
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক বাড়াবেন। এই ঘোষণা তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিন ২০ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। এর আগে, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
যদিও সম্ভাব্য পরিণতি অনিশ্চিত, তবে এই শুল্ক—যা আমদানি পণ্যের ওপর কর হিসেবে কার্যকর হবে—এশিয়ার দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষ করে, যেসব দেশের বৈদেশিক আয় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।
গত বছর, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যা দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। দুই দেশের মধ্যে সে বছর ১১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য লেনদেন হয়েছিল।
তবে চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের পরিকল্পিত শুল্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশকে লাভবান করতে পারে। কারণ, চীন থেকে কারখানাগুলো সরিয়ে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে স্থাপন করা হতে পারে। জুতার ব্র্যান্ড স্টিভ ম্যাডেন চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা করেছে, তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে চীনে তাদের উৎপাদন অর্ধেক কমিয়ে ফেলবে এবং কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
২০২৩ সালে চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারত এবং জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ পণ্য প্রবেশ করেছে। মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানি উৎস। তবে একক দেশ বিবেচনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক আমদানি করেছে মেক্সিকো থেকে, এর পরে ছিল চীন এবং কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০টি আমদানিকারক দেশের মধ্যে ছয়টি এশিয়ার।
তবে পণ্য প্রবাহ সমানুপাতিক নয়, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনেক এশীয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, কিন্তু রপ্তানি করে কম। ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ঘাটতি ছিল চীনের সঙ্গে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো এবং তৃতীয় স্থানে ছিল ভিয়েতনাম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি আছে। যদিও গত এক বছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে, তবে ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোর সঙ্গে ঘাটতি বাড়ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের আমদানি কমানোর চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমদানি শুল্ক বাড়াতে চান যাতে, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো বা সম্পূর্ণরূপে দূর করা যায়। তবে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, তাঁর শুল্ক কার্যত আমেরিকানদের জন্য একটি কর হিসেবে কাজ করবে। কারণ, কোম্পানিগুলো আমদানি করা পণ্যের বাড়তি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, যার ফলে দেশীয় বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে।
মার্কিন পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অটোজোনের সিইও ফিলিপ ড্যানিয়েল সেপ্টেম্বরে একটি আয় প্রতিবেদনে বলেন, ‘যদি আমরা শুল্কের মুখোমুখি হই, তাহলে আমরা সেই শুল্কের খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেব।’
তথ্যসূত্র: সিএনএন

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, তিনি মেক্সিকো, কানাডা এবং চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক বাড়াবেন। এই ঘোষণা তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদের প্রথম দিন ২০ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। এর আগে, নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
যদিও সম্ভাব্য পরিণতি অনিশ্চিত, তবে এই শুল্ক—যা আমদানি পণ্যের ওপর কর হিসেবে কার্যকর হবে—এশিয়ার দেশগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। বিশেষ করে, যেসব দেশের বৈদেশিক আয় যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল।
গত বছর, জাপান যুক্তরাষ্ট্রে ১৪৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যা দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ। ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র ছিল দক্ষিণ কোরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। দুই দেশের মধ্যে সে বছর ১১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য লেনদেন হয়েছিল।
তবে চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্পের পরিকল্পিত শুল্ক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু দেশকে লাভবান করতে পারে। কারণ, চীন থেকে কারখানাগুলো সরিয়ে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশে স্থাপন করা হতে পারে। জুতার ব্র্যান্ড স্টিভ ম্যাডেন চলতি মাসের শুরুতে ঘোষণা করেছে, তারা ট্রাম্পের শুল্ক এড়াতে চীনে তাদের উৎপাদন অর্ধেক কমিয়ে ফেলবে এবং কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মেক্সিকো ও ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশে উৎপাদ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
২০২৩ সালে চীন, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ভারত এবং জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকেও যুক্তরাষ্ট্রে বিপুল পরিমাণ পণ্য প্রবেশ করেছে। মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুর যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় বৃহত্তম আমদানি উৎস। তবে একক দেশ বিবেচনায় ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধিক আমদানি করেছে মেক্সিকো থেকে, এর পরে ছিল চীন এবং কানাডা। যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ১০টি আমদানিকারক দেশের মধ্যে ছয়টি এশিয়ার।
তবে পণ্য প্রবাহ সমানুপাতিক নয়, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অনেক এশীয় দেশের বাণিজ্য ঘাটতি আছে। অর্থাৎ, যুক্তরাষ্ট্র ওই দেশগুলো থেকে বেশি আমদানি করে, কিন্তু রপ্তানি করে কম। ২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসে, যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাণিজ্য ঘাটতি ছিল চীনের সঙ্গে। দ্বিতীয় স্থানে ছিল মেক্সিকো এবং তৃতীয় স্থানে ছিল ভিয়েতনাম। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ৯০ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য ঘাটতি আছে। যদিও গত এক বছরে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে, তবে ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডের মতো দেশগুলোর সঙ্গে ঘাটতি বাড়ছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের আমদানি কমানোর চেষ্টা করছে।
ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আমদানি শুল্ক বাড়াতে চান যাতে, বাণিজ্য ঘাটতি কমানো বা সম্পূর্ণরূপে দূর করা যায়। তবে অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করেছেন, তাঁর শুল্ক কার্যত আমেরিকানদের জন্য একটি কর হিসেবে কাজ করবে। কারণ, কোম্পানিগুলো আমদানি করা পণ্যের বাড়তি খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেবে, যার ফলে দেশীয় বাজারে পণ্যের দাম বাড়বে।
মার্কিন পাইকারি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান অটোজোনের সিইও ফিলিপ ড্যানিয়েল সেপ্টেম্বরে একটি আয় প্রতিবেদনে বলেন, ‘যদি আমরা শুল্কের মুখোমুখি হই, তাহলে আমরা সেই শুল্কের খরচ ভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দেব।’
তথ্যসূত্র: সিএনএন

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩৮ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগে
কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট এবং রুশ ভাষায় অনূদিত শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার একটি কপি।
উপহারগুলোর বিশেষত্ব সম্পর্কে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিতে বলা হয়েছে—
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা
এটি মহাভারতের একটি অংশ। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরুর ঠিক আগে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে কর্তব্য, আত্মা ও মোক্ষলাভ সম্পর্কে যে উপদেশ দিয়েছিলেন, তা-ই এই গ্রন্থে রয়েছে। শ্রীগীতার দর্শন নৈতিক জীবন, মন নিয়ন্ত্রণ এবং অভ্যন্তরীণ শান্তিকে অনুপ্রাণিত করে।
আসামের ব্ল্যাক টি
সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি—উর্বর ব্রহ্মপুত্রের সমভূমিতে উৎপাদিত আসামের ব্ল্যাক টি তার শক্তিশালী মাল্টি ফ্লেভার, উজ্জ্বল রং এবং ঐতিহ্যবাহী ‘আসামিকা’ প্রজাতির জন্য বিখ্যাত। ২০০৭ সালে জিআই ট্যাগ পাওয়া এই চা ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু ও শতবর্ষের ঐতিহ্যকে প্রতিফলিত করে। শুধু সাংস্কৃতিক মূল্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার কারণেও এটি সমানভাবে জনপ্রিয়।
মুর্শিদাবাদের অলংকৃত রুপার টি-সেট
মুর্শিদাবাদে তৈরি জটিল নকশা খোদাই রুপার টি-সেট পশ্চিমবঙ্গের সমৃদ্ধ কারুশিল্পকে তুলে ধরে। ভারত ও রাশিয়া উভয় দেশেই পানীয় হিসেবে চা বেশ জনপ্রিয়। এই উপহার দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বকেই প্রতিফলিত করে।
মহারাষ্ট্রের শিল্পীদের হাতে বানানো রুপার ঘোড়া
মহারাষ্ট্রের এই হস্তশিল্প ভারতের ধাতব কারুশিল্পের সূক্ষ্মতার নিদর্শন। ভারতীয় ও রুশ—উভয় সংস্কৃতিতেই এটি মর্যাদা ও বীরত্বের প্রতীক। ঘোড়াটির গতিশীল ভঙ্গি ভারত-রাশিয়া অংশীদারত্বের অগ্রগতিকে তুলে ধরে।
আগ্রার মার্বেলে তৈরি দাবার বোর্ড
আগ্রার তৈরি হাতে বানানো মার্বেলের দাবার সেট সূক্ষ্ম পাথরের কারুকার্যের ঐতিহ্য তুলে ধরে।
কাশ্মীরি জাফরান
স্থানীয় ভাষায় ‘কঙ’ বা ‘জাফরান’ নামে পরিচিত কাশ্মীরি জাফরান তার রং, সুগন্ধ ও স্বাদের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাত। এটি ভারতীয় সংস্কৃতি ও রন্ধনশৈলীর বিশেষ গুরুত্ব বহন করে।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক এই সফরে ভারতের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলারের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ লক্ষ্যের কথা জানান তিনি। ভারতে দুই দিনের সফরে এসে গতকাল শুক্রবার মোদির সঙ্গে বাণিজ্য, প্রতিরক্ষাব্যবস্থা এবং অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করেন পুতিন।
মোদির সঙ্গে হওয়া বৈঠকে ‘গঠনমূলক ও বন্ধুত্বসুলভ’ বলে প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। ২০২৪ সালে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ কোটি ডলার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হওয়ার কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগে
কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

নিজেদের সবচেয়ে বড় এয়ারলাইন ইন্ডিগো টানা পাঁচ দিন ৩৮৫টি ফ্লাইট বাতিল করায় আজ শনিবার বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেছে ভারত সরকার। বলা হয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
রয়টার্স জানিয়েছে, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলে বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই বিমানবন্দরের বাইরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। এতে দেশজুড়ে বিমান যোগাযোগ কার্যত ভেঙে পড়েছে।
মূলত পাইলট সংকটের কারণে চলতি সপ্তাহে হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করে ইন্ডিগো। পাইলটদের কর্মঘণ্টা সীমিত করার নতুন নিয়মের জন্য আগাম পরিকল্পনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ভারত সরকার গতকাল শুক্রবার চলমান পরিস্থিতির প্রতিক্রিয়ায় এয়ারলাইনটির জন্য বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা দেয় এবং বিমানবন্দরে যাত্রীদের ভিড় কমাতে অতিরিক্ত ট্রেন চালুর ব্যবস্থা করে।
দিল্লি বিমানবন্দর আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে জানায়, ধীরে ধীরে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানে ফ্লাইট বাতিলের হার এখনো বেশি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইন্ডিগোর ফ্লাইট বাতিলের কারণে ভারতের অন্যান্য এয়ারলাইনের জনপ্রিয় রুটের ভাড়া বেড়ে গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আজ তাই বিমান ভাড়ায় সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হলো।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা রিয়েল-টাইম ডেটা ও এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে ভাড়ার মাত্রা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করবে।
এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় বিমান ভাড়া বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩৮ মিনিট আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগে
কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন দাবি করেছেন, পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ ও ‘ঘুষে’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘চরম অযোগ্যতার’ কারণেই ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
রুবিন বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে নষ্ট করে দিলেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন, তিনি আসলে কিসে প্ররোচিত হলেন। হয়তো পাকিস্তানের তোষামোদ। অথবা পাকিস্তান বা তাদের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের ঘুষ ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে... কিন্তু এটি এমনই এক ভয়াবহ ঘুষ, যার বোঝা আমেরিকাকে দশকের পর দশক কৌশলগত ঘাটতির মুখে ফেলবে।’
রুবিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রুশ তেল কেনা নিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। অথচ ওয়াশিংটন নিজেই মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এটা ‘ভন্ডামি’। তিনি জানান, ভারতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নয়াদিল্লির অবস্থান যৌক্তিক।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা কী বোঝেন না, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাঁরা নির্বাচিত করেছেন। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। খুব শিগগিরই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প বাজার নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য। এই অবস্থায় ভারতকে রুশ পণ্য কিনতে বাধা দেওয়া এক ধরনের ভন্ডামি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উপদেশ দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা। যদি আমরা তা দিতে না পারি, তবে সবচেয়ে ভালো চুপ থাকা। কারণ ভারতকে সবার আগে তার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প চলতি বছরের আগস্টে ভারতের বেশির ভাগ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, নয়াদিল্লির রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখা।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৪ ডিসেম্বর ভারত পৌঁছান ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ বৈঠকে জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পুতিনকে ভারতের প্রতি তাঁর ‘অটল অঙ্গীকারের’ জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুতিন মোদিকে বলেন, ‘রাশিয়া ভারতের জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তেল, গ্যাস, কয়লা এবং সব ধরনের সম্পদের নির্ভরযোগ্য জোগানদাতা। দ্রুতবর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আমরা অবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।’ শুক্রবার রাতে পুতিন ভারতের সফর শেষ করেন।

সাবেক পেন্টাগন কর্মকর্তা মাইকেল রুবিন দাবি করেছেন, পাকিস্তানের ‘চাটুকারিতা’ ও ‘ঘুষে’ যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ক নষ্ট হয়েছে। তিনি বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘চরম অযোগ্যতার’ কারণেই ভারত ও রাশিয়ার সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
রুবিন বলেন, ‘আমাদের অনেকেই এখনো বুঝে উঠতে পারছি না, কীভাবে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্ককে নষ্ট করে দিলেন। অনেকেই প্রশ্ন করেন, তিনি আসলে কিসে প্ররোচিত হলেন। হয়তো পাকিস্তানের তোষামোদ। অথবা পাকিস্তান বা তাদের পৃষ্ঠপোষক তুরস্ক ও কাতারের ঘুষ ট্রাম্পকে প্রভাবিত করেছে... কিন্তু এটি এমনই এক ভয়াবহ ঘুষ, যার বোঝা আমেরিকাকে দশকের পর দশক কৌশলগত ঘাটতির মুখে ফেলবে।’
রুবিন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে রুশ তেল কেনা নিয়ে ‘শিক্ষা দেওয়ার’ চেষ্টা করছে। অথচ ওয়াশিংটন নিজেই মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্য করছে—এটা ‘ভন্ডামি’। তিনি জানান, ভারতের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় নয়াদিল্লির অবস্থান যৌক্তিক।
রুবিন বলেন, ‘আমেরিকানরা কী বোঝেন না, যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই তাঁরা নির্বাচিত করেছেন। ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। খুব শিগগিরই ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাশিয়া ছাড়া আমাদের বিকল্প বাজার নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া থেকে জিনিসপত্র কিনতে বাধ্য। এই অবস্থায় ভারতকে রুশ পণ্য কিনতে বাধা দেওয়া এক ধরনের ভন্ডামি।’
তিনি বলেন, ‘ভারতকে উপদেশ দেওয়ার বদলে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত কম দামে জ্বালানি সরবরাহ করা। যদি আমরা তা দিতে না পারি, তবে সবচেয়ে ভালো চুপ থাকা। কারণ ভারতকে সবার আগে তার নিজের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখতে হয়।’
উল্লেখ্য, ট্রাম্প চলতি বছরের আগস্টে ভারতের বেশির ভাগ পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিলেন। কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল, নয়াদিল্লির রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখা।’
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৪ ডিসেম্বর ভারত পৌঁছান ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে। নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত এই শীর্ষ বৈঠকে জ্বালানি, প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্য ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী মোদি পুতিনকে ভারতের প্রতি তাঁর ‘অটল অঙ্গীকারের’ জন্য ধন্যবাদ জানান।
পুতিন মোদিকে বলেন, ‘রাশিয়া ভারতের জ্বালানি খাত উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় তেল, গ্যাস, কয়লা এবং সব ধরনের সম্পদের নির্ভরযোগ্য জোগানদাতা। দ্রুতবর্ধনশীল ভারতীয় অর্থনীতির জন্য আমরা অবিচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত রাখতে প্রস্তুত।’ শুক্রবার রাতে পুতিন ভারতের সফর শেষ করেন।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩৮ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী।
৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এক উত্তপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইমরান খানের ‘সশস্ত্র বাহিনীবিরোধী প্রচার’ নিয়ে কঠোর বক্তব্য দেন। অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘গাদ্দার’ বলেন এই পাক সেনা কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
জেনারেল চৌধুরী অভিযোগ করেন, ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে বৈঠকের পরপরই বারবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর বার্তা পাঠান এবং এসব বার্তা পরে বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সমন্বিত প্রচারাভিযান’ হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, ইমরান খান নিজের তত্ত্বাবধানে একটি ‘বৈজ্ঞানিক ও সমন্বিত ট্রোল নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছিলেন, যেটি নিয়মিতভাবে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানায়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে বক্তব্য
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল চৌধুরী বলেন, ইমরান খান নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন এবং অতীতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘বিকৃত ব্যাখ্যা’ দেন।
আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘আপনাদের আরও একটা উদাহরণ দিই। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া টুইট দেখলে বুঝবেন, তিনি গাদ্দার শেখ মুজিব রহমানের কত ভক্ত, তাঁর কারণে কত দুঃখ তাঁর! বারবার তাঁকে কোট করে এবং তাঁর উদাহরণ দেয়। কারণ, তিনি মনে করেন, তিনিই সব বোঝেন, বাকিরা সব ভুল।’
আইএসপিআর মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, ইমরান খানের প্রচারের সঙ্গে ভারত, আফগানিস্তান এবং বিদেশে থাকা ট্রোল নেটওয়ার্কগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘একটি টুইটের পরপরই বিদেশি অ্যাকাউন্টগুলো যেভাবে ক্রমান্বয়ে সাড়া দেয়, তাতে বোঝা যায়—এটি সংগঠিত প্রচারণা।’ তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক এক পোস্টে ইমরান খান তাঁর অনুসারীদের সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে বলেছেন, যা সরাসরি নিরাপত্তার ওপর আঘাত।
জেনারেল চৌধুরী বলেন, ‘যে কেউ সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবে, সেনাবাহিনীও তার জবাব দেবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের বাহিনী নয়—এটি কেবল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে নরম হতে পারে না এবং ‘খারেজি’ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ইমরান খানের পক্ষ থেকে ‘জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার’ ইঙ্গিতকে তিনি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান’ বলে উল্লেখ করেন।
পরিশেষে পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে ‘তথ্যভিত্তিক’ সংবাদ পরিবেশন এবং ‘মিথ্যা প্রচারে পা না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে জেনারেল চৌধুরী বলেন, দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্যনিরাপত্তা, জনসংখ্যা সংকট—এসব প্রকৃত সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

কারাবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানকে ‘মানসিকভাবে অসুস্থ’ এবং ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’ আখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গণমাধ্যম শাখা আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। গতকাল শুক্রবার রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এক উত্তপ্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইমরান খানের ‘সশস্ত্র বাহিনীবিরোধী প্রচার’ নিয়ে কঠোর বক্তব্য দেন। অত্যন্ত ঔদ্ধত্যপূর্ণভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘গাদ্দার’ বলেন এই পাক সেনা কর্মকর্তা।
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল চৌধুরী দাবি করেন, ‘ইমরান খান সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সংগঠিত প্রচার চালাচ্ছেন, বিদেশি শক্তির সঙ্গে সমন্বয় করছেন এবং নানা ভুল তথ্য ছড়িয়ে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছেন।’ তাঁর ভাষ্য, পাকিস্তানের ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতেই’ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘রাষ্ট্রের ওপরে কেউ নয়।’
