Ajker Patrika

লন্ডনের আদালতে চলবে মালয়েশিয়ায় ব্রিটিশ কোম্পানির বিরুদ্ধে বাংলাদেশি শ্রমিকদের মামলা

অনলাইন ডেস্ক
Thumbnail image
ব্যাগবিহীন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির জন্য সুপরিচিত ডাইসন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও নেপালের ২৪ জন শ্রমিককে জোরপূর্বক শ্রমের অভিযোগে ব্রিটিশ ভ্যাকুয়াম ক্লিনার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ডাইসনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালে মালয়েশিয়ায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই মামলার প্রেক্ষিতে, গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্যের আপিল আদালত রায় দিয়েছে মামলাটি লন্ডনে চলতে পারবে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০২২ সালে ডাইসন টেকনোলজি লিমিটেড, ডাইসন লিমিটেড এবং মালয়েশিয়ার তাদের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেন বাংলাদেশ ও নেপালের কয়েকজন শ্রমিক। যাঁদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। তবে এখন তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে মামলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে।

অভিযোগে বলা হয়, মালয়েশিয়ার কোম্পানি এটিএ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় শ্রমিকদের বেতন থেকে অবৈধভাবে অর্থ কেটে রাখা হতো এবং কখনো কখনো নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়ায় তাঁদের মারধর করা হতো। এসব শ্রমিক ডাইসন পণ্যের যন্ত্রাংশ তৈরির কাজ করতেন।

মামলার আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ডাইসন কোম্পানি এই শ্রম নির্যাতনের জন্য দায়ী।

ডাইসন ২০২১ সালে মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান এটিএ ইন্ডাস্ট্রিয়ালের সঙ্গে তাদের চুক্তি বাতিল করে শ্রমিকদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ‘মামলাটি মালয়েশিয়ায় হওয়া উচিত, ব্রিটেনে নয়।’

গত বছর হাইকোর্টও এই যুক্তি মেনে নেয় এবং মামলা মালয়েশিয়ায় চালানোর নির্দেশ দেয়। তবে আপিল আদালত সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে দিয়ে রায় দেয়, লন্ডনই মামলাটি শোনার উপযুক্ত স্থান।

ডাইসনের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘এটি মূল মামলার শুনানি নয়, বরং মামলাটি কোথায় হবে তা নির্ধারণের জন্য একটি প্রক্রিয়াগত শুনানি।’ তিনি আরও জানান, কোম্পানি আপিল আদালতের রায়ের সঙ্গে একমত নয় এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে ভাবছে।

ব্রিটিশ উদ্ভাবক জেমস ডাইসনের প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যাগবিহীন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার তৈরির জন্য সুপরিচিত। বর্তমানে যুক্তরাজ্যে প্রায় ২ হাজার ৫০০ কর্মী এই প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত। যার মধ্যে অনেকেই গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র মালমেসবুরিতে কাজ করেন। তবে জুলাই মাসে ডাইসন বিশ্বব্যাপী ১ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত