উইঘুর মুসলিমদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশত্যাগের অধিকার লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গতকাল সোমবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়—উইঘুর মুসলিমদের তুরস্কসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাজাখস্তানের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনের বাইরে থাকা উইঘুররা যদি শিনজিয়াং সফর করতে চান, তবে ‘ভ্রমণের উদ্দেশ্য’ ও ‘পরিবারের কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র’ জমা দিতে হয়।
একজন উইঘুর ব্যক্তি জানান, বিদেশ ভ্রমণ শেষে তার বাবা দেশে ফেরার পর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানতে চায়—তিনি কার সঙ্গে দেখা করেছেন, কোথায় গিয়েছেন, কী কথা বলেছেন।
চীনের ভিসাপ্রক্রিয়াও উইঘুরদের জন্য অত্যন্ত কঠোর। যেসব দেশে চীনের ভিসা বাধ্যতামূলক সেখানে থাকা উইঘুরদের ভিসার জন্য ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না থাকলেও শুধু শিশুদের উইঘুর ভাষার স্কুলে পাঠানো বা উইঘুর কর্মীদের উপস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কারণেও তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে।
চীন গত এক দশক ধরে উইঘুর ও হুই মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে চীন ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক করেছে। প্রথমে চীন এসব আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও পরে এগুলোকে ‘সংশোধন কেন্দ্র’ বলে দাবি করে।
জানা গেছে, উইঘুরদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে ঘনিষ্ঠ তুরস্ক। তাই বহু উইঘুর চীন থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তবে একসময় তুরস্ক চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও বর্তমানে বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করায় সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে এনেছে।
চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বিদেশে থাকা উইঘুরদের দেশে ফেরার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে চীন থেকে ভ্রমণের অনুমতি পেতে উইঘুরদের একজন ‘জামিনদার’ দিতে হয়, যা সাধারণত সরকার-সমর্থিত কেউ হন। আইন না মানলে জামিনদার বা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
একজন উইঘুর ব্যক্তি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, চীনা পুলিশ তাঁর দেশে থাকা এক আত্মীয়কে তাঁর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি কি এই ব্যক্তিকে চেনেন।’ উত্তরে ‘হ্যা’ বলার পর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেয় তাঁর আর পাসপোর্ট পাওয়ার আশা করা উচিত নয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর চীন বিষয়ক গবেষক ইয়ালকুন উলুইয়ল বলেন, ‘নিজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করা বা যোগাযোগ করার অধিকার কোনো বিশেষ সুযোগ নয়, এটি মৌলিক মানবাধিকার। অথচ চীন শুধু নির্দিষ্ট কিছু উইঘুরতে এই অনুমতি দিচ্ছে।’
চীন বিদেশে থাকা উইঘুরদের রাষ্ট্রীয় প্রচারণামূলক সফরে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই সফরগুলোর আয়োজন করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ‘শিনজিয়াং ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট’। এসব সফরে অংশ নেওয়া নিরাপদ ও সহজ ভিসা পাওয়ার উপায় বলে মনে করেন অনেক উইঘুর।
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, এবং যুক্তরাজ্যসহ ১৫টি দেশ গত অক্টোবরে জাতিসংঘে শিনজিয়াং ও তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে ভণ্ডামি ও প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদে আক্রান্ত বলে অভিযুক্ত করে।
বেইজিং এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কে উইঘুরদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে নির্বাচিত কিছু উইঘুরকে গোপনে আটক রেখে তাদের ভ্রমণের স্বাধীনতা সীমিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উইঘুর মুসলিমদের বিদেশ ভ্রমণের ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে চীন। বিষয়টি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশত্যাগের অধিকার লঙ্ঘন করছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। গতকাল সোমবার সংস্থাটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়—উইঘুর মুসলিমদের তুরস্কসহ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে ভ্রমণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের শুধুমাত্র ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে কাজাখস্তানের মতো কয়েকটি নির্দিষ্ট দেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, চীনের বাইরে থাকা উইঘুররা যদি শিনজিয়াং সফর করতে চান, তবে ‘ভ্রমণের উদ্দেশ্য’ ও ‘পরিবারের কাছ থেকে আমন্ত্রণপত্র’ জমা দিতে হয়।
একজন উইঘুর ব্যক্তি জানান, বিদেশ ভ্রমণ শেষে তার বাবা দেশে ফেরার পর পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং জানতে চায়—তিনি কার সঙ্গে দেখা করেছেন, কোথায় গিয়েছেন, কী কথা বলেছেন।
চীনের ভিসাপ্রক্রিয়াও উইঘুরদের জন্য অত্যন্ত কঠোর। যেসব দেশে চীনের ভিসা বাধ্যতামূলক সেখানে থাকা উইঘুরদের ভিসার জন্য ছয় মাস পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এমনকি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে না থাকলেও শুধু শিশুদের উইঘুর ভাষার স্কুলে পাঠানো বা উইঘুর কর্মীদের উপস্থিতিতে কোনো অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার কারণেও তাদের ভিসা বাতিল হতে পারে।
চীন গত এক দশক ধরে উইঘুর ও হুই মুসলিমদের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সাল থেকে চীন ১০ লাখের বেশি উইঘুর মুসলিমকে আটক করেছে। প্রথমে চীন এসব আটক কেন্দ্রের অস্তিত্ব অস্বীকার করলেও পরে এগুলোকে ‘সংশোধন কেন্দ্র’ বলে দাবি করে।
জানা গেছে, উইঘুরদের সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও জাতিগতভাবে ঘনিষ্ঠ তুরস্ক। তাই বহু উইঘুর চীন থেকে পালিয়ে তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছে। তবে একসময় তুরস্ক চীনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও বর্তমানে বেইজিংয়ের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করায় সমালোচনার মাত্রা কমিয়ে এনেছে।
চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে বিদেশে থাকা উইঘুরদের দেশে ফেরার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে চীন থেকে ভ্রমণের অনুমতি পেতে উইঘুরদের একজন ‘জামিনদার’ দিতে হয়, যা সাধারণত সরকার-সমর্থিত কেউ হন। আইন না মানলে জামিনদার বা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়।
একজন উইঘুর ব্যক্তি হিউম্যান রাইটস ওয়াচকে জানান, চীনা পুলিশ তাঁর দেশে থাকা এক আত্মীয়কে তাঁর ছবি দেখিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘আপনি কি এই ব্যক্তিকে চেনেন।’ উত্তরে ‘হ্যা’ বলার পর পুলিশ ওই ব্যক্তিকে জানিয়ে দেয় তাঁর আর পাসপোর্ট পাওয়ার আশা করা উচিত নয়।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর চীন বিষয়ক গবেষক ইয়ালকুন উলুইয়ল বলেন, ‘নিজ পরিবারের সঙ্গে দেখা করা বা যোগাযোগ করার অধিকার কোনো বিশেষ সুযোগ নয়, এটি মৌলিক মানবাধিকার। অথচ চীন শুধু নির্দিষ্ট কিছু উইঘুরতে এই অনুমতি দিচ্ছে।’
চীন বিদেশে থাকা উইঘুরদের রাষ্ট্রীয় প্রচারণামূলক সফরে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই সফরগুলোর আয়োজন করে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির ‘শিনজিয়াং ইউনাইটেড ফ্রন্ট ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্ট’। এসব সফরে অংশ নেওয়া নিরাপদ ও সহজ ভিসা পাওয়ার উপায় বলে মনে করেন অনেক উইঘুর।
অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, এবং যুক্তরাজ্যসহ ১৫টি দেশ গত অক্টোবরে জাতিসংঘে শিনজিয়াং ও তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে। চীন পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে ভণ্ডামি ও প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবাদে আক্রান্ত বলে অভিযুক্ত করে।
বেইজিং এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কে উইঘুরদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। তবে নির্বাচিত কিছু উইঘুরকে গোপনে আটক রেখে তাদের ভ্রমণের স্বাধীনতা সীমিত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
পাকিস্তানে বসবাসরত অবৈধ বা অনথিভুক্ত আফগান নাগরিকদের দেশত্যাগে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার পর বহু আফগান দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৩০ এপ্রিলের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই চলতি মাসে ১৯ হাজার ৫০০ জনের বেশি আফগানকে পাকিস্তান থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইস্টার সানডে উপলক্ষে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছেন। রুশ টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে গত এক দশক ধরে চলা উত্তেজনা নিরসনে এবার ইতালির রোমে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে ওয়াশিংটন ও তেহেরান। শনিবার (১৯ এপ্রিল) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কূটনৈতিক পর্যায়ের এই বৈঠক ব্যর্থ হলে ইরানে হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
১১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশে চলমান নাগরিক অস্থিরতা, অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকির কারণে ভ্রমণের পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। যুক্তরাষ্ট্র নিজের দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লেভেল-৩ বা ত্রিস্তরীয় সতর্কবার্তা জারি করেছে। কোনো দেশে ভ্রমণের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন
১১ ঘণ্টা আগে