ইমরান খানের নাম উল্লেখ না করে আইএসপিআর মহাপরিচালক বলেন, একজন নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব—যাঁর নাম না নিলেও সবার জানা—নিজের অহংকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছেন যে তিনি মনে করেন, ‘আমিই কিছু।’ এই বিভ্রান্তিকর মানসিকতার কারণেই তাঁর বয়ান ‘জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকিতে’ পরিণত হয়েছে।
জেনারেল চৌধুরী অভিযোগ করেন, ইমরান খান আদিয়ালা কারাগারে বৈঠকের পরপরই বারবার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তেজনাকর বার্তা পাঠান এবং এসব বার্তা পরে বিদেশি গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সমন্বিত প্রচারাভিযান’ হিসেবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তিনি আরও দাবি করেন, ইমরান খান নিজের তত্ত্বাবধানে একটি ‘বৈজ্ঞানিক ও সমন্বিত ট্রোল নেটওয়ার্ক’ গড়ে তুলেছিলেন, যেটি নিয়মিতভাবে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্যবস্তু বানায়।
শেখ মুজিবুর রহমানকে জড়িয়ে বক্তব্য
সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল চৌধুরী বলেন, ইমরান খান নিজের রাজনৈতিক অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বারবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন এবং অতীতের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ‘বিকৃত ব্যাখ্যা’ দেন।
আইএসপিআর ডিজি বলেন, ‘আপনাদের আরও একটা উদাহরণ দিই। তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া টুইট দেখলে বুঝবেন, তিনি গাদ্দার শেখ মুজিব রহমানের কত ভক্ত, তাঁর কারণে কত দুঃখ তাঁর! বারবার তাঁকে কোট করে এবং তাঁর উদাহরণ দেয়। কারণ, তিনি মনে করেন, তিনিই সব বোঝেন, বাকিরা সব ভুল।’
আইএসপিআর মহাপরিচালক অভিযোগ করেন, ইমরান খানের প্রচারের সঙ্গে ভারত, আফগানিস্তান এবং বিদেশে থাকা ট্রোল নেটওয়ার্কগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘একটি টুইটের পরপরই বিদেশি অ্যাকাউন্টগুলো যেভাবে ক্রমান্বয়ে সাড়া দেয়, তাতে বোঝা যায়—এটি সংগঠিত প্রচারণা।’ তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক এক পোস্টে ইমরান খান তাঁর অনুসারীদের সেনাবাহিনীর শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে বলেছেন, যা সরাসরি নিরাপত্তার ওপর আঘাত।
জেনারেল চৌধুরী বলেন, ‘যে কেউ সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ করবে, সেনাবাহিনীও তার জবাব দেবে। পাকিস্তান সেনাবাহিনী কোনো রাজনৈতিক মতাদর্শের বাহিনী নয়—এটি কেবল রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান।’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানে নরম হতে পারে না এবং ‘খারেজি’ জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনার সুযোগ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে ইমরান খানের পক্ষ থেকে ‘জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনার’ ইঙ্গিতকে তিনি ‘রাষ্ট্রবিরোধী অবস্থান’ বলে উল্লেখ করেন।
পরিশেষে পাকিস্তানের গণমাধ্যমকে ‘তথ্যভিত্তিক’ সংবাদ পরিবেশন এবং ‘মিথ্যা প্রচারে পা না দেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে জেনারেল চৌধুরী বলেন, দেশের পানি ব্যবস্থাপনা, খাদ্যনিরাপত্তা, জনসংখ্যা সংকট—এসব প্রকৃত সমস্যা নিয়ে বেশি আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।

নির্বাচনী প্রচারণায় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, সব ধরনের আমদানি পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করবেন। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদারদের সঙ্গে সম্পর্কে পরিবর্তন আনবে। বিশেষত, এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়তে পারে।
২৭ নভেম্বর ২০২৪
দুই দিনের (৪-৫ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে এসেছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সফর শেষে যাওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পুতিনকে বেশ কয়েকটি উপহার দিয়েছেন। এই উপহারগুলোর মধ্যে রয়েছে সুগন্ধযুক্ত আসামের ব্ল্যাক টি, কাশ্মীরি জাফরান, হাতে তৈরি রুপার ঘোড়া, একটি নকশা করা চায়ের সেট
৩৮ মিনিট আগে
ভারত সরকার জানিয়েছে, ৫০০ কিলোমিটার দূরত্বের একমুখী যাত্রার ভাড়া সাড়ে সাত হাজার রুপির বেশি হতে পারবে না। আর এক থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরত্বের যাত্রার জন্য (যেমন—দিল্লি-মুম্বাই রুট) বিমান ভাড়া ১৫ হাজার রুপির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে
রুবিন জানান, ট্রাম্পের আচরণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা ‘হতবাক’। কারণ তাঁর নীতির ফলে ওয়াশিংটন-নয়াদিল্লি সম্পর্ক উল্টো দিকে ঘুরে গেছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, এর পেছনে কী ‘পাকিস্তানের চাটুকারিতা, নাকি ঘুষ’ কাজ করেছে?
২ ঘণ্টা আগে