Ajker Patrika

আক্রান্ত হলে পরস্পরকে রক্ষা করবে পিয়ংইয়ং-মস্কো, কিম-পুতিন চুক্তি

আপডেট : ১৯ জুন ২০২৪, ২১: ০৩
আক্রান্ত হলে পরস্পরকে রক্ষা করবে পিয়ংইয়ং-মস্কো, কিম-পুতিন চুক্তি

উত্তর কোরিয়ার কিম জং উন এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেদের সামরিক সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের কোনোটি শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে একে অপরকে সাহায্য করবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

আজ বুধবার পিয়ংইয়ংয়ে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে একটি ‘জোট’ বলে অভিহিত করেছেন কিম। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

কিম পিয়ংইয়ংয়ে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরে একটি বিরল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত অংশীদারত্ব’ চুক্তি স্বাক্ষরের ঘোষণা দেন। রুশ নেতা বলেন, এতে প্রতিরক্ষামূলক বিষয়াবলি রয়েছে।

গত ২৪ বছরের মধ্যে এটিই পুতিনের প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর। এই সফরেই এমন কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের পর তিনি বলেন, ‘আজ স্বাক্ষরিত ব্যাপক অংশীদারত্বমূলক চুক্তিতে দুই পক্ষের (মস্কো-পিয়ংইয়ং) বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে।’

পুতিনের এই সফর রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কেননা উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বিচ্ছিন্নতার মুখে রয়েছে। তাঁদের ওপর সিউল এবং ওয়াশিংটন নজরদারি চালাচ্ছে ও ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

পুতিনকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান কিম।। ছবি: এএফপিউত্তর কোরিয়ার প্রধান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ত্রাতা এবং মস্কোর বিকাশমান মিত্র চীন এই চুক্তি স্বাক্ষর সম্পর্কে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এদিকে পিয়ংইয়ং মস্কোর কাছ থেকে রাজনৈতিক সমর্থন পাওয়ার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহায়তার প্রতিশ্রুতিও পেয়েছে। কিম বলেছেন, নতুন এই চুক্তিটি রাজনীতি, অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে সহযোগিতাকে প্রসারিত করবে। একই সঙ্গে তিনি এটিকে ‘কঠোরভাবে শান্তিপ্রিয় এবং প্রতিরক্ষামূলক’ বলে অভিহিত করেছেন।

মস্কো মার্কিন ও দেশটির মিত্রদের আধিপত্য ও সাম্রাজ্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে বলেও জানান পুতিন। জবাবে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্ক ‘সমৃদ্ধির নতুন উচ্চতায়’ প্রবেশ করেছে।

ভ্লাদিমির পুতিনকে কিম জং উনের অভ্যর্থনা। ছবি: সংগৃহীত  এদিকে বৈঠকের শুরুতে কিম ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিনের নীতির প্রতি ‘পূর্ণ সমর্থন এবং দৃঢ় জোট’ সহ ‘রাশিয়ার সমস্ত নীতির’ প্রতি ‘নিঃশর্ত সমর্থন’ জানান। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আরআইএ পুতিনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ‘রাশিয়া নীতিতে আপনার ধারাবাহিক ও অটল সমর্থনের আমরা উচ্চ প্রশংসা করছি, যার মধ্যে ইউক্রেন নীতিও রয়েছে।’

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন প্রতিবেশী ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।

চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে বিরক্ত করতে রাশিয়া অনেক সময় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিজেদের উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্রদের আশঙ্কা উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও পরমাণু অস্ত্র প্রকল্পে রাশিয়া সহায়তা দেবে। এ বিষয়ে পিয়ংইয়ংয়ের ওপর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বিনিময়ে রাশিয়াকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও কামানের গোলা দেবে উত্তর কোরিয়া। যে অস্ত্র ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার করা হবে। তবে মস্কো ও ইউক্রেন—উভয়ই অবশ্য অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদোন্নতি দিয়ে ৬৫ হাজার সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা: ডিজি

দিনাজপুরে হিন্দু নেতাকে অপহরণ করে হত্যা: ভারত সরকার ও বিরোধী দল কংগ্রেসের উদ্বেগ

সমালোচনার মুখে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের নিয়োগ বাতিল

আজ থেকে ৫০০ টাকায় মিলবে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, বেশির ভাগই ভারতীয়, আছে বাংলাদেশিও

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত