এক বিরল বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মিলিত হতে যাচ্ছেন চীন ও জাপানের নেতারা। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে চীনের উদ্বেগ কমানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চুং বায়ং-ওন, জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেহিরো ফুনাকোশি এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী নং রং যোগ দেবেন। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদার। দেশ তিনটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশ তিনটির নেতারা শেষবারের মতো বৈঠকে বসেছিলেন। তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো—চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাব্য পথ তৈরি করা। এর আগে দেশ তিনটির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপের ওপর জাপানের দখলদারিত্বের বিষয়কে কেন্দ্র করে বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওল গত আগস্টে বৈঠক করেন এবং দুই দেশের মধ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ দেন। সেই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে দুই দেশের নেতা অর্থনৈতিক, সামরিক ক্ষেত্রসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা মোতায়েনের পর বেইজিং-সিউলের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তার পর থেকেই চীন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে জোর দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারত্বের বিষয়ে তাদের (বেইজিংয়ের) হয়তো কিছু অস্বস্তি আছে।’ তিনি আরও বলেন, তারা দেখেছে যে, থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধীব্যবস্থা মোতায়েনের পর তাদের প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছে। তাই হয়তো তাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের (জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সঠিকভাবে পরিচালনা করা দরকার।’
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করা থেকে চীন কী অর্জন করতে চায় এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘চীন সম্ভবত এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে টেক্কা দিতে এই দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। এ লক্ষ্যে বেইজিং জনগণ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়ন, টোকিও-সিউলের সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংলাপ আয়োজন করতে চায় এবং যোগাযোগ বাড়াতে চায়।’
টং ঝাও আরও বলেন, ‘জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়ানো এবং একটি স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ না করলে বেইজিংয়ের সাহায্যে টোকিও-সিউল তা মন্থর করতে পারে। পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এই দেশ তিনটির মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ, আস্থা-নির্মাণ ও সংকট মোকাবিলার জন্য এই বৈঠক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’
এক বিরল বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মিলিত হতে যাচ্ছেন চীন ও জাপানের নেতারা। জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের বিষয়ে চীনের উদ্বেগ কমানোর লক্ষ্যে স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বৈঠকে দক্ষিণ কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চুং বায়ং-ওন, জাপানের জ্যেষ্ঠ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেহিরো ফুনাকোশি এবং চীনের পররাষ্ট্রবিষয়ক সহকারী মন্ত্রী নং রং যোগ দেবেন। এ বিষয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গতকাল সোমবার এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী এবং গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক অংশীদার। দেশ তিনটি ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশ তিনটির নেতারা শেষবারের মতো বৈঠকে বসেছিলেন। তিন দেশের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো—চীন, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার শীর্ষ নেতাদের মধ্যে একটি বৈঠকের সম্ভাব্য পথ তৈরি করা। এর আগে দেশ তিনটির মধ্যে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও ১৯১০ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত কোরীয় উপদ্বীপের ওপর জাপানের দখলদারিত্বের বিষয়কে কেন্দ্র করে বৈঠক বাতিল হয়ে যায়।
পরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওন সুক ইওল গত আগস্টে বৈঠক করেন এবং দুই দেশের মধ্য সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ দেন। সেই বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে দুই দেশের নেতা অর্থনৈতিক, সামরিক ক্ষেত্রসহ অন্যান্য খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর অঙ্গীকার করেন।
দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ কোরিয়ায় ‘থাড’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধব্যবস্থা মোতায়েনের পর বেইজিং-সিউলের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। তার পর থেকেই চীন দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রগামী ভূমিকা পালন করছে এবং জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় সম্পর্ক গড়ে তোলার পক্ষে জোর দিচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে আমাদের ক্রমবর্ধমান ঘনিষ্ঠ ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা অংশীদারত্বের বিষয়ে তাদের (বেইজিংয়ের) হয়তো কিছু অস্বস্তি আছে।’ তিনি আরও বলেন, তারা দেখেছে যে, থাড ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধীব্যবস্থা মোতায়েনের পর তাদের প্রতিক্রিয়া দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনবিরোধী মনোভাব উসকে দিয়েছে। তাই হয়তো তাদের মনে হচ্ছে যে, আমাদের (জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া) সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সঠিকভাবে পরিচালনা করা দরকার।’
জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করা থেকে চীন কী অর্জন করতে চায় এ বিষয়ে মার্কিন থিংক ট্যাংক কার্নেগি এনডাওমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল পিসের সিনিয়র ফেলো টং ঝাও বলেন, ‘চীন সম্ভবত এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে টেক্কা দিতে এই দেশ দুটির সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন করতে চায়। এ লক্ষ্যে বেইজিং জনগণ-জনগণ সম্পর্ক উন্নয়ন, টোকিও-সিউলের সঙ্গে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সংলাপ আয়োজন করতে চায় এবং যোগাযোগ বাড়াতে চায়।’
টং ঝাও আরও বলেন, ‘জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এড়ানো এবং একটি স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্ক বজায় রাখার আগ্রহ রয়েছে। এ ছাড়া উত্তর কোরিয়ার ব্যাপক পারমাণবিক উন্নয়ন কর্মসূচি বন্ধ না করলে বেইজিংয়ের সাহায্যে টোকিও-সিউল তা মন্থর করতে পারে। পরস্পর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো এই দেশ তিনটির মধ্যে কৌশলগত যোগাযোগ, আস্থা-নির্মাণ ও সংকট মোকাবিলার জন্য এই বৈঠক নতুন দুয়ার খুলে দেবে।’
চীনের তৈরি অত্যাধুনিক মাল্টিরোল অ্যাটাক হেলিকপ্টার জেট-১০ এখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর হাতে। এক সপ্তাহ ধরে পাকিস্তানি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, পাকিস্তান আর্মি এভিয়েশন কর্পস এই হেলিকপ্টারগুলো মাঠপর্যায়ে ব্যবহার শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন...
২ ঘণ্টা আগেপাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিমান ইউনিটে চীনের তৈরি আধুনিক জেট-১০ অ্যাটাক হেলিকপ্টার আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্ত হয়েছে। আজ শনিবার মুলতান গ্যারিসনে সেনাবাহিনী প্রধান ফিল্ড মার্শাল সাইয়েদ আসিম মুনির এই হেলিকপ্টারগুলোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকি সত্ত্বেও রাশিয়া থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে ভারত। এই বিষয়ে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট দুজন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এমন তথ্য জানিয়েছেন। একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এগুলো দীর্ঘমেয়াদি তেল চুক্তি। রাশিয়া থেকে রাতারাতি তেল কেনা বন্ধ করা এত সহজ নয়।’
৪ ঘণ্টা আগে১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় ব্রিটিশ পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের ডাক দিয়েছিল ভারতীয়রা। এই ঘটনার প্রায় ১২০ বছর পর, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেন আবার এক স্বদেশি আন্দোলনের ডাক দিলেন! তবে এবার বিদেশি পণ্য বর্জন নয়, স্বদেশি পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
৫ ঘণ্টা আগে