেনিচনভকে কারাবন্দী করা হয়েছে শুধু এই কারণে যে, তিনি ক্রিল আহরণের পরিবেশগত প্রভাব সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেছেন।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২০২৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহের সর্বোচ্চ শাস্তি ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে যাবজ্জীবন করেন। এখন এই বৃদ্ধ বিজ্ঞানীর জীবনও সেই আইনের ঝুঁকিতে পড়েছে।

নেপালে দুর্নীতিবিরোধী ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। গতকাল সোমবার বিক্ষোভ থেকে পার্লামেন্ট ভবনে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে তরুণদের ওপর গুলি চালিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এতে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে...
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
ইস্তাম্বুলে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই দুই দেশের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষের খবর এসেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার আফগান সীমান্ত পেরিয়ে আসা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে পাঁচ সেনা ও ২৫ সশস্ত্র সন্ত্রাসী নিহত হয়েছ
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জানিয়েছেন, তিনি আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে হ্যারিস বলেন—ভবিষ্যতে একদিন তিনি নিজেই হয়তো হোয়াইট হাউসে বসবেন এবং কোনো এক সময় যে একজন নারী মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবেন, সেই বিষয়ে
১ ঘণ্টা আগে
বিদেশি নাগরিকদের আগমন ও প্রস্থান নজরদারিতে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, সব বিদেশি নাগরিককে বিমানবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও স্থলসীমান্তে মুখের ছবি তুলতে বাধ্য করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এর লক্ষ্য ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের পর থেকে যাওয়া ও পাসপোর্ট জালিয়াতি রোধ করা।
২ ঘণ্টা আগে