Ajker Patrika

দেশ ছাড়ার আশা বাদ দিলেন আফগান দুই নারী

অনলাইন ডেস্ক
দেশ ছাড়ার আশা বাদ দিলেন আফগান দুই নারী

পাঁচ দিন ধরে রাত দিন চেষ্টা করেও কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারেননি আফগান স্কুল শিক্ষিকা শিরিন তাবরিক। দেশ ছেড়ে পালানোর চিন্তা তাই তিনি বাদ দিয়েছেন। ফিরে যাচ্ছেন গ্রামে। ভাবছেন তালেবান শাসনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন জীবন শুরু করবেন। একই অবস্থা সাগুফতা দস্তগীরেরও। তিনি একজন ধাত্রী বিশেষজ্ঞ। সম্প্রতি তাদের সঙ্গে কথা হয় রয়টার্সের। 

এক আফগান সরকারি কর্মকর্তার দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন শিরিন তাবরিক। তার স্বামী গত ফেব্রুয়ারিতেই দেশ ছেড়েছেন। শিরিন বলেন বলেন, ‘আমেরিকানরা সব আফগানকেই অপমান করেছে। খুব গণ্যমান্য পরিবার থেকে এসেছি আমি। কিন্তু পাঁচ রাত ধরে আমি রাস্তায় ঘুমাচ্ছি।’ 

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় ফারিয়াব প্রদেশে শিরিনের বাড়ি। তিনি বলেন, ‘ভাবছি বাড়িতেই আমি একটি ভালো জীবন পাব। আমাদের কিছু কৃষিজমি আছে। আমরা সেখানে গম আর ফল চাষ করি। পানির জন্য আমাদের একটি কূপও আছে। এর বেশি কিছু আর প্রয়োজন নেই। আমেরিকানরা এবার যেতে পারে, এই দেশে তাদের আর দেখতে চাই না।’ 

এদিকে, মাজার-ই-শরিফ থেকে কাবুলে আসা ধাত্রী বিশেষজ্ঞ সাগুফতা ইংরেজি ও জার্মান ভাষায় বেশ সাবলীল। একটি জার্মান এনজিওতে কাজও করেছেন তিনি। যদিও করোনা শুরু হওয়ার পর এনজিওটি বন্ধ হয়ে যায়। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলে তারা জার্মানি নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু গত ২৩ জুলাই থেকে একের পর এক ইমেইল দিয়েও তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। তবু অনেক ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে বাবা আর ভাইকে নিয়ে কাবুলে এসেছিলেন। পথে তালেবানরা থামিয়েছিল। তারা বলেছেন, ‘কাবুলে আত্মীয়র বাড়িতে যাচ্ছি।’ এত চেষ্টা করে এসেও কোনো লাভ হয়নি। জার্মানদের অপসারণ প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। 

রয়টার্সকে শাগুফতা বলেন, ‘আমি আবারও মাজারে ফিরে যাব। খুব ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমি সব সময় জার্মানদের খুব সম্মান করি। কিন্তু এবার তাদের অন্য রূপ দেখেছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত