Ajker Patrika

মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে পাঠকের চিঠি প্রকাশে সিঙ্গাপুরে সম্পাদকের জেল

আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২২, ২৩: ৪৬
মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে পাঠকের চিঠি প্রকাশে সিঙ্গাপুরে সম্পাদকের জেল

মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ে পাঠকের একটি চিঠি প্রকাশ করায় সিঙ্গাপুরের একটি নিউজ আউটলেটের সম্পাদককে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় গতকাল বৃহস্পতিবার আদালত তাঁকে তিন সপ্তাহের জন্য জেলে পাঠিয়েছেন। 

অনলাইন সিটিজেন নামে পত্রিকাটি এখন বন্ধ। সম্পাদক টেরি সু গত বছর একটি চিঠি প্রকাশ করেছিলেন। চিঠিতে পাঠক অভিযোগ করেন, সরকারের ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে দুর্নীতি’ সয়লাব হয়ে গেছে। 

সিঙ্গাপুরে অনলাইন সিটিজেন নামের সংবাদমাধ্যমটি তুলনামূলকভাবে উদার অবস্থানে ছিল। কর্তৃপক্ষের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিল পত্রিকাটি। যেখানে সিঙ্গাপুরে গণমাধ্যম এখন কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। গত বছর সিঙ্গাপুরের মিডিয়া নিয়ন্ত্রক পত্রিকাটির নিবন্ধন বাতিল করে। অর্থায়নের উৎস প্রকাশে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে পত্রিকাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইনফোকম মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট অথোরিটি বলছে, অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বিদেশি প্রভাব প্রতিহত করতে নিউজ সাইটটির ব্যাপারে এমন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার ছিল। তবে সম্পাদক টেরি সু তখন বলেছিলেন, সাইটের গ্রাহকদের গোপনীয়তার সঙ্গে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না। 

এদিকে সিঙ্গাপুরে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার অবনতির পাশাপাশি সু-এর জেলে যাওয়া শঙ্কা আরও বেড়েছে। যেখানে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ১৮০টি দেশের মধ্যে সিঙ্গাপুরের অবস্থা ১৬০ তম। সে হিসাবে রাশিয়া এবং বেলারুশের পরেই সিঙ্গাপুরের অবস্থান। 

গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা জজ এনজি পেং হং রায় ঘোষণায় বলেন, ‘অভিযোগের প্রকৃতি, মানহানির শিকার পক্ষের প্রতি অবস্থান এবং প্রকাশনার ব্যাপক প্রসার’ বিবেচনা করে সুকে জেলে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে। 

এ ছাড়া ওই চিঠির লেখক ড্যানিয়েল ডি কস্তা অগাস্টিনকে তিন মাস এবং তিন সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তাঁকে মানহানি এবং কম্পিউটার অপরাধ আইন ভঙ্গ করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তাঁর অপরাধ তিনি অন্য ব্যক্তির ই-মেইল অ্যাকাউন্ট থেকে চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের সম্মতি নেওয়া হয়নি। 

সাজা ঘোষণার পরে ফেসবুকে দেওয়া বিবৃতিতে সু বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং পুলিশের তদন্ত ‘পক্ষপাতমূলক এবং অন্যায্য’। পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। 

রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন বলেও জানিয়েছেন সম্পাদক সু। 

এর আগে গত বছর প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং-এর মানহানির মামলায় হেরে যাওয়ার পর সু এবং আরেক অনলাইন লেখককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। 

অধিকার সংগঠন এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সমর্থকেরা বলছেন, সরকারের সমালোচনামূলক প্রতিবেদন বা কনটেন্ট প্রতিরোধ করতে মানহানির মামলা এবং অন্যান্য কঠোর আইন ব্যবহার করছে সিঙ্গাপুর সরকার। 

গত বছর সংসদ ‘বিদেশি হস্তক্ষেপ প্রতিরোধ’ আইন পাস করেছে। এই আইনে কর্তৃপক্ষকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো সরকারকে ব্যবহারকারীর তথ্য দিতে বাধ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঢাবিতে ‘তুর্কি এনজিও সমর্থিত’ সংগঠনের ‘বৃহত্তর বাংলাদেশ’ মানচিত্রে ভারতের অংশ, বললেন জয়শঙ্কর

কালো জাদুর অভিযোগে মবের তাণ্ডব, এক পরিবারে পাঁচজনকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

খিলগাঁওয়ে পুরি-শিঙাড়া বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা

ফ্লাইটে অসুস্থ ব্যক্তিকে সহযাত্রীর চড়, তারপর থেকে তিনি নিখোঁজ

সাপের বিষে তৈরি যে মদ পাওয়া যায় এশিয়ার বিভিন্ন দেশে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত